প্রশ্ন:
কোন মুজাহিদ ভাই কোন কাফের বা মুরতাদকে হত্যা করে পালানোর সময় যদি কোন (সরকারি বা সাধারণ) লোক তাকে ধরার চেষ্টা করে, তাহলে মুজাহিদ ভাইয়ের জন্য তাকে আঘাত করা বা হত্যা করা বৈধ হবে কি?
উত্তর:
بسم الله، والصلاة والسلام على رسول الله، وعلى آله وصحبه ومن والاه. أما بعد ...
পলায়নরত মুজাহিদকে পালাতে বাধা দেয়া বা ধরার চেষ্টা করা তার উপর সুস্পষ্ট জুলুম ও অন্যায়। বরং তাকে হত্যা করার নামান্তর। এই জালেমের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে তাকে আঘাত বা হত্যা করতে পারবে।
বাধাদানকারী যদি সরকারি বাহিনির কেউ হয়, বা কাফের হয়, তাহলে হত্যা করতে কোন অসুবিধা নেই। কারণ, সরকারি বাহিনির লোককে এমনতিই হত্যা করা জায়েয। আর এদেশের কাফেররা মূলত হরবি। মাসলাহাতের খাতিরে বা সংশয়-সন্দেহের কারণে তাদের উপর হামলা করা হচ্ছে না। কিন্তু মুসলমানদের উপর সীমালঙ্গন করলে তার রক্ত হালাল হয়ে যায়।
আর বাধাদানকারী যদি সাধারণ মুসলামন হয় তখন আঘাতের দ্বারা ক্ষান্ত হয়ে গেলে হত্যা করবে না। জখম হয়েও ক্ষান্ত না হলে বা ক্ষান্ত হবে না বলে প্রবল ধারণা হলে হত্যা করে দেবে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
{فَإِنْ بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ}
“অতঃপর তাদের একটি দল যদি অন্য দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দল বাড়াবাড়ি করছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাবত না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে।”- হুজুরাত: ৯
আয়াতে দল দ্বারা শুধু দল উদ্দেশ্য নয়। একক ব্যক্তিও যদি অন্যের উপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আয়াত যুদ্ধ ও মারামারির অনুমতি দিচ্ছে। পলায়নরত মুজাহিদকে বাধাদানকারী অন্যায়ভাবে আক্রমণকারীর অন্তর্ভুক্ত। তার সাথে মারামারি-জখম-আঘাত সব করা যাবে। যতক্ষণ না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে। অর্থাৎ মুজাহিদকে নিরাপদে পালাতে দেয়। হত্যা করা ছাড়া বিরত না হলে হত্যা করতেও কোন অসুবিধা নেই।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
((من رأى منكم منكرا فليغيره بيده فان لم يستطع فبلسانه فان لم يستطع فبقلبه وذلك اضعف الايمان))
“তোমাদের যে কেউ কোন মন্দ কাজ দেখবে, সে যেন স্বহস্তে (শক্তিবলে) তা প্রতিহত করে। যদি তাতে সক্ষম না হয়, তাহলে যেন তার যবান দিয়ে প্রতিহত করে। যদি তাতেও সক্ষম না হয়, তাহলে যেন অন্তর দিয়ে প্রতিহত করে। আর এ (অন্তর দিয়ে প্রতিহত করা) হল দুর্বলতম ঈমান।”- সহীহ মুসলিম: ১৮৬
যে অন্যায় অস্ত্র প্রয়োগ ছাড়া দমন করা যায় না, তা অস্ত্র প্রয়োগে দমন করাই হাদিসের নির্দেশ।
ইমাম মুসলিম রহ. বর্ণনা করেন-
عن أبى هريرة قال جاء رجل إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال يا رسول الله أرأيت إن جاء رجل يريد أخذ مالى قال « فلا تعطه مالك ». قال أرأيت إن قاتلنى قال « قاتله ». قال أرأيت إن قتلنى قال « فأنت شهيد ». قال أرأيت إن قتلته قال « هو فى النار ».
“হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আরজ করল- ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি আমার মাল কেড়ে নিতে আসে? তিনি জওয়াব দিলেন- তাকে তোমার মাল দেবে না। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি সে আমার সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়? তিনি জওয়াব দিলেন, তুমিও তার সাথে মারামারি কর। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি সে আমাকে হত্যা করে ফেলে? তিনি জওয়াব দিলেন, তাহলে তুমি শহীদ হবে। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি আমি তাকে হত্যা করে ফেলি? তিনি জওয়াব দিলেন, তাহলে সে জাহান্নামী হবে।”- সহীহ মুসলিম: ৩৭৭
যেখানে নিজের মাল রক্ষার জন্য মারামারি ও হত্যার অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেখানে জান রক্ষার জন্য তো এর আগেই অনুমতি হবে।
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
(من قتل دون ماله فهو شهيد ومن قتل دون أهله أو دون دمه أو دون دينه فهو شهيد)
“যে ব্যক্তি তার মাল রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হবে- সে শহীদ। যে তার পরিবার, তার নিজ প্রাণ বা দ্বীন রক্ষার্থে নিহত হবে- সেও শহীদ।”- আবু দাউদ: ৪৭৭২
ইমাম কুরতুবী রহ. বলেন,
فالمنكر إذا أمكنت إزالته باللسان للناهي فليفعله، وإن لم يمكنه إلا بالعقوبة أو بالقتل فليفعل، فإن زال بدون القتل لم يجز القتل، وهذا تلقي من قول الله تعالى:" فقاتلوا التي تبغي حتى تفيء إلى أمر الله". وعليه بنى العلماء أنه إذا دفع الصائل على النفس أو على المال عن نفسه أو عن ماله أو نفس غيره فله ذلك ولا شي عليه. اهـ
“যদি যবান দ্বারা অন্যায় প্রতিহত করতে পারে, তাহলে তাই করবে। আর যদি শাস্তি বা হত্যা ছাড়া সম্ভব না হয়, তাহলে তাই করবে। হত্যা ছাড়া প্রতিহত হয়ে গেলে হত্যা জায়েয হবে না। এই মাসআলা গৃহীত হয়েছে আল্লাহ তাআলার এ বাণী থেকে-
" فقاتلوا التي تبغي حتى تفيء إلى أمر الله"
‘অতঃপর যে দল বাড়াবাড়ি করছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাবত না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে।’
এর ভিত্তিতেই উলামায়ে কেরাম বলেন, কোন ব্যক্তির নিজের জান-মালের উপর বা অন্য কারো জান-মালের উপর কেউ আক্রমণ করলে, সে উক্ত আক্রমণকারীকে প্রতিহত করতে পারবে এবং এর বিপরীতে তার উপর কোন জরিমানা বর্তাবে না।”- তাফসীরে কুরতুবী: ৪/৪৯
ইমাম মুহাম্মাদ রহ. বলেন (ইমাম সারাখসীর ব্যাখ্যাসহ),
(ولو خلوا سبيل الأسير وأعطوه الأمان على أن يكون في بلادهم فلا بأس للأسير أن يغتالهم ويقتل من قوي عليه سراً أو يأخذ ما شاء من أموالهم، لأنه ما أعطاهم الأمان وإنما هم أعطوه الأمان، وذلك لا يمنعه من أن يفعل بهم ما يقدر عليهم، إلا أن يكون أعطاهم الأمان، فحينئذ ينبغي لنا ألا نتعرض لهم بشيء من ذلك) لأن ذلك يكون غدراً منه، والغدر حرام. (ولكنه إن قدر على أن يخرج سراً إلى دار الإسلام فلا بأس بأن يخرج، وإن كان أعطاهم الأمان من أن يفعل ذلك) لأن حبسهم إياه في دارهم ظلم منهم له، فله أن يمتنع من الظلم. (فإن منعه إنسان من ذلك فلا بأس بأن يقاتله ويقتله) لأنه ظالم له في هذا المنع. اهـ شرح السير الكبير 2\7، باب من الفداء
“হরবিরা যদি কোন মুসলিম বন্দীকে মুক্তি দিয়ে দেয় এবং তাকে এই শর্তে আমান দেয় যে, তাকে তাদের (হরবিদের) দেশেই থাকতে হবে, তাহলে উক্ত বন্দীর জন্য হরবিদের যাকে পারে গোপনে হত্যা করে দিতে কিংবা তাদের যে কোন সম্পদ নিয়ে নিতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা, তারা তাকে আমান দিলেও সে তো তাদেরকে আমান দেয়নি। তাদের পক্ষ থেকে দেয়া আমান তার জন্য তাদের মাঝে (হত্যা-লুণ্টন) যা পারে করার পথে বাধা হবে না। হ্যাঁ, সে যদি তাদেরকে আমান দিয়ে থাকে, তাহলে কথা ভিন্ন। তখন আমাদের জন্য উচিৎ হলো, তাদের মাঝে (হত্যা-লুণ্টন) এর কোন কিছুই না করা। কেননা, এটা গাদ্দারি হবে। আর গাদ্দারি হারাম। তবে সে যদি গোপনে দারুল ইসলামে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়, তাহলে পালিয়ে আসতে কোন সমস্যা নেই- যদিও সে তাদেরকে এটি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। কেননা, তাদের দেশে তাকে আটকে রাখা জুলুম। আর জুলুম প্রতিহত করার অধিকার তার আছে। যদি পালিয়ে আসার পথে কোন ব্যক্তি তাকে বাধা দেয়, তাহলে তার সাথে মারামারি করতে বা তাকে হত্যা করে দিতে কোন সমস্যা নেই। কেননা, বাধা দেয়ার দ্বারা সে তার উপর জুলুম করছে। [আর নিজের উপর থেকে জুলুম প্রতিহত করার অধিকার তার আছে।]”- শরহুস সিয়ারিল কাবির ২/৭
والله سبحانه وتعالى أعلم
কোন মুজাহিদ ভাই কোন কাফের বা মুরতাদকে হত্যা করে পালানোর সময় যদি কোন (সরকারি বা সাধারণ) লোক তাকে ধরার চেষ্টা করে, তাহলে মুজাহিদ ভাইয়ের জন্য তাকে আঘাত করা বা হত্যা করা বৈধ হবে কি?
উত্তর:
بسم الله، والصلاة والسلام على رسول الله، وعلى آله وصحبه ومن والاه. أما بعد ...
পলায়নরত মুজাহিদকে পালাতে বাধা দেয়া বা ধরার চেষ্টা করা তার উপর সুস্পষ্ট জুলুম ও অন্যায়। বরং তাকে হত্যা করার নামান্তর। এই জালেমের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে তাকে আঘাত বা হত্যা করতে পারবে।
বাধাদানকারী যদি সরকারি বাহিনির কেউ হয়, বা কাফের হয়, তাহলে হত্যা করতে কোন অসুবিধা নেই। কারণ, সরকারি বাহিনির লোককে এমনতিই হত্যা করা জায়েয। আর এদেশের কাফেররা মূলত হরবি। মাসলাহাতের খাতিরে বা সংশয়-সন্দেহের কারণে তাদের উপর হামলা করা হচ্ছে না। কিন্তু মুসলমানদের উপর সীমালঙ্গন করলে তার রক্ত হালাল হয়ে যায়।
আর বাধাদানকারী যদি সাধারণ মুসলামন হয় তখন আঘাতের দ্বারা ক্ষান্ত হয়ে গেলে হত্যা করবে না। জখম হয়েও ক্ষান্ত না হলে বা ক্ষান্ত হবে না বলে প্রবল ধারণা হলে হত্যা করে দেবে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
{فَإِنْ بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ}
“অতঃপর তাদের একটি দল যদি অন্য দলের উপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দল বাড়াবাড়ি করছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাবত না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে।”- হুজুরাত: ৯
আয়াতে দল দ্বারা শুধু দল উদ্দেশ্য নয়। একক ব্যক্তিও যদি অন্যের উপর অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আয়াত যুদ্ধ ও মারামারির অনুমতি দিচ্ছে। পলায়নরত মুজাহিদকে বাধাদানকারী অন্যায়ভাবে আক্রমণকারীর অন্তর্ভুক্ত। তার সাথে মারামারি-জখম-আঘাত সব করা যাবে। যতক্ষণ না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে। অর্থাৎ মুজাহিদকে নিরাপদে পালাতে দেয়। হত্যা করা ছাড়া বিরত না হলে হত্যা করতেও কোন অসুবিধা নেই।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
((من رأى منكم منكرا فليغيره بيده فان لم يستطع فبلسانه فان لم يستطع فبقلبه وذلك اضعف الايمان))
“তোমাদের যে কেউ কোন মন্দ কাজ দেখবে, সে যেন স্বহস্তে (শক্তিবলে) তা প্রতিহত করে। যদি তাতে সক্ষম না হয়, তাহলে যেন তার যবান দিয়ে প্রতিহত করে। যদি তাতেও সক্ষম না হয়, তাহলে যেন অন্তর দিয়ে প্রতিহত করে। আর এ (অন্তর দিয়ে প্রতিহত করা) হল দুর্বলতম ঈমান।”- সহীহ মুসলিম: ১৮৬
যে অন্যায় অস্ত্র প্রয়োগ ছাড়া দমন করা যায় না, তা অস্ত্র প্রয়োগে দমন করাই হাদিসের নির্দেশ।
ইমাম মুসলিম রহ. বর্ণনা করেন-
عن أبى هريرة قال جاء رجل إلى رسول الله -صلى الله عليه وسلم- فقال يا رسول الله أرأيت إن جاء رجل يريد أخذ مالى قال « فلا تعطه مالك ». قال أرأيت إن قاتلنى قال « قاتله ». قال أرأيت إن قتلنى قال « فأنت شهيد ». قال أرأيت إن قتلته قال « هو فى النار ».
“হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে আরজ করল- ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি কি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি আমার মাল কেড়ে নিতে আসে? তিনি জওয়াব দিলেন- তাকে তোমার মাল দেবে না। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি সে আমার সাথে মারামারিতে লিপ্ত হয়? তিনি জওয়াব দিলেন, তুমিও তার সাথে মারামারি কর। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি সে আমাকে হত্যা করে ফেলে? তিনি জওয়াব দিলেন, তাহলে তুমি শহীদ হবে। ঐ ব্যক্তি আরজ করল- কি বলেন, যদি আমি তাকে হত্যা করে ফেলি? তিনি জওয়াব দিলেন, তাহলে সে জাহান্নামী হবে।”- সহীহ মুসলিম: ৩৭৭
যেখানে নিজের মাল রক্ষার জন্য মারামারি ও হত্যার অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেখানে জান রক্ষার জন্য তো এর আগেই অনুমতি হবে।
অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
(من قتل دون ماله فهو شهيد ومن قتل دون أهله أو دون دمه أو دون دينه فهو شهيد)
“যে ব্যক্তি তার মাল রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হবে- সে শহীদ। যে তার পরিবার, তার নিজ প্রাণ বা দ্বীন রক্ষার্থে নিহত হবে- সেও শহীদ।”- আবু দাউদ: ৪৭৭২
ইমাম কুরতুবী রহ. বলেন,
فالمنكر إذا أمكنت إزالته باللسان للناهي فليفعله، وإن لم يمكنه إلا بالعقوبة أو بالقتل فليفعل، فإن زال بدون القتل لم يجز القتل، وهذا تلقي من قول الله تعالى:" فقاتلوا التي تبغي حتى تفيء إلى أمر الله". وعليه بنى العلماء أنه إذا دفع الصائل على النفس أو على المال عن نفسه أو عن ماله أو نفس غيره فله ذلك ولا شي عليه. اهـ
“যদি যবান দ্বারা অন্যায় প্রতিহত করতে পারে, তাহলে তাই করবে। আর যদি শাস্তি বা হত্যা ছাড়া সম্ভব না হয়, তাহলে তাই করবে। হত্যা ছাড়া প্রতিহত হয়ে গেলে হত্যা জায়েয হবে না। এই মাসআলা গৃহীত হয়েছে আল্লাহ তাআলার এ বাণী থেকে-
" فقاتلوا التي تبغي حتى تفيء إلى أمر الله"
‘অতঃপর যে দল বাড়াবাড়ি করছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, যাবত না সে আল্লাহর হুকুমের দিকে ফিরে আসে।’
এর ভিত্তিতেই উলামায়ে কেরাম বলেন, কোন ব্যক্তির নিজের জান-মালের উপর বা অন্য কারো জান-মালের উপর কেউ আক্রমণ করলে, সে উক্ত আক্রমণকারীকে প্রতিহত করতে পারবে এবং এর বিপরীতে তার উপর কোন জরিমানা বর্তাবে না।”- তাফসীরে কুরতুবী: ৪/৪৯
ইমাম মুহাম্মাদ রহ. বলেন (ইমাম সারাখসীর ব্যাখ্যাসহ),
(ولو خلوا سبيل الأسير وأعطوه الأمان على أن يكون في بلادهم فلا بأس للأسير أن يغتالهم ويقتل من قوي عليه سراً أو يأخذ ما شاء من أموالهم، لأنه ما أعطاهم الأمان وإنما هم أعطوه الأمان، وذلك لا يمنعه من أن يفعل بهم ما يقدر عليهم، إلا أن يكون أعطاهم الأمان، فحينئذ ينبغي لنا ألا نتعرض لهم بشيء من ذلك) لأن ذلك يكون غدراً منه، والغدر حرام. (ولكنه إن قدر على أن يخرج سراً إلى دار الإسلام فلا بأس بأن يخرج، وإن كان أعطاهم الأمان من أن يفعل ذلك) لأن حبسهم إياه في دارهم ظلم منهم له، فله أن يمتنع من الظلم. (فإن منعه إنسان من ذلك فلا بأس بأن يقاتله ويقتله) لأنه ظالم له في هذا المنع. اهـ شرح السير الكبير 2\7، باب من الفداء
“হরবিরা যদি কোন মুসলিম বন্দীকে মুক্তি দিয়ে দেয় এবং তাকে এই শর্তে আমান দেয় যে, তাকে তাদের (হরবিদের) দেশেই থাকতে হবে, তাহলে উক্ত বন্দীর জন্য হরবিদের যাকে পারে গোপনে হত্যা করে দিতে কিংবা তাদের যে কোন সম্পদ নিয়ে নিতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা, তারা তাকে আমান দিলেও সে তো তাদেরকে আমান দেয়নি। তাদের পক্ষ থেকে দেয়া আমান তার জন্য তাদের মাঝে (হত্যা-লুণ্টন) যা পারে করার পথে বাধা হবে না। হ্যাঁ, সে যদি তাদেরকে আমান দিয়ে থাকে, তাহলে কথা ভিন্ন। তখন আমাদের জন্য উচিৎ হলো, তাদের মাঝে (হত্যা-লুণ্টন) এর কোন কিছুই না করা। কেননা, এটা গাদ্দারি হবে। আর গাদ্দারি হারাম। তবে সে যদি গোপনে দারুল ইসলামে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়, তাহলে পালিয়ে আসতে কোন সমস্যা নেই- যদিও সে তাদেরকে এটি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকে। কেননা, তাদের দেশে তাকে আটকে রাখা জুলুম। আর জুলুম প্রতিহত করার অধিকার তার আছে। যদি পালিয়ে আসার পথে কোন ব্যক্তি তাকে বাধা দেয়, তাহলে তার সাথে মারামারি করতে বা তাকে হত্যা করে দিতে কোন সমস্যা নেই। কেননা, বাধা দেয়ার দ্বারা সে তার উপর জুলুম করছে। [আর নিজের উপর থেকে জুলুম প্রতিহত করার অধিকার তার আছে।]”- শরহুস সিয়ারিল কাবির ২/৭
والله سبحانه وتعالى أعلم
Comment