দো‘আ -1
«اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ» متفقٌ عَلَيْهِ .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিকাংশ দো‘আ এই হত, ‘আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুন্য়্যা হাসানাহ, অফিল আ-খিরাতে হাসানাহ, অক্বিনা আযাবান্নার।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও এবং পরকালেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও। (বুখারী ও মুসলিম)
দো‘আ -2
«اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعَفَافَ، وَالغِنَى» . رواه مسلم
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অত্তুক্বা অলআফা-ফা অলগিনা।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়েত, পরহেজগারি, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)
দো‘আ -3
اَللهم اهْدِنِي، وَسَدِّدْنِي
“ ‘আল্লাহুম্মাহদিনী অসাদ্দিদনী।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়েত কর ও সোজাভাবে রাখ। (মুসলিম)
দো‘আ -4
يَاذا الجَلاَلِ والإكْرامِ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ইয়া যাল জালালি অলইকরাম!’ বাক্যটি আবশ্যিকভাবে বড্ড গুরুত্ব দাও।” (তিরমিযী,নাসায়ী)
দো‘আ -5
«يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ এই দো‘আ পড়তেন, ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি ষাবিবত ক্বালবী আলা দীনিক।’ অর্থাৎ হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। (তিরমিযী, হাসান)
দো‘আ -6
«اَللهم مُصَرِّفَ القُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ» . رواه مسلم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল ক্বুলূবি স্বার্রিফ ক্বুলূবানা আলা ত্বা-আ’তিক।’ অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর। (মুসলিম)
দো‘আ -7
العَافِيَةَ في الدُّنيَا وَالآخِرَةِ» «اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ
“হে আব্বাস! হে আল্লাহর রসূলের চাচা! আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা কর।” (তিরমিযী হাসান সহীহ)
দো‘আ -7
«اَللهم أَصْلِحْ لِي دِينِيَ الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتي فِيهَا مَعَاشِي، وَأَصْلِحْ لِي آخِرتِيَ الَّتي فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ المَوتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ» . رواه مسلم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা আস্বলিহ লী দীনিয়াল্লাযী হুয়া ইসমাতু আমরী, অ আস্ব্লিহ লী দুন্য়্যা-য়্যাল্লাতী ফীহা মাআ-শী, অ আস্ব্লিহ লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মাআ-দী। অজআলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল লী ফী কুলি খাইর্। অজআলিল মাউতা রা-হাতাল লী মিন কুলি শার্র্।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার দ্বীনকে শুধরে দাও, যা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী। আমার পার্থিব জীবনকে শুধরে দাও, যাতে আমার জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে শুধরে দাও, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর এবং মওতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আরামদায়ক কর। (মুসলিম)
†`vÔqv -8
مِنْ جَهْدِ البَلاَءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوْءِ القَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ» («اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ)
তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে বল, ‘(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা) মিন জাহদিল বালা-ই অদারাকিশ শাক্বা-ই অসূইল ক্বাযবা-ই অশামা-তাতিল আ’দা-’।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (অল্প ধনে জনের আধিক্য), দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমন-হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি। (মুসলিম)
দো‘আ -8
«اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ، وَالكَسَلِ، وَالجُبْنِ، وَالهَرَمِ، وَالبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ» .
وفي رواية: «وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ» . رواه مسلم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি অল-জুব্নি অল-হারামি অল-বুখ্ল, অ আঊযু বিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি, অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা অল-মামাতি, (অ যবালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)’
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও মানুষের প্রতাপ থেকে)। অপর বর্ণনায় (যুক্ত) আছে, অদ্বাল‘ইদ-দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল। (মুসলিম)
দো‘আ -9
«اَللهم اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي، وَإِسرَافِي فِي أَمْرِي، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنّي، اَللهم اغْفِرْ لِي جِدِّي وَهَزْلِي ؛ وَخَطَئِي وَعَمْدِي ؛ وَكُلُّ ذَلِكَ عِنْدِي، اَللهم اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَنتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ». متفق عَلَيْهِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মাগফির লী খাত্বীআতী অজাহলী অইসরা-ফী ফী আমরী, অমা আন্তা আ‘লামু বিহী মিন্নী। আল্লা-হুম্মাগফির লী জিদ্দী অহাযলী অখাত্বাঈ অআম্দী, অকুল্লু যা-লিকা ইন্দী। আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী, আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখ্খিরু অআন্তা আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপ, মুর্খামি, কর্মে সীমালঙ্ঘনকে এবং যা তুমি আমার চেয়ে অধিক জান, তা আমার জন্য ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ গো! তুমি আমার অযথার্থ ও যথার্থ, অনিচ্ছাকৃত ও ইচ্ছাকৃত-ভাবে করা পাপসমূহকে মার্জনা করে দাও। আর এই প্রত্যেকটি পাপ আমার আছে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা তুমি অধিক জান। তুমিই অগ্র-সরকারী ও তুমিই পশ্চাদপদকারী এবং তুমি প্রতিটি বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। (বুখারী ও মুসলিম)
দো‘আ -10
«اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ» . رواه مسلم
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ দো‘আতে এই শব্দগুলি বলতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি মা ‘আমিলতু অ মিন শার্রি মা লাম আ‘মাল।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার কৃত (পাপের) অনিষ্ট হতে এবং অকৃত (পুণ্যের) মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (অথবা অপরের কৃত পাপের ব্যাপক শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।) (মুসলিম)
«اَللهم آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً، وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً، وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ» متفقٌ عَلَيْهِ .
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিকাংশ দো‘আ এই হত, ‘আল্লাহুম্মা আ-তিনা ফিদ্দুন্য়্যা হাসানাহ, অফিল আ-খিরাতে হাসানাহ, অক্বিনা আযাবান্নার।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দাও এবং পরকালেও কল্যাণ দাও। আর জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদেরকে বাঁচাও। (বুখারী ও মুসলিম)
দো‘আ -2
«اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ الهُدَى، وَالتُّقَى، وَالعَفَافَ، وَالغِنَى» . رواه مسلم
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ করতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা অত্তুক্বা অলআফা-ফা অলগিনা।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট হেদায়েত, পরহেজগারি, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা এবং সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি। (মুসলিম)
দো‘আ -3
اَللهم اهْدِنِي، وَسَدِّدْنِي
“ ‘আল্লাহুম্মাহদিনী অসাদ্দিদনী।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে হিদায়েত কর ও সোজাভাবে রাখ। (মুসলিম)
দো‘আ -4
يَاذا الجَلاَلِ والإكْرامِ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “ইয়া যাল জালালি অলইকরাম!’ বাক্যটি আবশ্যিকভাবে বড্ড গুরুত্ব দাও।” (তিরমিযী,নাসায়ী)
দো‘আ -5
«يَا مُقَلِّبَ القُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ» . رواه الترمذي، وقال: حديث حسن
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ এই দো‘আ পড়তেন, ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবি ষাবিবত ক্বালবী আলা দীনিক।’ অর্থাৎ হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ। (তিরমিযী, হাসান)
দো‘আ -6
«اَللهم مُصَرِّفَ القُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ» . رواه مسلم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা মুসার্রিফাল ক্বুলূবি স্বার্রিফ ক্বুলূবানা আলা ত্বা-আ’তিক।’ অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়সমূহকে আবর্তনকারী! তুমি আমাদের হৃদয়সমূহকে তোমার আনুগত্যের উপর আবর্তিত কর। (মুসলিম)
দো‘আ -7
العَافِيَةَ في الدُّنيَا وَالآخِرَةِ» «اَللهم إِنِّي أَسْأَلُكَ
“হে আব্বাস! হে আল্লাহর রসূলের চাচা! আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা কর।” (তিরমিযী হাসান সহীহ)
দো‘আ -7
«اَللهم أَصْلِحْ لِي دِينِيَ الَّذِي هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِي، وَأَصْلِحْ لِي دُنْيَايَ الَّتي فِيهَا مَعَاشِي، وَأَصْلِحْ لِي آخِرتِيَ الَّتي فِيهَا مَعَادِي، وَاجْعَلِ الحَيَاةَ زِيَادَةً لِي فِي كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ المَوتَ رَاحَةً لِي مِنْ كُلِّ شَرٍّ» . رواه مسلم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা আস্বলিহ লী দীনিয়াল্লাযী হুয়া ইসমাতু আমরী, অ আস্ব্লিহ লী দুন্য়্যা-য়্যাল্লাতী ফীহা মাআ-শী, অ আস্ব্লিহ লী আ-খিরাতিয়াল্লাতী ফীহা মাআ-দী। অজআলিল হায়া-তা যিয়া-দাতাল লী ফী কুলি খাইর্। অজআলিল মাউতা রা-হাতাল লী মিন কুলি শার্র্।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার দ্বীনকে শুধরে দাও, যা আমার সকল কর্মের হিফাযতকারী। আমার পার্থিব জীবনকে শুধরে দাও, যাতে আমার জীবিকা রয়েছে। আমার পরকালকে শুধরে দাও, যাতে আমার প্রত্যাবর্তন হবে। আমার জন্য হায়াতকে প্রত্যেক কল্যাণে বৃদ্ধি কর এবং মওতকে প্রত্যেক অকল্যাণ থেকে আরামদায়ক কর। (মুসলিম)
†`vÔqv -8
مِنْ جَهْدِ البَلاَءِ، وَدَرَكِ الشَّقَاءِ، وَسُوْءِ القَضَاءِ، وَشَمَاتَةِ الأَعْدَاءِ» («اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ)
তোমরা আল্লাহর কাছে পানাহ চেয়ে বল, ‘(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা) মিন জাহদিল বালা-ই অদারাকিশ শাক্বা-ই অসূইল ক্বাযবা-ই অশামা-তাতিল আ’দা-’।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট কঠিন দুরবস্থা (অল্প ধনে জনের আধিক্য), দুর্ভাগ্যের নাগাল, মন্দ ভাগ্য এবং দুশমন-হাসি থেকে রক্ষা কামনা করছি। (মুসলিম)
দো‘আ -8
«اَللهم إنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ، وَالكَسَلِ، وَالجُبْنِ، وَالهَرَمِ، وَالبُخْلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ القَبْرِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ المَحْيَا وَالمَمَاتِ» .
وفي رواية: «وَضَلَعِ الدَّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ» . رواه مسلم
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অল-কাসালি অল-জুব্নি অল-হারামি অল-বুখ্ল, অ আঊযু বিকা মিন আযাবিল ক্বাবরি, অ আঊযু বিকা মিন ফিতনাতিল মাহ্য়্যা অল-মামাতি, (অ যবালাইদ্ দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল।)’
অর্থ- হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট অক্ষমতা, অলসতা, ভীরুতা, স্থবিরতা ও কৃপণতা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি কবরের আযাব থেকে, আশ্রয় কামনা করছি জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে (এবং ঋণের ভার ও মানুষের প্রতাপ থেকে)। অপর বর্ণনায় (যুক্ত) আছে, অদ্বাল‘ইদ-দাইনি অ গালাবাতির রিজা-ল। (মুসলিম)
দো‘আ -9
«اَللهم اغْفِرْ لِي خَطِيئَتِي وَجَهْلِي، وَإِسرَافِي فِي أَمْرِي، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنّي، اَللهم اغْفِرْ لِي جِدِّي وَهَزْلِي ؛ وَخَطَئِي وَعَمْدِي ؛ وَكُلُّ ذَلِكَ عِنْدِي، اَللهم اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ، وَمَا أَنتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ المُقَدِّمُ، وَأَنْتَ المُؤَخِّرُ، وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ». متفق عَلَيْهِ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো‘আ পড়তেন, ‘আল্লা-হুম্মাগফির লী খাত্বীআতী অজাহলী অইসরা-ফী ফী আমরী, অমা আন্তা আ‘লামু বিহী মিন্নী। আল্লা-হুম্মাগফির লী জিদ্দী অহাযলী অখাত্বাঈ অআম্দী, অকুল্লু যা-লিকা ইন্দী। আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা ক্বাদ্দামতু অমা আখ্খারতু অমা আসরারতু অমা আ’লানতু অমা আন্তা আ’লামু বিহী মিন্নী, আন্তাল মুক্বাদ্দিমু অ আন্তাল মুআখ্খিরু অআন্তা আলা কুলি শাইয়িন ক্বাদীর।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার পাপ, মুর্খামি, কর্মে সীমালঙ্ঘনকে এবং যা তুমি আমার চেয়ে অধিক জান, তা আমার জন্য ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ গো! তুমি আমার অযথার্থ ও যথার্থ, অনিচ্ছাকৃত ও ইচ্ছাকৃত-ভাবে করা পাপসমূহকে মার্জনা করে দাও। আর এই প্রত্যেকটি পাপ আমার আছে। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মার্জনা কর, যে অপরাধ আমি পূর্বে করেছি এবং যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি এবং যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যা তুমি অধিক জান। তুমিই অগ্র-সরকারী ও তুমিই পশ্চাদপদকারী এবং তুমি প্রতিটি বস্তুর উপর ক্ষমতাবান। (বুখারী ও মুসলিম)
দো‘আ -10
«اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلْتُ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ» . رواه مسلم
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজ দো‘আতে এই শব্দগুলি বলতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন শার্রি মা ‘আমিলতু অ মিন শার্রি মা লাম আ‘মাল।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার কৃত (পাপের) অনিষ্ট হতে এবং অকৃত (পুণ্যের) মন্দ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (অথবা অপরের কৃত পাপের ব্যাপক শাস্তি থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।) (মুসলিম)
Comment