যে কারনে আমি গণতন্ত্রের মানহায পরিত্যাগ করলাম আর আমার পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করলাম
¥ মনে হচ্ছে আপনি ইদানীং গণতন্ত্র বিরোধী হয়ে গেছেন??
§ তাই নাকি? তাহলে পক্ষে ছিলাম কবে??
¥ এইতো এর আগে তো আপনিই গণতন্ত্রের পক্ষে ‘মোকাবেলাঃ ….’ নামে বিশাল এক ব্লগ লিখছিলেন। পাব্লিক তো এইটারে গণতন্ত্রের রেফারেন্স বানায়া ফেলেছিল।
§ ভাই, আমি কখনই গণতন্ত্র সমর্থন করি নি। আমি ঐ ব্লগটি শুরুই করেছিলাম এভাবে- “গণতন্ত্র কুফরি তার মূল কারন দুইটি। যথা….”।
আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম গণতন্ত্র কুফরি হলেও নিজেদের আক্বীদা ঠিক রেখে সাময়িকভাবে এতে অনুপ্রবেশ করা যায়।
¥ এখন কি ঐ নোটের যুক্তিগুলোকে সঠিক মনে করেন না??
§ না। সঠিক ভাবি না। আমি তখন ইসলামের শূরার সাথে গণতন্ত্রকে এক করে দেখেছিলাম যেটা ছিল এক মারাত্বক ভুল। শূরার সাথে পার্লামেন্টের সাদৃশ্যের চেয়ে বৈসাদৃশ্য অনেক বেশি। আর যেটুকু সাদৃশ্যও আছে তা সংবিধানের ইসলামিকরণের পর হবে। সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমি জনগণের সার্বভৌমত্বকে আপাত এবং আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে চূড়ান্ত বলেছিলাম। কিন্তু আমার কাছে পরে পরিষ্কার হল যে সার্বভৌমত্বকে ভাগ করা যায় না। আর যদি করাও যায়, তাহলেও গণতন্ত্রের সূত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের উপরে জনগণের (আরও নির্দিষ্টভাবে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের) সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেয়। সেখানে গিয়ে আপনি যদি বলেন কুরআনে আছে… হাদীসে আছে… কেউ দাম দিবে না। যদি বলেন এত নং ধারায় অমুক আছে তত নং তমুক আছে তাহলে তাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য। এই বিষয়ে আমার বর্তমান চিন্তাধারা এখানে [ http://wp.me/p57tC3-D ] পাবেন।
আরো মজার বিষয় হলো যদি রাষ্ট্রের সব জনগণ এক হয়ে বলে, “আমরা মদ ও সুদ নিষিদ্ধের আইন চাই, ব্যভিচারের রজম চাই, মুরতাদের মৃত্যুদন্ড চাই” তখন কথিত গণতন্ত্রের বুদ্ধিজীবী, দেশীয় তাগুত ও তাদের বিদেশী প্রভুরা বলবে-
“তোমাদের এসব দাবী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার বিরোধী, এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বর আইন।“
¥ এই পয়েন্টগুলো তো গণতন্ত্র কুফরি তা প্রমাণ করে। কিন্তু কুফরকে সাময়িক জায়েযের ক্ষেত্রে… …??
§ জ্বী বলছি। আমি ঐ সিদ্ধান্ত টেনেছিলাম যেসব পয়েন্টের ভিত্তিতে সেগুলো হলঃ
১. হুদাইবিয়ার সন্ধি
২. মক্কী যুগে রাসূল সঃ এর কাবাচত্বরে নামায আদায়
৩. ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ) অনন্যোপায় হলে দুটি মন্দ থেকে অপেক্ষাকৃত কম মন্দটি গ্রহণ করার নীতি
৪. রাষ্ট্রে থাকতে হলে তো বিভন্ন নিয়মের অনুসরণ করতেই হয়
৫. রাসূল সঃ দুটি কাফির গোত্রের যুদ্ধে একটির জন্য দুআ করেছিলেন প্রমুখ।
১, ২ এবং ৪নং সম্পর্কে আমার বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি KaizenSeries এর ৯ নং পর্বে [ http://wp.me/p57tC3-J ] পাবেন। সব রীতিনীতি বা নিয়মের ক্ষেত্রে ‘আরবাবাম মিন দুনিল্লাহ’ হয় না। আর মনে রাখতে হবে যে আমরা নির্বাচন করতে বাধ্য নই। তাছাড়া নিতান্ত বাধ্য হয়ে মদকে অস্বীকার করে খাওয়া এবং মদকে সাময়িকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া বা জায়েয জেনে খাওয়া এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। ইবনে তাইমিয়্যার নীতিকে আমি ভুল বুঝেছিলাম। শিরকই হচ্ছে সবচেয়ে বড় খারাপ। আর বাধ্য হয়ে হারাম গ্রহণ করার ফিকাহর মধ্যে এগুলো পড়ে না। (কুফরকে স্বীকৃতি নয় কিন্তু!!) ৫নং পয়েন্ট এই আলোচনায় আসে না। এই বিষয়গুলো আরো পুঙ্খানুপুণখভাবে বুঝার জন্য আমি আপনাদেরকে ‘ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্তের সংশয়সমূহ’ বইটি পরার অনুরোধ করছি। বইটির ডাউনলোড লিংক-
¥ কিন্তু ইউসুফ আঃ তো কাফির রাজার মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছিলেন, নাজ্জাসী শরীআ বাস্তবায়ন না করা সত্ত্বেও রাসূল সঃ তাঁর জানাযা পড়েছিলেন। ইসলাম আসার পরেও রাসূল (সঃ) জাহিলী যুগে প্রতিষ্ঠিত আল ফুযুলে কাজ করতে আগ্রহ পোষণ করেছেন।
§ আমি জানি এইসব সস্তা যুক্তি দ্বারা অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ইনফ্যাক্ট আমিও হয়েছিলাম। আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি তাঁর Democracy : A Religion বইতে এই সবকটি যুক্তি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খন্ডন করেছেন। এবং তিনি এত এঙ্গেল (একমত হয়ে, ভিন্নমত হয়ে, সবদিক) থেকে এটাকে ব্যাখ্যা করেছেন যে আমার মনে হয় না, ঐ বই পড়ার আর কেউ এসব যুক্তি উচ্চারণ করবে। সত্যি বলতে ঐ বইটি ঐ সময় আমার হাতে থাকলে আমি ভুলেও ঐ নোটটি লেখার ধৃষ্টতা দেখাতাম না। বইটির বাংলা অনুবাদের ডাউনলোড লিংক- http://www.pdf-archive.com/2014/05/0...jibon-bebosta/
¥ আপনি কি মনে করেন গণতন্ত্র দিয়ে একেবারেই শরীআ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়??
§ শতভাগ তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কখনই সম্ভব নয়! …
¥ যেমন…?
§ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আইন পরিবর্তনের সিস্টেম হল বিল উত্থাপন ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফলো করা। এখন আপনি যদি এই প্রক্রিয়ায় বিল উত্থাপন ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে মদ নিষিদ্ধ করেন, তাও তা হবে একপ্রকার মানবরচিত আইন। কারন এটার breeding process এটাকে তাই বলছে। আমরা বলবো এটা এক প্রকার মানবরচিত আইন কিন্তু ঘটনাক্রমে এটা শরীআ আইনের সাথে মিলে গেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মার্কিন পার্লামেন্টও একসময় মদ নিষিদ্ধ করেছিল।
আর প্রায়োগিক দিক থেকে তো পুরপুরিই অসম্ভব। দয়া করে এই লেখাটা পড়লে ইনশাআল্লাহ আপনিও আমার সাথে একমত হবেন- http://wp.me/p57tC3-11
¥ শেষ প্রশ্ন। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলাম কায়েম করতে চাচ্ছে তাদের কি আপনি কাফের মনে করেন??
§ না। আমি তা মনে করি না। ‘কোন একটি কাজকে কুফর বলা এবং ঐ কাজসম্পাদনকারীকে কাফের আখ্যায়িত করা’ এ দুয়ের মধ্য তফাৎ আছে। কারন তাওয়ীল (কুরআন হাদীসের কোন ভুল ব্যাখ্যা উল্লেখিত ব্যক্তিটি যার শিকার) ও জুহুল (অজ্ঞতা) নির্দিষ্ট করে তাকফিরের (মুকাইয়িন তাকফির) প্রতিবন্ধক হওয়ার জন্য যথেষ্ট। ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতে আমি তাকফিরের প্রকার ও শর্তাবলী, রাষ্ট্রপ্রধানকে তাকফির প্রভৃতি নিয়ে কথা বলবো।
[ একসময় আমি গণতন্ত্রের পক্ষে “মোকাবেলাঃ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা কুফরি” শিরোনামে বেশ বড় একটা নোট লিখেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমি সেই অবস্থান থেকে ফিরে আসি। আর এখানে একটি কাল্পনিক কথোপকথনের সেই কারণগুলিই উল্লেখের চেষ্টা করেছি। ¥ দিয়ে একজন কৌতুহলী পাঠক এবং § দিয়ে এখানে নিজেকে বুঝিয়েছি। আল্লাহ আমার ভুল-ত্রুটি মাফ করুন। আমীন ]
ঝগড়া বা বিদ্বেষ নয়। ইসলামী পুনর্জাগরণের পথ ও পন্থা বোঝার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টামাত্র। মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমীন।
¥ মনে হচ্ছে আপনি ইদানীং গণতন্ত্র বিরোধী হয়ে গেছেন??
§ তাই নাকি? তাহলে পক্ষে ছিলাম কবে??
¥ এইতো এর আগে তো আপনিই গণতন্ত্রের পক্ষে ‘মোকাবেলাঃ ….’ নামে বিশাল এক ব্লগ লিখছিলেন। পাব্লিক তো এইটারে গণতন্ত্রের রেফারেন্স বানায়া ফেলেছিল।
§ ভাই, আমি কখনই গণতন্ত্র সমর্থন করি নি। আমি ঐ ব্লগটি শুরুই করেছিলাম এভাবে- “গণতন্ত্র কুফরি তার মূল কারন দুইটি। যথা….”।
আসলে আমি বলতে চেয়েছিলাম গণতন্ত্র কুফরি হলেও নিজেদের আক্বীদা ঠিক রেখে সাময়িকভাবে এতে অনুপ্রবেশ করা যায়।
¥ এখন কি ঐ নোটের যুক্তিগুলোকে সঠিক মনে করেন না??
§ না। সঠিক ভাবি না। আমি তখন ইসলামের শূরার সাথে গণতন্ত্রকে এক করে দেখেছিলাম যেটা ছিল এক মারাত্বক ভুল। শূরার সাথে পার্লামেন্টের সাদৃশ্যের চেয়ে বৈসাদৃশ্য অনেক বেশি। আর যেটুকু সাদৃশ্যও আছে তা সংবিধানের ইসলামিকরণের পর হবে। সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে আমি জনগণের সার্বভৌমত্বকে আপাত এবং আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে চূড়ান্ত বলেছিলাম। কিন্তু আমার কাছে পরে পরিষ্কার হল যে সার্বভৌমত্বকে ভাগ করা যায় না। আর যদি করাও যায়, তাহলেও গণতন্ত্রের সূত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের উপরে জনগণের (আরও নির্দিষ্টভাবে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের) সার্বভৌমত্বকে প্রাধান্য দেয়। সেখানে গিয়ে আপনি যদি বলেন কুরআনে আছে… হাদীসে আছে… কেউ দাম দিবে না। যদি বলেন এত নং ধারায় অমুক আছে তত নং তমুক আছে তাহলে তাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্য। এই বিষয়ে আমার বর্তমান চিন্তাধারা এখানে [ http://wp.me/p57tC3-D ] পাবেন।
আরো মজার বিষয় হলো যদি রাষ্ট্রের সব জনগণ এক হয়ে বলে, “আমরা মদ ও সুদ নিষিদ্ধের আইন চাই, ব্যভিচারের রজম চাই, মুরতাদের মৃত্যুদন্ড চাই” তখন কথিত গণতন্ত্রের বুদ্ধিজীবী, দেশীয় তাগুত ও তাদের বিদেশী প্রভুরা বলবে-
“তোমাদের এসব দাবী গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মানবাধিকার বিরোধী, এগুলো মধ্যযুগীয় বর্বর আইন।“
¥ এই পয়েন্টগুলো তো গণতন্ত্র কুফরি তা প্রমাণ করে। কিন্তু কুফরকে সাময়িক জায়েযের ক্ষেত্রে… …??
§ জ্বী বলছি। আমি ঐ সিদ্ধান্ত টেনেছিলাম যেসব পয়েন্টের ভিত্তিতে সেগুলো হলঃ
১. হুদাইবিয়ার সন্ধি
২. মক্কী যুগে রাসূল সঃ এর কাবাচত্বরে নামায আদায়
৩. ইবনে তাইমিয়্যা (রহঃ) অনন্যোপায় হলে দুটি মন্দ থেকে অপেক্ষাকৃত কম মন্দটি গ্রহণ করার নীতি
৪. রাষ্ট্রে থাকতে হলে তো বিভন্ন নিয়মের অনুসরণ করতেই হয়
৫. রাসূল সঃ দুটি কাফির গোত্রের যুদ্ধে একটির জন্য দুআ করেছিলেন প্রমুখ।
১, ২ এবং ৪নং সম্পর্কে আমার বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি KaizenSeries এর ৯ নং পর্বে [ http://wp.me/p57tC3-J ] পাবেন। সব রীতিনীতি বা নিয়মের ক্ষেত্রে ‘আরবাবাম মিন দুনিল্লাহ’ হয় না। আর মনে রাখতে হবে যে আমরা নির্বাচন করতে বাধ্য নই। তাছাড়া নিতান্ত বাধ্য হয়ে মদকে অস্বীকার করে খাওয়া এবং মদকে সাময়িকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া বা জায়েয জেনে খাওয়া এ দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। ইবনে তাইমিয়্যার নীতিকে আমি ভুল বুঝেছিলাম। শিরকই হচ্ছে সবচেয়ে বড় খারাপ। আর বাধ্য হয়ে হারাম গ্রহণ করার ফিকাহর মধ্যে এগুলো পড়ে না। (কুফরকে স্বীকৃতি নয় কিন্তু!!) ৫নং পয়েন্ট এই আলোচনায় আসে না। এই বিষয়গুলো আরো পুঙ্খানুপুণখভাবে বুঝার জন্য আমি আপনাদেরকে ‘ইসলামের দৃষ্টিতে গণতন্তের সংশয়সমূহ’ বইটি পরার অনুরোধ করছি। বইটির ডাউনলোড লিংক-
¥ কিন্তু ইউসুফ আঃ তো কাফির রাজার মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছিলেন, নাজ্জাসী শরীআ বাস্তবায়ন না করা সত্ত্বেও রাসূল সঃ তাঁর জানাযা পড়েছিলেন। ইসলাম আসার পরেও রাসূল (সঃ) জাহিলী যুগে প্রতিষ্ঠিত আল ফুযুলে কাজ করতে আগ্রহ পোষণ করেছেন।
§ আমি জানি এইসব সস্তা যুক্তি দ্বারা অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন। ইনফ্যাক্ট আমিও হয়েছিলাম। আবু মুহাম্মাদ আসিম আল মাকদিসি তাঁর Democracy : A Religion বইতে এই সবকটি যুক্তি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খন্ডন করেছেন। এবং তিনি এত এঙ্গেল (একমত হয়ে, ভিন্নমত হয়ে, সবদিক) থেকে এটাকে ব্যাখ্যা করেছেন যে আমার মনে হয় না, ঐ বই পড়ার আর কেউ এসব যুক্তি উচ্চারণ করবে। সত্যি বলতে ঐ বইটি ঐ সময় আমার হাতে থাকলে আমি ভুলেও ঐ নোটটি লেখার ধৃষ্টতা দেখাতাম না। বইটির বাংলা অনুবাদের ডাউনলোড লিংক- http://www.pdf-archive.com/2014/05/0...jibon-bebosta/
¥ আপনি কি মনে করেন গণতন্ত্র দিয়ে একেবারেই শরীআ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়??
§ শতভাগ তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কখনই সম্ভব নয়! …
¥ যেমন…?
§ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আইন পরিবর্তনের সিস্টেম হল বিল উত্থাপন ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ফলো করা। এখন আপনি যদি এই প্রক্রিয়ায় বিল উত্থাপন ও সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে মদ নিষিদ্ধ করেন, তাও তা হবে একপ্রকার মানবরচিত আইন। কারন এটার breeding process এটাকে তাই বলছে। আমরা বলবো এটা এক প্রকার মানবরচিত আইন কিন্তু ঘটনাক্রমে এটা শরীআ আইনের সাথে মিলে গেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মার্কিন পার্লামেন্টও একসময় মদ নিষিদ্ধ করেছিল।
আর প্রায়োগিক দিক থেকে তো পুরপুরিই অসম্ভব। দয়া করে এই লেখাটা পড়লে ইনশাআল্লাহ আপনিও আমার সাথে একমত হবেন- http://wp.me/p57tC3-11
¥ শেষ প্রশ্ন। যারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলাম কায়েম করতে চাচ্ছে তাদের কি আপনি কাফের মনে করেন??
§ না। আমি তা মনে করি না। ‘কোন একটি কাজকে কুফর বলা এবং ঐ কাজসম্পাদনকারীকে কাফের আখ্যায়িত করা’ এ দুয়ের মধ্য তফাৎ আছে। কারন তাওয়ীল (কুরআন হাদীসের কোন ভুল ব্যাখ্যা উল্লেখিত ব্যক্তিটি যার শিকার) ও জুহুল (অজ্ঞতা) নির্দিষ্ট করে তাকফিরের (মুকাইয়িন তাকফির) প্রতিবন্ধক হওয়ার জন্য যথেষ্ট। ইনশাআল্লাহ সামনের দিনগুলোতে আমি তাকফিরের প্রকার ও শর্তাবলী, রাষ্ট্রপ্রধানকে তাকফির প্রভৃতি নিয়ে কথা বলবো।
[ একসময় আমি গণতন্ত্রের পক্ষে “মোকাবেলাঃ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা কুফরি” শিরোনামে বেশ বড় একটা নোট লিখেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমি সেই অবস্থান থেকে ফিরে আসি। আর এখানে একটি কাল্পনিক কথোপকথনের সেই কারণগুলিই উল্লেখের চেষ্টা করেছি। ¥ দিয়ে একজন কৌতুহলী পাঠক এবং § দিয়ে এখানে নিজেকে বুঝিয়েছি। আল্লাহ আমার ভুল-ত্রুটি মাফ করুন। আমীন ]
ঝগড়া বা বিদ্বেষ নয়। ইসলামী পুনর্জাগরণের পথ ও পন্থা বোঝার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টামাত্র। মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। আমীন।
Comment