আদনারমারুফ ভাইয়ের পোস্টের উপর এক ভাইয়ের প্রশ্ন:
আমরা সাধারণত জানি যে, একজন মানুষ নাবালেগ বা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণের পর প্রথম যে ফরজ তার উপর অবশ্যক হয় তা হলো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। এই বিষয়ে কোন দলিল আছে? ঈমান আনর পর প্রথম ফরজ নামাজ, জিহাদ, নাকি অন্য কোন ফরজ ইবাদত? আপনার লেখা থেকে বুঝলাম, ঈমানের পর প্রথম ফরজ জিহাদ। শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. এর কিতাবেও আছে, ঈমান আনার পর প্রথম ফরজ মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা। প্রিয় ভাই বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করে দিলে ভালো হতো।
উত্তর:
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আরকানে খামসা তথা ঈমান এবং ফরয নামায, ফরয রোযা, ফরয হজ্ব ও ফরয যাকাত- এগুলোর গুরুত্ব শরীয়তে সবচেয়ে বেশি। এগুলো শরীয়তের মূল ভিত্তি এবং ফরযে আইন। এগুলোর সমকক্ষ অন্য কোন ইবাদাত নেই। এমনকি ফরযে কিফায়া জিহাদও না। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় আমর বিল মা’রূপ, নাহি আনিল মুনকার ও জিহাদ সকল নফল ইবাদাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। নফল নামায, নফল রোযা, নফল হজ্ব ও নফল যাকাতসহ অন্য যত নফল ইবাদাত রয়েছে, সেগুলোর চেয়ে জিহাদ উত্তম। এজন্য যদি বলা হয়, ‘ঈমানের পর প্রথম ফরয জিহাদ’ কিংবা ‘ঈমানের পর সর্বোত্তম ইবাদাত জিহাদ’- তাহলে আপাত দৃষ্টিতে কথাটা কুরআন সুন্নাহর বিপরীত হয়। কেননা, ঈমানের পর সর্বোত্তম আমল ফরয নামায। এটি কুরআন সুন্নাহয় সুস্পষ্ট। তবে যদি বলা হয়, ‘সকল নফল ইবাদাতের চেয়েও উত্তম ইবাদাত জিহাদ’ তাহলে কথাটি ঠিক আছে। এ হল স্বাভাবিক অবস্থার কথা।
পক্ষান্তরে যদি শত্রু আক্রমণ করে বসে এবং নামায রোযার মতো জিহাদও ফরযে আইন হয়ে যায়, তাহলে ফরযে আইন হওয়ার দিক থেকে জিহাদ-নামায একই সারিতে চলে এল। তবে এ ক্ষেত্রেও জিহাদ ফরয নামাযের চেয়ে উত্তম বলা মুশকিল। কুরআন সুন্নাহয় নামাযকে সর্বপ্রথম রাখা হয়েছে। ফরয নামাযের চেয়ে জিহাদ উত্তম এমন কোন হাদিস আছে বলে আমার জানা নেই। তবে এটা সত্য যে, তখন যদি নামায এবং জিহাদের মধ্যে তাআরুজ দেখা দেয় যে, একটা করতে গেলে আরেকটা ছুটে যাবে, তাহলে জিহাদ অগ্রাধিকার পাবে। অর্থাৎ নামায পিছিয়ে দিয়ে জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে। তবে এটা জিহাদ নামাযের চেয়ে শ্রেষ্ট- এ কারণে নয়। বরং এর কারণ হচ্ছে, নামায এমন ইবাদাত যা কাযা করা সম্ভব, পরে আদায় করা সম্ভব। কিন্তু জিহাদ এমন যে, এটি পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এটি পিছিয়ে দিতে গেলে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করবে। ইসলাম ও মুসলমানদের শেষ করে দেবে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে জিহাদ অগ্রাধিকার পাবে। জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে আর নামায পিছিয়ে দিতে হবে। যেমন খন্দকের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ওয়াক্ত নামায পিছিয়ে দিয়েছিলেন। পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ না থাকায় জিহাদ অগ্রে রাখা হচ্ছে। এতে জিহাদ নামাযের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত হয় না।
ইমাম ক্বারাফি রহ. (৬৮৪ হি.) এর উদাহরণ দিয়েছেন কুরআন তিলাওয়াত এবং আযানের জওয়াব দিয়ে। কুরআন তিলাওয়াত আযানের জওয়াবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু মুআযযিন আযান শুরু করে দিলে কুরআন তিলাওয়াত বন্ধ করে আযানের জওয়াব দিতে হয়। কারণ, কুরআন তিলাওয়াত পরেও করা যাবে, কিন্তু আযানের জওয়াব আযান শেষ হয়ে গেলে আর দেয়া যাবে না। ইমাম ক্বারাফি রহ. বলেন,
“একাধিক হকের মাঝে যদি তাআরুজ দেখা দেয় (যে, একটা করতে গেলে আরেকটা করা যাবে না) তাহলে যেটা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে সেটাকে পিছিয়ে দিয়ে যেটা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই সেটা করা হবে। ... যেটা এখনই করা জরুরী সেটাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, যেটা পরে করার সুযোগ আছে সেটার উপর। ... এ কারণেই যেটা ছুটে যাবার আশঙ্কা সেটা অগ্রাধিকার পাবে সেটার উপর, যেটা ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা নেই; যদিও তা (যেটা আগে করা হচ্ছে সেটার তুলনায়) উচ্চ মার্যাদার হয়। যেমন, কুরআন তিলাওয়াত রেখে আযানের জওয়াব দেয়া হবে। কেননা, কুরআন তিলাওয়াত ছুটে যাবার ভয় নেই।”- আলফুরুক্ব: ২/২০৩
লক্ষ করুন- “যদিও তা (যেটা আগে করা হচ্ছে সেটার তুলনায়) উচ্চ মার্যাদার হয়।”
জিহাদ ও নামাযের বিষয়টাও এমনই। নামায পরে কাযা করা যাবে হিসেবে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নামাযের চেয়ে জিহাদ উত্তম।
ইবনে তাইমিয়া রহ., জাসসাস রহ. বা আব্দুল্লাহ আযযাম রহ.- তাদের কেউ জিহাদকে ফরয নামাযের চেয়ে উত্তম বলেছেন বলে আমার জানা নেই। তারা এটা বলেছেন যে, ক্ষেত্র বিশেষে ফরযে আইন জিহাদের গুরুত্ব ফরযে আইন নামাযের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ নামায ছুটে গেলেও জিহাদ বন্ধ রাখা যাবে না। জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে আর নামায পরে কাযা করে নিতে হবে। যেখানে তারা জিহাদকে নামাযের চেয়ে উত্তম বলেছেন, সেখানে নফল নামায উদ্দেশ্যে। অনেক জায়গায় স্পষ্ট করেই বলা আছে। আর যেখানে স্পষ্ট বলা নাই, সেখানে উদ্দেশ্য এটাই। আশাকরি বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে শায়খ আব্দুল কাদির বিন আব্দুল আজিজ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর একটি সুন্দর লেখা আছে। আরবি জানা ভাইদের উচিৎ সেটা পড়ে নেয়া। মাত্র পনের পৃষ্ঠার। শিরোনাম-
এ গেল ফজিলতের কথা। আর ঈমানের পর প্রথম ফরয কোনটি- এ ব্যাপারে কথা হল, ঈমানের পর প্রথম ফরয একেক জনের জন্য একেকটি। যার তাওহিদের জ্ঞান নেই, ঈমান আনার পর প্রথম ফরয তাওহিদের জ্ঞানার্জন। যদি নামাযের সময়ে ঈমান এনে থাকে, তাহলে প্রথম ফরয নামায পড়ে নেয়া। যদি শত্রু আক্রমণের সময় ঈমান এনে থাকে, তাহলে প্রথম ফরয শত্রু প্রতিহত করা। এভাবে একেক জনের জন্য একেকটা প্রথম ফরয।
যদি আমার ভুল হয়, তাহলে শুধরে দিলে ইনশাআল্লাহ খুশি হবো।
এ ব্যাপারে নিচের লেখাটাও দেখা যেতে পারে-
জিহাদ ও অন্যান্য ফরযের সমন্বয় সাধনই মধ্যমপন্থা
https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZfmdE7ZlqIurUqtijmNW5mSWAg5WRWuTmrk
আমরা সাধারণত জানি যে, একজন মানুষ নাবালেগ বা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণের পর প্রথম যে ফরজ তার উপর অবশ্যক হয় তা হলো, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। এই বিষয়ে কোন দলিল আছে? ঈমান আনর পর প্রথম ফরজ নামাজ, জিহাদ, নাকি অন্য কোন ফরজ ইবাদত? আপনার লেখা থেকে বুঝলাম, ঈমানের পর প্রথম ফরজ জিহাদ। শাইখ আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. এর কিতাবেও আছে, ঈমান আনার পর প্রথম ফরজ মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা। প্রিয় ভাই বিষয়টা একটু ক্লিয়ার করে দিলে ভালো হতো।
উত্তর:
বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আরকানে খামসা তথা ঈমান এবং ফরয নামায, ফরয রোযা, ফরয হজ্ব ও ফরয যাকাত- এগুলোর গুরুত্ব শরীয়তে সবচেয়ে বেশি। এগুলো শরীয়তের মূল ভিত্তি এবং ফরযে আইন। এগুলোর সমকক্ষ অন্য কোন ইবাদাত নেই। এমনকি ফরযে কিফায়া জিহাদও না। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় আমর বিল মা’রূপ, নাহি আনিল মুনকার ও জিহাদ সকল নফল ইবাদাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। নফল নামায, নফল রোযা, নফল হজ্ব ও নফল যাকাতসহ অন্য যত নফল ইবাদাত রয়েছে, সেগুলোর চেয়ে জিহাদ উত্তম। এজন্য যদি বলা হয়, ‘ঈমানের পর প্রথম ফরয জিহাদ’ কিংবা ‘ঈমানের পর সর্বোত্তম ইবাদাত জিহাদ’- তাহলে আপাত দৃষ্টিতে কথাটা কুরআন সুন্নাহর বিপরীত হয়। কেননা, ঈমানের পর সর্বোত্তম আমল ফরয নামায। এটি কুরআন সুন্নাহয় সুস্পষ্ট। তবে যদি বলা হয়, ‘সকল নফল ইবাদাতের চেয়েও উত্তম ইবাদাত জিহাদ’ তাহলে কথাটি ঠিক আছে। এ হল স্বাভাবিক অবস্থার কথা।
পক্ষান্তরে যদি শত্রু আক্রমণ করে বসে এবং নামায রোযার মতো জিহাদও ফরযে আইন হয়ে যায়, তাহলে ফরযে আইন হওয়ার দিক থেকে জিহাদ-নামায একই সারিতে চলে এল। তবে এ ক্ষেত্রেও জিহাদ ফরয নামাযের চেয়ে উত্তম বলা মুশকিল। কুরআন সুন্নাহয় নামাযকে সর্বপ্রথম রাখা হয়েছে। ফরয নামাযের চেয়ে জিহাদ উত্তম এমন কোন হাদিস আছে বলে আমার জানা নেই। তবে এটা সত্য যে, তখন যদি নামায এবং জিহাদের মধ্যে তাআরুজ দেখা দেয় যে, একটা করতে গেলে আরেকটা ছুটে যাবে, তাহলে জিহাদ অগ্রাধিকার পাবে। অর্থাৎ নামায পিছিয়ে দিয়ে জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে। তবে এটা জিহাদ নামাযের চেয়ে শ্রেষ্ট- এ কারণে নয়। বরং এর কারণ হচ্ছে, নামায এমন ইবাদাত যা কাযা করা সম্ভব, পরে আদায় করা সম্ভব। কিন্তু জিহাদ এমন যে, এটি পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এটি পিছিয়ে দিতে গেলে শত্রু দখলদারিত্ব কায়েম করবে। ইসলাম ও মুসলমানদের শেষ করে দেবে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে জিহাদ অগ্রাধিকার পাবে। জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে আর নামায পিছিয়ে দিতে হবে। যেমন খন্দকের যুদ্ধে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন ওয়াক্ত নামায পিছিয়ে দিয়েছিলেন। পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ না থাকায় জিহাদ অগ্রে রাখা হচ্ছে। এতে জিহাদ নামাযের চেয়ে শ্রেষ্ঠ সাব্যস্ত হয় না।
ইমাম ক্বারাফি রহ. (৬৮৪ হি.) এর উদাহরণ দিয়েছেন কুরআন তিলাওয়াত এবং আযানের জওয়াব দিয়ে। কুরআন তিলাওয়াত আযানের জওয়াবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু মুআযযিন আযান শুরু করে দিলে কুরআন তিলাওয়াত বন্ধ করে আযানের জওয়াব দিতে হয়। কারণ, কুরআন তিলাওয়াত পরেও করা যাবে, কিন্তু আযানের জওয়াব আযান শেষ হয়ে গেলে আর দেয়া যাবে না। ইমাম ক্বারাফি রহ. বলেন,
إذا تعارضت الحقوق قدم منها المضيق على الموسع ... ويقدم الفوري على المتراخي... ولذلك يقدم ما يخشى فواته على ما لا يخشى فواته، وإن كان أعلى رتبة منه كما تقدم حكاية قول المؤذن على قراءة القرآن؛ لأن قراءة القرآن لا تفوت. اهـ
“একাধিক হকের মাঝে যদি তাআরুজ দেখা দেয় (যে, একটা করতে গেলে আরেকটা করা যাবে না) তাহলে যেটা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ আছে সেটাকে পিছিয়ে দিয়ে যেটা পিছিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই সেটা করা হবে। ... যেটা এখনই করা জরুরী সেটাকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে, যেটা পরে করার সুযোগ আছে সেটার উপর। ... এ কারণেই যেটা ছুটে যাবার আশঙ্কা সেটা অগ্রাধিকার পাবে সেটার উপর, যেটা ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা নেই; যদিও তা (যেটা আগে করা হচ্ছে সেটার তুলনায়) উচ্চ মার্যাদার হয়। যেমন, কুরআন তিলাওয়াত রেখে আযানের জওয়াব দেয়া হবে। কেননা, কুরআন তিলাওয়াত ছুটে যাবার ভয় নেই।”- আলফুরুক্ব: ২/২০৩
লক্ষ করুন- “যদিও তা (যেটা আগে করা হচ্ছে সেটার তুলনায়) উচ্চ মার্যাদার হয়।”
জিহাদ ও নামাযের বিষয়টাও এমনই। নামায পরে কাযা করা যাবে হিসেবে পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নামাযের চেয়ে জিহাদ উত্তম।
ইবনে তাইমিয়া রহ., জাসসাস রহ. বা আব্দুল্লাহ আযযাম রহ.- তাদের কেউ জিহাদকে ফরয নামাযের চেয়ে উত্তম বলেছেন বলে আমার জানা নেই। তারা এটা বলেছেন যে, ক্ষেত্র বিশেষে ফরযে আইন জিহাদের গুরুত্ব ফরযে আইন নামাযের চেয়ে বেশি। অর্থাৎ নামায ছুটে গেলেও জিহাদ বন্ধ রাখা যাবে না। জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে আর নামায পরে কাযা করে নিতে হবে। যেখানে তারা জিহাদকে নামাযের চেয়ে উত্তম বলেছেন, সেখানে নফল নামায উদ্দেশ্যে। অনেক জায়গায় স্পষ্ট করেই বলা আছে। আর যেখানে স্পষ্ট বলা নাই, সেখানে উদ্দেশ্য এটাই। আশাকরি বিষয়টা স্পষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে শায়খ আব্দুল কাদির বিন আব্দুল আজিজ (ফাক্কাল্লাহু আসরাহ) এর একটি সুন্দর লেখা আছে। আরবি জানা ভাইদের উচিৎ সেটা পড়ে নেয়া। মাত্র পনের পৃষ্ঠার। শিরোনাম-
رد على سفر الحوالي وتعليقه على كتاب الشيخ المجاهد عبد الله عزام "الدفاع عن أراضى المسلمين أهم فروض الأعيان"
এ গেল ফজিলতের কথা। আর ঈমানের পর প্রথম ফরয কোনটি- এ ব্যাপারে কথা হল, ঈমানের পর প্রথম ফরয একেক জনের জন্য একেকটি। যার তাওহিদের জ্ঞান নেই, ঈমান আনার পর প্রথম ফরয তাওহিদের জ্ঞানার্জন। যদি নামাযের সময়ে ঈমান এনে থাকে, তাহলে প্রথম ফরয নামায পড়ে নেয়া। যদি শত্রু আক্রমণের সময় ঈমান এনে থাকে, তাহলে প্রথম ফরয শত্রু প্রতিহত করা। এভাবে একেক জনের জন্য একেকটা প্রথম ফরয।
যদি আমার ভুল হয়, তাহলে শুধরে দিলে ইনশাআল্লাহ খুশি হবো।
***
এ ব্যাপারে নিচের লেখাটাও দেখা যেতে পারে-
জিহাদ ও অন্যান্য ফরযের সমন্বয় সাধনই মধ্যমপন্থা
https://my.pcloud.com/publink/show?code=XZfmdE7ZlqIurUqtijmNW5mSWAg5WRWuTmrk
Comment