ঈদের তাকবীর সংখ্যা নিয়ে সালাফদের বক্তব্যঃ-
মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি করা ভাল কাজ নয়। বিরোধপূর্ণ মাসআলায় সালাফ ও পূর্বসূরিগণের পথ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। আমাদের পূর্বসূরিগণ দ্বিমত করেছেন কিন্তু কাদা ছোড়াছুড়ি করেননি।
ইমাম আহমাদ র. বার তাকবীরকে পছন্দ করতেন। কিন্তু সাথে তিনি একথাও বলেছেন,
وقد اختلف أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم في التكبير وكله جائز
অর্থাৎ ঈদের তাকবীর নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের মধ্যে দ্বিমত ছিল। সব পন্থাই জায়েয।
ইমাম ইবনে রজব হাম্বলীর. তাঁর ফাতহুল বারী গ্রন্থে ইমাম আহমাদের এই বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে লেখেন,
وهذا نص منه على أنه يجوز التكبير على كل صفة رويت عن الصحابة من غير كراهة ، وإن كانَ الافضل عنده سبعاً في الأولى وخمساً في الثانية .ورجح هذا ابن عبد البر ، وجعله من الاختلاف المباح ، كأنواع الأذان والتشهدات ونحوها . )فتح الباري ٥/٢١٤)
অর্থাৎ এটা তাঁর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা যে, ঈদের তাকবীর সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম থেকে যেসব বিবরণ বর্ণিত হয়েছে, এর সবই জায়েয, কোনটিই মাকরূহ নয়। যদিও তার মতে উত্তম হলো, প্রথম রাকাতে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকাতে পাঁচ তাকবীর। ইবনে আব্দুল বার র.ও সকল পদ্ধতি জায়েয হওয়ার এ মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে বিদ্যমান দ্বিমতকে বৈধ মতানৈক্য আখ্যা দিয়েছেন। যেমন, আযান ও তাশাহহুদ ইত্যাদির একাধিক পদ্ধতি সম্পর্কে দ্বিমত । (দ্র, ফাতহুল বারী, ৫খ, ২১৪পৃ; আলইসতিযকার,২খ, ৩৯৭ পৃ)
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়া র. লিখেছেন, এ ব্যাপারে আমাদের নীতি – আর এটাই বিশুদ্ধ নীতি Ñ এই যে, ইবাদতের পদ্ধতি বিষয়ে যে পদ্ধতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য হাদীস রয়েছে তা মাকরূহ হবে না। বরং তা হবে শরীয়তসম্মত। সালাতুল খাওফের বিভিন্ন পদ্ধতি, আযানের দুই নিয়ম, তারজী’ যুক্ত ও তারজী’ বিহীন, ইকামতের দুই নিয়ম, বাক্যগুলো দুবার করে বলা বা একবার করে, তাশাহহুদ, ছানা, আউযু এর বিভিন্ন পাঠ, কুরআনের বিভিন্ন কেরাত, এসবই উক্ত নীতির অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে ঈদের নামাযের অতিরিক্ত তাকবীর সংখ্যা, জানাযা নামাযের বিভিন্ন নিয়ম, সাহু সিজদার একাধিক নিয়ম, কুনুত পাঠ- রুকুর আগে বা পরে, রাব্বানা লাকাল হামদ ‘ওয়া’সহ বা ‘ওয়া’ ছাড়া এসবই শরীয়তসম্মত। কোন পদ্ধতি কখনো উত্তম হতে পারে। কিন্তু অন্যটি মাকরূহ কখনো নয়। (দ্র, মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৪খ, ২৪২-২৪৩পৃ)
ইবনে রুশদ মালেকী র. তার বিদায়াতুল মুজতাহিদ গ্রন্থে বলেছেন, ঈদের তাকবীর সংখ্যার ব্যাপারে কোন সহীহ মারফূ হাদীস প্রমাণিত নেই। এরপর তিনি ইমাম আহমাদের এই বক্তব্য উল্লেখ করেছেন, দুই ঈদের তাকবীর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন সহীহ হাদীস নেই।
এরপর ইবনে রুশদ বলেন, একারণে ফকীহগণ বিভিন্ন সাহাবীর আমলকে দলিল বানিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে দ্বিমত হচ্ছে কোন পদ্ধতি উত্তম তা নিয়ে। অন্যথায় যে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা হোক, সকলের নিকট তা জায়েয।
মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি সৃষ্টি করা ভাল কাজ নয়। বিরোধপূর্ণ মাসআলায় সালাফ ও পূর্বসূরিগণের পথ অনুসরণ করাই আমাদের জন্য মঙ্গলজনক। আমাদের পূর্বসূরিগণ দ্বিমত করেছেন কিন্তু কাদা ছোড়াছুড়ি করেননি।
ইমাম আহমাদ র. বার তাকবীরকে পছন্দ করতেন। কিন্তু সাথে তিনি একথাও বলেছেন,
وقد اختلف أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم في التكبير وكله جائز
অর্থাৎ ঈদের তাকবীর নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণের মধ্যে দ্বিমত ছিল। সব পন্থাই জায়েয।
ইমাম ইবনে রজব হাম্বলীর. তাঁর ফাতহুল বারী গ্রন্থে ইমাম আহমাদের এই বক্তব্য সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে লেখেন,
وهذا نص منه على أنه يجوز التكبير على كل صفة رويت عن الصحابة من غير كراهة ، وإن كانَ الافضل عنده سبعاً في الأولى وخمساً في الثانية .ورجح هذا ابن عبد البر ، وجعله من الاختلاف المباح ، كأنواع الأذان والتشهدات ونحوها . )فتح الباري ٥/٢١٤)
অর্থাৎ এটা তাঁর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট ঘোষণা যে, ঈদের তাকবীর সম্পর্কে সাহাবায়ে কেরাম থেকে যেসব বিবরণ বর্ণিত হয়েছে, এর সবই জায়েয, কোনটিই মাকরূহ নয়। যদিও তার মতে উত্তম হলো, প্রথম রাকাতে সাত তাকবীর ও দ্বিতীয় রাকাতে পাঁচ তাকবীর। ইবনে আব্দুল বার র.ও সকল পদ্ধতি জায়েয হওয়ার এ মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে বিদ্যমান দ্বিমতকে বৈধ মতানৈক্য আখ্যা দিয়েছেন। যেমন, আযান ও তাশাহহুদ ইত্যাদির একাধিক পদ্ধতি সম্পর্কে দ্বিমত । (দ্র, ফাতহুল বারী, ৫খ, ২১৪পৃ; আলইসতিযকার,২খ, ৩৯৭ পৃ)
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তায়মিয়া র. লিখেছেন, এ ব্যাপারে আমাদের নীতি – আর এটাই বিশুদ্ধ নীতি Ñ এই যে, ইবাদতের পদ্ধতি বিষয়ে যে পদ্ধতি সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য হাদীস রয়েছে তা মাকরূহ হবে না। বরং তা হবে শরীয়তসম্মত। সালাতুল খাওফের বিভিন্ন পদ্ধতি, আযানের দুই নিয়ম, তারজী’ যুক্ত ও তারজী’ বিহীন, ইকামতের দুই নিয়ম, বাক্যগুলো দুবার করে বলা বা একবার করে, তাশাহহুদ, ছানা, আউযু এর বিভিন্ন পাঠ, কুরআনের বিভিন্ন কেরাত, এসবই উক্ত নীতির অন্তর্ভুক্ত। একইভাবে ঈদের নামাযের অতিরিক্ত তাকবীর সংখ্যা, জানাযা নামাযের বিভিন্ন নিয়ম, সাহু সিজদার একাধিক নিয়ম, কুনুত পাঠ- রুকুর আগে বা পরে, রাব্বানা লাকাল হামদ ‘ওয়া’সহ বা ‘ওয়া’ ছাড়া এসবই শরীয়তসম্মত। কোন পদ্ধতি কখনো উত্তম হতে পারে। কিন্তু অন্যটি মাকরূহ কখনো নয়। (দ্র, মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৪খ, ২৪২-২৪৩পৃ)
ইবনে রুশদ মালেকী র. তার বিদায়াতুল মুজতাহিদ গ্রন্থে বলেছেন, ঈদের তাকবীর সংখ্যার ব্যাপারে কোন সহীহ মারফূ হাদীস প্রমাণিত নেই। এরপর তিনি ইমাম আহমাদের এই বক্তব্য উল্লেখ করেছেন, দুই ঈদের তাকবীর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন সহীহ হাদীস নেই।
এরপর ইবনে রুশদ বলেন, একারণে ফকীহগণ বিভিন্ন সাহাবীর আমলকে দলিল বানিয়েছেন। আর এক্ষেত্রে দ্বিমত হচ্ছে কোন পদ্ধতি উত্তম তা নিয়ে। অন্যথায় যে কোন পদ্ধতি অবলম্বন করা হোক, সকলের নিকট তা জায়েয।
Comment