চার. পশুর সাথে সঙ্গমকারী
এক হাদিসে পশুর সাথে সঙ্গমকারীকে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে:
এ হাদিসের বর্ণনাকারী হলেন, হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা। কিন্তু তার থেকে এর বিপরীত বর্ণনা আছে। তিনি বলেন,
ليس على الذى يأتى البهيمة حد
“পশুর সাথে সঙ্গমকারী ব্যক্তির উপর হদ বর্তাবে না।”- আবু দাউদ: ৪৪৬৭ , তিরিমিযি: ১৪৫৫
এ থেকে বুঝা যায়, হাদিসে যে হত্যার কথা বলা হয়েছে, তা হদ হিসেবে নয় যে, অবশ্যই হত্যা করতে হবে। বরং তা’যির উদ্দেশ্য। যদি কোন ব্যক্তি এ কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং ইমামুল মুসলিমীন তাকে হত্যা করা মুনাসিব মনে করেন, তাহলে তা’যিররূপে হত্যা করতে পারেন। আর যদি হত্যা করার দরকার মনে না করেন, তাহলে অন্য শাস্তি দেবেন।
আল্লামা আইনী রহ. (৮৫৫ হি.) বলেন,
এক হাদিসে পশুর সাথে সঙ্গমকারীকে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে:
(من وجدتموه وقع على بهيمة فاقتلوه)
“কাউকে কোন পশুর সাথে সঙ্গম করতে দেখলে হত্যা করে দেবে।” - আবু দাউদ: ৪৪৬৬ , তিরিমিযি: ১৪৫৫
“কাউকে কোন পশুর সাথে সঙ্গম করতে দেখলে হত্যা করে দেবে।” - আবু দাউদ: ৪৪৬৬ , তিরিমিযি: ১৪৫৫
এ হাদিসের বর্ণনাকারী হলেন, হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা। কিন্তু তার থেকে এর বিপরীত বর্ণনা আছে। তিনি বলেন,
ليس على الذى يأتى البهيمة حد
“পশুর সাথে সঙ্গমকারী ব্যক্তির উপর হদ বর্তাবে না।”- আবু দাউদ: ৪৪৬৭ , তিরিমিযি: ১৪৫৫
এ থেকে বুঝা যায়, হাদিসে যে হত্যার কথা বলা হয়েছে, তা হদ হিসেবে নয় যে, অবশ্যই হত্যা করতে হবে। বরং তা’যির উদ্দেশ্য। যদি কোন ব্যক্তি এ কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে এবং ইমামুল মুসলিমীন তাকে হত্যা করা মুনাসিব মনে করেন, তাহলে তা’যিররূপে হত্যা করতে পারেন। আর যদি হত্যা করার দরকার মনে না করেন, তাহলে অন্য শাস্তি দেবেন।
আল্লামা আইনী রহ. (৮৫৫ হি.) বলেন,
وقيل: إنما قال ذلك في فاعل اعتاد وبذلك قتل سياسة عندنا. اهـ البناية 6\312
“বলা হয়, হত্যার নির্দেশ এমন ব্যক্তির ব্যাপারে দিয়েছেন, যে এ কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে আমাদের মাযহাব অনুযায়ী তাকে সিয়াসতরূপে হত্যা করা হবে।”- আলবিনায়া ৬/৩১২
Comment