Announcement

Collapse
No announcement yet.

লাইলাতুল ক্বদর মহান আল্লাহর এক বিশেষ দান

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • লাইলাতুল ক্বদর মহান আল্লাহর এক বিশেষ দান

    إن الحمد لله والصلاة والسلام علي رسول الله أما بعد
    প্রিয় দ্বিনী ভায়েরা আজ আপনাদের সাথে শবে ক্বদর নিয়ে কিছু আলোচনা করবো,।
    শবে ক্বদর যাকে ليلة القدرবলা হয়েছে তা মুমিনের জন্য মহা সুযোগ, মাত্র এক রাত্রি ইবাদাত করে পেয়ে যাবেন ১০০০মাস তথা প্রায় সারে ৮৩বছর ইবাদাতের চেয়েও বেশি নেকি,সুবহানাল্লা।
    এই রাত্রি সম্পর্কে আল্লাহ তা'লা পবিত্র কোরআনে একটি সতন্ত্র সূরা নাযিল করেন সূরাটি হলো

    إِنَّآ أَنزَلْنٰهُ فِى لَيْلَةِ الْقَدْرِ

    নিশ্চয়ই আমি এটি(কুরআনর) নাযিল করেছি ‘লাইলাতুল ক্বাদরে।’

    وَمَآ أَدْرٰىكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ

    তোমাকে কিসে জানাবে ‘লাইলাতুল ক্বাদর’ কী?
    শবে-কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন?
    لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ

    ‘লাইলাতুল কদর’ হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম।

    শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
    تَنَزَّلُ الْمَلٰٓئِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ

    সে রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে।

    এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।

    سَلٰمٌ هِىَ حَتّٰى مَطْلَعِ الْفَجْرِ

    শান্তিময় সেই রাত, ফজরের সূচনা পর্যন্ত।

    এটা নিরাপত্তা, যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
    হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে
    حدثنا مسلم بن إبراهيم حدثنا هشام حدثنا يحيى عن أبي سلمة عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال من قام ليلة القدر إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه ومن صام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه

    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বদ্*রে ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় রাত জেগে ‘ইবাদাত করে, তার পিছনের সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযানে সিয়াম পালন করবে, তারও অতীতের সমস্ত গোনাহ মাফ করা হবে।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯০১
    অন্যএক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে


    أخبرنا بشر بن هلال، قال: حدثنا عبد الوارث، عن أيوب، عن أبي قلابة، عن أبي هريرة قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أتاكم رمضان شهر مبارك فرض الله عز وجل عليكم صيامه، تفتح فيه أبواب السماء، وتغلق فيه أبواب الجحيم، وتغل فيه مردة الشياطين، لله فيه ليلة خير من ألف شهر، من حرم خيرها فقد حرم»

    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

    তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ্* (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, তোমাদের নিকট রমযান উপস্থিত হয়েছে, যা একটি বরকতময় মাস। তোমাদের উপরে আল্লাহ তা’আলা অত্র মাসের সওম ফরয করেছেন। এ মাসের আগমনে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়, আর আল্লাহর অবাধ্য শয়তানদের গলায় লোহার বেড়ী পরানো হয়। এ মাসে একটি রাত রয়েছে যা এক হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি সে রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল সে প্রকৃত বঞ্চিত রয়ে গেল।


    সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২১০৬

    তাই উক্ত রাত্রে ইবাদাত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু মহা বরকতময় এই রাত্রটি নির্ধারিত নয়, যেমনটা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে
    أخبرنا قتيبة بن سعيد، حدثنا إسماعيل بن جعفر، عن حميد، عن أنس، قال أخبرني عبادة بن الصامت، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم خرج يخبر بليلة القدر، فتلاحى رجلان من المسلمين فقال ‏ "‏ إني خرجت لأخبركم بليلة القدر، وإنه تلاحى فلان وفلان فرفعت وعسى أن يكون خيرا لكم التمسوها في السبع والتسع والخمس

    ‘উবাদাহ ইব্*নু সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

    আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) লায়লাতুল কদ্*র সম্পর্কে জানানোর জন্য বের হলেন। তখন দু’জন মুসলমান বিবাদ করছিল। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের লাইলাতুল কদ্*র সম্পর্কে জানানোর জন্য বেরিয়েছিলাম; কিন্তু তখন অমুক অমুক বিবাদে লিপ্ত থাকায় তা (লাইলাতুল কদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কিত জ্ঞান) উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। আর হয়তো বা এটাই তোমাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে। তোমরা তা অনুসন্ধান কর (রমযানের) ২৭, ২৯ ও ২৫ তম রাতে।
    অন্য এক হাদিসে حدثنا موسى، قال حدثنا همام، عن يحيى، عن أبي سلمة، قال انطلقت إلى أبي سعيد الخدري فقلت ألا تخرج بنا إلى النخل نتحدث فخرج‏.‏ فقال قلت حدثني ما، سمعت من النبي، صلى الله عليه وسلم في ليلة القدر‏.‏ قال اعتكف رسول الله صلى الله عليه وسلم عشر الأول من رمضان، واعتكفنا معه، فأتاه جبريل فقال إن الذي تطلب أمامك‏.‏ فاعتكف العشر الأوسط، فاعتكفنا معه، فأتاه جبريل فقال إن الذي تطلب أمامك‏.‏ فقام النبي صلى الله عليه وسلم خطيبا صبيحة عشرين من رمضان فقال ‏ "‏ من كان اعتكف مع النبي صلى الله عليه وسلم فليرجع، فإني أريت ليلة القدر، وإني نسيتها، وإنها في العشر الأواخر في وتر، وإني رأيت كأني أسجد في طين وماء ‏"*‏.‏ وكان سقف المسجد جريد النخل وما نرى في السماء شيئا، فجاءت قزعة فأمطرنا، فصلى بنا النبي صلى الله عليه وسلم حتى رأيت أثر الطين والماء على جبهة رسول الله صلى الله عليه وسلم وأرنبته تصديق رؤياه‏.‏

    আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

    তিনি বলেন, আমি আবূ সা’ঈদ খুদ্*রী (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, আমার সঙ্গে খেজুর বাগানে চলুন, (হাদীস সংক্রান্ত) আলাপ আলোচনা করব। তিনি বেরিয়ে আসলেন। আবূ সালামা (রাঃ) বলেন, আমি তাকে বললাম, ‘লাইলাতুল কাদ্*র’ সম্পর্কে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে যা শুনেছেন, তা আমার নিকট বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আল্লাহ্*র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) রমযানের প্রথম দশ দিন ‘ইতিকাফ করলেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে ই’তিকাফ করলাম। জিবরীল (আঃ) এসে বললেন, আপনি যা তালাশ করছেন, তা আপনার সামনে রয়েছে। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী দশদিন ই’তিকাফ করলেন, আমরাও তাঁর সঙ্গে ই’তিকাফ করলাম। পুনরায় জিবরীল (আঃ) এসে বললেন, আপনি যা তালাশ করছেন, তা আপনার সামনে রয়েছে। অতঃপর রমযানের বিশ তারিখ সকালে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুত্*বা দিতে দাঁড়িয়ে বললেন, যারা আল্লাহ্*র নবীর সঙ্গে ই’তিকাফ করেছেন, তারা যেন ফিরে আসেন (আবার ই’তিকাফ করেন) কেননা, আমাকে স্বপ্নে ‘লাইলাতুল কাদ্*র’ অবগত করানো হয়েছে। তবে আমাকে তা (নির্ধারিত তারিখটি) ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে তা শেষ দশ দিনের কোন এক বেজোড় তারিখে। স্বপ্নে দেখলাম যেন আমি কাদা ও পানির উপর সিজদা করছি। তখন মসজিদের ছাদ খেজুরের ডাল দ্বারা নির্মিত ছিল। আমরা আকাশে কোন কিছুই (মেঘ) দেখিনি, একখণ্ড হালকা মেঘ আসল এবং আমাদের উপর (বৃষ্টি) বর্ষিত হল। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। এমন কি আমি আল্লাহ্*র রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কপাল ও নাকের অগ্রভাগে পানি ও কাদার চিহ্ন দেখতে পেলাম। এভাবেই তাঁর স্বপ্ন সত্যে রূপ লাভ করল।


    সহিহ বুখারী,

    অন্য এক হাদিসে এসেছে
    حدثنا قتيبة بن سعيد، حدثنا إسماعيل بن جعفر، حدثنا أبو سهيل، عن أبيه، عن عائشة ـ رضى الله عنها ـ أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ تحروا ليلة القدر في الوتر من العشر الأواخر من رمضان ‏"*‏.‏

    ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

    আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল ক্বদ্*রের অনুসন্ধান কর।

    অতএব বুঝাযায় রমজানের শেষ দশকের মাঝে লাইলাতুল ক্বদর রয়েছে
    আল্লাহর প্রিয় বান্দা যারা হতে চায় তাদের জন্য দশটি রাত্রি কিছুই নয়,
    কিন্তু আজ আমাদের সমাজে রমজানের ২৭তারিখকেই লাইলাতুল ক্বদর মনে করা হয়, আমাদের উচিৎ সেই ধারনাকে খন্ডন করা

    মহান আল্লাহ তা'লা আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদর রাত্রে ইবাদাতের তাওফিক দান করুন,সবচে ভা হয় যদি ইতেকাফ করা যায়, না হয় কমপক্ষে ফরজ নামাজ ও তারাবি এবং ৮রাকাত তাহাজ্জুদ পড়া।

    সালাতুত্ তাসবিহ পরা এবং অন্যান্য আরো ইবাদাত করা,আল্লাহ তা'লা আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদর পাওয়ার তাওফিক দান করুন আমিন।

  • #2
    আল্লাহ তা'লা আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদর পাওয়ার তাওফিক দান করুন আমিন
    فمن یکفر بالطاغوت ویٶمن بالله فقد استمسک بالعروت الوثقی'
    کم من فاة قلیلة غلبت فاة کثیرة باذن الله

    Comment

    Working...
    X