প্রশ্ন-: গনিমত ও খুমুস কাকে বলে? খুমুসের বণ্টন সংক্রান্ত আয়াতটি কি? আয়াতে আল্লাহ তাআলার যে অংশের কথা বলা হয়েছে তার দ্বারা কি উদ্দেশ্য?
কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুসলিম বাহিনি কাফেরদের যে সম্পদ জব্দ করে তাকে গনিমত বলে। যুদ্ধলব্ধ উক্ত সম্পদ পাঁচ ভাগ করে চার ভাগ মুজাহিদদের মাঝে বণ্টন করা হয় আর এক ভাগ বাইতুল মালে জমা দিতে হয়। উক্ত এক ভাগকে খুমুস বলে। খুমুস অর্থ: এক পঞ্চমাংশ। বাইতুল মালের অংশ যেহেতু মোট গনিমতের পাঁচ ভাগের এক ভাই, তাই তাকে খুমুস বলা হয়।
পবিত্র কুরআনে কারীমে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
উপরোক্ত আয়াতে গনিমতের খুমুস তথা এক পঞ্চমাংশ ব্যয়ের খাত উল্লেখ করা হয়েছে। খুমুসের হকদার কারা তার বিবরণ দেয়া হয়েছে। সবার আগে আল্লাহ তাআলার নাম এসেছে। তবে তা এজন্য নয় যে, আল্লাহ তাআলাকে অংশ দিতে হবে। তিনি সম্পদের মুখাপেক্ষী নন। আসমান-যমিন সব কিছুই তো তার। আয়াতের শুরুতে আল্লাহ তাআলার পবিত্র নামটি আনা হয়েছে দু’টি উদ্দেশ্যে:
ক. বরকত লাভের জন্য।
খ. গনিমতের সম্পদের কদর ও মর্যাদা বুঝানোর জন্য।
দুনিয়ার কোন বস্তু, জীব বা জায়গার সম্বন্ধ আল্লাহর দিকে করা হয় ঐসবের সম্মান ও ইজ্জত বুঝানোর জন্য। যেমন: আল্লাহ তায়ালা কাবা শরিফকে ‘বাইতুল্লাহ’ বা আল্লাহর ঘর এবং সালেহ আলাইহিস সালামের মুজেযারূপে প্রেরিত উষ্ট্রীকে ‘নাকাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর উষ্ট্রী বলেছেন। এর দ্বারা কা’বা গৃহ ও উক্ত উষ্ট্রীর সম্মান, কদর ও ইজ্জত বুঝানো উদ্দেশ্য। আর গনিমতের সম্পদ হচ্ছে সর্বোত্তম সম্পদ ও সবচেয়ে হালাল রিযিক। কারণ, এ সম্পদ দুনিয়ার স্বাভাবিক কামাইয়ের পদ্ধতিতে অর্জন হয়নি, আল্লাহর দ্বীন বুলন্দ করার রাহে অর্জন হয়েছে। এজন্য এ সম্পদের সম্বন্ধ আল্লাহর দিকে করা হয়েছে; অংশ দিতে হবে- এ হিসেবে নয়।
উত্তর:
কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে মুসলিম বাহিনি কাফেরদের যে সম্পদ জব্দ করে তাকে গনিমত বলে। যুদ্ধলব্ধ উক্ত সম্পদ পাঁচ ভাগ করে চার ভাগ মুজাহিদদের মাঝে বণ্টন করা হয় আর এক ভাগ বাইতুল মালে জমা দিতে হয়। উক্ত এক ভাগকে খুমুস বলে। খুমুস অর্থ: এক পঞ্চমাংশ। বাইতুল মালের অংশ যেহেতু মোট গনিমতের পাঁচ ভাগের এক ভাই, তাই তাকে খুমুস বলা হয়।
পবিত্র কুরআনে কারীমে মহান আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَاعْلَمُوا أَنَّمَا غَنِمْتُمْ مِنْ شَيْءٍ فَأَنَّ لِلَّهِ خُمُسَهُ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ
“(হে মুসলিমগণ!) জেনে রাখ, তোমরা যা কিছু গনিমত হিসেবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহর, রাসূলের, (রাসূলের) নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনের এবং এতীম, মিসকিন ও মুসাফিরদের।” –সূরা আনফাল: ৪১উপরোক্ত আয়াতে গনিমতের খুমুস তথা এক পঞ্চমাংশ ব্যয়ের খাত উল্লেখ করা হয়েছে। খুমুসের হকদার কারা তার বিবরণ দেয়া হয়েছে। সবার আগে আল্লাহ তাআলার নাম এসেছে। তবে তা এজন্য নয় যে, আল্লাহ তাআলাকে অংশ দিতে হবে। তিনি সম্পদের মুখাপেক্ষী নন। আসমান-যমিন সব কিছুই তো তার। আয়াতের শুরুতে আল্লাহ তাআলার পবিত্র নামটি আনা হয়েছে দু’টি উদ্দেশ্যে:
ক. বরকত লাভের জন্য।
খ. গনিমতের সম্পদের কদর ও মর্যাদা বুঝানোর জন্য।
দুনিয়ার কোন বস্তু, জীব বা জায়গার সম্বন্ধ আল্লাহর দিকে করা হয় ঐসবের সম্মান ও ইজ্জত বুঝানোর জন্য। যেমন: আল্লাহ তায়ালা কাবা শরিফকে ‘বাইতুল্লাহ’ বা আল্লাহর ঘর এবং সালেহ আলাইহিস সালামের মুজেযারূপে প্রেরিত উষ্ট্রীকে ‘নাকাতুল্লাহ’ বা আল্লাহর উষ্ট্রী বলেছেন। এর দ্বারা কা’বা গৃহ ও উক্ত উষ্ট্রীর সম্মান, কদর ও ইজ্জত বুঝানো উদ্দেশ্য। আর গনিমতের সম্পদ হচ্ছে সর্বোত্তম সম্পদ ও সবচেয়ে হালাল রিযিক। কারণ, এ সম্পদ দুনিয়ার স্বাভাবিক কামাইয়ের পদ্ধতিতে অর্জন হয়নি, আল্লাহর দ্বীন বুলন্দ করার রাহে অর্জন হয়েছে। এজন্য এ সম্পদের সম্বন্ধ আল্লাহর দিকে করা হয়েছে; অংশ দিতে হবে- এ হিসেবে নয়।
Comment