প্রশ্ন : সফি (الصفي) কাকে বলে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফি হিসেবে কি কি গ্রহণ করেছিলেন? ছফির হুকুম কি এখনও বহাল আছে?
গনিমতের মালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোট তিনটি অংশ ছিল: এক. সফি; দুই. খুমুস; তিন. একজন মুজাহিদ হিসেবে অন্যান্য সাধারণ মুজাহিদের ন্যায় এক অংশ । (শরহুস সিয়ারিল কাবির ১/৬০৮)
আমাদের আলোচনা সফি নিয়ে।
সফির নীতি জাহিলি যামানায়ও প্রচলিত ছিল। জাহিলি যুগে সর্দাররা গনিমতের মাল থেকে পছন্দসই কোন জিনিস নিজের জন্য নিয়ে নিতো। একে সফি বলা হতো। ইসলাম আসার পর আল্লাহ তাআলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গনিমতের মাল বণ্টনের আগে পছন্দসই কোন তরবারি, বর্ম, বাঁদি বা অন্য কোন কিছু নিয়ে নেয়ার অধিকার দেন। (শরহুস সিয়ারিল কাবির ১/৬০৮) একেই সফি বলে। নাসাফি রহ. (৫৩৭ হি.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গনিমতে যতটুকু অংশ পেতেন, সফি হিসেবে এর বেশি নিতেন না। (তালিবাতুত তলাবা- নাসাফি, ৮৩)
সফি হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রহণ করেছিলেন-
ক. বদরে ‘যুল ফাকার’ নামক তরবারি।
খ. খায়বারে উম্মুল মুমিনীন হযরত সাফিয়্যা রাদিআল্লাহু আনহা। সফি হিসেবে নিয়েছিলেন বলেই তার নাম হয়েছে ‘সাফিয়্যা’। তিনি ইয়াহুদি সর্দার হুয়াই ইবনু আখতাবের কন্যা এবং হযরত হারুন আলাইহিস সালামের বংশধর ছিলেন। নবী বংশের কন্যা ছিলেন বিধায় নবীর জন্যই মানানসই ছিলেন।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
“মুহাম্মাদ ইবনু সীরিন রহ. বলেন,
আবুয যিনাদ রহ. বলেন,
সফির বিধান বহাল নেই
সফি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্যই খাস ছিল। তিনি নবী হিসেবে তা পেতেন। তার ইন্তেকালের সাথে সাথে এ বিধানও শেষ হয়ে গেছে। এখন কোন ইমাম বা আমীর সফি গ্রহণ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে ইমাম আবু সাওর ব্যতীত উম্মাহর কোন ইমামের দ্বিমত নেই। (মুগনী- ইবনু কুদামা, ৬/৪৬০; রদ্দুল মুহতার ৪/১৫১)
উত্তর:-
গনিমতের মালে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মোট তিনটি অংশ ছিল: এক. সফি; দুই. খুমুস; তিন. একজন মুজাহিদ হিসেবে অন্যান্য সাধারণ মুজাহিদের ন্যায় এক অংশ । (শরহুস সিয়ারিল কাবির ১/৬০৮)
আমাদের আলোচনা সফি নিয়ে।
সফির নীতি জাহিলি যামানায়ও প্রচলিত ছিল। জাহিলি যুগে সর্দাররা গনিমতের মাল থেকে পছন্দসই কোন জিনিস নিজের জন্য নিয়ে নিতো। একে সফি বলা হতো। ইসলাম আসার পর আল্লাহ তাআলা তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গনিমতের মাল বণ্টনের আগে পছন্দসই কোন তরবারি, বর্ম, বাঁদি বা অন্য কোন কিছু নিয়ে নেয়ার অধিকার দেন। (শরহুস সিয়ারিল কাবির ১/৬০৮) একেই সফি বলে। নাসাফি রহ. (৫৩৭ হি.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গনিমতে যতটুকু অংশ পেতেন, সফি হিসেবে এর বেশি নিতেন না। (তালিবাতুত তলাবা- নাসাফি, ৮৩)
সফি হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গ্রহণ করেছিলেন-
ক. বদরে ‘যুল ফাকার’ নামক তরবারি।
খ. খায়বারে উম্মুল মুমিনীন হযরত সাফিয়্যা রাদিআল্লাহু আনহা। সফি হিসেবে নিয়েছিলেন বলেই তার নাম হয়েছে ‘সাফিয়্যা’। তিনি ইয়াহুদি সর্দার হুয়াই ইবনু আখতাবের কন্যা এবং হযরত হারুন আলাইহিস সালামের বংশধর ছিলেন। নবী বংশের কন্যা ছিলেন বিধায় নবীর জন্যই মানানসই ছিলেন।
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
كانت صفية من الصفي
“হযরত সাফিয়্যা রাদিআল্লাহু আনহা (রাসূলের) সফি ছিলেন।” –আবু দাউদ: ২৯৯৪ (শুআইব আরনাঊত সহীহ বলেছেন)“মুহাম্মাদ ইবনু সীরিন রহ. বলেন,
كان الصفي يوم خيبر صفية بنت حيي.
“খায়বারের দিন তাঁর সফি ছিল সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই- রাদিয়াল্লাহু আনহা।” –মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৩৩৯৮২,আবুয যিনাদ রহ. বলেন,
كان الصفي يوم بدر سيف العاص بن منبه بن الحجاج.
“আবুয যিনাদ রহ. বলেন, বদরের দিন সফি ছিল, আস বিন মুনাব্বিহের (যুল ফাকার নামক) তরবারিটি।” -–মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৩৩৯৮৪ সফির বিধান বহাল নেই
সফি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্যই খাস ছিল। তিনি নবী হিসেবে তা পেতেন। তার ইন্তেকালের সাথে সাথে এ বিধানও শেষ হয়ে গেছে। এখন কোন ইমাম বা আমীর সফি গ্রহণ করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে ইমাম আবু সাওর ব্যতীত উম্মাহর কোন ইমামের দ্বিমত নেই। (মুগনী- ইবনু কুদামা, ৬/৪৬০; রদ্দুল মুহতার ৪/১৫১)
Comment