প্রশ্ন- গনিমত ও ফাই কাকে বলে এবং এর ব্যয়ের খাত কি?
উত্তর:
কাফেরদের থেকে লব্ধ সম্পদ তিন প্রকার:
এক. গনিমত
দারুল হরবে অভিযান চালিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে হরবিদের যে সম্পদ জব্দ করা হয় তাকে গনিমত বলে। গনিমত থেকে খুমুস নেয়া হবে। তথা এর এক পঞ্চমাংশ বাইতুল মালে জমা নেয়া হবে।
দুই. ফাই
দারুল হরব বিজয় করে দারুল ইসলাম বানানোর পর যিম্মিদের থেকে নিয়ম মাফিক যে সম্পদ আদায় করা হয় তাকে ফাই বলে। যেমন মাথাপিছু জিযিয়া এবং জমিন থেকে *উসূলকৃত খারাজ। ফাই থেকে খুমুস নেয়া হবে না; বরং এর সম্পূর্ণটাই বাইতুল মালে জমা হবে।
তিন. গনিমতও নয়, ফাইও নয়
হরবিদের থেকে যে সম্পদ বলপূর্বক নয়, বরং পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে লাভ হয় তা গনিমতও নয়, ফাইও নয়। যেমন, কাফের বাদশার তরফ থেকে আগত হাদিয়া বা যুদ্ধ বিরতি চুক্তির বিনিময়ে লব্ধ সম্পদ। ফাইয়ের মতো এ সম্পদও বাইতুল মালে জমা হবে; খুমুস নেয়া হবে না। (রদ্দুল মুহতার ৪/১৩৭-১৩৮)
গনিমত ব্যয়ের খাত
গনিমত থেকে যে খুমুস নেয়া হবে, সেটার হকদার মূলত গরীব ও অভাবি মুসলমানগণ। অন্য প্রশ্নে এর আলোচনা করা হয়েছে। আর অবশিষ্ট চারভাগের হকদার ঐ সকল মুজাহিদিনে কেরাম, যাদের যুদ্ধের দ্বারা এ সম্পদ অর্জিত হয়েছে। তবে এখানে তাফসিল আছে। অন্য প্রশ্নে ইনশাআল্লাহ এর আলোচনা হবে।
ফাই ব্যয়ের খাত
ফাই এবং ঐ তৃতীয় প্রকার সম্পদ যা গনিমতও নয় ফাইও নয়, তা ব্যয় করা হবে মুসলমানদের জনকল্যাণমূলক কাজে এবং দারুল ইসলামের সংরক্ষণ ও উন্নতিকল্পে। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল মুসলমানের কল্যাণে তা ব্যয় করা হবে। যেমন: সীমান্ত প্রহরা, মুজাহিদ বাহিনী ও তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ; কাযী, আলেম, মুআল্লিম, মুফতী ও ইমামদের ভাতা; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা; মসজিদ-মাদ্রাসা এবং রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট-ব্রীজ ও সরাইখানা নির্মাণ; নদী-নালা ও খাল-বিল খনন; গ্যাস, পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ ইত্যাদি। (মাজমুউল ফাতাওয়া- ইবনে তাইমিয়া ২৮/২৮/৫৬৫; রদ্দুল মুহাতার ৪/১৩৭-১৩৮)
উত্তর:
এক. গনিমত
দারুল হরবে অভিযান চালিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে হরবিদের যে সম্পদ জব্দ করা হয় তাকে গনিমত বলে। গনিমত থেকে খুমুস নেয়া হবে। তথা এর এক পঞ্চমাংশ বাইতুল মালে জমা নেয়া হবে।
দুই. ফাই
দারুল হরব বিজয় করে দারুল ইসলাম বানানোর পর যিম্মিদের থেকে নিয়ম মাফিক যে সম্পদ আদায় করা হয় তাকে ফাই বলে। যেমন মাথাপিছু জিযিয়া এবং জমিন থেকে *উসূলকৃত খারাজ। ফাই থেকে খুমুস নেয়া হবে না; বরং এর সম্পূর্ণটাই বাইতুল মালে জমা হবে।
তিন. গনিমতও নয়, ফাইও নয়
হরবিদের থেকে যে সম্পদ বলপূর্বক নয়, বরং পারস্পরিক সন্তুষ্টির ভিত্তিতে লাভ হয় তা গনিমতও নয়, ফাইও নয়। যেমন, কাফের বাদশার তরফ থেকে আগত হাদিয়া বা যুদ্ধ বিরতি চুক্তির বিনিময়ে লব্ধ সম্পদ। ফাইয়ের মতো এ সম্পদও বাইতুল মালে জমা হবে; খুমুস নেয়া হবে না। (রদ্দুল মুহতার ৪/১৩৭-১৩৮)
গনিমত ব্যয়ের খাত
গনিমত থেকে যে খুমুস নেয়া হবে, সেটার হকদার মূলত গরীব ও অভাবি মুসলমানগণ। অন্য প্রশ্নে এর আলোচনা করা হয়েছে। আর অবশিষ্ট চারভাগের হকদার ঐ সকল মুজাহিদিনে কেরাম, যাদের যুদ্ধের দ্বারা এ সম্পদ অর্জিত হয়েছে। তবে এখানে তাফসিল আছে। অন্য প্রশ্নে ইনশাআল্লাহ এর আলোচনা হবে।
ফাই ব্যয়ের খাত
ফাই এবং ঐ তৃতীয় প্রকার সম্পদ যা গনিমতও নয় ফাইও নয়, তা ব্যয় করা হবে মুসলমানদের জনকল্যাণমূলক কাজে এবং দারুল ইসলামের সংরক্ষণ ও উন্নতিকল্পে। ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকল মুসলমানের কল্যাণে তা ব্যয় করা হবে। যেমন: সীমান্ত প্রহরা, মুজাহিদ বাহিনী ও তাদের পরিবারের ভরণ-পোষণ; কাযী, আলেম, মুআল্লিম, মুফতী ও ইমামদের ভাতা; আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনি ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা; মসজিদ-মাদ্রাসা এবং রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট-ব্রীজ ও সরাইখানা নির্মাণ; নদী-নালা ও খাল-বিল খনন; গ্যাস, পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ ইত্যাদি। (মাজমুউল ফাতাওয়া- ইবনে তাইমিয়া ২৮/২৮/৫৬৫; রদ্দুল মুহাতার ৪/১৩৭-১৩৮)
Comment