আলোচনাটা শুরু হয়েছিল অনেক দিন হল। মাঝখানে বেশ অনেক দিন বন্ধ ছিল। আল্লাহ তাআলার তাওফিক হলে আলোচনাটা পূর্ণ করার চেষ্টা করবো। ওয়ামা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ।
আলোচনা চলছিল সিয়াসত ও তা’যিররূপে কাদের হত্যা করা হবে। বেশ অনেকেই এর আওতায় পড়ে। যেমন,
১. যাদুকর।
২. বিদআতিদের গুরু।
৩. যিন্দিক।
৪. সমকামী।
৫. পশুর সাথে সঙ্গমকারী।
৬. যে ব্যক্তি তার মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গম করে।
৭. চোর।
৮. রাহজান ও ডাকাত।
৯. শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যাকারী।
১০. ভারী বস্তু (যেমন পাথর ইত্যাদি) দিয়ে হত্যাকারী।
১১. মদখোর।
১২. যে ব্যক্তি শাসকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে লোকজনকে হত্যা করায়।
প্রথম পাঁচ জনের আলোচনা ইতিমধ্যে হয়েছে। আজ ষষ্ঠ জনকে নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
ছয়. আপন মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গমকারী
হাদিসে মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গমকারীকে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে। যেমন এক হাদিসে এসেছে,
যিনার শাস্তি হল অবিবাহিত হলে বেত্রাঘাত আর বিবাহিত হলে রজম করে হত্যা। কিন্তু এ ব্যক্তির বেলায় বিবাহিত অবিবাহিতের কোন পার্থক্য না করে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে। বুঝা গেল, এর শাস্তি যিনার শাস্তি নয়। তাহলে হত্যা কি হিসেবে? ইবনুল হুমাম রহ. বলেন,
অর্থাৎ যদি হালাল মনে করে করে থাকে তাহলে তো মুরতাদ। মুরতাদ হিসেবে হত্যা করা হবে। আর যদি হালাল মনে না করে থাকে, হারাম জেনেও করে থাকে তাহলে হত্যা করতে বলা হয়েছে সিয়াসতরূপে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা ফিকহের কিতাবাদিতে দেখা যেতে পারে। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।
আলোচনা চলছিল সিয়াসত ও তা’যিররূপে কাদের হত্যা করা হবে। বেশ অনেকেই এর আওতায় পড়ে। যেমন,
১. যাদুকর।
২. বিদআতিদের গুরু।
৩. যিন্দিক।
৪. সমকামী।
৫. পশুর সাথে সঙ্গমকারী।
৬. যে ব্যক্তি তার মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গম করে।
৭. চোর।
৮. রাহজান ও ডাকাত।
৯. শ্বাসরূদ্ধ করে হত্যাকারী।
১০. ভারী বস্তু (যেমন পাথর ইত্যাদি) দিয়ে হত্যাকারী।
১১. মদখোর।
১২. যে ব্যক্তি শাসকদের কাছে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করে লোকজনকে হত্যা করায়।
***
প্রথম পাঁচ জনের আলোচনা ইতিমধ্যে হয়েছে। আজ ষষ্ঠ জনকে নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
ছয়. আপন মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গমকারী
হাদিসে মাহরাম মহিলার সাথে সঙ্গমকারীকে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে। যেমন এক হাদিসে এসেছে,
(ومن وقع على ذات محرم فاقتلوه)
“যে ব্যক্তি তার মাহরামের সাথে সঙ্গম করে, তাকে হত্যা করে দাও।” - তিরিমিযি: ১৪৬২
“যে ব্যক্তি তার মাহরামের সাথে সঙ্গম করে, তাকে হত্যা করে দাও।” - তিরিমিযি: ১৪৬২
যিনার শাস্তি হল অবিবাহিত হলে বেত্রাঘাত আর বিবাহিত হলে রজম করে হত্যা। কিন্তু এ ব্যক্তির বেলায় বিবাহিত অবিবাহিতের কোন পার্থক্য না করে হত্যা করে দিতে বলা হয়েছে। বুঝা গেল, এর শাস্তি যিনার শাস্তি নয়। তাহলে হত্যা কি হিসেবে? ইবনুল হুমাম রহ. বলেন,
قالوا: جاز فيه أحد الأمرين أنه للاستحلال، أو أمر بذلك سياسة وتعزيرا. اهـ
“উলামাগণ বলেন, এখানে দু’টির কোন একটি হতে পারে: হয়তো হালাল মনে করার কারণে, নয়তো সিয়াসত ও তা’যিররূপে এ আদেশ দিয়েছেন।” –ফাতহুল কাদির ৫/২৬১অর্থাৎ যদি হালাল মনে করে করে থাকে তাহলে তো মুরতাদ। মুরতাদ হিসেবে হত্যা করা হবে। আর যদি হালাল মনে না করে থাকে, হারাম জেনেও করে থাকে তাহলে হত্যা করতে বলা হয়েছে সিয়াসতরূপে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা ফিকহের কিতাবাদিতে দেখা যেতে পারে। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।
Comment