আট. কিসাস নেই এমন হত্যাকাণ্ড একাধিকবার ঘটালে
কেউ কাউকে হত্যা করলে তা দুই রকম হতে পারে:
এক. হত্যাকারী স্বীকার করেছে যে, হত্যার নিয়তেই আঘাত করেছিল।
এ ধরনের হত্যাকারীকে কিসাসরূপে হত্যা করা হবে, চাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করুক বা লাঠি বা অন্য কোনো সাধারণ বস্তু দ্বারা হত্যা করুক।
দুই. হত্যাকারী হত্যার নিয়তে আঘাত করেছে বলে স্বীকার করছে না। বলছে, আঘাত দ্বারা হত্যা উদ্দেশ্য ছিল না, ঘটনাক্রমে মরে গেছে।
এ ধরনের হত্যাকারীর বিধান মতভেদপূর্ণ। আবু হানিফা রহ. এর মতে এ ধরনের হত্যাকারীর বিধান নির্ভর করে হত্যার সরঞ্জামের উপর। যদি অস্ত্র বা অস্ত্রজাতীয় জিনিস দ্বারা হত্যা করে থাকে, তাহলে কিসাসরূপে তাকেও হত্যা করা হবে। যেমন, তরবারি বা ছুরি দিয়ে হত্যা।
আর যদি বাঁশ-কাঠের লাঠি বা সাধারণ ছোটখাট জিনিস দিয়ে হত্যা করে থাকে, যেগুলো সাধারণত হত্যার জন্য ব্যবহার করা হয় না তাহলে কিসাস আসবে না, দিয়াত দিতে হবে। আর গুনাহ তো আছেই।
এই দ্বিতীয় প্রকারের হত্যা, যেখানে কিসাস আসে না, দিয়াত আসে- যদি একাধিকবার ঘটায় তাহলে সে মুফসিদ ফিল আরদ। ধৃত হওয়ার পর এ ধরনের লোককেও হত্যা করে দেয়া হবে। প্রথমবার তাকে মাফ করা হয়েছিল এ ভেবে যে, হয়তো সে হত্যার ইচ্ছা করেনি। কেননা, সে যে ধরনের বস্তু দিয়ে আঘাত করেছিল, তা সাধারণত হত্যার জন্য ব্যবহার হয় না। কিন্তু বারবার হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দ্বারা তার আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। এখন আর তাকে মাফ করা হবে না।
রাফিয়ি রহ. (১৩১২হি.) বলেন,
হাসকাফি রহ. (১০৮৮হি.) বলেন, “এ ধরনের হত্যার ফলে (প্রথমত) গুনাহ হবে। (দ্বিতীয়ত) কাফফারা দিতে হবে। (তৃতীয়ত) আকিলাদের উপর দিয়াত বর্তাবে। তবে কিসাস আসবে না। কেননা, হত্যায় ব্যবহৃত বস্তুটির কারণে (হত্যার ইচ্ছা ছিল কি’না তা নিয়ে) কিছুটা সংশয় থেকে যায়। তবে যদি একাধিকবার ঘটায় তাহলে ইমামুল মুসলিমিন সিয়াসতরূপে তাকে হত্যা করে দিতে পারবেন। ‘আলইখতিয়ার’ কিতাবে এমনই বলা হয়েছে।” –আদদুরুল মুখতার (রদ্দুল মুহতারের সাথে মূদ্রিত) ৬/৫৩০, কিতাবুল জিনায়াত
সামনে গিয়ে বলেন,
উল্লেখ্য: ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যারা অহরহ খুন-খারাবি ও দাঙ্গা হাঙ্গামা করে দেশব্যাপী ফাসাদ করে যাচ্ছে: এরা সকলেই মুফসিদ ফিল আরদ। এরা হত্যার উপযুক্ত। যারা সরাসরি হত্যা করে তারাও, যারা সহযোগী তারাও। অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে না লাঠি দিয়ে তা দেখার বিষয় নয়। মুফসিদ ফিল আরদের বেলায় অস্ত্র-লাঠির ব্যবধান নেই।
কেউ কাউকে হত্যা করলে তা দুই রকম হতে পারে:
এক. হত্যাকারী স্বীকার করেছে যে, হত্যার নিয়তেই আঘাত করেছিল।
এ ধরনের হত্যাকারীকে কিসাসরূপে হত্যা করা হবে, চাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করুক বা লাঠি বা অন্য কোনো সাধারণ বস্তু দ্বারা হত্যা করুক।
দুই. হত্যাকারী হত্যার নিয়তে আঘাত করেছে বলে স্বীকার করছে না। বলছে, আঘাত দ্বারা হত্যা উদ্দেশ্য ছিল না, ঘটনাক্রমে মরে গেছে।
এ ধরনের হত্যাকারীর বিধান মতভেদপূর্ণ। আবু হানিফা রহ. এর মতে এ ধরনের হত্যাকারীর বিধান নির্ভর করে হত্যার সরঞ্জামের উপর। যদি অস্ত্র বা অস্ত্রজাতীয় জিনিস দ্বারা হত্যা করে থাকে, তাহলে কিসাসরূপে তাকেও হত্যা করা হবে। যেমন, তরবারি বা ছুরি দিয়ে হত্যা।
আর যদি বাঁশ-কাঠের লাঠি বা সাধারণ ছোটখাট জিনিস দিয়ে হত্যা করে থাকে, যেগুলো সাধারণত হত্যার জন্য ব্যবহার করা হয় না তাহলে কিসাস আসবে না, দিয়াত দিতে হবে। আর গুনাহ তো আছেই।
এই দ্বিতীয় প্রকারের হত্যা, যেখানে কিসাস আসে না, দিয়াত আসে- যদি একাধিকবার ঘটায় তাহলে সে মুফসিদ ফিল আরদ। ধৃত হওয়ার পর এ ধরনের লোককেও হত্যা করে দেয়া হবে। প্রথমবার তাকে মাফ করা হয়েছিল এ ভেবে যে, হয়তো সে হত্যার ইচ্ছা করেনি। কেননা, সে যে ধরনের বস্তু দিয়ে আঘাত করেছিল, তা সাধারণত হত্যার জন্য ব্যবহার হয় না। কিন্তু বারবার হত্যাকাণ্ড ঘটানোর দ্বারা তার আসল চেহারা প্রকাশ পেয়েছে। এখন আর তাকে মাফ করা হবে না।
রাফিয়ি রহ. (১৩১২হি.) বলেন,
إذا أقر بقصد قتله بما ذكر يقتص منه عنده. اهـ
“ইচ্ছাকৃত হত্যা করেছে স্বীকার করলে আবু হানিফা রহ. এর মতেও তার থেকে কিসাস নেয়া হবে।” –তাকরিরাতুর রাফিয়ি (রদ্দুল মুহতারের সাথে মূদ্রিত, মাকতাবায়ে রশিদিয়া, কোয়েটা) ১০/১৬০, কিতাবুল জিনায়াতহাসকাফি রহ. (১০৮৮হি.) বলেন,
وموجبه الإثم والكفارة ودية مغلظة على العاقلة ... لا القود لشبهه بالخطأ نظرا لآلته إلا أن يتكرر منه فللإمام قتله سياسة اختيار. اهـ
সামনে গিয়ে বলেন,
ولا تقبل توبته لو بعد مسكه كالساحر. اهـ
“ধরার পরে তাওবা করলেও মাফ করা হবে না, যেমন যাদুকরকে ধরার পরে মাফ করা হয় না।” –আদদুরুল মুখতার (রদ্দুল মুহতারের সাথে মূদ্রিত) ৬/৫৪৪, কিতাবুল জিনায়াত উল্লেখ্য: ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যারা অহরহ খুন-খারাবি ও দাঙ্গা হাঙ্গামা করে দেশব্যাপী ফাসাদ করে যাচ্ছে: এরা সকলেই মুফসিদ ফিল আরদ। এরা হত্যার উপযুক্ত। যারা সরাসরি হত্যা করে তারাও, যারা সহযোগী তারাও। অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে না লাঠি দিয়ে তা দেখার বিষয় নয়। মুফসিদ ফিল আরদের বেলায় অস্ত্র-লাঠির ব্যবধান নেই।
Comment