ইমাম বলার যৌক্তিকতা হলো, মাহদি একইসঙ্গে উভয় প্রকার ইমামতের অধিকারী হবেন। একে তো তিনি মুসলমানদের ইমাম তথা আমিরুল মুমিনিন/খলিফাতুল মুসলিমিন হবেন। তদুপরি তিনি ইসা আ.-এর উপস্থিতিতে ফজরের সালাতে মুসলিম উম্মাহর ইমামতি করবেন। সুতরাং আম ও খাস ইমামত উভয়টি যার অধিকারে, তাকে ইমাম অভিধায় অভিহিত করা দোষের কিছু নয়। তার আগমনের পরও তাকে ইনশাআল্লাহ মুসলিমরা নিজেদের ইমাম বলে স্মরণ করবেন। শিয়ারা তাদের নেতাদেরকে ইমাম বলে ডাকে বলেই মাহদিকে আমরা ইমাম বলে আখ্যায়িত করতে পারব না, এমন কোনো অপরিহার্যতা নেই। ইমাম শব্দটি আমাদের পরিভাষা। পরবর্তীতে শিয়ারা তাদের ধর্মমতে এই পরিভাষার বিকৃতি ঘটিয়েছে। যেমন অনেকে জিহাদ, জিকির এবং এজাতীয় অনেক শব্দের বিকৃতি ঘটিয়েছে। আহমদি যিন্দিকরা মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানির নামের শুরুতে নবি অভিধা যোগ করলে আমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ সা.-এর নামের সঙ্গে নবি অভিধা যোগ করা নিষিদ্ধ হবে না। আমাদের পরিভাষা আমাদেরই থাকবে। যারা এতে বিকৃতি ঘটাবে, এর দায় সম্পূর্ণ তাদের। আমরা যখন মাহদির শুরুতে ইমাম অভিধা যোগ করি, এমনও নয় যে, তখন আমাদের মানসপটে শিয়াদের অনুরূপ আকিদা-বিশ্বাস ভেসে ওঠে। উপরন্তু এসব অঞ্চলের অধিকাংশ মুসলমান এ ব্যাপারে শিয়াদের আকিদা-বিশ্বাস সম্পর্কে বিলকুল ওয়াকিবহালই নয়। তাই বিভ্রমেরও বড় কোনো আশঙ্কা নেই। অবশ্য কেউ যদি অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে এই ইমাম অভিধা এড়িয়ে চলে, তাতেও মাথাব্যথার কিছু নেই। অনেক আলিম থেকে এই এড়িয়ে চলার বিষয়টি প্রমাণিত।
‘রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু’ ব্যবহারের যৌক্তিকতা হলো, ফিকহের গ্রন্থাদিতে এই দুয়াবাক্য কারও ক্ষেত্রে প্রয়োগ শুদ্ধ ও যথার্থ হওয়ার জন্য তিনটি শর্তের কথা লেখা হয়েছে। (ক) তার ইমানের ব্যাপারে সাক্ষ্য রয়েছে। (খ) তার ইমান কোনো শক্তিশালী দলিলের আলোকে প্রমাণিত হয়েছে। (গ) ইমানের ওপরই তার জীবনযাপন ও মৃত্যুবরণ সাব্যস্ত হয়েছে। যেমনিভাবে সাহাবিগণের ব্যাপারে এই তিন শর্তের উপস্থিতি পাওয়া যায়, একইভাবে আল্লাহর খলিফা মাহদির ব্যাপারেও এই তিনও শর্তের উপস্থিতি চোখে পড়ে। সুতরাং সহিহ হাদিসের আলোকেই যেহেতু মাহদির ব্যাপারে তিনও শর্ত বিদ্যমান রয়েছে, তাই তার নামের শেষে ‘রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু’ ব্যবহার করা যথাযথ।
‘মাহদি এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি’ এই বাক্যের অর্থ এ নয় যে, তিনি আবু বকর রা.-এর চেয়েও শ্রেষ্ঠ। কারণ, মর্যাদার চারটি স্তরের বর্ণনা আমরা কুরআনে দেখতে পাই। (ক) নবুওয়াত, (খ) সিদ্দিকিয়াত, (গ) শাহাদাত, (ঘ) সালিহিয়াত। অর্থাৎ সবার চাইতে শ্রেষ্ঠ নবি, এরপর সিদ্দিক, এরপর শহিদ এবং তারপর সালেহিন তথা নেককারগণ। মাহদি তো কারও নাম নয়; নাম তো হলো মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ। মাহদি হলো একটি মর্যাদাগত স্তর। তো এই মাহদি স্তরের (মাকামে মাহদুইয়াত) অবস্থান প্রথম দুটোর পরে এবং শেষ দুটোর আগে। তাহলে অর্থ দাঁড়াচ্ছে, যিনি মাহদি হবেন, তিনি নবি ও সিদ্দিকের চাইতে নিম্নস্তরের হবেন, তবে শহিদ ও সালেহিনের চাইতে উচ্চস্তরের হবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাহদি শব্দটি কখনো স্রেফ বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় আর কখনো তা ব্যবহৃত হয় মাকাম হিসেবে। যেমন, রাসুলুল্লাহ ﷺ মুয়াবিয়া রা.-এর ব্যাপারে দুয়া করেছিলেন : ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে হাদি ও মাহদি বানিয়ে দিন।’ হাদি মানে পথপ্রদর্শক। মাহদি মানে সুপথপ্রাপ্ত। রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর দুয়া সুনিশ্চিতভাবে কবুল হয়। তাহলে এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, মুয়াবিয়া রা. হাদিও ছিলেন, মাহদিও ছিলেন। তাহলে তিনি আর কিয়ামতপূর্ব সময়ে যেই মাহদি আসবেন, তারা উভয়ে কি অভিন্ন সত্তা? কারণ, মাহদি শব্দটি একবচন। কোনো হাদিসে একাধিক মাহদির আগমনের কথা বর্ণিত হয়নি। তাহলে এই দুই প্রকার হাদিসের মধ্যে সমন্বয় কীভাবে করা সম্ভব? এর একমাত্র উত্তর হচ্ছে, মুয়াবিয়া রা.-এর ব্যাপারে যে ‘মাহদি’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তা দ্বারা বিশেষণ উদ্দেশ্য আর কিয়ামতপূর্ব সময়ে জন্মগ্রহণকারী মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহর ব্যাপারে যে ‘মাহদি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়, তা দ্বারা মাকাম উদ্দেশ্য। আবু বকর রা.-এর নামের সঙ্গে সিদ্দিক বললে যেমন তা শুধু একটি গুণই বোঝায় না; বরং একটি নির্দিষ্ট মাকাম বোঝায়, এক্ষেত্রেও তা-ই।
নবুওয়াতের মর্যাদার পরে সবচে বড় মর্যাদা হলো সিদ্দিক হওয়া। সাহাবিগণ সিদ্দিক ছিলেন। এ জন্যই কুরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে সিদ্দিক শব্দটি একবচনরূপে ব্যবহার না করে বহুবচন হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সুতরাং এ কথা ভাবা উচিত নয় যে, সিদ্দিক বুঝি শুধু আবু বকর রা.-ই ছিলেন; অন্যান্য সাহাবিগণ নন। কারণ, সিদ্দিক শব্দটি যেহেতু বহুবচন, তাই এর প্রয়োগক্ষেত্র একাধিক হবে—এটা তো নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত। এখন যদি বলা হয়, এক আবু বকর রা. ছাড়া অন্য কোনো সাহাবি সিদ্দিক ছিলেন না; কিন্তু তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে অমুক এবং তমুক সিদ্দিক; তাহলে পরবর্তীদের মর্যাদা সাহাবিদের চাইতে অধিক হয়ে যায়। অথচ এটা অসংখ্য আয়াত ও হাদিসের সঙ্গে স্পষ্টভাবে বিরোধপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক। হ্যাঁ, সকল নবি যেমন সমস্তরের নন; একইভাবে সকল সিদ্দিকও সমস্তরের নন। তাই আবু বকর রা.-এর সঙ্গে বিশেষভাবে এই অভিধাটি ব্যবহার করা হয় তার সবিশেষ মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করার জন্য। যেমন, প্রতি শতাব্দীতেই অসংখ্য মুজ্জাদিদের অস্তিত্ব থাকবে। এতদ্*সত্ত্বেও উমর ইবনু আবদুল আজিজ রহ.-কে মুজাদ্দিদে আলফে আউয়াল এবং শায়খ আহমদ সেরহিন্দিকে মুজাদ্দিদে আলফে সানি বলা হয় তাদের বিশেষ মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করার জন্য; বিগত দুই হাজার বছরের সকল মুজাদ্দিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করার জন্য নয়। যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ নিজে প্রতি শতাব্দীতে মুজাদ্দিদের আগমনের কথা জানিয়ে গেছেন, সেখানে একেক আলফে (এখানে আলফ অর্থ এক হাজার বছর) মাত্র একজন মুজাদ্দিদের অস্তিত্ব স্বীকার করা তো সুস্পষ্ট হাদিসবিরোধী হয়ে যাবে।
মাহদি ইসা আ.-এর চাইতেও শ্রেষ্ঠ হবেন না। কারণ, ইসা আ. নিজেই একজন নবি; যদিও তিনি পৃথিবীতে পুনরায় আগমন করার পর আমাদের নবি ﷺ-এর শরিয়াহই পৃথিবীতে বাস্তবায়ন করবেন। সে যাইহোক, তাই বলে একজন উম্মত (মাহদি) যতই মর্যাদার অধিকারী হোক না কেন, কোনো নবির (ইসা আ.) চাইতে কখনো শ্রেষ্ঠ হয়ে যান না। মাহদির মর্যাদা যেখানে সাহাবিদের চাইতেও নিম্নস্তরের, সেখানে তাকে কোনো নবির চাইতে শ্রেষ্ঠ ভাবা তো চরম ধৃষ্টতার শামিল।
মাহদির আরেকটি উপাধি আছে ‘আল-জাবির’। কারণ, মাহদির পুরো নাম হলো : আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ আল-মাহদি আল-জাবির আল-হাশিমি আল-মাদানি রাযিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু। এই ‘জাবির’ শব্দটি দুটি অর্থ ধারণ করে। এর ব্যাখ্যা আজ থাক, অন্য কোনোদিন করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক,দা'ঈ।
(সংগৃহিত)
‘রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু’ ব্যবহারের যৌক্তিকতা হলো, ফিকহের গ্রন্থাদিতে এই দুয়াবাক্য কারও ক্ষেত্রে প্রয়োগ শুদ্ধ ও যথার্থ হওয়ার জন্য তিনটি শর্তের কথা লেখা হয়েছে। (ক) তার ইমানের ব্যাপারে সাক্ষ্য রয়েছে। (খ) তার ইমান কোনো শক্তিশালী দলিলের আলোকে প্রমাণিত হয়েছে। (গ) ইমানের ওপরই তার জীবনযাপন ও মৃত্যুবরণ সাব্যস্ত হয়েছে। যেমনিভাবে সাহাবিগণের ব্যাপারে এই তিন শর্তের উপস্থিতি পাওয়া যায়, একইভাবে আল্লাহর খলিফা মাহদির ব্যাপারেও এই তিনও শর্তের উপস্থিতি চোখে পড়ে। সুতরাং সহিহ হাদিসের আলোকেই যেহেতু মাহদির ব্যাপারে তিনও শর্ত বিদ্যমান রয়েছে, তাই তার নামের শেষে ‘রাযিয়াল্লাহু তাআলা আনহু’ ব্যবহার করা যথাযথ।
‘মাহদি এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি’ এই বাক্যের অর্থ এ নয় যে, তিনি আবু বকর রা.-এর চেয়েও শ্রেষ্ঠ। কারণ, মর্যাদার চারটি স্তরের বর্ণনা আমরা কুরআনে দেখতে পাই। (ক) নবুওয়াত, (খ) সিদ্দিকিয়াত, (গ) শাহাদাত, (ঘ) সালিহিয়াত। অর্থাৎ সবার চাইতে শ্রেষ্ঠ নবি, এরপর সিদ্দিক, এরপর শহিদ এবং তারপর সালেহিন তথা নেককারগণ। মাহদি তো কারও নাম নয়; নাম তো হলো মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ। মাহদি হলো একটি মর্যাদাগত স্তর। তো এই মাহদি স্তরের (মাকামে মাহদুইয়াত) অবস্থান প্রথম দুটোর পরে এবং শেষ দুটোর আগে। তাহলে অর্থ দাঁড়াচ্ছে, যিনি মাহদি হবেন, তিনি নবি ও সিদ্দিকের চাইতে নিম্নস্তরের হবেন, তবে শহিদ ও সালেহিনের চাইতে উচ্চস্তরের হবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাহদি শব্দটি কখনো স্রেফ বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় আর কখনো তা ব্যবহৃত হয় মাকাম হিসেবে। যেমন, রাসুলুল্লাহ ﷺ মুয়াবিয়া রা.-এর ব্যাপারে দুয়া করেছিলেন : ‘হে আল্লাহ, আপনি তাকে হাদি ও মাহদি বানিয়ে দিন।’ হাদি মানে পথপ্রদর্শক। মাহদি মানে সুপথপ্রাপ্ত। রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর দুয়া সুনিশ্চিতভাবে কবুল হয়। তাহলে এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে, মুয়াবিয়া রা. হাদিও ছিলেন, মাহদিও ছিলেন। তাহলে তিনি আর কিয়ামতপূর্ব সময়ে যেই মাহদি আসবেন, তারা উভয়ে কি অভিন্ন সত্তা? কারণ, মাহদি শব্দটি একবচন। কোনো হাদিসে একাধিক মাহদির আগমনের কথা বর্ণিত হয়নি। তাহলে এই দুই প্রকার হাদিসের মধ্যে সমন্বয় কীভাবে করা সম্ভব? এর একমাত্র উত্তর হচ্ছে, মুয়াবিয়া রা.-এর ব্যাপারে যে ‘মাহদি’ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তা দ্বারা বিশেষণ উদ্দেশ্য আর কিয়ামতপূর্ব সময়ে জন্মগ্রহণকারী মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহর ব্যাপারে যে ‘মাহদি’ শব্দ ব্যবহার করা হয়, তা দ্বারা মাকাম উদ্দেশ্য। আবু বকর রা.-এর নামের সঙ্গে সিদ্দিক বললে যেমন তা শুধু একটি গুণই বোঝায় না; বরং একটি নির্দিষ্ট মাকাম বোঝায়, এক্ষেত্রেও তা-ই।
নবুওয়াতের মর্যাদার পরে সবচে বড় মর্যাদা হলো সিদ্দিক হওয়া। সাহাবিগণ সিদ্দিক ছিলেন। এ জন্যই কুরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতে সিদ্দিক শব্দটি একবচনরূপে ব্যবহার না করে বহুবচন হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সুতরাং এ কথা ভাবা উচিত নয় যে, সিদ্দিক বুঝি শুধু আবু বকর রা.-ই ছিলেন; অন্যান্য সাহাবিগণ নন। কারণ, সিদ্দিক শব্দটি যেহেতু বহুবচন, তাই এর প্রয়োগক্ষেত্র একাধিক হবে—এটা তো নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত। এখন যদি বলা হয়, এক আবু বকর রা. ছাড়া অন্য কোনো সাহাবি সিদ্দিক ছিলেন না; কিন্তু তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে অমুক এবং তমুক সিদ্দিক; তাহলে পরবর্তীদের মর্যাদা সাহাবিদের চাইতে অধিক হয়ে যায়। অথচ এটা অসংখ্য আয়াত ও হাদিসের সঙ্গে স্পষ্টভাবে বিরোধপূর্ণ ও সাংঘর্ষিক। হ্যাঁ, সকল নবি যেমন সমস্তরের নন; একইভাবে সকল সিদ্দিকও সমস্তরের নন। তাই আবু বকর রা.-এর সঙ্গে বিশেষভাবে এই অভিধাটি ব্যবহার করা হয় তার সবিশেষ মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করার জন্য। যেমন, প্রতি শতাব্দীতেই অসংখ্য মুজ্জাদিদের অস্তিত্ব থাকবে। এতদ্*সত্ত্বেও উমর ইবনু আবদুল আজিজ রহ.-কে মুজাদ্দিদে আলফে আউয়াল এবং শায়খ আহমদ সেরহিন্দিকে মুজাদ্দিদে আলফে সানি বলা হয় তাদের বিশেষ মর্যাদার প্রতি ইঙ্গিত করার জন্য; বিগত দুই হাজার বছরের সকল মুজাদ্দিদের অস্তিত্ব অস্বীকার করার জন্য নয়। যেখানে রাসুলুল্লাহ ﷺ নিজে প্রতি শতাব্দীতে মুজাদ্দিদের আগমনের কথা জানিয়ে গেছেন, সেখানে একেক আলফে (এখানে আলফ অর্থ এক হাজার বছর) মাত্র একজন মুজাদ্দিদের অস্তিত্ব স্বীকার করা তো সুস্পষ্ট হাদিসবিরোধী হয়ে যাবে।
মাহদি ইসা আ.-এর চাইতেও শ্রেষ্ঠ হবেন না। কারণ, ইসা আ. নিজেই একজন নবি; যদিও তিনি পৃথিবীতে পুনরায় আগমন করার পর আমাদের নবি ﷺ-এর শরিয়াহই পৃথিবীতে বাস্তবায়ন করবেন। সে যাইহোক, তাই বলে একজন উম্মত (মাহদি) যতই মর্যাদার অধিকারী হোক না কেন, কোনো নবির (ইসা আ.) চাইতে কখনো শ্রেষ্ঠ হয়ে যান না। মাহদির মর্যাদা যেখানে সাহাবিদের চাইতেও নিম্নস্তরের, সেখানে তাকে কোনো নবির চাইতে শ্রেষ্ঠ ভাবা তো চরম ধৃষ্টতার শামিল।
মাহদির আরেকটি উপাধি আছে ‘আল-জাবির’। কারণ, মাহদির পুরো নাম হলো : আবু আবদিল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল্লাহ আল-মাহদি আল-জাবির আল-হাশিমি আল-মাদানি রাযিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু। এই ‘জাবির’ শব্দটি দুটি অর্থ ধারণ করে। এর ব্যাখ্যা আজ থাক, অন্য কোনোদিন করা যাবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক: বিশিষ্ট ইসলামি গবেষক,দা'ঈ।
(সংগৃহিত)
Comment