একভাই আল্লাহ তায়ালার সিফাত সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে আমি নতুন থ্রেডে কিছুটা বিস্তারিত জবাব দিচ্ছি।
আল্লাহ তায়ালার অবস্থান, তাঁর সূরত বা আকার সহ আল্লাহ তায়ালার অন্যান্য সিফাতের বিষয়ে আলেমগণের দুটি প্রসিদ্ধ মতে রয়েছে।
১. তা’বীল। এটা অধিকাংশ মুতাকাল্লিমগণের মাযহাব। এর খোলাসা হলো, এ বিষয়গুলোর বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য না। তাই আল্লাহ তায়ালার শান উপযোগীভাবে তার ব্যাখ্যা করতে হবে।
২. তাফবীয। এটাই সংখ্যাগরিষ্ঠ সালাফের মাযহাব। এর সারকথা হলো, এই বিষয়গুলো কুরআন-সুন্নাহয় যেভাবে এসেছে, সেভাবেই বর্ণনা করা হবে, তার প্রতি ইমান রাখতে হবে, এগুলোর কোন ব্যাখ্যা করা যাবে না, এবং (আল্লাহ তায়ালার এ সিফাতগুলো মানুষের সিফাতের মতো) এ ধারণা করা যাবে না এবং এটাও বলা যাবে না যে, এ সিফাতগুলো কেমন?
অবশ্য তাফবীযের পদ্ধতি নিয়ে সালাফের মাঝে কিছু সুক্ষ্ম মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আমি যতটুকু উল্লেখ করেছি, তাতে কোন মতভেদ নেই এবং এতটুকুই আমাদের জন্য যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ। এরচেয়ে বেশি কিছু নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোনই প্রয়োজন নেই। সাহাবায়ে কেরাম এ বিষয়গুলো বর্ণনা করেছেন, এর অতিরিক্ত কিছু তারা করেননি। সুতরাং তাদের জন্য যা যথেষ্ট হয়েছে, আমাদের জন্য কি তা যথেষ্ট হবে না? অনেক আলেম তো এ কথাও বলেছেন যে, “এ বিষয়ে আমাদের আকীদা, আমাদের গোত্রের বৃদ্ধা মহিলাদের আকীদার মতোই।” অর্থাৎ তাদের যেমন এসব বিষয়ে সুক্ষ্ম জ্ঞান নেই, আমাদেরও এসব বিষয়ে সুক্ষ্ম জ্ঞানের কোন প্রয়োজন নেই।
আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। সালাফী ভাইয়েরা হানাফীদেরকে মাতুরিদি বলে পথভ্রষ্ট আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাতুরিদিদের পথভ্রষ্ট বলা ঠিক নয়। কেননা তাবীল তো শুধু মাতুরিদিরাই করেন না, আশআরীরাও করেন, তো তাবীলের কারণে পথভ্রষ্ট বলা হলে তো ইমাম নববী, হাফেয ইবনে হাজার রহ. এর মত বড় বড় আশআরী আলেমদেরও পথভ্রষ্ট বলতে হবে!
তাছাড়া হানাফীরা মাতুরিদি এ কথাও ঢালাওভাবে ঠিক নয়। ইমাম আবু মনসুর মাতুরিদির মৃত্যু ৩৩৩ হিজরীতে, তার সমকালীন আরেকজন হানাফী ইমাম হলেন ইমাম তহাবী, যার মৃত্যু ৩২১ হিজরীতে। তার আকীদার কিতাব পৃথিবীতে আকীদার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কিতাব হিসেবে গণ্য হয়। আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ. তাকে “হানাফী মাযহাব সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত” বলেও মন্তব্য করেছেন। ইমাম তহাবী তার আকীদার কিতাবের শুরুতে বলেছেন, তিনি এ কিতাবে যে আকীদাগুলো এনেছেন, তা ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ রহ. এর আকীদা। আর ইমাম তহাবীর আকীদা ইমাম মাতুরিদির আকীদা হতে ভিন্ন। তিনি সিফাতের মাসয়ালায় তাবীলের বিপক্ষে।
বর্তমান হানাফী আলেমগণও সিফাতের মাসয়ালায় সালাফের মতোই তাফবীয করেন। হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. ইমদাদুল ফতোয়ায় এবং আল্লামা তাকী উসমানী দা.বা. তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমে তাফবীযকেই অধিক নিরাপদ ও সতর্কতার দাবী বলেছেন। আল্লামা সাইদ আহমদ পালনপুরী বলেছেন, বর্তমান আকাবিরে দেওবন্দও তাফবীযের পক্ষে। বরং, এখনো যারা নিজেদেরকে মাতুরিদি বলে পরিচয় দেন তারাও স্পষ্টভাবে বলেন যে, সিফাতের মাসয়ালায় তারা সাধারণত তাফবীয করেন। সুতরাং এখন এ নিয়ে তর্ক অনেকটাই অর্থহীন। খোরাসানের পূর্ববর্তী কিছু হানাফী ফকিহ ইমাম মাতুরিদির অনুসারী ছিল বিধায় এখন কবর খুঁড়ে তাদের আকীদা উদ্ধার করে তা নিয়ে বিতর্কের কি ফায়েদা?
ইমাম তহাবীর আকীদার সংক্ষিপ্ত কিতাবটিই ইনশাআল্লাহ এক্ষেত্রে যথেষ্ট। এর বাংলা অনুবাদও হয়েছে, নেটে পাওয়া যায়। আর সাথে বর্তমানে প্রচলিত কুফরের ব্যাপারে অবগতির জন্য মাওলানা আব্দুল মালেক হাফি. এর ‘ইমান সবার আগে’ এবং কাশ্মিরী রহ. এর ‘ওরা কাফের কেন’ এ দুটি কিতাব পড়ে নিতে পারেন।
আমার জানামতে শায়েখ রহমানীর আকীদা ও মানহাজে তেমন কোন সমস্যা নেই। সালাফীরা আকীদায় ইবনে তাইমিয়াহ রহ. এর অনুসরণ করেন, আর তাফবীযের পদ্ধতি নিয়ে ইবনে তাইমিয়াহর সাথে অন্যদের মতভেদ রয়েছে। তাই রহমানী সাহেবের সাথেও অন্যদের মতভেদ হবে।
গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মহিলারা যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা বা দক্ষ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শের কারণে, রোযা রাখার দ্বারা নিজের বা সন্তানের ক্ষতির আশংকা করে তবে তারা রোযা ভঙ্গ করে পরবর্তীতে কাযা করতে পারবে। আর কাযা অবশ্যই করতে হবে, কাযা না করে ফিদয়া দিলে হবে না।
১। আল্লাহর অবস্থান ও আকার-নিরাকার নিয়ে আমাদের কেমন আক্বিদা রাখা উচিত? এক্ষেত্রে কোন আক্বিদা পোষণ নিরাপদ?
১. তা’বীল। এটা অধিকাংশ মুতাকাল্লিমগণের মাযহাব। এর খোলাসা হলো, এ বিষয়গুলোর বাহ্যিক অর্থ উদ্দেশ্য না। তাই আল্লাহ তায়ালার শান উপযোগীভাবে তার ব্যাখ্যা করতে হবে।
২. তাফবীয। এটাই সংখ্যাগরিষ্ঠ সালাফের মাযহাব। এর সারকথা হলো, এই বিষয়গুলো কুরআন-সুন্নাহয় যেভাবে এসেছে, সেভাবেই বর্ণনা করা হবে, তার প্রতি ইমান রাখতে হবে, এগুলোর কোন ব্যাখ্যা করা যাবে না, এবং (আল্লাহ তায়ালার এ সিফাতগুলো মানুষের সিফাতের মতো) এ ধারণা করা যাবে না এবং এটাও বলা যাবে না যে, এ সিফাতগুলো কেমন?
অবশ্য তাফবীযের পদ্ধতি নিয়ে সালাফের মাঝে কিছু সুক্ষ্ম মতপার্থক্য রয়েছে। কিন্তু আমি যতটুকু উল্লেখ করেছি, তাতে কোন মতভেদ নেই এবং এতটুকুই আমাদের জন্য যথেষ্ট ইনশাআল্লাহ। এরচেয়ে বেশি কিছু নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোনই প্রয়োজন নেই। সাহাবায়ে কেরাম এ বিষয়গুলো বর্ণনা করেছেন, এর অতিরিক্ত কিছু তারা করেননি। সুতরাং তাদের জন্য যা যথেষ্ট হয়েছে, আমাদের জন্য কি তা যথেষ্ট হবে না? অনেক আলেম তো এ কথাও বলেছেন যে, “এ বিষয়ে আমাদের আকীদা, আমাদের গোত্রের বৃদ্ধা মহিলাদের আকীদার মতোই।” অর্থাৎ তাদের যেমন এসব বিষয়ে সুক্ষ্ম জ্ঞান নেই, আমাদেরও এসব বিষয়ে সুক্ষ্ম জ্ঞানের কোন প্রয়োজন নেই।
আরেকটি বিষয়ও স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। সালাফী ভাইয়েরা হানাফীদেরকে মাতুরিদি বলে পথভ্রষ্ট আখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মাতুরিদিদের পথভ্রষ্ট বলা ঠিক নয়। কেননা তাবীল তো শুধু মাতুরিদিরাই করেন না, আশআরীরাও করেন, তো তাবীলের কারণে পথভ্রষ্ট বলা হলে তো ইমাম নববী, হাফেয ইবনে হাজার রহ. এর মত বড় বড় আশআরী আলেমদেরও পথভ্রষ্ট বলতে হবে!
তাছাড়া হানাফীরা মাতুরিদি এ কথাও ঢালাওভাবে ঠিক নয়। ইমাম আবু মনসুর মাতুরিদির মৃত্যু ৩৩৩ হিজরীতে, তার সমকালীন আরেকজন হানাফী ইমাম হলেন ইমাম তহাবী, যার মৃত্যু ৩২১ হিজরীতে। তার আকীদার কিতাব পৃথিবীতে আকীদার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কিতাব হিসেবে গণ্য হয়। আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ. তাকে “হানাফী মাযহাব সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত” বলেও মন্তব্য করেছেন। ইমাম তহাবী তার আকীদার কিতাবের শুরুতে বলেছেন, তিনি এ কিতাবে যে আকীদাগুলো এনেছেন, তা ইমাম আবু হানীফা, আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ রহ. এর আকীদা। আর ইমাম তহাবীর আকীদা ইমাম মাতুরিদির আকীদা হতে ভিন্ন। তিনি সিফাতের মাসয়ালায় তাবীলের বিপক্ষে।
বর্তমান হানাফী আলেমগণও সিফাতের মাসয়ালায় সালাফের মতোই তাফবীয করেন। হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী রহ. ইমদাদুল ফতোয়ায় এবং আল্লামা তাকী উসমানী দা.বা. তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিমে তাফবীযকেই অধিক নিরাপদ ও সতর্কতার দাবী বলেছেন। আল্লামা সাইদ আহমদ পালনপুরী বলেছেন, বর্তমান আকাবিরে দেওবন্দও তাফবীযের পক্ষে। বরং, এখনো যারা নিজেদেরকে মাতুরিদি বলে পরিচয় দেন তারাও স্পষ্টভাবে বলেন যে, সিফাতের মাসয়ালায় তারা সাধারণত তাফবীয করেন। সুতরাং এখন এ নিয়ে তর্ক অনেকটাই অর্থহীন। খোরাসানের পূর্ববর্তী কিছু হানাফী ফকিহ ইমাম মাতুরিদির অনুসারী ছিল বিধায় এখন কবর খুঁড়ে তাদের আকীদা উদ্ধার করে তা নিয়ে বিতর্কের কি ফায়েদা?
আর আমাদের জিহাদ বৈশ্বিক জিহাদ এবং এর উদ্দেশ্য হলো পুরো ইসলামী বিশ্বজুড়ে এক ইসলামী খেলাফত কায়েম। তাই আমরা বৃহৎ ঐক্যের সার্থে যেমনিভাবে মাযহাবের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট একটি মাযহাবকে তারজীহ দেই না, এর প্রচার করি না, বরং যে এলাকায় যে মাযহাব চলছে, তা অনুযায়ীই ফতোয়া দেই। যদিও কোন কোন মাসয়ালায় তা আমাদের মতের বিপরীত হয়, যতক্ষণ না তা কুরআন-সুন্নাহর স্পষ্ট খেলাফ হয়। তো তেমনিভাবে আল্লাহ তায়ালার সিফাতের ক্ষেত্রেও আমাদের অবস্থান এমনই হওয়া দরকার। আমরা আল্লাহর তায়ালার সিফাতের ব্যাপারে দলিলের আলোকে যার নিকট যে মতটি অগ্রগন্য তা গ্রহণ করবো। কিন্তু তার প্রচার এবং তা নিয়ে দলাদলি করে উম্মাহর ঐক্য ও জিহাদী শক্তিকে বিনষ্ট করা হতে বিরত থাকবো। নতুবা আমরা কখনোই আমাদের পরম কাঙ্খিত, মজলূম মুসলিমদের রক্ষাকবজ, আল্লাহর আইন দ্বারা পরিচালিত এক বৈশ্বিক খেলাফত প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো না।
২। আক্বিদার ক্ষেত্রে বাংলায় একটি নির্ভরযোগ্য আক্বিদার বই রেফার করুন, যেটা থেকে আমি আক্বিদা সংশোধন করতে পারি।
৩। আমি শাইখ রাহমানী যেভাবে আক্বিদা ও মানহাজকে ব্যাখ্যা করতেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমি তা মানি। এটা কী আমার জন্য নিরাপদ?
তবে এই মতভেদ হক-বাতিল বা ইমান-কুফরের নয়, কারণ আল্লামা তাকী উসমানী বলেছেন, আল্লাহ তায়ালার সিফাতের ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত মাযহাবগুলোর সবগুলোই হক। এক্ষেত্রে মতপার্থক্য ইখতেলাফী মাসয়ালায় মুজতাহিদ ফকিহদের মতপার্থক্যের মতোই। তিনি আরো বলেছেন, ইবনে তাইমিয়াহ রহ. এর মতের স্বপক্ষে সালাফের একদল রয়েছেন। (দেখুন, তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম, ৫/৩৭৯-৩৮০ দারু ইহইয়াউত তুরাস) তাই রহমানী সাহেবের আকীদা কমপক্ষে সালাফের একটি দলের আকীদা হবে।
এখন বাকী রইলো, এই মতভেদের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য মত কোনটি। তো আমি আগেও বলেছি, এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোনই প্রয়োজন নেই, আর না এর সময়-সুযোগ ও যোগ্যতা আমাদের আছে। এসব তো আকীদার শাখাগত বিষয়। এরচেয়ে আকীদার মৌলিক বিষয়াদী অর্থাৎ হাকিমিয়্যাত, ওয়ালা-বারা ইত্যাদি ঠিক করা; গণতন্ত্র, নারীবাদ, জিহাদ ও হুদুদ কিসাসের প্রতি ঘৃণার মতো কুফরী বিষয়াদী সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা; আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করা; এ ধরণের কত বড় বড় কাজই তো পড়ে আছে।
এখন বাকী রইলো, এই মতভেদের ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য মত কোনটি। তো আমি আগেও বলেছি, এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কোনই প্রয়োজন নেই, আর না এর সময়-সুযোগ ও যোগ্যতা আমাদের আছে। এসব তো আকীদার শাখাগত বিষয়। এরচেয়ে আকীদার মৌলিক বিষয়াদী অর্থাৎ হাকিমিয়্যাত, ওয়ালা-বারা ইত্যাদি ঠিক করা; গণতন্ত্র, নারীবাদ, জিহাদ ও হুদুদ কিসাসের প্রতি ঘৃণার মতো কুফরী বিষয়াদী সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা; আগ্রাসী শত্রুকে প্রতিহত করা; এ ধরণের কত বড় বড় কাজই তো পড়ে আছে।
৪। গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মহিলাদের জন্য যারা রোযা রাখতে পারে না, তাদের জন্য ফিদিয়া দেয়া যাবে কিনা?
سنن الترمذي ت بشار (2/ 86)
715 - حدثنا أبو كريب، ويوسف بن عيسى، قالا: حدثنا وكيع، قال: حدثنا أبو هلال، عن عبد الله بن سوادة، عن أنس بن مالك، رجل من بني عبد الله بن كعب قال: أغارت علينا خيل رسول الله صلى الله عليه وسلم، فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم، فوجدته يتغدى، فقال: ادن فكل، فقلت: إني صائم، فقال: ادن أحدثك عن الصوم، أو الصيام، إن الله تعالى وضع عن المسافر الصوم، وشطر الصلاة، وعن الحامل أو المرضع الصوم أو الصيام، والله لقد قالهما النبي صلى الله عليه وسلم كليهما أو إحداهما، حديث أنس بن مالك الكعبي حديث حسن
فتح القدير للكمال ابن الهمام (2/ 355)
(والحامل والمرضع إذا خافتا على أنفسهما أو ولديهما أفطرتا وقضتا) دفعا للحرج (ولا كفارة عليهما) لأنه إفطار بعذر (ولا فدية عليهما) خلافا للشافعي - رحمه الله - فيما إذا خافت على الولد،
715 - حدثنا أبو كريب، ويوسف بن عيسى، قالا: حدثنا وكيع، قال: حدثنا أبو هلال، عن عبد الله بن سوادة، عن أنس بن مالك، رجل من بني عبد الله بن كعب قال: أغارت علينا خيل رسول الله صلى الله عليه وسلم، فأتيت رسول الله صلى الله عليه وسلم، فوجدته يتغدى، فقال: ادن فكل، فقلت: إني صائم، فقال: ادن أحدثك عن الصوم، أو الصيام، إن الله تعالى وضع عن المسافر الصوم، وشطر الصلاة، وعن الحامل أو المرضع الصوم أو الصيام، والله لقد قالهما النبي صلى الله عليه وسلم كليهما أو إحداهما، حديث أنس بن مالك الكعبي حديث حسن
فتح القدير للكمال ابن الهمام (2/ 355)
(والحامل والمرضع إذا خافتا على أنفسهما أو ولديهما أفطرتا وقضتا) دفعا للحرج (ولا كفارة عليهما) لأنه إفطار بعذر (ولا فدية عليهما) خلافا للشافعي - رحمه الله - فيما إذا خافت على الولد،
Comment