শুভ্র বসন পরিধান করার সুফল।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা সাদা রঙের পোশাক পরিধান করো। কারণ তোমাদের অন্যান্য রঙের কাপড় ও বস্ত্র থেকে এটি উত্তম। এ সাদা কাপড়েই তোমরা মৃতদের কাফন দিও। (তিরমিযী, আবু দাউদ, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহিহ)।
সাদা রংয়ের পোশাক পরিধান করলে যে সমস্ত উপকার পাওয়া যায় তা নিম্নরূপ:
১। সাদা রঙের পোশাক পরিধান করলে সর্বদা একথা মনে হতে থাকে যে, বাহ্যিকভাবে যেমন আমি শ্বেতশুভ্র বসন ধারণ করেছি, ঠিক তেমনি ভাবে আমার অন্তরটাও শুভ্র হওয়া চাই। মানুষ সদাসর্বদা ম্যাচিং করে পোশাক পরতে ভালোবাসে। তাই বাহ্যিক আবরণ যদি শুভ্র হয় এবং অন্তর যদি কালো হয় তাহলে ম্যাচিং হবে না। তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষ অন্তরকেও শুভ্র করার জন্য চেষ্টা করবে।
২। শুভ্র পোশাক পরিধান করে মানুষ সদাসতর্ক থাকে কারন তা সামান্য ময়লাযুক্ত হলেই স্পষ্টভাবে দেখা যায়। মানুষ এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে যে, ময়লা থেকে যেভাবে কাপড়কে বাঁচানো দরকার ঠিক তেমনি ভাবে অন্তরকেও গুনাহ থেকে বাঁচানো দরকার। তখন মানুষ কাপড়কে ময়লা থেকে বাঁচানোর মতোই অন্তরকে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করবে।
৩। সাদা কাপড় যেমন সামান্য ময়লাযুক্ত হলেই মানুষ তা পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং নিজে নিজে লজ্জিত হতে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে গুনাহের ময়লা দ্বারা অন্তর নোংরা হয়ে গেলেও মানুষ বারবার তওবার মাধ্যমে তা পরিষ্কার করার জন্য সচেষ্ট হবে। পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তার কাছে অস্বস্তি লাগবে।
৪। সাদা কাপড় পড়ে যেমন যেখানে সেখানে যাওয়া যায় না কিংবা বসা যায় না। ঠিক তেমনি শুভ্র অন্তর নিয়েও সকল জায়গায় যাওয়া যায় না এবং আসন গ্রহণ করা যায় না।
৫। সাদা পোশাক পরিধান করলে সদাসর্বদা মনে হয় যেন কাফনের কাপড় পড়ে আছি। যা মানুষের মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ফলে মানুষ সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে।
৬। সাদা পোশাক তুলনামূলকভাবে পরিবেশ থেকে কম তাপ শোষণ করে। ফলে অত্যাধিক গরমের হাত থেকে বাঁচা যায় এবং ঘামও কম হয়।
৭। পোশাক রঙিন করতে যে পরিমাণ রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তার দ্বারা পরিবেশ যেমন ভাবে দূষিত হয়। তেমনি খরচও অনেক বেড়ে যায়।
৮।রং ও আলো বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, সাদা পোশাক হলো ক্যান্সার থেকে প্রতিরক্ষার সর্বোত্তম ওষুধ। এমনকি বিশেষজ্ঞগণের মতে, সাদা পোশাক পরিধানকারী ব্যক্তি ঘামের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ও ছেতো রোগের ন্যায় মারাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে পারে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভদ্র ও মার্জিত পোশাক হলো সাদা পোশাক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের শালীন পোশাক হলো সাদা রঙের ফুল হাতার পোশাক। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ চর্ম, এলার্জি এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের সর্বদা সাদা পোশাক পরিধানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্রোমোপ্যাথি নীতি অনুযায়ী সাদা পোশাক মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড ও চর্মের সংরক্ষক।
এ কারণেই বিশ্বজুড়ে ডাক্তারগণ তাদের পোশাকের ওপর সাদা রঙের অ্যাপ্রোন পরিধান করে থাকেন। প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সাদা পোশাককে বেশি পছন্দ করতেন এবং তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাদা পোশাক পরিধান করতেন।
আমাদের দেশে সুতি, রেশমি, পলিয়েস্টার, উলেন, নাইলন নানা ধরনের কাপড় পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সুতি কাপড়ই বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। সুতি কাপড় সব মৌসুমেই পরা যায়। সেই সাথে গরমের দিনে সুতি কাপড় শরীরের ঘাম শুষে নেয়। সাদা কাপড় পরিধান করা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। তিনি যেমন ছিলেন উম্মতের রূহানী চিকিৎসক, তেমনি ছিলেন শারীরিক চিকিৎসকও। নানা উপকারিতার প্রতি লক্ষ্য রেখেই তিনি সাদা পোশাকের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
আসুন নিজেরা শ্বেত শুভ্র পোশাক পরিধান করি এবং অন্যকেও উৎসাহিত করি।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা সাদা রঙের পোশাক পরিধান করো। কারণ তোমাদের অন্যান্য রঙের কাপড় ও বস্ত্র থেকে এটি উত্তম। এ সাদা কাপড়েই তোমরা মৃতদের কাফন দিও। (তিরমিযী, আবু দাউদ, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহিহ)।
সাদা রংয়ের পোশাক পরিধান করলে যে সমস্ত উপকার পাওয়া যায় তা নিম্নরূপ:
১। সাদা রঙের পোশাক পরিধান করলে সর্বদা একথা মনে হতে থাকে যে, বাহ্যিকভাবে যেমন আমি শ্বেতশুভ্র বসন ধারণ করেছি, ঠিক তেমনি ভাবে আমার অন্তরটাও শুভ্র হওয়া চাই। মানুষ সদাসর্বদা ম্যাচিং করে পোশাক পরতে ভালোবাসে। তাই বাহ্যিক আবরণ যদি শুভ্র হয় এবং অন্তর যদি কালো হয় তাহলে ম্যাচিং হবে না। তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষ অন্তরকেও শুভ্র করার জন্য চেষ্টা করবে।
২। শুভ্র পোশাক পরিধান করে মানুষ সদাসতর্ক থাকে কারন তা সামান্য ময়লাযুক্ত হলেই স্পষ্টভাবে দেখা যায়। মানুষ এখান থেকে শিক্ষা নিতে পারে যে, ময়লা থেকে যেভাবে কাপড়কে বাঁচানো দরকার ঠিক তেমনি ভাবে অন্তরকেও গুনাহ থেকে বাঁচানো দরকার। তখন মানুষ কাপড়কে ময়লা থেকে বাঁচানোর মতোই অন্তরকে গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করবে।
৩। সাদা কাপড় যেমন সামান্য ময়লাযুক্ত হলেই মানুষ তা পরিষ্কার করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং নিজে নিজে লজ্জিত হতে থাকে। ঠিক তেমনি ভাবে গুনাহের ময়লা দ্বারা অন্তর নোংরা হয়ে গেলেও মানুষ বারবার তওবার মাধ্যমে তা পরিষ্কার করার জন্য সচেষ্ট হবে। পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তার কাছে অস্বস্তি লাগবে।
৪। সাদা কাপড় পড়ে যেমন যেখানে সেখানে যাওয়া যায় না কিংবা বসা যায় না। ঠিক তেমনি শুভ্র অন্তর নিয়েও সকল জায়গায় যাওয়া যায় না এবং আসন গ্রহণ করা যায় না।
৫। সাদা পোশাক পরিধান করলে সদাসর্বদা মনে হয় যেন কাফনের কাপড় পড়ে আছি। যা মানুষের মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ফলে মানুষ সকল প্রকার অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে পারে।
৬। সাদা পোশাক তুলনামূলকভাবে পরিবেশ থেকে কম তাপ শোষণ করে। ফলে অত্যাধিক গরমের হাত থেকে বাঁচা যায় এবং ঘামও কম হয়।
৭। পোশাক রঙিন করতে যে পরিমাণ রং ও কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তার দ্বারা পরিবেশ যেমন ভাবে দূষিত হয়। তেমনি খরচও অনেক বেড়ে যায়।
৮।রং ও আলো বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন, সাদা পোশাক হলো ক্যান্সার থেকে প্রতিরক্ষার সর্বোত্তম ওষুধ। এমনকি বিশেষজ্ঞগণের মতে, সাদা পোশাক পরিধানকারী ব্যক্তি ঘামের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার ও ছেতো রোগের ন্যায় মারাত্মক ব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে পারে।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ভদ্র ও মার্জিত পোশাক হলো সাদা পোশাক। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যে কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের শালীন পোশাক হলো সাদা রঙের ফুল হাতার পোশাক। চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ চর্ম, এলার্জি এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত রোগীদের সর্বদা সাদা পোশাক পরিধানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ক্রোমোপ্যাথি নীতি অনুযায়ী সাদা পোশাক মস্তিষ্ক, হৃদপিন্ড ও চর্মের সংরক্ষক।
এ কারণেই বিশ্বজুড়ে ডাক্তারগণ তাদের পোশাকের ওপর সাদা রঙের অ্যাপ্রোন পরিধান করে থাকেন। প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও সাদা পোশাককে বেশি পছন্দ করতেন এবং তিনি অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাদা পোশাক পরিধান করতেন।
আমাদের দেশে সুতি, রেশমি, পলিয়েস্টার, উলেন, নাইলন নানা ধরনের কাপড় পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সুতি কাপড়ই বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। সুতি কাপড় সব মৌসুমেই পরা যায়। সেই সাথে গরমের দিনে সুতি কাপড় শরীরের ঘাম শুষে নেয়। সাদা কাপড় পরিধান করা প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। তিনি যেমন ছিলেন উম্মতের রূহানী চিকিৎসক, তেমনি ছিলেন শারীরিক চিকিৎসকও। নানা উপকারিতার প্রতি লক্ষ্য রেখেই তিনি সাদা পোশাকের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।
আসুন নিজেরা শ্বেত শুভ্র পোশাক পরিধান করি এবং অন্যকেও উৎসাহিত করি।
Comment