Announcement

Collapse
No announcement yet.

জামিনে বের হওয়াকে যারা নির্বাচন বৈধ হওয়ার জন্য পাথেয় ভাবছেন, আর তাগুত বর্জনে শিথিলতা ভাবছেন, সেই ভাইদের প্রতি বার্তা- “এই ধৃষ্টতা আর কতদিন?”

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জামিনে বের হওয়াকে যারা নির্বাচন বৈধ হওয়ার জন্য পাথেয় ভাবছেন, আর তাগুত বর্জনে শিথিলতা ভাবছেন, সেই ভাইদের প্রতি বার্তা- “এই ধৃষ্টতা আর কতদিন?”

    #কুফরি_কাজ_দুই_প্রকার
    ১। শর্তহীন
    ২। শর্তযুক্ত

    #শর্তহীন_কুফরি_কাজঃ
    এমন কুফর যা কুফর হওয়ার জন্য কোন শর্তযুক্ত নয়। বরং তা করলে মানুষ ইমানের গণ্ডি থেকে বেড়িয়ে যায়।
    যেমন- আল্লাহকে অস্বীকার করা, খতমে নবুয়তকে অস্বীকার করা ইত্যাদি ইত্যাদি

    #শর্তযুক্ত_কুফরঃ
    এমন কুফরি কাজ,
    যা সত্বাগত কুফর হওয়া সত্বেও তা কোনো শর্তের সাথে সম্পৃক্ত।
    যেমন তাগুতের কাছে বিচার নিয়ে যাওয়া।
    #এর_শর্ত_হলো যখন শরঈ আদালত/বিচারের অবস্থা থাকার পরও যদি কোন ব্যক্তি তাগুতের কাছেই যায় বিচার নিয়ে তাহলে এর অর্থ দাড়াবে
    ১) হয়তো সে শরীয়তের বিচারকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করলো।
    ২) নয়তো শরীয়তকে সে ইনসাফভিত্তিক মনে করলোনা।
    ৩) অথবা সে শরীয়াহকে অপূর্ণাঙ্গ মনে করলো।
    অথচ উক্ত তিনটির প্রতিটিই কুফর।

    #সারকথাঃ
    ১। যখন আপনার এলাকায় শরীয়াহর ভিত্তিক কোর্ট থাকবে, তখন যদি আপনি সেই শরঈ শাসনব্যবস্থা এড়িয়ে কুফরি শাসনব্যবস্থার দিকে যান তাহলে আপনাকে তাকফিরের মুখোমুখি হতে হবে।

    ২। কিন্তু যদি আপনি থাকেনই এমন রাষ্ট্রে যেখানের মূল শাসনব্যবস্থাই হলো তাগুতি সেখানে তো আপনি মা'জুর বিল-হাল বা পরিস্থিতির স্বীকার।
    তাই তখন কুফরি কাজটিও আপনার উপর প্রভাব ফেলবেনা।
    অর্থাৎ আপনার জন্য রোখসত বা সুযোগ থাকবে।

    #নোটঃ
    শত্রুর কবলে পড়ার পর কোনো মাজলুমের জামিনের আবেদন করা, বিচার চাওয়ার অন্তর্ভুক্তও নয়।

    [১]
    #কারণ- তাহাকুম [বিচার চাওয়া]
    ও ইসতি'য়ানাহ[সাহায্য চাওয়া] উভয়ের মাঝে পার্থক্য রয়েছে।

    ☞ তাহাকুম অর্থ একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিচার চাওয়া [আর এটা গাইরুল্লাহ/ গাইরুশ শারীয়াহর কাছে যাওয়ার কুফর তো সুস্পষ্ট, তবে তা শর্তযুক্ত যেমনটি উপরে বলা হয়েছে]

    ☞ আর ইস্তি'য়ানাহ অর্থ সাহায্য চাওয়া,
    [কাফেরের থেকে সাহায্যগ্রহন বৈধ, এই বিষয়ে বহু দৃষ্টান্ত নবীগনের মাঝেই বিদ্যমান,
    হজরত ইউসুফের সাহায্য চাওয়া ওই মুশরিকের কাছে যে বাদশাহর পানী পান করানোর দায়িত্ব পেয়েছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি]

    #কথাগুলো_কেন_ও_কাদের_জন্য_বলাঃ

    ইদানিং এক মুহতারাম মুওয়াহিদ মুজাহিদ ওলামার মুক্তি নিয়ে কিছু লেখা নজরে আসছে,

    কথাগুলো ঠিক এরকম-
    ১। তাকে ভালোবাসতাম,
    কিন্তু তাগুতের সাথে আপোষ করে জামিনে বের হওয়াটা আমার পছন্দ হয়নি।

    ২। তিনি গনতন্ত্রকে হারাম ও কুফর বলে, তাহলে সেই প্রক্রিয়ায় জামিনে বের হলেন কেন??

    ৩। গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচনে যাওয়া হারাম বলনেওয়ালা কেন কুফরি প্রক্রিয়ায় জামিনে আসলেন?

    ৪। তাগুতকে প্রত্যাখ্যানের দাবিদার কেন তাগুতি পন্থায় জামিনে??

    ৫। নিজের বেলায় কুরু কুরু অপরের বেলায় মাকরুহ? ইত্যাদি ইত্যাদি

    কথাগুলো অনেকেই বলেছেন আবার অনেকেরই হৃদয়ে রয়েছে।

    #উপরের_বক্তব্যগুলো_মিলালে_দুটি_দল_সামনে_আসবেঃ

    #একঃ
    আ'ই'এ'স দাবিদার কিছু মূ্র্খ [আ'ই'এ'সে'র বাংলাদোশী আবেগী কিছু সমর্থক দেখেছিলাম
    যারা জামিনে বের হওয়াকেও কুফরি বলে, তবে সবাই নয়, কারণ আমার জানামতে অনেক আ'ই'এ'স সদস্যদের জামিনের আবেদন বাংলাদেশে হয় এবং পৃথিবীতে অন্যান্য জায়গায়ও হয়,

    এর মানে আ'ই'এ'সে'রও মূল মাজহাব হলো জামিন বৈধ, কারণ উপরেই বলা হয়েছে]

    #এদের_জওয়াবে_বলবোঃ
    এরা মূলত শরীয়াহকে নিজ থেকেই বুঝে ও বুঝতে চায়,
    মূল সমস্যা এখানেই।
    হ্যাঁ! মূল সমস্যা এখানেই,
    যখন আপনি শরীয়াহকে উলামাগনের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বুঝবেন তখন আপনি শরীয়তের মেজাজ বুঝতে পারবেন,
    নতুবা আপনি ভ্রষ্টতায় নিপতিত হবেন নিশ্চিত।

    #দুইঃ
    চরমোনাই, জামাত ইসলামি বা এজাতীয় দল যারা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলাম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে তারা এসমস্ত কথা বলে যে, গনতন্ত্র কুফর ও হারাম, এর প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েম করা হারাম, তাহলে জামিনে কীভাবে বের হওয়া বৈধ হয়? #এর_জওয়াবে_আমরা_কিছু_কথা_বলবোঃ আসলে এসব মন্তব্য যারা করেন তারা মূলতই দারুল ইসলাম ও দারুল কুফুরের মাসআলা সম্পর্কে হয়তো অজ্ঞ নয়তো সত্য গোপনকারী #কারণ: “হালাতুল ওজরে” বা প্রয়োজনবোধে কুকুর ও শুকর খাওয়া ইসলাম বৈধ করেছে, মাসআলাটা শুধু কুকুর আর শুকরের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয় বরং এর হুকুমটি ব্যাপক। যেহেতু ইসলামি শরীয়াহ নেই, এবং ইসলামি শরীয়াহ মুতাবেক কোন বিচারবিভাগ নেই, তাই আমরা চাইলেও শরীয়াহ মুতাবেক বিচারের কাছ থেকে সমাধান নিতে পারবোনা। অথচ আমাদের প্রয়োজন রয়েছে, তাই আমরা সেই বিষয়ে মাজুর বিল-হাল বা পরিস্থিতির স্বীকার। #কিন্তু; “জামিনে বের হওয়া বৈধ হলে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দ্বীন কায়েমের জন্য চেষ্টা করাও বৈধ হবে” এই বুঝ যারা বুঝে বসে আছেন তাদেরকে বলছি। কারাগারে গেলে বের হওয়া যেমন জরুরত, দ্বীন কায়েমের জন্য গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করাও কি তেমনই জরুরত?? #দেখুন- “আমরা দ্বীন কায়েম করবো এই বিষয়ে আদিষ্ট” কিন্তু দ্বীন কায়েমের মূল পথ ও পন্থা সুস্পষ্ট আর তা হলো নবাবী পদ্ধতি [বিশুদ্ধ তাওহীদের দিকে আহ্বান ও জিহাদ]। আর গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচন করা না তো কোন শরঈ দাওয়াহ আর না তো শরঈ জিহাদ, তাই গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচনে গিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সময় ব্যায় করার নূন্যতম কোন আবশ্যকীয়তাও আমাদের নেই। অতএব “দ্বীন কায়েমের নামে অনাবশ্যক, নিষ্ক্রিয় এক ভ্রষ্ট মানহাজ গনতন্ত্র'কে কথিত “জরুরত” এর স্থানে রেখে মূল জরুরতের মাপকাঠি বিলুপ্ত করার এই অবাঞ্ছিত মানহাজ কোথা থেকে আমদানী হলো.??? মৌলিকভাবেই জামিনে বের হওয়ার মাসআলা আর গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচনে গিয়ে ইসলাম প্রতিষ্ঠার চেষ্টা বৈধ হওয়ার মাআলা কখনই এক নয়। নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কি জীবনীতে দারুল কুফরে ছিলেন এবং প্রয়োজনে তাদের থেকে বিভিন্ন সাহায্যও নিয়েছেন [সিরাতের গ্রন্থগুলোই এর প্রমাণ] এমনকি হিজরতের সময়ও এক মুশরিকের সাহায্য নিয়েছেন। [তাই দারুল কুফর হিসেবে শর্তসাপেক্ষে এই বাংলাদেশেও থাকা ও চলাচল শররয়াহ অনুমতি দিয়েছে] কিন্তু “দ্বীন কায়েমের অজুহাতে কুফরি কোন কাজ নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনোই করেননি।
    তাই গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যে বিদআতি প্রক্রিয়া তা সহজেই অনুমেয়। তাই যারা দুটিকে গুলিয়ে ফেলছি তাদের মূলত নিজেদের উপর আফসোস করা দরকার।

    —————
    -মাফহুমুল হাকিমিয়্যাহ,
    আ'ব্দু'ল্লাহ আ'য'যাম রহ.১২-১৩; মুনতাদাল আসইলাহ,
    প্রশ্ন নং ৫৭৭,
    আবু মু'হা'ম্মা'দ আ'ল'মা'ক'দিসি
    ✍️এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন

  • #2
    মূলত ইতেকাদের সাথে বা তাগুতকে বিধান প্রনেতা মনে করে বা জায়েয মনে করে তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থনা করা কুফরি। এবং ইতেকাদ ব্যতীত এবং তাগুতকে বিধান প্রনেতা মনে না করে এবং তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থনাকে বৈধ মনে না করে তাগুতের কাছে বিচার প্রার্থনা করা ফাসেকি বা গুনাহের কাজ আর আমরা জানি যে কোন ফাসেকি পর্যায়ের গুনাহের কাজ জরুরতের কারণে জায়েয হয়ে যায় الضر ورة تبيح المحضوراتসুতরাং তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া যদি তাগুতের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা ব্যতিত জরুরতের কারণে হয়ে থাকে এবং যে হক আদায় করতে চাচ্ছে তা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তার জন্য সাব্যস্ত হয়ে থাকে তাহলে জায়েয এবং এটি ঐ সময় জরুরতের অন্তর্ভুক্ত হবে যখন তাগুতকে বিতারিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরেও তাকে বিতারিত করা যায় না । আর যদি তাগুতের কাছে বিচার চাওয়ার কোন জরুরত না থাকে তাহলে তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া হারাম সুতরাং ইসলামী বিচার ব্যবস্থার বিদ্যমান থাকা কালে তাগুতের কাছে বিচার চাওয়া হারাম । সুতরাং নির্বাচন যেহেতু কুফরি পর্যায়ের গুনাহের অন্তর্ভুক্ত তাই এটি কখন জরুরতের কারনে জায়েয হবে না তবে যদি কেউ কারো মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নির্বাচন করতে বাধ্য করে তাহলে জায়েয হতে পারে এবং আমরা দেখতে পাই বন্দিকে মুক্ত করতে দারুল হরবের লোকদের থেকে ধোঁকা দিয়ে জাল টাকা বা জাল পন্য দিয়ে বন্দি ক্রয় করা জায়েয কারণ এটিতে শুধু তাদেরকে ঠোকান হচ্ছে এবং এখানে উক্ত ব্যক্তি কোন গুনাহে লিপ্ত হচ্ছে না যখন হরবিকে হত্যা করা বৈধ তখন তাকে ঠোকানও বৈধ অথবা যখন তারা আমাদের হক নষ্ট করে আমাদের কাউকে বন্দি করে নিয়ে গেছে তখন আমরা তাদের হক নষ্ট করে আমাদের কাউকে বন্দি দশা থেকে ছিনিয়ে আনব এবং এটা হল বন্দি মুক্তির একটি কৌশল মূলত এটা কোন ক্রয় বিক্রয় নয় এবং সক্ষমতা অনুযায়ী বন্দি মুক্তির একটি কৌশল সুতরাং বন্দিকে মুক্ত করতে হলে তাদেরকে প্রতারিত করা যাবে এবং এখানে যদি বিচার প্রক্রিয়ায় বের করা যায় তাই করা যেতে পারে কারণ উপরোক্ত সুরতে যেমনি ভাবে এটি ক্রয় বিক্রয় থাকবে না তেমনি ভাবে এই সূরতেও এটি বিচার প্রার্থনা হিসেবে থাকবে না বরং এটি হবে তাকে মুক্তির একটি কৌশল তবে এখানে সে কোন গুনাহে লিপ্ত হতে পারবেনা কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও বন্দির বিনিময়ে বন্দি মুক্ত করেছেন এটাকে কেউ তাদের কাছে বিচার প্রার্থনা বলে না সুতরাং এখানে মুখ্য উদ্দেশ্য হল তাকে মুক্ত করা দলিল رَجُلٌ اشْتَرَى الْأَسِيرَ مِنْ أَهْلِ الْحَرْبِ وَأَعْطَاهُمْ الزُّيُوفَ وَالسَّتُّوقَةَ أَوْ اشْتَرَى بِعُرُوضٍ وَأَعْطَاهُمْ الْعُرُوضَ الْمَغْشُوشَةَ جَازَ؛ لِأَنَّ شِرَاءَ الْأَحْرَارِ لَيْسَ بِشِرَاءٍ لِيَجِبَ عَلَيْهِ الْمَالُ الْمُسَمَّى لَكِنَّهُ طَرِيقٌ لِتَخْلِيصِهِمْ فَكَيْفَمَا اسْتَطَاعَ تَخْلِيصَهُمْ لَهُ أَنْ يَفْعَلَ পক্ষান্তরে নির্বাচনের মুখ্য উদ্দেশ্য কি? যদি খেলাফত কায়েম হয়ে থাকে
    তাহলেতো এখানো শরিয়তের আদেশ অমান্য করা হচ্ছে এবং এটি স্বয়ংক্রিফয়ভাবে একটি গুনাহের কাজ বরং নিজেরাই গুনাহের লিপ্ত হচ্ছে ।এই প্রক্রিয়ায় নিজেরাই হারিয়ে যাচ্ছে তাই এটাকে খেলাফত কায়েমের পথ বলা যেতে পারে না এটা গুনাহের পথ । গুনাহের পথ আর খেলাফত মত পুতঃপবিত্র পথ কখনো এক হতে পারে না । গুনাহের পথ মানেইতো এটা খেলাফত ন য়। তাই এখানে বিচার চাওয়া এবং নির্বাচন করা এক নয় । বিচার চাওয়া মানে আল্লাহর বন্দাকে যেই হক দান করেছে তা আদায় করা আর নির্বাচন করা মানে কুফরি প্রতিষ্ঠা করা দুটোর মাঝে আকাশ পাতাল ব্যবধান রয়েছে কারণ নির্বাচন যদি কুফরি প্রতিষ্ঠার হাতিয়ার না হত তাহলে তারা সর্বদা নির্বাচনের বিরোধিতা করতো এবং চুরান্ত পর্যায়ের অপারগতা ব্যতিত নির্বাচনে যেত না সুতরাং তারা যেহেতু স্বতঃস্ফূর্তভাবে এতে অংশগ্রহণ করছে এবং এতে পড়ে রয়েছে তাই তারা কুফরি প্রতিষ্ঠা করছে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম যে মুসলিমরা আল্লাহর বিধান দ্বারা সাব্যস্ত কোন পাওনা হক তাগুতের সাহায্যের মাধ্যমে আদায় করছে এখানে তাগুতকে তারা বিচারক মানছে না বরং তার সাহায্য গ্রহন করছে যদিও তাগুতকে বর্জন করা ফরজ পক্ষান্তরে এখানে নির্বাচন অন্যকিছু হবার সম্ভাবনা রাখে না বরং এটি নির্বাচনই কেবল যা স্পষ্ট কুফরি।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        এবং তাগুতের সাহায্যে নিজের হক আদায় করা গেলেও খেলাফত আদায় করা যাচ্ছে না কারণ খেলাফত ব্যক্তিগত হক নয় বরং আল্লাহর হক আর নির্বাচনের মাধ্যমে আল্লাহর হক আদায় করা যাচ্ছে না বরং আল্লাহর হক নষ্ট হচ্ছে ।কারণ নির্বাচন গঠন গত ভাবেই কুফরি কিন্তু কারো কাছে নিজের হক তালাশ করা গঠন গত ভাবে কুফরি নয় বরং এখানে তাগুতকে বর্জন না করার কারণে গুনাহগার হচ্ছে ।তাই তারা যেহেতু তাগুতকে বর্জন করতে অক্ষম হয়ে গিয়েছে তাই আশা করা যায় মুসলিমরা গুনাহ গার হবে না।
        পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তাওফিক বাড়িয়ে দিন।

          Comment


          • #6
            জাজাকাল্লাহ সময় উপযোগী আলোচনা অনলাইনে চড়িয়ে দিলে আশা করি অনেকে উপকৃত হবে।

            Comment


            • #7
              এবং আমরা দেখতে পাই যে যেসব গুনাহ সবচেয়ে বড় হয় ,সে গুনাহ থেকে ততবেশি শক্তি দিয়ে বেঁচে থাকতে হয় । এবং সে পরিমাণ শক্তি দিয়ে বেঁচে থাকতে অক্ষম হলে ঐ গুনাহটিতে বাধ্য হয়ে লিপ্ত হওয়া বৈধ হয়ে যায়। এবং আমরা দেখতে পাই যে কুফরি হল সবচেয়ে বড় গুনাহ তাই কুফরি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা জীবনের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে করতে হবে ।আর জীবনের সর্বোচ্চ শক্তি ব্যয় করা ঐ সময় প্রমাণিত হবে যখন তার জীবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে বা জীবনকে বাঁচানোর জন্য অন্য কোন পন্থা আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দৃষ্টি গোচর হবে। সুতরাং যখন জীবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে বা জীবনকে বাঁচানোর জন্য অন্য কোন পন্থা থাকছে না বলে বিবেচিত হবে তখন কুফরি বাক্য মুখ দিয়ে উচ্চারণ করা বৈধ হবে। অন্যথায় নয়। এবং কুফরি পর্যায়ের গুনাহের নিন্ম পর্যায়ের গুনাহ হল ফাসিকি পর্যায়ের গুনাহ । যেহেতু এটি কুফরির নিন্ম পর্যায়ের গুনাহ তাই তার থেকে বেঁচে থাকার চাপও কুফরি গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চাপ থেকে কম হবে এবং তাগুতের সাহায্যে নিজের হক আদায় করা হল ফাসেকি পর্যায়ের গুনাহ
              আর ফাসেকি পর্যায়ের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চাপ কুফরি পর্যায়ের গুনাহের থেকে কম হবার কারণে যেই ধরনের অক্ষমতার দরুন কুফরি বাক্য উচ্চারণ করা বৈধ হয়ে যায় তার থেকে নিন্মমানের অক্ষমতার কারনে ফাসেকি পর্যায়ের গুনাহ বৈধ হয়ে যায়। আর জীবনের ভয় থাকলে যেহেতু কুফরি বাক্য উচ্চারণ বৈধ তাই এর থেকে নিম্নমানের পরিস্থিতি তৈরি হলে ফাসেকি পর্যায়ের গুনাহ বৈধ আর তা হল জীবন যাত্রার মান ধ্বংস হয়ে যাওয়া বা ধ্বংসের দিকে চলে যেতে থাকা সুতরাং এখানে তাগুতকে পরিহার করলে যেহেতু এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাই এই ধরনের অপারগতার কারণে তাগুতের সাহায্যে নিজের হক আদায় করা বৈধ হচ্ছে। এমনি ভাবে জামায়াত ছেড়ে দেওয়া এবং মাকরুহে তাহরিমির কাজ এর থেকেও নিন্মমানের গুনাহ তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এসকল বিষয় সাধারন সাধারণ ওজর আপত্তির কারণে বৈধ হয়ে যেতে ।
              পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

              Comment

              Working...
              X