Tweet
📌 নির্বাচনমুখি ইসলামপন্থিদলগুলো উম্মাহ কী দিতে পারল ❓ পর্যালোচনা মূলক আলোচনা - ১
নির্বাচনমুখি ইসলামপন্থিদলগুলো-১
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের অবদান কী?
- কথা হলো ধর্মীয় রাজনীতির সফলতা ও ব্যার্থতা নিয়ে।
চরমোনাইয়ের অনেক অবদান রয়েছে তা ব্যক্তিকেন্দ্রিক ইসলামের ক্ষেত্রে।
যেমন আমার ঘরের সামনেই একটি বাড়ি আছে। সেই বাড়ীর ছোট ছেলে [বয়সে আমার বড়]
তিনি চরমোনাই গিয়ে পরহেজগার হয়েছেন। তিনি হাড়ভাংগা খাটুনি খেটেছেন তবুও হারাম উপার্জন থেকে বেঁচে থেকেছেন, তিনি সৎ ও একজন মুত্তাকি যুবক এটা আমি বলতেই পারি।
আর এসব কিছুই তার চরমোনাইয়ের অবদান।
সুতরাং এদেশের অনেক সাধারণ জনগনের উপর চরমোনাইয়ের ইহসান রয়েছে,
এটা আমি আরো আগ থেকেই বলে আসছি। কিন্তু আমাদের কথা ধর্মীয় রাজনীতির বিষয়ে।
এক্ষেত্রে তাদের সফলতা কী?
১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই দলটি ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৩৫ বছরে এই দলটি ৩৫০ আসনের একটি আসনও পায়নি
আর ১২টি সিটি কর্পোরেশনের থেকে একটিও পায়নি।
আমরা কিছু সময়ের জন্য শরঈ দৃষ্টিভঙ্গি না দিয়ে সাধারণ ভাবেই দেখি।
একটি আন্দোলন যার নেতারা বারংবারই বলছে তারা সফল তারা সফল কিন্তু এই ৩৫ বছরে সংসদের একটি আসনও যার অর্জন হয়নি, তার সফলতার সংজ্ঞা কী?
দেখুন নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আজ পর্যন্ত ইসলামি যতগুলো আন্দোলন হয়েছে ২০ বছরের মধ্যেই তারা কোনোনা কোনো সফলতা দেখিয়েছেন জাতিকে।
সর্বশেষ তা'লি'বানের কথাই ধরুন। আমরা অনেকেই তখন বলেছিলাম তা'লি'বা'ন সঠিক পথে নেই।
[ধরুন কিছু সময়ের জন্য মেনে নিলাম]
কিন্তু আমাদের দৃষ্টিতে সঠিক পথে না থেকেও তারা ২১ বছরের মাথাতেই তাদের দৃষ্টিতে সঠিকপন্থা হওয়ার কারণে তারা একটি সফলতা আমাদেরকে দেখিয়েছে।
আপনারা ৩৫ বছরের কী পেরেছেন? এক ইঞ্চি ভূমি দখল?
শরীয়াহ কায়েম? আমীরুল মুমিনিন? জিহাদি কেন্দ্র? মুজাহিদ বাহিনী? অস্ত্র?
একটি অর্থনৈতিক অবকাঠামো?
কী দিলেন? কোনো মুসলিমকে মুক্তি দেয়া [হ্যাঁ নিজের দলীয় লোকদের ছাড়াতে পেরেছেন]
আপনারা দেখি এটা বলছেন যে আমরা সফলতা অর্জন করতেছি, আর সেই “সফলতা”র ব্যখ্যায় আপনারাই বুঝাচ্ছেন জনগনের অধিক সমাগম, মানুষ বেশি ইত্যাদি ইত্যাদি। হাস্যকর!
এগুলোকে সফলতা বলে?
জিহাদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে অপব্যখ্যা করা, কুফরি গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার নির্বাচনকে জিহাদ বলা, জনগনকে কুফরি গনতান্ত্রিক গোলকধাঁধায় আবদ্ধ করা, তাওহীদের মৌলিক ইলম ও ফাহম থেকে বঞ্চিত রাখা, গনতন্ত্রের মূল ধোঁকা গোপন করা, গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মূল সমস্যা গোপন করা, গনতান্ত্রিক দলের কাছে নিজেদের পরাজয় গোপন করা, নিজেদের ইজ্জত বিসর্জন দেয়া, এমন কিছু সদস্য তৈরি করা
যারা জিহাদিদেরকে ঘৃণা করে,
যারা জিহাদিদেরকে গ্রেফতার করায়, যারা জিহাদিদেরকে কাফেরদের চাইতেও বেশি ঘৃণা করে,
যারা মাদ্রাসায় গোয়েন্দা হয়ে থাকে, যারা মডারেট ইসলাম প্রচার করে, অনেকেই দেখলাম
“আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ”র
[যিনি চেয়ারম্যান হিসেবে কিছু কথা বলাতে ক'দিন আগেই বিতর্কিত হলেন]
পরাজয়, লজ্জা ও লাঞ্চনাকে সফলতা ও সাহসিকতা বলে উপস্থাপন করেছেন [নাউজুবিল্লাহ] এটা স্পষ্টই নির্বুদ্ধিতা বৈ কিছুনা। কারণ-
☞ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবিধানের বাহিরে গিয়ে কিছু করার ক্ষমতা তার নেই [যেমনটি তিনিই বলেছেন]
☞ তিনি এও দাবি করেছেন যে, তিনি আসলে এমনটি বলেননি, বরং তার কথাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে
[কথা হলো তিনি কেমনটি বুঝাতে চাননি, আর ভুলভাবে উপস্থাপন' এই ভুলটা মূলত কী?] ☞ আসলে তিনি যখন চাপে পড়েছেন তখনই তার “সমাজ থেকে অশ্লীলতা দূর করবো” এই মানহাজটি পরিবর্তন করে ফেললো।
☞ যদি তিনি এমনটিই বলে থাকেন যে, সংবিধান বাস্তবায়ন ই আমার কাজ তাহলে, বাল্য বিবাহ নামে ইসলামি শরীয়াহ সিদ্ধ বিবাহও কী তিনি বন্ধ করবেন?
গান-বাজনা কি চালু রাখবেন? মদের জন্য কী সাহায্যকারী হবেন? যদি না হন তাহলে আমার দায়িত্ব সংবিধান বাস্তবায়ন করা এই কথাটির অর্থ কী?
☞ আমরা বারবার বলে আসছি গনতন্ত্র একটি গণ্ডি, এর মধ্যে ঢুকে গেলে এরই দেয়া উচ্ছিষ্ট ছাড়া আপনি কিছুই পাবেননা
[যেমনটি দেখালাম] ইনশাআল্লাহ কথা হবে এ নিয়ে দীর্ঘ, পর্যালোচনা হবে অনেক এবং বিশ্লেষণ হবে যে,
তাদের শুধু রাজনৈতিক নয় বরং ধর্মীয় পদস্খলনই হয়েছে অনেক। চলবে......
✍️ এক মুওয়াহিদ
Comment