বিস্ময়কর ব্যাপার হল শুধু উসামাহ্ আর আইমানের আল-ক্বা’ইদাহ্ই না, বরং খোদ আইসিসের সবচেয়ে বড় তাত্ত্বিকরাও একই অবস্থানের কথাই ইতিপূর্বে বলেছে___
তুর্কি বিন’আলী__(তাদের প্রধান শার’ঈ) ইন্টারনেটে প্রচারিত
অডিও রেকর্ডিং এ বলেছে:
“শি’আদের ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে মতপার্থক্য আছে…
এবং ব্যক্তিগত ভাবেও প্রত্যেক শি’আ কি কুফরের উপর আছে,
নাকি তাদের কুফর হল দলগত ভাবে কোন দলের কুফরের উপর থাকার অনুরূপ,
সেটার ব্যাপারেও মতপার্থক্য রয়েছে…
আমরা এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান এভাবেই উপস্থাপন করি যে, যখন সালাফগণ ইমামিয়্যাহ শি’আদের তাকফির করেছিলেন,
তখনও তারা কি শুধুমাত্র দলগতভাবে কাফির নাকি তারা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে কাফির,
এ ব্যাপারে সালাফগণের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল।
সংক্ষিপ্তভাবে এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হল, তাদের মধ্যে যারা দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং মুসলিমদের উপর শক্তি প্রয়োগ করেছে,
তাদের প্রত্যেকের উপর ব্যক্তিগতভাবে তাকফির করা হবে, যেমন : রাফিদা সরকার এবং
রাফিদা মিলিশিয়াদের উপর।
আর যারা তাদের মত না তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আলাদা ভাবে বিচার করতে হবে।
দেখতে হবে তারা কি সুস্পষ্টভাবে ইমান নষ্টকারী কোন কাজ করেছে কি না।
এবং সে অনুযায়ী সে ব্যক্তির ব্যাপারে হুকুম হবে।
যদি সে (সুস্পষ্ট ভাবে ইমান নষ্টকারী কোন আমল) করে থাকে
তবে তার উপর তাকফির করা হবে। অন্যথায় করা হবে না।
এবং আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।”
আরো অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে যে, বেশিরভাগের মুজাহিদিনের মতও এটিই।
আবু মুস’আব আস-সুরী বলেন, “জা’ফরী শিয়া –‘আল-ইমামিয়্যাহ’, হল ইরানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, এবং লেবানন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংখ্যালঘু…
এবং অধিকাংশ জিহাদি (জামা’আহ) এদেরকে গোমরাহ বিদা’আতি বলে মনে করে।
যদিও কিছু জিহাদি শি’আদের ঢালাওভাবে কাফির ঘোষণা করেছে।
তবে বেশিরভাগ জিহাদিরা শি’আদের মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত আহলুল ক্বিবলা (যারা ক্বা’বার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করে) বলে গণ্য করে
যারা গোমরাহ হয়েছে এবং বিদ’আতি।”[11] বরং এমনকি শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসীও
এই মতই গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেছেন,
“এই ব্যাপারে আমার মত হল, আমি মূলত এই ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইব্ন তাইমিয়্যাহর মতের অনুসরণ করি যে শি’আদের সাধারণ জনগণের উপর তাকফির করা হবে না…
শিয়াদের জনসাধারণদের মধ্যেও এমনও লোক আছে যারা কিনা সালাত অথবা সিয়াম বাদে (দ্বীনের) আর কিছুর ব্যাপারেই ধারণা রাখে না, এবং আক্বীদার ক্ষেত্রেও বিস্তারিত কোন জ্ঞানই তাদের নেই।
যেমন, কুরআন বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং আরো শি’আদের এধরনের যেসব ঈমান ভঙ্গকারী আক্বীদাসমূহ রয়েছে, যেগুলো উপর ভিত্তি করে আহলুস সুন্নাহ রাফিদা শি’আদের উপর তাকফির করে,
এরকম অনেক কিছুর ব্যাপারে সাধারণ শি’আদের অনেকেরই কোন ধারণাই নেই।”[12]
এবং শায়খ আল-মাক্বদিসীর এ বক্তব্য সত্ত্বেও, এবক্তব্যের প্রত্যুত্তর দেয়ার সময় শায়খ আয-যারক্বাউয়ি তাকে বলেন নি যে,
“আপনি পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেন কারণ শি’আদের সাধারণ জনগনকে আপনি কাফির ঘোষণা করেন না।” বরং তিনি তাকে বলেছেন,
“হে মহান শায়খ! আপনি জেনে রাখুন, আমি নিজের ব্যাপারে সন্দেহপোষণ করতে পারি,
কিন্তু দ্বীনের ব্যাপারে আপনার প্রতি সন্দেহকারীদের মধ্য হতে আমি নই…
শেষ করার আগে আমি বলতে চাই, শায়খ মাক্বদিসী,
আল্লাহ তাকে হিফাযাত করুক, হচ্ছেন তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের মর্যাদা এবং প্রচেষ্টার প্রতি সবার খেয়াল রাখা উচিৎ।
এবং তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত,
যাদের ব্যাপারে শুধুমাত্র সুধারনাই রাখা যায়।
এবং যারা অজুহাত পাবার এবং ভুলের ক্ষেত্রে ক্ষমা পাবার সর্বাধিক যোগ্য।
এবং আমি মনে করি না যে বর্তমানে এমন কোন মুওয়াহিদ
(তাওহিদের অনুসরণকারী) আছে, যে কিনা শায়খের দ্বারা উপকৃত হয় নি, যে শায়খের কাছে কৃতজ্ঞ না।
সুতরাং যদি কোন ব্যাপারে তার ভুল হয়ে থাকে তবে তার অর্থ এই না যে, তার অবস্থান এবং জ্ঞানকে অপমান করতে হবে, এবং তার অতীত অবদান এবং ত্যাগকে ভুলে যেতে হবে।”
[13] এবং শি’আদের ব্যাপারে শায়খ আল-মাক্বদিসী এরকম অবস্থান গ্রহন করা সত্ত্বেও আইসিস চেষ্টা করেছিল শায়খকে নিজেদের দলে টানার, এবং তখন তারা বলে নি শায়খ পথভ্রষ্ট হয়ে গেছেন।
তুর্কি আল-বিন’আলি তার প্রাক্তন শিক্ষক শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল –
“বস্তুত আমীরুল মু’মিনীন আবু বকর আল-বাগদাদি, জানিয়েছিলেন যে
তিনি আপনাকে তার কাছে নিয়ে আসতে পারেন,
কিন্তু আপনি সেটাতে সক্ষম হন নি, যদিও সে সময় আপনি একাধিকবার গাযা ও খুরাসানে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।”
[14] অবাক করা বিষয় হচ্ছে যে, যাদের মানহাজই ভুল
(আইসিসের দাবি অনুযায়ী), একদিকে আইসিস তাদেরকে নিজেদের দলে আনার চেষ্টা করছে কিন্তু সিরিয়ার কোন দলে যদি কোন ধূমপায়ী থাকে তখন সেটার কারনে তারা সে দলের সমালোচনায় উঠে পড়ে লাগছে!
আর ঢালাও ভাবে সব রাফিদাকে হামলার নিশানা না বানানো যদি গোমরাহি হয়,
তাহলে আবু মুস’আব আয-যারক্বাউয়ি গোমরাহদের অন্তর্ভুক্ত।
কারন তিনি রাফিদাদের কিছু অংশকে হামলার লক্ষ্য বানানো থেকে বিরত থেকেছিলেন।
এ ব্যাপারে ১৫ই শাবান, ১৪২৬ হিজরি, সোমবার (১৯/০৯/২০০৫) তানযীম আল-ক্বা’ইদাহ্ ফী বিলাদ আর-রাফিদাইনের পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল,
যার শিরোনাম ছিল (দুই নদের দেশের আল-ক্বা’ইদাহ্র পক্ষ থেকে সংগঠনে অবস্থানের ব্যাপারে শায়খ আবু মুস’আবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু সংশয়ের নিরসন
-“Clarification from Al Qaida in the Land of the Two Rivers regarding the stance of the organization after the statement of the Sheikh Abu Mus’ab”]।
এ বক্তব্যে বলা হয়েছিল,
“সংগঠনের কাছে এই ব্যাপারটি স্পষ্ট যে (রাফিদাদের অন্তর্ভুক্ত)
কিছু গোষ্ঠি আছে যারা সুন্নীদের গণহত্যায় অংশগ্রহণ করে নি,
এবং আরো কিছু আছে যারা দখলদার বাহিনীকে কোন সহায়তা দেয় নি,
এবং তাদের দখলদারদের অপরাধের বিরোধিতা করেছে।
যেমন সাদরী, খালিসী, হাসানী এবং আরো অন্যান্যরা।
তাই সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে
এ দলগুলোর নেতা এবং সাধারণদের উপর সংগঠন কোনপ্রকার হামলা চালাবে না,
যতক্ষণএ দলগুলো (সুন্নীদের উপর) আক্রমণের কোন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকবে।”
এ অব্যহতির ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে আবু মুস’আব আয-যারক্বাউয়ি বলেছিলেন,
“তাদের এই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, কারণ রাফিদাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এর মাধ্যমে আহলুস সুন্নাহ সাথে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ার ফলাফলকে ভয় করে।
তাই এধরনের রাফিদাদের এই সুযোগটা দেয়া দরকার যাতে করে আমরা তাদের বলতে পারি,
‘তোমরা যদি নিরাপত্তা চাও তবে আমাদের পথ হতে সরে দাড়াও, এবং আমরিকাকে সাহায্য করা বন্ধ কর, এবং আমাদের এবং ক্রুসেডরদের যুদ্ধে কোন বাধা সৃষ্টি করো না।‘”[15]
তুর্কি বিন’আলী__(তাদের প্রধান শার’ঈ) ইন্টারনেটে প্রচারিত
অডিও রেকর্ডিং এ বলেছে:
“শি’আদের ব্যাপারে আলিমগণের মধ্যে মতপার্থক্য আছে…
এবং ব্যক্তিগত ভাবেও প্রত্যেক শি’আ কি কুফরের উপর আছে,
নাকি তাদের কুফর হল দলগত ভাবে কোন দলের কুফরের উপর থাকার অনুরূপ,
সেটার ব্যাপারেও মতপার্থক্য রয়েছে…
আমরা এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান এভাবেই উপস্থাপন করি যে, যখন সালাফগণ ইমামিয়্যাহ শি’আদের তাকফির করেছিলেন,
তখনও তারা কি শুধুমাত্র দলগতভাবে কাফির নাকি তারা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে কাফির,
এ ব্যাপারে সালাফগণের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল।
সংক্ষিপ্তভাবে এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হল, তাদের মধ্যে যারা দ্বীন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং মুসলিমদের উপর শক্তি প্রয়োগ করেছে,
তাদের প্রত্যেকের উপর ব্যক্তিগতভাবে তাকফির করা হবে, যেমন : রাফিদা সরকার এবং
রাফিদা মিলিশিয়াদের উপর।
আর যারা তাদের মত না তাদের প্রত্যেকের অবস্থা আলাদা ভাবে বিচার করতে হবে।
দেখতে হবে তারা কি সুস্পষ্টভাবে ইমান নষ্টকারী কোন কাজ করেছে কি না।
এবং সে অনুযায়ী সে ব্যক্তির ব্যাপারে হুকুম হবে।
যদি সে (সুস্পষ্ট ভাবে ইমান নষ্টকারী কোন আমল) করে থাকে
তবে তার উপর তাকফির করা হবে। অন্যথায় করা হবে না।
এবং আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।”
আরো অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে যে, বেশিরভাগের মুজাহিদিনের মতও এটিই।
আবু মুস’আব আস-সুরী বলেন, “জা’ফরী শিয়া –‘আল-ইমামিয়্যাহ’, হল ইরানে সংখ্যাগরিষ্ঠ, এবং লেবানন, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যে সংখ্যালঘু…
এবং অধিকাংশ জিহাদি (জামা’আহ) এদেরকে গোমরাহ বিদা’আতি বলে মনে করে।
যদিও কিছু জিহাদি শি’আদের ঢালাওভাবে কাফির ঘোষণা করেছে।
তবে বেশিরভাগ জিহাদিরা শি’আদের মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত আহলুল ক্বিবলা (যারা ক্বা’বার দিকে মুখ করে সালাত আদায় করে) বলে গণ্য করে
যারা গোমরাহ হয়েছে এবং বিদ’আতি।”[11] বরং এমনকি শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসীও
এই মতই গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেছেন,
“এই ব্যাপারে আমার মত হল, আমি মূলত এই ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইব্ন তাইমিয়্যাহর মতের অনুসরণ করি যে শি’আদের সাধারণ জনগণের উপর তাকফির করা হবে না…
শিয়াদের জনসাধারণদের মধ্যেও এমনও লোক আছে যারা কিনা সালাত অথবা সিয়াম বাদে (দ্বীনের) আর কিছুর ব্যাপারেই ধারণা রাখে না, এবং আক্বীদার ক্ষেত্রেও বিস্তারিত কোন জ্ঞানই তাদের নেই।
যেমন, কুরআন বিকৃত হয়ে গিয়েছে এবং আরো শি’আদের এধরনের যেসব ঈমান ভঙ্গকারী আক্বীদাসমূহ রয়েছে, যেগুলো উপর ভিত্তি করে আহলুস সুন্নাহ রাফিদা শি’আদের উপর তাকফির করে,
এরকম অনেক কিছুর ব্যাপারে সাধারণ শি’আদের অনেকেরই কোন ধারণাই নেই।”[12]
এবং শায়খ আল-মাক্বদিসীর এ বক্তব্য সত্ত্বেও, এবক্তব্যের প্রত্যুত্তর দেয়ার সময় শায়খ আয-যারক্বাউয়ি তাকে বলেন নি যে,
“আপনি পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেন কারণ শি’আদের সাধারণ জনগনকে আপনি কাফির ঘোষণা করেন না।” বরং তিনি তাকে বলেছেন,
“হে মহান শায়খ! আপনি জেনে রাখুন, আমি নিজের ব্যাপারে সন্দেহপোষণ করতে পারি,
কিন্তু দ্বীনের ব্যাপারে আপনার প্রতি সন্দেহকারীদের মধ্য হতে আমি নই…
শেষ করার আগে আমি বলতে চাই, শায়খ মাক্বদিসী,
আল্লাহ তাকে হিফাযাত করুক, হচ্ছেন তাদের অন্তর্ভুক্ত যাদের মর্যাদা এবং প্রচেষ্টার প্রতি সবার খেয়াল রাখা উচিৎ।
এবং তিনি তাদের অন্তর্ভুক্ত,
যাদের ব্যাপারে শুধুমাত্র সুধারনাই রাখা যায়।
এবং যারা অজুহাত পাবার এবং ভুলের ক্ষেত্রে ক্ষমা পাবার সর্বাধিক যোগ্য।
এবং আমি মনে করি না যে বর্তমানে এমন কোন মুওয়াহিদ
(তাওহিদের অনুসরণকারী) আছে, যে কিনা শায়খের দ্বারা উপকৃত হয় নি, যে শায়খের কাছে কৃতজ্ঞ না।
সুতরাং যদি কোন ব্যাপারে তার ভুল হয়ে থাকে তবে তার অর্থ এই না যে, তার অবস্থান এবং জ্ঞানকে অপমান করতে হবে, এবং তার অতীত অবদান এবং ত্যাগকে ভুলে যেতে হবে।”
[13] এবং শি’আদের ব্যাপারে শায়খ আল-মাক্বদিসী এরকম অবস্থান গ্রহন করা সত্ত্বেও আইসিস চেষ্টা করেছিল শায়খকে নিজেদের দলে টানার, এবং তখন তারা বলে নি শায়খ পথভ্রষ্ট হয়ে গেছেন।
তুর্কি আল-বিন’আলি তার প্রাক্তন শিক্ষক শায়খ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল –
“বস্তুত আমীরুল মু’মিনীন আবু বকর আল-বাগদাদি, জানিয়েছিলেন যে
তিনি আপনাকে তার কাছে নিয়ে আসতে পারেন,
কিন্তু আপনি সেটাতে সক্ষম হন নি, যদিও সে সময় আপনি একাধিকবার গাযা ও খুরাসানে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।”
[14] অবাক করা বিষয় হচ্ছে যে, যাদের মানহাজই ভুল
(আইসিসের দাবি অনুযায়ী), একদিকে আইসিস তাদেরকে নিজেদের দলে আনার চেষ্টা করছে কিন্তু সিরিয়ার কোন দলে যদি কোন ধূমপায়ী থাকে তখন সেটার কারনে তারা সে দলের সমালোচনায় উঠে পড়ে লাগছে!
আর ঢালাও ভাবে সব রাফিদাকে হামলার নিশানা না বানানো যদি গোমরাহি হয়,
তাহলে আবু মুস’আব আয-যারক্বাউয়ি গোমরাহদের অন্তর্ভুক্ত।
কারন তিনি রাফিদাদের কিছু অংশকে হামলার লক্ষ্য বানানো থেকে বিরত থেকেছিলেন।
এ ব্যাপারে ১৫ই শাবান, ১৪২৬ হিজরি, সোমবার (১৯/০৯/২০০৫) তানযীম আল-ক্বা’ইদাহ্ ফী বিলাদ আর-রাফিদাইনের পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল,
যার শিরোনাম ছিল (দুই নদের দেশের আল-ক্বা’ইদাহ্র পক্ষ থেকে সংগঠনে অবস্থানের ব্যাপারে শায়খ আবু মুস’আবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কিছু সংশয়ের নিরসন
-“Clarification from Al Qaida in the Land of the Two Rivers regarding the stance of the organization after the statement of the Sheikh Abu Mus’ab”]।
এ বক্তব্যে বলা হয়েছিল,
“সংগঠনের কাছে এই ব্যাপারটি স্পষ্ট যে (রাফিদাদের অন্তর্ভুক্ত)
কিছু গোষ্ঠি আছে যারা সুন্নীদের গণহত্যায় অংশগ্রহণ করে নি,
এবং আরো কিছু আছে যারা দখলদার বাহিনীকে কোন সহায়তা দেয় নি,
এবং তাদের দখলদারদের অপরাধের বিরোধিতা করেছে।
যেমন সাদরী, খালিসী, হাসানী এবং আরো অন্যান্যরা।
তাই সংগঠন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে
এ দলগুলোর নেতা এবং সাধারণদের উপর সংগঠন কোনপ্রকার হামলা চালাবে না,
যতক্ষণএ দলগুলো (সুন্নীদের উপর) আক্রমণের কোন পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকবে।”
এ অব্যহতির ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে আবু মুস’আব আয-যারক্বাউয়ি বলেছিলেন,
“তাদের এই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, কারণ রাফিদাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা এর মাধ্যমে আহলুস সুন্নাহ সাথে যুদ্ধ জড়িয়ে পড়ার ফলাফলকে ভয় করে।
তাই এধরনের রাফিদাদের এই সুযোগটা দেয়া দরকার যাতে করে আমরা তাদের বলতে পারি,
‘তোমরা যদি নিরাপত্তা চাও তবে আমাদের পথ হতে সরে দাড়াও, এবং আমরিকাকে সাহায্য করা বন্ধ কর, এবং আমাদের এবং ক্রুসেডরদের যুদ্ধে কোন বাধা সৃষ্টি করো না।‘”[15]
Comment