তাদের দুটি সংশয়ের জওয়াবে আজকের লেখা।
১। গনতন্ত্র ও নির্বাচন আলাদা, আর আমরা নির্বাচন করি গনতন্ত্র করিনা।
২। গনতন্ত্রের সকল দিক তো আর কুফর নয়, বরং এর দুএকটি দিক কুফর,
তাই আমরা সেই কুফরি দিকগুলো বাদ দিলেই তো হয়।
১ম পয়েন্ট নিয়ে আমাদের কথাঃ গনতন্ত্রের দুটি দিক-
১। আইণ প্রণয়নের প্রক্রিয়া
২। নির্বাচনি প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে প্রক্রিয়ায় তো বুঝা যায় “আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়াটি” কুফর।
কিন্তু স্বাভাবিক দৃষ্টিতে নির্বাচনি প্রক্রিয়াটা হারাম মনে হয়না।
তাই তো আমাদের অনেক মুসলিম ভাই এক্ষেত্রে এসে ধোঁকা খেয়ে বসেন
তারা বলেন আমরা গনতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা মানিনা, বরং আমরা শুধুমাত্র নির্বাচনই মানি।
আসলে বিষয়টি ভাবার বিষয়। নির্বাচনের কিছু স্তর দেখুন-
☞ সেকুলার দলের সংসদ নির্বাচন,
☞ ইসলামি দলের সংসদ নির্বাচন,
☞ কাউন্সিল নির্বাচন। সবগুলোর অবস্থা মূলত এক নয়, তাই সবগুলোর হুকুমও এক নয়।
১। সেকুলার দলের সংসদ নির্বাচনটি কুফরি হবে।
কারণ এই নির্বাচনটিই মূলত তাদেরকে সংসদে কুফরের জন্য সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হিসেবে থাকে।
তো এক্ষেত্রে নির্বাচন নামক জিনিসটি সত্বাগত কুফর না হলেও, কুফরের সহায়তার জন্য তা কুফরি হিসেবে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।
২। ইসলামি দলগুলোর সংসদ নির্বাচন। তাদের নির্বাচনটি হারাম ও বিদআত হবে।
[আমি এই বিষয়ে এক আহলে ইলমের শরণাপন্ন হয়েছিলাম, বিষয়টি তিনি যেভাবে বলেছেন]
গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলো বলে থাকে, আমরা শরীয়হর জন্যই সংসদে যাই
[যদিও তা শরীয়াহ অনুমোদিত নয়] এবং তারা বলছেন যে আমরা গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মানিনা ও বিশ্বাসও করিনা।
উক্ত ব্যাখা সামনে দাড় করানোর কারণে আমরা তাদেরকে তাকফির/কাফের আখ্যা দিতে পারিনা,
তাই তাদের নির্বাচনি প্রক্রিয়াটি কুফর বলতে পারিনা।
তবে তারা এমন পন্থায় অগ্রসর হচ্ছে যা আসলে সুন্নাহ বিরোধিতা তাই পন্থাটি বিদআত তথা হারাম হবে।
৩। কাউন্সিলর বা মেম্বারের নির্বাচনটি মূলত সরাসরি কুফরের সহায়তা না হওয়াতে আমরা কুফর বলিনা,
তবে যেহেতু এটায় জ্ঞানী, মুর্খ, নেককার-ফাসিক, মুসলিম-অমুসলিম সকলের ভোট/মতামতকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয় তাই আমরা উক্ত নির্বাচনকেও বৈধ বলিনা।
তা ছাড়া উক্ত নির্বাচন গনতন্ত্রের বিস্তারকেই প্রমোট করে থাকে।
দ্বিতীয় পয়েন্ট নিয়ে আমাদের কথাঃ ধোঁকায় পতিত মুসলিম ভাইয়েরা বলে থাকেনঃ
গনতন্ত্রের সকল দিক তো আর কুফর নয় বরং দুএকটি দিক হলো কুফর, তাই আমরা সেই দুই-একটি দিক বাদ দিয়েও তো গনতন্ত্রকে মানতে পারি।
জওয়াব একেবারে সহজ-
কোন মতাদর্শ কুফরি হওয়ার জন্য তার সকল দিক কুফর হওয়া জরুরী নয়, বরং তার দুএকটি দিক কুফর হলেই সম্পূর্ণ মতাদর্শটিই কুফর বলো বিবেচ্য।
কারণ কুফর ও ইমান একই সাথে সহাবস্থান করতে পারেনা।
তাই যখন কুফর আসবে তখন ইমান অটোমেটিক দূর হয়ে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা বুঝার তাওফিক দান করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন। ——————————
✍️ এক মুওয়াহিদ
১। গনতন্ত্র ও নির্বাচন আলাদা, আর আমরা নির্বাচন করি গনতন্ত্র করিনা।
২। গনতন্ত্রের সকল দিক তো আর কুফর নয়, বরং এর দুএকটি দিক কুফর,
তাই আমরা সেই কুফরি দিকগুলো বাদ দিলেই তো হয়।
১ম পয়েন্ট নিয়ে আমাদের কথাঃ গনতন্ত্রের দুটি দিক-
১। আইণ প্রণয়নের প্রক্রিয়া
২। নির্বাচনি প্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবে প্রক্রিয়ায় তো বুঝা যায় “আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়াটি” কুফর।
কিন্তু স্বাভাবিক দৃষ্টিতে নির্বাচনি প্রক্রিয়াটা হারাম মনে হয়না।
তাই তো আমাদের অনেক মুসলিম ভাই এক্ষেত্রে এসে ধোঁকা খেয়ে বসেন
তারা বলেন আমরা গনতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা মানিনা, বরং আমরা শুধুমাত্র নির্বাচনই মানি।
আসলে বিষয়টি ভাবার বিষয়। নির্বাচনের কিছু স্তর দেখুন-
☞ সেকুলার দলের সংসদ নির্বাচন,
☞ ইসলামি দলের সংসদ নির্বাচন,
☞ কাউন্সিল নির্বাচন। সবগুলোর অবস্থা মূলত এক নয়, তাই সবগুলোর হুকুমও এক নয়।
১। সেকুলার দলের সংসদ নির্বাচনটি কুফরি হবে।
কারণ এই নির্বাচনটিই মূলত তাদেরকে সংসদে কুফরের জন্য সবচেয়ে বড় স্তম্ভ হিসেবে থাকে।
তো এক্ষেত্রে নির্বাচন নামক জিনিসটি সত্বাগত কুফর না হলেও, কুফরের সহায়তার জন্য তা কুফরি হিসেবে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।
২। ইসলামি দলগুলোর সংসদ নির্বাচন। তাদের নির্বাচনটি হারাম ও বিদআত হবে।
[আমি এই বিষয়ে এক আহলে ইলমের শরণাপন্ন হয়েছিলাম, বিষয়টি তিনি যেভাবে বলেছেন]
গণতান্ত্রিক ইসলামি দলগুলো বলে থাকে, আমরা শরীয়হর জন্যই সংসদে যাই
[যদিও তা শরীয়াহ অনুমোদিত নয়] এবং তারা বলছেন যে আমরা গনতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মানিনা ও বিশ্বাসও করিনা।
উক্ত ব্যাখা সামনে দাড় করানোর কারণে আমরা তাদেরকে তাকফির/কাফের আখ্যা দিতে পারিনা,
তাই তাদের নির্বাচনি প্রক্রিয়াটি কুফর বলতে পারিনা।
তবে তারা এমন পন্থায় অগ্রসর হচ্ছে যা আসলে সুন্নাহ বিরোধিতা তাই পন্থাটি বিদআত তথা হারাম হবে।
৩। কাউন্সিলর বা মেম্বারের নির্বাচনটি মূলত সরাসরি কুফরের সহায়তা না হওয়াতে আমরা কুফর বলিনা,
তবে যেহেতু এটায় জ্ঞানী, মুর্খ, নেককার-ফাসিক, মুসলিম-অমুসলিম সকলের ভোট/মতামতকে সমান দৃষ্টিতে দেখা হয় তাই আমরা উক্ত নির্বাচনকেও বৈধ বলিনা।
তা ছাড়া উক্ত নির্বাচন গনতন্ত্রের বিস্তারকেই প্রমোট করে থাকে।
দ্বিতীয় পয়েন্ট নিয়ে আমাদের কথাঃ ধোঁকায় পতিত মুসলিম ভাইয়েরা বলে থাকেনঃ
গনতন্ত্রের সকল দিক তো আর কুফর নয় বরং দুএকটি দিক হলো কুফর, তাই আমরা সেই দুই-একটি দিক বাদ দিয়েও তো গনতন্ত্রকে মানতে পারি।
জওয়াব একেবারে সহজ-
কোন মতাদর্শ কুফরি হওয়ার জন্য তার সকল দিক কুফর হওয়া জরুরী নয়, বরং তার দুএকটি দিক কুফর হলেই সম্পূর্ণ মতাদর্শটিই কুফর বলো বিবেচ্য।
কারণ কুফর ও ইমান একই সাথে সহাবস্থান করতে পারেনা।
তাই যখন কুফর আসবে তখন ইমান অটোমেটিক দূর হয়ে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা বুঝার তাওফিক দান করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন। ——————————
✍️ এক মুওয়াহিদ
Comment