[মুরজিয়াদের মুখোশ উন্মোচন ৩] দেওবন্দী
(১) আলিমদের আকিদা অনুযায়ী:
❝জরুরিয়তে দ্বীন অস্বীকার করা, উপহাস করা কুফর এমনকি এতে বিতর্ক করাও কুফর বলেই বিবেচ্য❞
☞ দেওবন্দীদের দৃষ্টিতে জরুরিয়ত দ্বীনের সংজ্ঞা ও ব্যখ্যাঃ
জরুরিয়াতে দীনের আলোচনাঃ
শরিয়তের পরিভাষায় সেসব বিষয়কে জরুরিয়াতে দীন বলা হয়,
যা মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুতাওয়াতির পর্যায়ে বর্ণিত ও প্রমাণিত এবং সাধারণভাবে মুসলমানরা এসব বিষয়ে জ্ঞাত।
অর্থাৎ, ওই বিষয়ের জ্ঞান কেবল নবিগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়;
বরং তা সাধারণ মানুষের জ্ঞানের আওতাভুক্ত।
(২) জরুরিয়াতে দীনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ,
আল্লাহকে এক জানা, তিনি সমগ্র বিশ্বজগতের স্রষ্টা এবং সকলের পালনকারী, কুরআন মাজিদ ও অন্যান্য আসমানি কিতাব আল্লাহর কালাম হওয়ার জ্ঞান ইত্যাদি। তা ছাড়া সকল নবি আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য পয়গম্বর হিসেবে প্রেরিত হওয়া , জান্নাত ও জাহান্নাম সত্য মনে করা ,
নবিগণ থেকে সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলি সত্য ও সঠিক-
এ কথা দ্বিধাহীনভাবে মেনে নেওয়া এবং কুরআন-হাদিস দ্বারা যেসব বিষয় বা বস্তু নিশ্চিতভাবে হালাল অথবা হারাম বলা হয়েছে ,
সেসব বিষয় হালাল বা হারাম মনে করা। যেমন : চুরি , ব্যভিচার , মা - মেয়ে - বোন ও পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম মনে করা ।
কেউ যদি উপরিউক্ত কোনো একটি কথা অমান্য ও অস্বীকার করে ; অথবা এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষণ করে , তাহলে সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে ।
ইমান ও ইসলামের জন্য যাবতীয় জরুরিয়াতে দীন মেনে চলা একান্ত আবশ্যক ।
যে ব্যক্তি সরকারের সব আইনকানুন মেনে চলে , সে - ই সরকারের বিশ্বস্ত ।
কেউ সরকারের ৯৯ টি নির্দেশ মেনে চলে ; কিন্তু একটি নির্দেশের ব্যাপারে যদি বলে ,
এ নির্দেশ আমার নিকট গ্রহণযোগ্য নয় এবং এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংশয় ও সন্দেহ পোষণ করে এমনসব ব্যাখ্যা - বিশ্লেষণ করতে শুরু করে ,
যা সরকার ও শাসকদের ন্যায়বিচারের ধারেকাছেও আসে না , তাহলে এমন ব্যক্তিকে সরকারের অনুগত না বলে বিদ্রোহী বলাই সংগত
☞ দেওবন্দীদের দৃষ্টিতে জরুরিয়ত দ্বীনের অস্বীকার করা, হাসিঠাট্টা ও এতে বিতর্ক লিপ্ত হওয়া হুকুমঃ
জরুরিয়াতে দীন ও অকাট্য বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া কুফরঃ
জরুরিয়াতে দীন ও অকাট্যভাবে সাব্যস্ত ইসলামি অনুশাসনের কোনো একটি বিধান অস্বীকার করা যেমন কুফর , তেমনই এসব বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়াও কুফর ।
কেননা , নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত বিষয়সমূহে বিতর্ক ও সংশয় প্রকাশ করা অস্বীকৃতির নামান্তর ।
সালাত ও রোজার ফরজিয়াত অস্বীকার করা যেমন কুফর , তেমনই সালাত রোজা ও জাকাতের নির্দেশ সম্পর্কে কোনো কুতর্কে লিপ্ত হওয়াও কুফর ।
যে ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ দেখা দেয় , কেবল সে ক্ষেত্রেই বিতর্ক বা পর্যালোচনা প্রযোজ্য ।
যেসব বিষয় অকাট্য প্রমাণিত ও স্পষ্ট , সেসব বিষয়ে বিতর্ক শুধু অস্বীকারই নয় ; বরং ঠাট্টা -
পরিহাসের নামান্তর । [মূল কথা শেষ]
#সারকথা! দেওবন্দীদের আকিদা হলো যদি কারো থেকে জরুরিয়ত দ্বীনের বিষয়ে অস্বীকার,
বিতর্কে লিপ্ত কিংবা উপহাস অথবা সন্দেহ প্রকাশ পায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তি নিশ্চিত কুফরে আকবার করলো।
[মাওয়ানি ও হুজ্জত কায়েমের বিষয়ে নিশ্চিত হলে তাকে তাকফির করা হবে]
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা!
আপনারাই নিজ দৃষ্টি দিয়ে বলুন তো, চলমান সময়ের শাসকগন কি মদের বৈধতা, সুদের বৈধতা,
জিনার বৈধতা দিয়ে “জরুরিয়তে দ্বীনের বিষয়ে অস্বীকারকারী হয়নি?
তাদের কাছে যখন শরীয়াহ পেশ করা হয় তখন তারা সংবিধানের অজুহাত দেখিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে বসে তাকি জরুরিয়ত দ্বীনের অস্বীকার নয়???
তাহলে এ যুগে দেওবন্দী দাবি করেই কেন আকাবিরে দেওবন্দের আকিদা থেকে তারা বিচ্যুত..?
#দৃষ্টি_আকর্ষনঃ
এটি দেওবন্দী একজন প্রসিদ্ধ আলিমে দ্বীন শাইখ আল্লামা ইদরিস কান্ধলবী রাহিঃ এর আকিদা বিষয়ক আলোচনার সংকলন যা মুফতি আলী হাসান ওসামা হাফিঃ বাংলায় বই আকারে লিপিবদ্ধ করে জমা করেছেন “ইসলামি আকিদা” নামে।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো শাইখুল হাদিস, ওস্তাদে মুহতারাম হাফিজ জুনাইদ বাবুনগরী রাহিঃ
এই কিতাবে অভিমত দিয়েছেন।
আলোচ্য অংশটি উক্ত কিতাবের প্রথম খন্ডের ১১৪ নং পৃষ্ঠা থেকে সংগৃহীত।
#টিকা
১) এখানে যদিও দেওবন্দী বলা হয়েছে, মূলত এটি আহলুস সুন্নাহরই একটি স্বীকৃত আকিদা।
দেওবন্দের নাম বলার মূল কারণ হল নব্য দেওবন্দী কিছু মুরজিয়া আছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
২) শামি , ইমামাত অধ্যায় ।
✍️ এক মুওয়াহিদ
(১) আলিমদের আকিদা অনুযায়ী:
❝জরুরিয়তে দ্বীন অস্বীকার করা, উপহাস করা কুফর এমনকি এতে বিতর্ক করাও কুফর বলেই বিবেচ্য❞
☞ দেওবন্দীদের দৃষ্টিতে জরুরিয়ত দ্বীনের সংজ্ঞা ও ব্যখ্যাঃ
জরুরিয়াতে দীনের আলোচনাঃ
শরিয়তের পরিভাষায় সেসব বিষয়কে জরুরিয়াতে দীন বলা হয়,
যা মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুতাওয়াতির পর্যায়ে বর্ণিত ও প্রমাণিত এবং সাধারণভাবে মুসলমানরা এসব বিষয়ে জ্ঞাত।
অর্থাৎ, ওই বিষয়ের জ্ঞান কেবল নবিগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়;
বরং তা সাধারণ মানুষের জ্ঞানের আওতাভুক্ত।
(২) জরুরিয়াতে দীনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ,
আল্লাহকে এক জানা, তিনি সমগ্র বিশ্বজগতের স্রষ্টা এবং সকলের পালনকারী, কুরআন মাজিদ ও অন্যান্য আসমানি কিতাব আল্লাহর কালাম হওয়ার জ্ঞান ইত্যাদি। তা ছাড়া সকল নবি আল্লাহর পক্ষ থেকে সত্য পয়গম্বর হিসেবে প্রেরিত হওয়া , জান্নাত ও জাহান্নাম সত্য মনে করা ,
নবিগণ থেকে সংঘটিত অলৌকিক ঘটনাবলি সত্য ও সঠিক-
এ কথা দ্বিধাহীনভাবে মেনে নেওয়া এবং কুরআন-হাদিস দ্বারা যেসব বিষয় বা বস্তু নিশ্চিতভাবে হালাল অথবা হারাম বলা হয়েছে ,
সেসব বিষয় হালাল বা হারাম মনে করা। যেমন : চুরি , ব্যভিচার , মা - মেয়ে - বোন ও পিতার স্ত্রীকে বিয়ে করা হারাম মনে করা ।
কেউ যদি উপরিউক্ত কোনো একটি কথা অমান্য ও অস্বীকার করে ; অথবা এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ পোষণ করে , তাহলে সে ব্যক্তি কাফির হয়ে যাবে ।
ইমান ও ইসলামের জন্য যাবতীয় জরুরিয়াতে দীন মেনে চলা একান্ত আবশ্যক ।
যে ব্যক্তি সরকারের সব আইনকানুন মেনে চলে , সে - ই সরকারের বিশ্বস্ত ।
কেউ সরকারের ৯৯ টি নির্দেশ মেনে চলে ; কিন্তু একটি নির্দেশের ব্যাপারে যদি বলে ,
এ নির্দেশ আমার নিকট গ্রহণযোগ্য নয় এবং এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংশয় ও সন্দেহ পোষণ করে এমনসব ব্যাখ্যা - বিশ্লেষণ করতে শুরু করে ,
যা সরকার ও শাসকদের ন্যায়বিচারের ধারেকাছেও আসে না , তাহলে এমন ব্যক্তিকে সরকারের অনুগত না বলে বিদ্রোহী বলাই সংগত
☞ দেওবন্দীদের দৃষ্টিতে জরুরিয়ত দ্বীনের অস্বীকার করা, হাসিঠাট্টা ও এতে বিতর্ক লিপ্ত হওয়া হুকুমঃ
জরুরিয়াতে দীন ও অকাট্য বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়া কুফরঃ
জরুরিয়াতে দীন ও অকাট্যভাবে সাব্যস্ত ইসলামি অনুশাসনের কোনো একটি বিধান অস্বীকার করা যেমন কুফর , তেমনই এসব বিষয়ে বিতর্কে লিপ্ত হওয়াও কুফর ।
কেননা , নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত বিষয়সমূহে বিতর্ক ও সংশয় প্রকাশ করা অস্বীকৃতির নামান্তর ।
সালাত ও রোজার ফরজিয়াত অস্বীকার করা যেমন কুফর , তেমনই সালাত রোজা ও জাকাতের নির্দেশ সম্পর্কে কোনো কুতর্কে লিপ্ত হওয়াও কুফর ।
যে ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহ দেখা দেয় , কেবল সে ক্ষেত্রেই বিতর্ক বা পর্যালোচনা প্রযোজ্য ।
যেসব বিষয় অকাট্য প্রমাণিত ও স্পষ্ট , সেসব বিষয়ে বিতর্ক শুধু অস্বীকারই নয় ; বরং ঠাট্টা -
পরিহাসের নামান্তর । [মূল কথা শেষ]
#সারকথা! দেওবন্দীদের আকিদা হলো যদি কারো থেকে জরুরিয়ত দ্বীনের বিষয়ে অস্বীকার,
বিতর্কে লিপ্ত কিংবা উপহাস অথবা সন্দেহ প্রকাশ পায়, তাহলে উক্ত ব্যক্তি নিশ্চিত কুফরে আকবার করলো।
[মাওয়ানি ও হুজ্জত কায়েমের বিষয়ে নিশ্চিত হলে তাকে তাকফির করা হবে]
প্রিয় পাঠক/পাঠিকা!
আপনারাই নিজ দৃষ্টি দিয়ে বলুন তো, চলমান সময়ের শাসকগন কি মদের বৈধতা, সুদের বৈধতা,
জিনার বৈধতা দিয়ে “জরুরিয়তে দ্বীনের বিষয়ে অস্বীকারকারী হয়নি?
তাদের কাছে যখন শরীয়াহ পেশ করা হয় তখন তারা সংবিধানের অজুহাত দেখিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে বসে তাকি জরুরিয়ত দ্বীনের অস্বীকার নয়???
তাহলে এ যুগে দেওবন্দী দাবি করেই কেন আকাবিরে দেওবন্দের আকিদা থেকে তারা বিচ্যুত..?
#দৃষ্টি_আকর্ষনঃ
এটি দেওবন্দী একজন প্রসিদ্ধ আলিমে দ্বীন শাইখ আল্লামা ইদরিস কান্ধলবী রাহিঃ এর আকিদা বিষয়ক আলোচনার সংকলন যা মুফতি আলী হাসান ওসামা হাফিঃ বাংলায় বই আকারে লিপিবদ্ধ করে জমা করেছেন “ইসলামি আকিদা” নামে।
আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো শাইখুল হাদিস, ওস্তাদে মুহতারাম হাফিজ জুনাইদ বাবুনগরী রাহিঃ
এই কিতাবে অভিমত দিয়েছেন।
আলোচ্য অংশটি উক্ত কিতাবের প্রথম খন্ডের ১১৪ নং পৃষ্ঠা থেকে সংগৃহীত।
#টিকা
১) এখানে যদিও দেওবন্দী বলা হয়েছে, মূলত এটি আহলুস সুন্নাহরই একটি স্বীকৃত আকিদা।
দেওবন্দের নাম বলার মূল কারণ হল নব্য দেওবন্দী কিছু মুরজিয়া আছে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
২) শামি , ইমামাত অধ্যায় ।
✍️ এক মুওয়াহিদ
Comment