কোন কোন বন্ধুকে বলতে শোনা যায় ই’লায়ে কালিমাতুল্লাহ ,
দ্বীন প্রতিষ্ঠা বা দ্বীনের প্রচার প্রসারের নিমিত্ত যে কোন কর্ম - প্রচেষ্টাই জি| হা দের অন্তর্ভুক্ত ।
বলা বাহুল্য
“জি হা |দ” আভিধানিক অর্থে শরীয়ত সম্মত সকল দ্বীনি প্রচেষ্টাকেই বুঝায় এবং শরয়ী নুসূসমূহের
( কুরআন হাদীসের ভাষা )
কোথাও কোথাও এই শব্দটি জি হা দ ছাড়া অন্যান্য দ্বীনি মিহনতের ব্যাপারেও ব্যবহৃত হয়েছে
কিন্তু জি হা দ যা শরীয়তের একটি বিশেষ পরিভাষা এবং যার অপর নাম “কি তা ল ফী সা বী লি ল্লা |হ”
তা কখনো এই সাধারণ কর্ম প্রচেষ্টার নাম নয় বরং এই অর্থে “জি |হা | দ” হল , “আল্লাহর কালিমা বুল|ন্দ করার জন্য , ইসলামের হিফাজত ও এর মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য , কু|ফ|রে| র শক্তিকে চুরমার করার জন্য এবং এর প্রভাব প্রতিপত্তিকে বিলুপ্ত করার জন্য কা|ফে|র মু|শ|রি|ক|দে|র সাথে যু| দ্ধ করা ।”
ফিকহের কিতাবসমূহে
এই জি|হা| দের বিধি -
বিধানই উল্লেখিত হয়েছে ।
সীরাত গ্রন্থসমূহে এই জি|হা|দে|র|ই নববী যুগের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়েছে
, কুরআন হাদীসে জি|হা|দে|র ব্যাপারে যে বড় বড় ফযীলতের কথা বলা হয়েছে তা এই জি|হা|দে|র ব্যাপারেই বলা হয়েছে এবং এই জি|হা|
দে শাহাদাতের মর্যাদায় বিভূষিত ব্যক্তিই হলেন প্রকৃত “ শহীদ ” ।
শরয়ী নুসূস এবং শরয়ী পরিভাষাসমূহের উপর নেহায়েত জুলুম করা হবে যদি আভিধানিক অর্থের অন্যায় সুযোগ নিয়ে পারিভাষিক জি|হা|দে|র আহকাম ও এফাযাইল দ্বীনের অন্যান্য মেহনত ও কর্ম প্রচেষ্টার ব্যাপারে আরোপ করা হয় ।
এটা এক ধরনের অর্থগত বিকৃতি সাধন , যা থেকে বেঁচে থাকা ফরয ।
তা‘লীম , তাযকিয়া , দাওয়াত ও তাবলীগ , ওয়ায - নসীহত বা দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিকভাবে কোন কর্ম প্রচেষ্টা ( যদি শরয়ী নীতিমালা ও ইসলামী নির্দেশনা মোতাবেক হয় তবে তা আমর বিল মা’রুফ ও নাহী আনিল মুনকারের একটি নতুন পদ্ধতি ) এসবই স্ব স্ব স্থানে কাম্য বরং এসব কর্মপ্রচেষ্টার প্রত্যেকটাই খিদমতে দ্বীনের এক একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা ।
এসবের ভিন্ন ফাযাইল , ভিন্ন আহকাম এবং ভিন্ন মাসাইল রয়েছে এবং কোনটিকেই খাটো করে দেখার অবকাশ নেই কিন্তু এসবের কোনটাই এমন নয় যাকে পারিভাষিক জি|হা|দের অন্তর্ভূক্ত করা যায় এবং যার ব্যাপারে জি|হা|দের ফাযাইল ও আহকাম আরোপ করা যায় ।
এই বিষয়টি ভালোভাবে অনুধাবন করা ও মনে রাখা নেহায়েত জরুরী , কেননা আজকাল জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে ইসলামের বহু পরিভাষার মধ্যে পূর্ণ বা আংশিক তাহরীফের ( বিকৃতি সাধন ) প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।
কেউ তাবলীগের কাজকে “জি|হা|দ” বলে দিচ্ছেন , কেউ তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধির কাজকে , আবার কেউ রাজনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টা বরং ইলেকশনে অংশগ্রহণ করাকেও জি|হা|দ বলে দিচ্ছেন ।
কারো কারো কথা থেকেতো এও বোঝা যায় যে , পাশ্চাত্য রাজনীতির অন্ধ অনুসরণ ও জি|হা|দে|র শামিল । আল্লাহর পানাহ !
সূত্র : কি | তা | বু | ল | জি | হা | দে | র | ভূমিকা থেকে পৃষ্ঠা : ছত্রিশ, সাইত্রিশ
লিখেছেন : মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক সাহেব হাফিজাহুল্লাহ
" হক্ব তারাই গ্রহণ করেন যাদের নফস অহংকার ও স্বেচ্ছাচারিতার উপর প্রাধান্য বিস্তার করে "
__শহীদ ওস্তাদ আহমেদ
ফারুক (রহঃ)