Announcement

Collapse
No announcement yet.

📌মুরতাদ ও হারবী কাফের হত্যা যেকোনো মুসলমানদের জন্য বৈধ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • 📌মুরতাদ ও হারবী কাফের হত্যা যেকোনো মুসলমানদের জন্য বৈধ

    এ ব্যাপারে চার মাজহাবের সমস্ত ইমামদের মধ্যেই ইজমা আছে-
    .
    ফোকাহায়ে কেরামদের বক্তব্য:

    (ক) ইমাম সারাখসী (রহঃ) বলেন,

    قال السرخسي: ولا شيء على من قتل المرتدين قبل أن يدعوهم إلى الإسلام لأنهم بمنزلة كفار قد بلغتهم الدعوة] المبسوط 120/10[

    অর্থ:
    মুরতাদদেরকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দেওয়ার পূর্বে হত্যা করার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই।

    কেননা,,
    এরা ঐসকল কাফেরের পর্যায়ে, যার কাছে দাওয়াত পৌঁছে গেছে।
    .
    (খ) ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,

    قال الإمام النووي: وأما من لا عهد له، ولا أمان من الكفار: فلا ضمان في قتله على أي دين كان]روضة الطالبين 259/9[

    অর্থ:
    যেসকল কাফেরদের সন্ধিচুক্তি, আমান বা নির্দিষ্ট নিরাপত্তা চুক্তি নেই, তাঁকে হত্যা করার ব্যাপারে কোন জিম্মাদারী নেই।
    চাই সে যেকোন ধর্মেরই হৌক না কেন (রওজাতুত তালেবীন- ৯/২৫৯)
    .
    (গ) ইবনু মুফলিহ (রহঃ) বলেন:

    ولا تجب بقتله ديّة ولا كفارة -أي الكافر من لا أمان له- لأنه مباح الدم على الإطلاق كالخنزير المبدع263/8

    কাফের এর সাথে যদি কোন ‘আমান’ না থাকে তাহলে তাঁকে হত্যা করলে কোন ধরনের দিয়ত বা কাফফারা ওয়াজিব হবে না।

    কেননা সাধারণভাবে তাঁর রক্ত শুকুরের রক্তের ন্যায় বৈধ। (মিবদা’-৮/২৬৩)
    .
    (ঘ) ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন:

    الله تبارك وتعالى أباح دم الكافر وماله إلا بأن يؤدي الجزية أو يستأمن إلى مدة)[الأم 264/1(

    বরকতময় আল্লাহ তাআলা কাফেরের রক্ত ও মাল বৈধ করে দিয়েছেন, তবে যদি সে জিযিয়া প্রদান করে অথবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা চুক্তিতে থাকে তাহলে নয়।
    ( আল-উম্ম ১/২৬৪)
    .
    (ঙ) ইমাম শাওকানী (রহঃ) বলেন,

    أما الكفار فدماؤهم على أصل الإباحة كما في آية السيف؛ فكيف إذا نصبوا الحرب…. السيل الجرار522/4].

    “আর কাফেরদের রক্ত মৌলিকভাবেই বৈধ,
    যেমনটা তরবারির আয়াতে রয়েছে। অধিকিন্তু যখন তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা হবে।”
    (আস-সাইলুল জিরার-৪/৫২২)
    .
    তিনি আরো বলেন:
    .
    والمشرك سواء حارب أم لم يحارب: مباح الدم ما دام مشركًا] السيل الجرار 369/4.[

    “মুশরিক চাই সে যোদ্ধা হোক বা না হোক যতক্ষণ সে মুশরিক থাকবে ততক্ষণ তাঁর রক্ত বৈধ।”
    (আস-সাইলুল জিরার-৪/৩৬৯)
    .
    (চ) ইমাম মাওয়ারদী (রহঃ) “আহকামুস সুলতানিয়াহ” কিতাবে বলেন,

    “ويجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من مقاتلة المشركين ، محارباً وغير محارب” ] الأحكام السلطانية : الباب الرابع[

    মুশরিকদের মধ্যে যুদ্ধের উপযোগী যে কাউকে সুযোগ পেলেই হত্যা করা বৈধ। চাই তারা যুদ্ধরত হোক বা না হোক। (আহকামুস সুলতানিয়াহ”/চতুর্থ অধ্যায়)।
    .
    (ছ) বিভ্রান্তিসৃষ্টিকারীদের জবাবে প্রখ্যাত ইমাম আল্লামা বদরুদ্দীন ইবনে জামাআহ (রহঃ) (যিনি ইবনে কাছীর ও আল্লামা যাহাবীর শিক্ষক)এর স্পষ্ট বক্তব্য হলোঃ

    “يجوز للمسلم أن يقتل من ظفر به من الكفار المحاربين سواء كان مقاتلاً أو غير مقاتل ، وسواء كان مقبلاً أو مدبراً ، لقوله تعالى “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)
    .
    যুদ্ধরত কাফেরদের যাকেই পাবে তাকেই হত্যা করা মুসলমানদের জন্য বৈধ। চাই সরাসরি সে যোদ্ধা হোক অথবা না হোক। চাই সে যুদ্ধে গমনকারী হোক বা যুদ্ধ থেকে পিছনে থাকুক। দলিল হলো আল্লাহ তাআলার বানী:
    .
    “فَاقْتُلُواْ الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُواْ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ” (التوبة : 5)
    .
    “অতঃপর মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও সেখানেই হত্যা কর, তাদেরকে বন্দী করো,অবরোধ করো এবং প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাকো”। (সূরা তাওবাহ-৫)

    [تحرير الأحكام في تدبير أهل الإسلام ص 182
    .

    -
    ফতওয়া: শাইখুল হাদিস আবু ইমরান হাফি.
    .

    এটাই হলো হারবী কাফের ও মুরতাদ হত্যার মৌলিক নীতিমালা। ইসলামে হারবী কাফের ও মুরতাদদের কোনো আমান নাই এবং এদের বিনা কারনে কেউ হত্যা করবে বা তাদের সম্পদ দখল করলে কোনো পাপ বা শাস্তির বিধান নেই।
    .
    এমন মুরতাদ বা হারবী কাফের যে সমাজে কুফুরি প্রতিষ্ঠা করতে চায় না- আগ্রাসী শত্রুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীও নয় এমন ব্যক্তিদের হত্যা করাই শরিয়তে মুবাহ।
    .
    কিন্তু এই হারবী কাফেররা যখন আগ্রাসী শত্রুর সাথে মিলিত হয় তখন এদের হত্যা করা ওয়াজিব পর্যায়।

    ✍️ এক মুওয়াহিদ
    বন্দী ভাই ও তাদের পরিবারের জন্য আপনার সাহায্যের হাতকে প্রসারিত করুন
Working...
X