[কিছু প্রয়োজনীয় কথা, মন দিয়ে বুঝার চেষ্টা করুন]
আল্লাহ প্রদত্ত জায়েজ বিষয়গুলোর কয়েকটি স্তর রয়েছে।
১। ফরজ [ইমান, পাঁচ ওয়াক্ত সলাত হজ, জাকাত ইত্যাদি]
২। ওয়াজিব [বেতের সলাত]
৩। সুন্নাতে মুয়াক্কাদা [তারাবী, ও ফজরের আগে দুই রাকা ইত্যাদি]
৪। সুন্নাতে জায়েদা [তাহাজ্জুদ, মিসওয়াক ইত্যাদি]
বরং সেগুলোর জন্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ জরুরী।
জায়েজ বিষয়টি যদি এমন হয় যে, আল্লাহ প্রদত্ত আবশ্যিক ভাবেই তা জায়েজ তথা তা আদায় করতেই হবে, তাহলে সেটা ভিন্ন।
কিন্তু সব কাজই এমন নয় যে, করতেই হবে।
#উদাহরণস্বরূপ-
#এক: কাবা ঘর ভাঙ্গতে চাইলেন নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তা হজরত ইব্রাহিম আলাইহিসসালামের নির্মাণের উপর নির্ণাম করতে চাইলেন,
কিন্তু নবী মুহাম্মদ ﷺ সেটা করলেননা।
এর জওয়াব তিনিই আম্মাজান আয়শা রাজিঃ'কে দিয়েছেন যে,
মানুষ এইমাত্র দ্বীনে এসেছে, যদি কাবা ভেঙে নতুন করে বানাই,
তাহলে মানুষের মধ্যে বদ ধারণা আসবে.....
#বুঝুন_ বদ ধারণা বা খারাপ ধারণা আসতে পারে, সেই দিকে দেখে নবী মুহাম্মদ ﷺ একটি জায়েজ কাজ ছেড়ে দিলেন।
#দুই: এরপর আবার দেখুন মুনাফিক হত্যার বিষয়টি- তাদেরকে হত্যা বৈধ ছিল, কিন্তু নবী মুহাম্মদ ﷺ হত্যা করেননি, কারণ মানুষ এটা বলবে যে মুহাম্মদ সাথীদেরকেই হত্যা করে। এতে করে ইসলামের দিকে মানুষের ঝোক কমে যাবে।
#বুঝুন_ মানুষ খারাপ ধারণা করবে এই কারণেই নবী মুহাম্মদ ﷺ মুনাফিকদের হত্যা বৈধ পাশাপাশি জরুরী থাকা সত্বেও তিনি তা করলেননা।
#ঘটনা_দুটি_পড়ার_পরো_আপনি_কী_করবেন আপনি কি ওই ব্যক্তির মত কথা বলবেন যে কিনা
নবী মুহাম্মদ ﷺ'কে বলোছিল
হে মোহাম্মদ ইনসাফ করো [নাউজুবিল্লাহ]।
পৃথিবীতে সবচেয়ে ইনসাফগার ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে ইনসাফ করো।
যাইহোক উক্ত মন্তব্য করার পরেই আল্লাহর নবী লোকটির ব্যপারে ভবিষ্যতবাণী করে দিলেন যে,
তার বংশ থেকে ফিতনাবাজ দলের আবির্ভাব হবে [খাওয়ারিজদের আবির্ভাব] (খাওয়ারিজ সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুল গুগলে সার্চ করলেই এর রেফারেন্সগুলো আপনিই পেয়ে যাবেন ইন-শাআল্লাহ) আপনি কি বলবেন নবী মুহাম্মদ ﷺ জনসমর্থন পুজারী ছিলেন?? [নাউজুবিল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ] নাকি এটা বলবেন
যে নবী মুহাম্মদ ﷺ যা করেছেন সেটাই শরীয়াহ??
যদি বলেন নবী মুহাম্মদ ﷺ জনসমর্থন পুজারী ছিলেন, তাহলে আপনাকে বলবো, তাওবা করুন ও ইমান আনুন, ইস্তিগফার করুন, সালাম। কিন্তু যদি বলেন শরীয়াহ সম্মতই ছিলো
নবী মুহাম্মদ ﷺ এর কর্মকাণ্ড, তাহলে আপনাকেই জিজ্ঞেস করছি একই রকমের কাজ যদি উম্মাহ করে তাহলে উম্মাহ কেন জনসমর্থন পুজারী হবে..?
কিছু মাতাল ও অসদাচরণে অগ্রজ ব্যক্তি বলে বেড়ায় যে, তারা তো ইউটিউব ব্যবসা খুলে বসেছে, তারা তো জনসমর্থন কুড়ায় কারণ তারা জনসমর্থন পুজারী ইত্যাদি ইত্যাদি। #কিন্তু_কথা_হলো-
☞ তারাই বলে আমরা ব্যপকভাবে জনগনকে কাফের বলিনা,
যদি ব্যপকভাবে জনগনকে কাফের নাই বলা হয়
তাহলে জনগনকে দাওয়াহ দিতে ও জিহাদ মুখি করলে সমস্যা কী, এখানে জনসমর্থন পুজারীর কী আছে..?
মুসলিমদেরকে দ্বীনের দিকে আনার জন্য চেষ্টা করাকে জনসমর্থন পুজারী বলে?? নাকি হাকিতে জনগনকে মুসলিমই ভাবেনা??
☞ আর সাধারণ জনগনের জন্য হিতাকাঙ্ক্ষী হওয়াতে আমরা জনসমর্থন পুজারী হলে, তারা জনসমর্থন পুজারী না হয়েই বা তাদের ফায়দা ও অবদানগুল কী কী??
☞ আমি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সহ গ্রাম শহরে যেথায়ই গিয়েছি, আল্লাহ নিয়েছেন সব জায়গায়ই কিছুনা কিছু যুবক এমন পেয়েছি যারা স্পষ্ট বলছেন আমার পরিবর্তনের পেছনে আল্লাহর রহমতে একমাত্র অবদান
শাইখ তামিম আদনান হাফিঃ,,
তাহলে তারা যাকে/ বা যাদেরকে জনসমর্থন পুজারী বললো জনগন তাওহীদ তাদের থেকেই শিখলো,
কিন্তু জনসমর্থন পুজারীর আখ্যাদাতারা জনগনকে কী দিলো?? ☞বাংলাদেশে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের হত্যা করেছে এই জনসমর্থন পুজারীরাইই, আর তারা এই কাজের মাধ্যমে মুমিমদের হৃদয়কে প্রশান্ত করেছে, কিন্তু বিপরীতে জনসমর্থন পুজারী আখ্যাদাতাদের অবদান কী?
☞ হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে মাজলুম সেই মুসলিম যুবকদের কথা যাদেরকে তাগুত বন্দী করেছে [আল্লাহ তাদের সাহায্য করুন], দ্বিতীয়ত প্রতিটি কাজেরই একটি ফলাফল আছে, যেমনটি উপরে নবী মুহাম্মদ ﷺ এর দুটি ঘটনা দেখলাম, কিন্তু এই দল যারা জনসমর্থন পুজারী বলো অপরকে আখ্যা দেয় হলি আর্টিজানের হামলায় তাদের কিংবা মুসলিম জাতির সফলতা কী??
☞ তারা বলে আমরা রু'ব তৈরি করেছি,,, আফসোস তারা এটা জানেই না যে,
ফিরতি আক্রমনের সক্ষমতা তো তাদের নেই, কিন্তু পরিণামে তাগুতের অত্যাচার ও তাওহীদী মুসলিমপর উপরে যেই চাপটা আসবে তা অসহনীয় [এবং বাস্তবে হয়েছেও তাই
#অতএব_মূল_কথা_হলো জায়েজ হওয়া মানেই তা আমল করতেই হবে এবং কেউ এর সুফল ও কুফল ভাবলো তাকে জনসমর্থন পুজারী বলে আখ্যা দিতে হবে, এই নিচু মানসিকা অবশ্যই বর্জন করা আবশ্যক।
আল্লাহ প্রদত্ত জায়েজ বিষয়গুলোর কয়েকটি স্তর রয়েছে।
১। ফরজ [ইমান, পাঁচ ওয়াক্ত সলাত হজ, জাকাত ইত্যাদি]
২। ওয়াজিব [বেতের সলাত]
৩। সুন্নাতে মুয়াক্কাদা [তারাবী, ও ফজরের আগে দুই রাকা ইত্যাদি]
৪। সুন্নাতে জায়েদা [তাহাজ্জুদ, মিসওয়াক ইত্যাদি]
বরং সেগুলোর জন্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ জরুরী।
জায়েজ বিষয়টি যদি এমন হয় যে, আল্লাহ প্রদত্ত আবশ্যিক ভাবেই তা জায়েজ তথা তা আদায় করতেই হবে, তাহলে সেটা ভিন্ন।
কিন্তু সব কাজই এমন নয় যে, করতেই হবে।
#উদাহরণস্বরূপ-
#এক: কাবা ঘর ভাঙ্গতে চাইলেন নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তা হজরত ইব্রাহিম আলাইহিসসালামের নির্মাণের উপর নির্ণাম করতে চাইলেন,
কিন্তু নবী মুহাম্মদ ﷺ সেটা করলেননা।
এর জওয়াব তিনিই আম্মাজান আয়শা রাজিঃ'কে দিয়েছেন যে,
মানুষ এইমাত্র দ্বীনে এসেছে, যদি কাবা ভেঙে নতুন করে বানাই,
তাহলে মানুষের মধ্যে বদ ধারণা আসবে.....
#বুঝুন_ বদ ধারণা বা খারাপ ধারণা আসতে পারে, সেই দিকে দেখে নবী মুহাম্মদ ﷺ একটি জায়েজ কাজ ছেড়ে দিলেন।
#দুই: এরপর আবার দেখুন মুনাফিক হত্যার বিষয়টি- তাদেরকে হত্যা বৈধ ছিল, কিন্তু নবী মুহাম্মদ ﷺ হত্যা করেননি, কারণ মানুষ এটা বলবে যে মুহাম্মদ সাথীদেরকেই হত্যা করে। এতে করে ইসলামের দিকে মানুষের ঝোক কমে যাবে।
#বুঝুন_ মানুষ খারাপ ধারণা করবে এই কারণেই নবী মুহাম্মদ ﷺ মুনাফিকদের হত্যা বৈধ পাশাপাশি জরুরী থাকা সত্বেও তিনি তা করলেননা।
#ঘটনা_দুটি_পড়ার_পরো_আপনি_কী_করবেন আপনি কি ওই ব্যক্তির মত কথা বলবেন যে কিনা
নবী মুহাম্মদ ﷺ'কে বলোছিল
হে মোহাম্মদ ইনসাফ করো [নাউজুবিল্লাহ]।
পৃথিবীতে সবচেয়ে ইনসাফগার ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে ইনসাফ করো।
যাইহোক উক্ত মন্তব্য করার পরেই আল্লাহর নবী লোকটির ব্যপারে ভবিষ্যতবাণী করে দিলেন যে,
তার বংশ থেকে ফিতনাবাজ দলের আবির্ভাব হবে [খাওয়ারিজদের আবির্ভাব] (খাওয়ারিজ সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুল গুগলে সার্চ করলেই এর রেফারেন্সগুলো আপনিই পেয়ে যাবেন ইন-শাআল্লাহ) আপনি কি বলবেন নবী মুহাম্মদ ﷺ জনসমর্থন পুজারী ছিলেন?? [নাউজুবিল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ, নাউজুবিল্লাহ] নাকি এটা বলবেন
যে নবী মুহাম্মদ ﷺ যা করেছেন সেটাই শরীয়াহ??
যদি বলেন নবী মুহাম্মদ ﷺ জনসমর্থন পুজারী ছিলেন, তাহলে আপনাকে বলবো, তাওবা করুন ও ইমান আনুন, ইস্তিগফার করুন, সালাম। কিন্তু যদি বলেন শরীয়াহ সম্মতই ছিলো
নবী মুহাম্মদ ﷺ এর কর্মকাণ্ড, তাহলে আপনাকেই জিজ্ঞেস করছি একই রকমের কাজ যদি উম্মাহ করে তাহলে উম্মাহ কেন জনসমর্থন পুজারী হবে..?
কিছু মাতাল ও অসদাচরণে অগ্রজ ব্যক্তি বলে বেড়ায় যে, তারা তো ইউটিউব ব্যবসা খুলে বসেছে, তারা তো জনসমর্থন কুড়ায় কারণ তারা জনসমর্থন পুজারী ইত্যাদি ইত্যাদি। #কিন্তু_কথা_হলো-
☞ তারাই বলে আমরা ব্যপকভাবে জনগনকে কাফের বলিনা,
যদি ব্যপকভাবে জনগনকে কাফের নাই বলা হয়
তাহলে জনগনকে দাওয়াহ দিতে ও জিহাদ মুখি করলে সমস্যা কী, এখানে জনসমর্থন পুজারীর কী আছে..?
মুসলিমদেরকে দ্বীনের দিকে আনার জন্য চেষ্টা করাকে জনসমর্থন পুজারী বলে?? নাকি হাকিতে জনগনকে মুসলিমই ভাবেনা??
☞ আর সাধারণ জনগনের জন্য হিতাকাঙ্ক্ষী হওয়াতে আমরা জনসমর্থন পুজারী হলে, তারা জনসমর্থন পুজারী না হয়েই বা তাদের ফায়দা ও অবদানগুল কী কী??
☞ আমি প্রত্যন্ত এলাকার মানুষ সহ গ্রাম শহরে যেথায়ই গিয়েছি, আল্লাহ নিয়েছেন সব জায়গায়ই কিছুনা কিছু যুবক এমন পেয়েছি যারা স্পষ্ট বলছেন আমার পরিবর্তনের পেছনে আল্লাহর রহমতে একমাত্র অবদান
শাইখ তামিম আদনান হাফিঃ,,
তাহলে তারা যাকে/ বা যাদেরকে জনসমর্থন পুজারী বললো জনগন তাওহীদ তাদের থেকেই শিখলো,
কিন্তু জনসমর্থন পুজারীর আখ্যাদাতারা জনগনকে কী দিলো?? ☞বাংলাদেশে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের হত্যা করেছে এই জনসমর্থন পুজারীরাইই, আর তারা এই কাজের মাধ্যমে মুমিমদের হৃদয়কে প্রশান্ত করেছে, কিন্তু বিপরীতে জনসমর্থন পুজারী আখ্যাদাতাদের অবদান কী?
☞ হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার প্রসঙ্গে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে মাজলুম সেই মুসলিম যুবকদের কথা যাদেরকে তাগুত বন্দী করেছে [আল্লাহ তাদের সাহায্য করুন], দ্বিতীয়ত প্রতিটি কাজেরই একটি ফলাফল আছে, যেমনটি উপরে নবী মুহাম্মদ ﷺ এর দুটি ঘটনা দেখলাম, কিন্তু এই দল যারা জনসমর্থন পুজারী বলো অপরকে আখ্যা দেয় হলি আর্টিজানের হামলায় তাদের কিংবা মুসলিম জাতির সফলতা কী??
☞ তারা বলে আমরা রু'ব তৈরি করেছি,,, আফসোস তারা এটা জানেই না যে,
ফিরতি আক্রমনের সক্ষমতা তো তাদের নেই, কিন্তু পরিণামে তাগুতের অত্যাচার ও তাওহীদী মুসলিমপর উপরে যেই চাপটা আসবে তা অসহনীয় [এবং বাস্তবে হয়েছেও তাই
#অতএব_মূল_কথা_হলো জায়েজ হওয়া মানেই তা আমল করতেই হবে এবং কেউ এর সুফল ও কুফল ভাবলো তাকে জনসমর্থন পুজারী বলে আখ্যা দিতে হবে, এই নিচু মানসিকা অবশ্যই বর্জন করা আবশ্যক।
Comment