আল্লাহর রাসূল (সা.) কে নিয়ে কটুক্তিকারীর ব্যাপারে বিভিন্ন মাযহাবের বক্তব্য হানাফী মাযহাবের বক্তব্য: হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ‘আল বাহরুর রায়েক শরহু কানজুদ দাকায়েক' কিতাবে বলা হয়েছে-
‘যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে সে অবশ্যই মুরতাদ ।
ইসলামী শরিয়তে মুরতাদের যে বিধান তার ব্যাপারে সেই বিধানই প্রযোজ্য হবে ।
মুরতাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয় তার ব্যাপারে সেই আচরণই করা হবে। ويل و قيت ريجيلان يقويلبنتاجوونترومنتال بیقی انوک اتاق خوا تورتوروقه شو لجميل فوکو هالوتکو فیت بالا و صيق وتجلو تکستايل مرووغل .
রাসূল (সা.) কে গালী-গালাজকারী মুরতাদ। ইমাম আবু হানীফা (র.) থেকে যারা এই ফতোয়া বর্ণনা করেছেন- তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, কাজী ইয়াজ ।
তিনি তার ‘আল শেফা' নামক কিতাবে বলেন, আবু বকর ইবনুল মুনযির বলেছেন, অধিকাংশ আলেমগণ ঐক্যমত পোষণ করেন যে, যে বা যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে তাকে বা তাদেরকে হত্যা করা হবে।
এ মত যারা পোষণ করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, মালেক ইবনে আনাস, লাইস, আহমদ, ইসহাক এবং এটাই ইমাম শাফেয়ীর মাযহাব ।'
کو اکیل نوجوان ټول غاوجيليفوني وگون خويه وشلونين بوترپ ب واويل تو وجمال شكل خرقت انوكلمتلقي
‘কাজী আবুল ফজল বলেন, এটাই আবু বকর সিদ্দীক (রা.) এর বক্তব্যের মর্মকথা। তিনি বলেছেন, এ ধরণের লোকদের তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না।
একই ধরণের মন্তব্য করেছেন ইমাম আবু হানীফা (র.) এবং তার মতের অনুসারীরা ঐ সকল লোকদের ব্যাপারে যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে হেয় প্রতিপন্ন করলো অথবা গালী-গালাজ করলো
অথবা রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করলো। (আল বাহরুর রায়েক ১৩/৪৯৬; অধ্যায় : মুরতাদদের বিধি বিধান) ফাতাওয়ায়ে শামীতে বলা হয়েছে হানাফী মাযহাবের আরেকটি প্রসিদ্ধ কিতাব
‘ফাতাওয়ায়ে শামী’তে বলা হয়েছে- ايلا رخ لاحد: يكغ لا يلا يلغو غويييير ياللاج[ ] ورض لاهي انج ميه م يلا نيسئ لايجلا رتيكى لالالاى حلا اله شرائيل لالإلى وضو لا ذپ وخحضيل · أو تلاوأل : ألاؤلا تجلإ من لازها ل ذيلا الآنك له تالاملاح الايلايلمنلك يالا غ ، بس زوملآلاو ليلا : لا احد
‘যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কটাক্ষ বা গালী-গালাজ করবে তাদের হত্যা করার ব্যাপারে সমস্ত ওলামায়ে কিরাম একমত।
ইমাম মালেক, লাইস, আহমদ, ইসহাক, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আবু হানীফা (র.) ও তার সাথীবর্গ এবং ইমাম আওযায়ী সকলেই একমত পোষণ করেন...
(ফাতওয়ায়ে শামী ৪/৪১৭)
কাজী ইয়াজের বক্তব্য হানাফী মাযহাবের প্রসদ্ধি আলেম কাজী ইয়াজ (রহ.) বলেন— يك يلي "غو ونيلااصلى الى زبي يلا رلألا م م تناغي فجيل تج يال مگدغه ولالا لنكلا ‘উম্মতের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী দেওয়া বা তাকে অসম্মান করার শাস্তি হচ্ছে হত্যা করা।
এ ব্যাপারে সকলের ইজমা হয়েছে যে, যে ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী দিবে বা তার অসম্মান করবে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড ।'
(আস সারিমুল মাসলূল ১/৯)
শাফেয়ী মাযহাবের বক্তব্য:
শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম ইবনুল মুনযির (রহ.) ববলেন-لاليل
بلايلاحلل فأكك غه يبيي ريال الاحصهيل · غلالا وهوصخ . "لا ب ولا لايكلا غمو یییی ر ياللاحص هيل · غلالا هوي يلهون
‘যে ব্যক্তি সরাসরী রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে তাকে হত্যা করা ওয়াজীব এবং এ ব্যাপারে সকলেই একমত '
(কিতাবুল ইজমা ইমাম ইবনে মুনযির ১/৩৫) শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আবু বকর আল ফারসী বলেন-
لانيلا وخروي لي بالشلغد" + حؤ" يال وگ عیبی ی ر يالله بلاي صهقلك - غلالا هو ڑ لإلا لا قصرخت مكح اغيضك هلا أ ت زلط له فين وي تج للحيله و لا الله لا ق و زلط تولا
‘শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আবু বকর আল ফারেসী তার ‘আল ইজমা' নামক কিতাবে বলেন, যে ব্যক্তি রাসলল্লাহ (সা.) কে এমন‘কোনো মুসলমান যদি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কটাক্ষ বা গালী-গালাজ করে তাকে অবশ্যই হত্যা করা হবে তার তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আর যদি কোনো কাফের ঐ একই অপরাধ করে এবং পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করতে চায় সে ক্ষেত্রে দুটি মতামত রয়েছে।
একটি হলো:
সে ইসলাম কবুল করলে তাকে ক্ষমা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, যদি ধরা পড়ার পূর্বেই নিজে সেচ্ছায় ধরা দেয় এবং তওবা করে । আরেকটি হলো: না! তাকেও ক্ষমা করা হবে না বরং হত্যা করা হবে ।
(আত তালকীন ফী ফিকহিল মালেক ২/৫০৭) আল কাফী ফী ফিকহি আহলিল মাদিনাহ কিতাবের বক্তব্য: ي ريال لأحصهيل · غلالا هو ؤ ني هي" م" ييلاجيد غو من تنلام له يغيه محال يغل گنو لافلا ‘ যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে সে মুসলমান হোক বা জিম্মি (কাফের) হোক তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করা হবে। এ দুটি মতই ইমাম মালেক (র.) থেকে ইবনুল হাকাম ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন ।' (আল কাফী ফী ফিকহি আহলিল মাদিনাহ । অধ্যায় : মুরতাদদের প্রকাশ্য বিধান সংক্রান্ত অধ্যায়ে) আয যাখীরাহ ফী ফিকহিল মালেকী কিতাবের বক্তব্য: لا يريل أغ ثيلاحوالهايلا فالليل لا د دغلاله ز ه ؤں : تربك لاو زيل ولا ‘যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহকে অথবা আল্লাহর রাসূলকে অথবা অন্য কোনো নবী-রাসূলকে গালী দেয় তাকে ইসলামের নির্ধারীত বিধান অনুযায়ী হত্যা করা হবে। সে যদি তওবা করে তা সত্বেও তার এই শাস্তি রহিত হবে না।' (আয যাখীরাহ ফী ফিকহিল মালেকী ১১/৩০২) হাম্বলী মাযহাবের বক্তব্য: হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম ইমাম ইবনে কুদামা বলেন : ‘যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী দেয় তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে ।' (আশ শারহুল কাবীর লি ইবনি কুদামাহ ১০/৬৩৫) আস সারেমুল মাসলূল নামক কিতাবে ইমাম আহমদ এর বর্ণনা সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: یی ريال لايص هيل · غهلا لاهو لأ ؤ ن ن ن تن ضغؤفجج الآن : ي آيغيل · لان الجلا شبيج غوح منى يسؤول الاحصهيل · هلالا هويلا الآاصلا رى فهي م ييلا متلاك فعلا وؤن لايف يي ؤنلا و ؤؤ ‘ ইমাম আহমদ (র.) একাধিক জায়গায় বলেছেন, যে সকল লোক রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করে অথবা কটাক্ষ করে তারা মুসলমান হোক বা কাফের হোক তাদেরকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে আমি মনে করি তাদেরকে তওবার সুযোগ না দিয়ে হত্যা করা হোক।' (আস সারেমুল মাসলূল আ’লা শাতিমির রাসূল ১/১০) উসূলুস সুন্নাহ কিতাবের বক্তব্য: : بله لاجل الاقل لى يسؤولخ ولا د الله په ز قليلا و يقل ولاي " لارؤلأيلاخ والله زيت لى ي لون حجأ لأ م ن هللا کو وؤلاي : للايجفشخلولاه ؤ دغو للنفخ ‘সঠিক সিদ্ধান্ত হলো এই যে, জিন্দীক মুনাফেক এবং যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে অথবা সাহাবীদের গালী দেয় অথবা আল্লাহ, আল্লাহর কিতাব অথবা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে এবং যারা জাদুকর এবং যাদের মুরতাদ হওয়া বারংবার প্রমাণিত এদের সকলের ব্যাপারে ইসলামের বিধান হলো, কোনো প্রকার তওবা করার সুযোগ দেয়া ছাড়াই তাদের হত্যা করতে হবে। যাতে তাদের অন্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং অন্যেরা এ ধরণের অন্যায় করতে সাহস না পায়।' (উসলূস সুন্নাহ ১/৪৯২) শায়খ বিন বায ও ইমাম আলবানীর বক্তব্য: প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নাসীরুদ্দীন আলবানী হাকীকাতুল ঈমান নামক কিতাবে বলেন, تزول خاجی یحه مطالا بلل در ویلا بله بلاچ مئج الإيلايلو + يل ولا لأ -- الاحوالهلايلا رؤلأيلاش الى يسخلأ ر لأهلها رن' تلا: উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, যারা আল্লাহকে অথবা আল্লাহর রাসূল (সা.) কে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে অথবা কটুক্তি ও গালা-গালি করে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড । আল্লাহর জমিনে তাদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার থাকে না । তাদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই । এ ব্যাপারে ইসলামের সকল মাযহাব ও দল-মত নির্বিশেষে সকলেরই ইজমা রয়েছে । কিন্তু এদেশের মুসলিম জাতি তাদের পাওনা শাস্তি না দিয়ে তাদের বিরূদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি ও মিছিল-মিটিং করেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন। আর তাতে নাস্তিক-মুরতাদরাই সুবিধা পাচ্ছে। সরকার তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। সাধারণ নাস্তিক-মুরতাদরা তাদের নেতা খুজে পাচ্ছে । আর দেশি-বিদেশি প্রভুরা তাদের সাহায্য-সহযোগীতা ও পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে । অথচ সাহাবায়ে কিরামগণ এ ধরণের কোনো বক্তৃতা-বিবৃতি ও মিছিল-মিটিংয়ের দিকে না গিয়ে সরাসরি তাদের যথাযথ পাওনা চুকিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু বর্তমানে যখনই এরকম কোনো বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখনই একদল লোক মিছিল-মিটিং ও বক্তৃতা- বিবৃতি শুরু করে দেয় এবং তাদেরকে হিরো বানায়। সরকার তাদের নিরাপত্তা দেয়। বিদেশিরা তাদের আশ্রয় দেয়। তাসলিমা নাসরিন, সালমান রূশদীরা এর জ্বলন্ত প্রমান ।
তবে এদের পাওনা চুকিয়ে দেওয়ার পরে অন্যদেরকে সাবধান করার জন্য এধরণের কর্মসূচী পালন করা যেতে পারে ।
কিন্তু তা না করে শুধু মিছিল-মিটিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এবং কেউ যদি এদের যথাযথ পাওনা চুকিয়ে দেয় তাহলে তাদেরকে জঙ্গিবাদী বলে আখ্যায়ীত করা। তাদের বিরূদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে শুরু করে দেওয়া।
তাদেরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। বরং তাদের আশ্রয় দেয়া, সাহায্য-সহযোগীতা করা ঈমানী দায়িত্ব ।
যুগে যুগে এ ধরণের লোকদের হত্যা করা হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এদের হত্যা করতে বলেছেন যা বিস্তারিত ভাবে দলীল প্রমান সহ উল্লেখ করা হয়েছে।
মূলত এ লোকগুলো ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়ে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় গণতন্ত্রের মুখোশ পরিধাণ করার কারণে জিহাদকে ভূলে গেছে
এখন তারা জিহাদ বলতে মিছিল-মিটিং ও বক্তৃতা-বিবৃতিকেই বুঝে । অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) কে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, জিহাদ কি জিনিষ?
তিনি সরাসরি উত্তর দিলেন-
জিহাদ হলো আল্লাহর দুশমনদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করা ।
ইরশাদ হয়েছে:
নিকটবর্তী নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগার ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা । পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে—
‘হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের নিকটবর্তী কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন ।' (সুরা তাওবা, ৯:১২৩)
আল্লাহ (সুব.) যেমন কাফেরদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেছেন তেমনিভাবে বর্তমান যুগের ব্লগার মার্কা মুনাফিকদের বিরূদ্ধেও যুদ্ধ করতে বলেছেন । পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে: ‘হে নবী, কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের উপর কঠোর হও, আর তাদের ঠিকানা হল জাহান্নাম; আর তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান ।' (তাওবা ৯:৭৩) আজ যারা এই নাস্তিক-মুরতাদ ও ইয়াহুদী-খৃস্টানদের দালাল ব্লগারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তাদের উপরে চরম যুলুম ও নির্যাতন করা হচ্ছে ।
চতুর্দিকে মজলুমের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। এই মজলুম উম্মাহর পাশে দাড়ানোর জন্য আল্লাহ (সুব.) আহ্বান জানাচ্ছে । পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে' যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী ।'
(সুরা নিসা, ৪:৭৫)
উদাত্ত আহ্বান,,,
তাই আসুন আল্লাহর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকল প্রকার নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগার ও তাদের পৃষ্ঠ-পোষকদের বিরুদ্ধে শীশা ঢালা লৌহ প্রাচীরের ন্যায় কাতার বন্দী হয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি
📝 উন্মুক্ত তরবারী
‘যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে সে অবশ্যই মুরতাদ ।
ইসলামী শরিয়তে মুরতাদের যে বিধান তার ব্যাপারে সেই বিধানই প্রযোজ্য হবে ।
মুরতাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয় তার ব্যাপারে সেই আচরণই করা হবে। ويل و قيت ريجيلان يقويلبنتاجوونترومنتال بیقی انوک اتاق خوا تورتوروقه شو لجميل فوکو هالوتکو فیت بالا و صيق وتجلو تکستايل مرووغل .
রাসূল (সা.) কে গালী-গালাজকারী মুরতাদ। ইমাম আবু হানীফা (র.) থেকে যারা এই ফতোয়া বর্ণনা করেছেন- তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, কাজী ইয়াজ ।
তিনি তার ‘আল শেফা' নামক কিতাবে বলেন, আবু বকর ইবনুল মুনযির বলেছেন, অধিকাংশ আলেমগণ ঐক্যমত পোষণ করেন যে, যে বা যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে তাকে বা তাদেরকে হত্যা করা হবে।
এ মত যারা পোষণ করেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, মালেক ইবনে আনাস, লাইস, আহমদ, ইসহাক এবং এটাই ইমাম শাফেয়ীর মাযহাব ।'
کو اکیل نوجوان ټول غاوجيليفوني وگون خويه وشلونين بوترپ ب واويل تو وجمال شكل خرقت انوكلمتلقي
‘কাজী আবুল ফজল বলেন, এটাই আবু বকর সিদ্দীক (রা.) এর বক্তব্যের মর্মকথা। তিনি বলেছেন, এ ধরণের লোকদের তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না।
একই ধরণের মন্তব্য করেছেন ইমাম আবু হানীফা (র.) এবং তার মতের অনুসারীরা ঐ সকল লোকদের ব্যাপারে যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে হেয় প্রতিপন্ন করলো অথবা গালী-গালাজ করলো
অথবা রাসূলুল্লাহ (সা.) থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করলো। (আল বাহরুর রায়েক ১৩/৪৯৬; অধ্যায় : মুরতাদদের বিধি বিধান) ফাতাওয়ায়ে শামীতে বলা হয়েছে হানাফী মাযহাবের আরেকটি প্রসিদ্ধ কিতাব
‘ফাতাওয়ায়ে শামী’তে বলা হয়েছে- ايلا رخ لاحد: يكغ لا يلا يلغو غويييير ياللاج[ ] ورض لاهي انج ميه م يلا نيسئ لايجلا رتيكى لالالاى حلا اله شرائيل لالإلى وضو لا ذپ وخحضيل · أو تلاوأل : ألاؤلا تجلإ من لازها ل ذيلا الآنك له تالاملاح الايلايلمنلك يالا غ ، بس زوملآلاو ليلا : لا احد
‘যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কটাক্ষ বা গালী-গালাজ করবে তাদের হত্যা করার ব্যাপারে সমস্ত ওলামায়ে কিরাম একমত।
ইমাম মালেক, লাইস, আহমদ, ইসহাক, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আবু হানীফা (র.) ও তার সাথীবর্গ এবং ইমাম আওযায়ী সকলেই একমত পোষণ করেন...
(ফাতওয়ায়ে শামী ৪/৪১৭)
কাজী ইয়াজের বক্তব্য হানাফী মাযহাবের প্রসদ্ধি আলেম কাজী ইয়াজ (রহ.) বলেন— يك يلي "غو ونيلااصلى الى زبي يلا رلألا م م تناغي فجيل تج يال مگدغه ولالا لنكلا ‘উম্মতের ওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী দেওয়া বা তাকে অসম্মান করার শাস্তি হচ্ছে হত্যা করা।
এ ব্যাপারে সকলের ইজমা হয়েছে যে, যে ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী দিবে বা তার অসম্মান করবে সে কাফের হয়ে যাবে এবং তার শাস্তি মৃত্যুদন্ড ।'
(আস সারিমুল মাসলূল ১/৯)
শাফেয়ী মাযহাবের বক্তব্য:
শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম ইবনুল মুনযির (রহ.) ববলেন-لاليل
بلايلاحلل فأكك غه يبيي ريال الاحصهيل · غلالا وهوصخ . "لا ب ولا لايكلا غمو یییی ر ياللاحص هيل · غلالا هوي يلهون
‘যে ব্যক্তি সরাসরী রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে তাকে হত্যা করা ওয়াজীব এবং এ ব্যাপারে সকলেই একমত '
(কিতাবুল ইজমা ইমাম ইবনে মুনযির ১/৩৫) শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আবু বকর আল ফারসী বলেন-
لانيلا وخروي لي بالشلغد" + حؤ" يال وگ عیبی ی ر يالله بلاي صهقلك - غلالا هو ڑ لإلا لا قصرخت مكح اغيضك هلا أ ت زلط له فين وي تج للحيله و لا الله لا ق و زلط تولا
‘শাফেয়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম আবু বকর আল ফারেসী তার ‘আল ইজমা' নামক কিতাবে বলেন, যে ব্যক্তি রাসলল্লাহ (সা.) কে এমন‘কোনো মুসলমান যদি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কটাক্ষ বা গালী-গালাজ করে তাকে অবশ্যই হত্যা করা হবে তার তওবা গ্রহণযোগ্য হবে না।
আর যদি কোনো কাফের ঐ একই অপরাধ করে এবং পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণ করতে চায় সে ক্ষেত্রে দুটি মতামত রয়েছে।
একটি হলো:
সে ইসলাম কবুল করলে তাকে ক্ষমা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে শর্ত হলো, যদি ধরা পড়ার পূর্বেই নিজে সেচ্ছায় ধরা দেয় এবং তওবা করে । আরেকটি হলো: না! তাকেও ক্ষমা করা হবে না বরং হত্যা করা হবে ।
(আত তালকীন ফী ফিকহিল মালেক ২/৫০৭) আল কাফী ফী ফিকহি আহলিল মাদিনাহ কিতাবের বক্তব্য: ي ريال لأحصهيل · غلالا هو ؤ ني هي" م" ييلاجيد غو من تنلام له يغيه محال يغل گنو لافلا ‘ যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করবে সে মুসলমান হোক বা জিম্মি (কাফের) হোক তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করা হবে। এ দুটি মতই ইমাম মালেক (র.) থেকে ইবনুল হাকাম ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন ।' (আল কাফী ফী ফিকহি আহলিল মাদিনাহ । অধ্যায় : মুরতাদদের প্রকাশ্য বিধান সংক্রান্ত অধ্যায়ে) আয যাখীরাহ ফী ফিকহিল মালেকী কিতাবের বক্তব্য: لا يريل أغ ثيلاحوالهايلا فالليل لا د دغلاله ز ه ؤں : تربك لاو زيل ولا ‘যদি কোনো ব্যক্তি আল্লাহকে অথবা আল্লাহর রাসূলকে অথবা অন্য কোনো নবী-রাসূলকে গালী দেয় তাকে ইসলামের নির্ধারীত বিধান অনুযায়ী হত্যা করা হবে। সে যদি তওবা করে তা সত্বেও তার এই শাস্তি রহিত হবে না।' (আয যাখীরাহ ফী ফিকহিল মালেকী ১১/৩০২) হাম্বলী মাযহাবের বক্তব্য: হাম্বলী মাযহাবের প্রসিদ্ধ আলেম ইমাম ইবনে কুদামা বলেন : ‘যে ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী দেয় তাকে সর্বাবস্থায় হত্যা করতে হবে ।' (আশ শারহুল কাবীর লি ইবনি কুদামাহ ১০/৬৩৫) আস সারেমুল মাসলূল নামক কিতাবে ইমাম আহমদ এর বর্ণনা সম্পর্কে ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: یی ريال لايص هيل · غهلا لاهو لأ ؤ ن ن ن تن ضغؤفجج الآن : ي آيغيل · لان الجلا شبيج غوح منى يسؤول الاحصهيل · هلالا هويلا الآاصلا رى فهي م ييلا متلاك فعلا وؤن لايف يي ؤنلا و ؤؤ ‘ ইমাম আহমদ (র.) একাধিক জায়গায় বলেছেন, যে সকল লোক রাসূলুল্লাহ (সা.) কে গালী-গালাজ করে অথবা কটাক্ষ করে তারা মুসলমান হোক বা কাফের হোক তাদেরকে অবশ্যই হত্যা করতে হবে আমি মনে করি তাদেরকে তওবার সুযোগ না দিয়ে হত্যা করা হোক।' (আস সারেমুল মাসলূল আ’লা শাতিমির রাসূল ১/১০) উসূলুস সুন্নাহ কিতাবের বক্তব্য: : بله لاجل الاقل لى يسؤولخ ولا د الله په ز قليلا و يقل ولاي " لارؤلأيلاخ والله زيت لى ي لون حجأ لأ م ن هللا کو وؤلاي : للايجفشخلولاه ؤ دغو للنفخ ‘সঠিক সিদ্ধান্ত হলো এই যে, জিন্দীক মুনাফেক এবং যারা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে অথবা সাহাবীদের গালী দেয় অথবা আল্লাহ, আল্লাহর কিতাব অথবা রাসূলুল্লাহ (সা.) কে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্ল করে এবং যারা জাদুকর এবং যাদের মুরতাদ হওয়া বারংবার প্রমাণিত এদের সকলের ব্যাপারে ইসলামের বিধান হলো, কোনো প্রকার তওবা করার সুযোগ দেয়া ছাড়াই তাদের হত্যা করতে হবে। যাতে তাদের অন্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে এবং অন্যেরা এ ধরণের অন্যায় করতে সাহস না পায়।' (উসলূস সুন্নাহ ১/৪৯২) শায়খ বিন বায ও ইমাম আলবানীর বক্তব্য: প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম নাসীরুদ্দীন আলবানী হাকীকাতুল ঈমান নামক কিতাবে বলেন, تزول خاجی یحه مطالا بلل در ویلا بله بلاچ مئج الإيلايلو + يل ولا لأ -- الاحوالهلايلا رؤلأيلاش الى يسخلأ ر لأهلها رن' تلا: উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, যারা আল্লাহকে অথবা আল্লাহর রাসূল (সা.) কে নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে অথবা কটুক্তি ও গালা-গালি করে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড । আল্লাহর জমিনে তাদের বেঁচে থাকার কোন অধিকার থাকে না । তাদের জন্য কোনো ক্ষমা নেই । এ ব্যাপারে ইসলামের সকল মাযহাব ও দল-মত নির্বিশেষে সকলেরই ইজমা রয়েছে । কিন্তু এদেশের মুসলিম জাতি তাদের পাওনা শাস্তি না দিয়ে তাদের বিরূদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি ও মিছিল-মিটিং করেই ক্ষ্যান্ত হচ্ছেন। আর তাতে নাস্তিক-মুরতাদরাই সুবিধা পাচ্ছে। সরকার তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে। সাধারণ নাস্তিক-মুরতাদরা তাদের নেতা খুজে পাচ্ছে । আর দেশি-বিদেশি প্রভুরা তাদের সাহায্য-সহযোগীতা ও পৃষ্ঠপোষকতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে । অথচ সাহাবায়ে কিরামগণ এ ধরণের কোনো বক্তৃতা-বিবৃতি ও মিছিল-মিটিংয়ের দিকে না গিয়ে সরাসরি তাদের যথাযথ পাওনা চুকিয়ে দিয়েছেন । কিন্তু বর্তমানে যখনই এরকম কোনো বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তখনই একদল লোক মিছিল-মিটিং ও বক্তৃতা- বিবৃতি শুরু করে দেয় এবং তাদেরকে হিরো বানায়। সরকার তাদের নিরাপত্তা দেয়। বিদেশিরা তাদের আশ্রয় দেয়। তাসলিমা নাসরিন, সালমান রূশদীরা এর জ্বলন্ত প্রমান ।
তবে এদের পাওনা চুকিয়ে দেওয়ার পরে অন্যদেরকে সাবধান করার জন্য এধরণের কর্মসূচী পালন করা যেতে পারে ।
কিন্তু তা না করে শুধু মিছিল-মিটিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এবং কেউ যদি এদের যথাযথ পাওনা চুকিয়ে দেয় তাহলে তাদেরকে জঙ্গিবাদী বলে আখ্যায়ীত করা। তাদের বিরূদ্ধে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতে শুরু করে দেওয়া।
তাদেরকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেওয়া উচিত নয়। বরং তাদের আশ্রয় দেয়া, সাহায্য-সহযোগীতা করা ঈমানী দায়িত্ব ।
যুগে যুগে এ ধরণের লোকদের হত্যা করা হয়েছে এবং রাসূলুল্লাহ (সা.) এদের হত্যা করতে বলেছেন যা বিস্তারিত ভাবে দলীল প্রমান সহ উল্লেখ করা হয়েছে।
মূলত এ লোকগুলো ইসলামের মূল শিক্ষা থেকে দূরে সরে গিয়ে পাশ্চাত্য চিন্তাধারায় গণতন্ত্রের মুখোশ পরিধাণ করার কারণে জিহাদকে ভূলে গেছে
এখন তারা জিহাদ বলতে মিছিল-মিটিং ও বক্তৃতা-বিবৃতিকেই বুঝে । অথচ রাসূলুল্লাহ (সা.) কে যখন জিজ্ঞেস করা হলো, জিহাদ কি জিনিষ?
তিনি সরাসরি উত্তর দিলেন-
জিহাদ হলো আল্লাহর দুশমনদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করা ।
ইরশাদ হয়েছে:
নিকটবর্তী নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগার ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা । পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে—
‘হে মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের নিকটবর্তী কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর এবং তারা যেন তোমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখতে পায়। আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন ।' (সুরা তাওবা, ৯:১২৩)
আল্লাহ (সুব.) যেমন কাফেরদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেছেন তেমনিভাবে বর্তমান যুগের ব্লগার মার্কা মুনাফিকদের বিরূদ্ধেও যুদ্ধ করতে বলেছেন । পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে: ‘হে নবী, কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং তাদের উপর কঠোর হও, আর তাদের ঠিকানা হল জাহান্নাম; আর তা কতইনা নিকৃষ্ট স্থান ।' (তাওবা ৯:৭৩) আজ যারা এই নাস্তিক-মুরতাদ ও ইয়াহুদী-খৃস্টানদের দালাল ব্লগারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে তাদের উপরে চরম যুলুম ও নির্যাতন করা হচ্ছে ।
চতুর্দিকে মজলুমের আর্তনাদে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। এই মজলুম উম্মাহর পাশে দাড়ানোর জন্য আল্লাহ (সুব.) আহ্বান জানাচ্ছে । পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে- ‘আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, ‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে' যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী ।'
(সুরা নিসা, ৪:৭৫)
উদাত্ত আহ্বান,,,
তাই আসুন আল্লাহর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সকল প্রকার নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগার ও তাদের পৃষ্ঠ-পোষকদের বিরুদ্ধে শীশা ঢালা লৌহ প্রাচীরের ন্যায় কাতার বন্দী হয়ে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ি
📝 উন্মুক্ত তরবারী
Comment