Announcement

Collapse
No announcement yet.

♦️যিলহজ্বের কিছু আ'মল!♦️

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ♦️যিলহজ্বের কিছু আ'মল!♦️

    √ যিলহজ্ব_মাস____বাংলাদেশঃ


    ১) কবে শুরু?
    ==>> ৩০ জুন বৃহস্পতিবার যিলক্বদ মাসের ২৯ দিন শেষ হবে, ইন শা আল্লাহ।
    ঐ দিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখতে হবে।

    ২) রোযা রাখবো কবে?
    ==>> যদি চাঁদ ৩০ জুন সন্ধ্যায দেখা যায় তাহলে ঐ দিন রাতেই সাহরি খেয়ে ০১ জুলাই শুক্রবার থেকে রোযা রাখা শুরু করতে হবে।
    (সেই ভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে)
    আর যদি ৩০ তারিখ চাঁদ দেখা না যায় তাহলে ০১ তারিখ শুক্রবার রাতে সাহরি খেয়ে ০২ তারিখ শনিবার থেকে রোযা রাখতে হবে।

    ৩) কতগুলো রাখবো?
    ==>> রোযা মোট ৯ টা (১~৯ যিলহজ্জ)। সবগুলো রাখাই উত্তম।
    সব না পারলে সাধ্যমত রাখতে হবে।
    অন্তত কিছু না হলেও শেষের দুটো রোযা (৮, ৯ যিলহজ্জ) বা শেষ (৯ যিলহজ্জ) একটা রোযা রাখা উচিত।

    এগুলো নফল রোযা।
    কেউ না রাখলে গুনাহ হবে না।
    কেউ আবার ভাববেন না যে রাখতেই হবে। আপনার ইচ্ছা, আপনি আপনার আখেরাত কেমন ভাবে গড়বেন।
    যাদের রমজানের কাযা আছে তারা কাযা রোযার নিয়ত করতে পারেন।

    ৪) শুনেছি ঈদের আগের দিন রোযা রাখা হারাম?
    ==>> ভুল শুনেছেন।
    বছরের ৫ দিন রোযা রাখা হারাম।
    শাওয়ালের ১ তারিখ (রোযার ঈদের দিন), যিলহজ্বের ১০, ১১, ১২, ১৩ তারিখ (কুরবানি ঈদের দিন ও পরের ৩ দিন)। মোট ৫দিন।

    ৫) আমি তো কুরবানী দিবো না তাহলে?
    ==>> এই রোযা গুলো নফল।
    কুরবানীর সাথে সম্পর্ক না।
    আপনি রাখলে সওয়াব পাবেন।
    না রাখলে সমস্যা নাই।

    ৬) শুনেছি যারা কুরবানী করবে তারা নখ চুল ইত্যাদি কাটবে না?
    ==>> জী। যারা কুরবানী করবে তাদের জন্য সুন্নাত হলো যিলহজ্ব শুরুর পর থেকে কুরবানী না করা পর্যন্ত চুল, নখ, গুপ্তাঙ্গ পরিষ্কার না করা।
    এজন্য যিলহজ্জ মাস শুরুর আগেই এই কাজ গুলো করে নিতে হবে।
    যারা কুরবানী করবে না তারাও এই আমল গুলো করলে সোওয়াব পাবে ইনশাআল্লাহ। নারী পুরুষ ছেলে মেয়ে সবাই করতে পারবে এই আমল।
    এই আমল করতে চাইলে ৩০ জুন সন্ধ্যার আগেই সব কিছু পরিষ্কার করে নিতে হবে । আপনি সেই ভাবেই প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।

    ৭) রোযা রাখতে গিয়ে যদি সাহরি খেতে না পারি?
    ==>> সাহরি খাওয়া সুন্নাত।
    ইচ্ছা করে ত্যাগ করা যাবে না।
    যদি ঘুমের কারনে টের না পাওয়া যায় তাহলে কিছু না খেয়ে শুধু নিয়ত করে রাখলেই রোযা হবে।
    নফল রোযা রাখছি বললেই হবে। অন্যদিকে রোযা রাখার জন্য সাহরি করলেই নিয়ত হয়ে যাবে (ইনশা আল্লাহ) মুখে না বল্লেও চলবে।

    ৮) আরাফার দুআ ও তাকবীরে তাশরীক কি?
    ==>> আরাফার দুআ আরাফার দিনে পড়তে হয়। তবে সেটা অন্যান্য যে কোন সময়ও পড়া যাবে।
    দুআ টি হলোঃ
    لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ
    وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ
    لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ
    وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
    উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু
    ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাই ইং কদির।

    (আরবি উচ্চারণ কোন ভাষাতেই লেখা যায় না। এটা পড়ে শিখে নিতে হবে)

    এছাড়া নীচের তাসবীহটি বেশী বেশী পড়বেন।
    سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ وَسُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ
    উচ্চারণ: সুবহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহি ওয়া সুবহানাল্লহিল আযীম ।

    (আরবি উচ্চারণ বাংলা বা ইংরেজীতে সঠিক ভাবে লেখা যায় না।
    কারো থেকে শিখে নিতে হবে)

    আর তাকবীরে তাশরীক প্রত্যেক বালেগ পুরুষ ও নারীর উপর ফরয নামায শেষ করে একবার উচ্চস্বরে পড়া ওয়াজিব। নারীরা নিজে শুনতে পারবে এমন ভাবে পড়বে বেশি উচু স্বরে পড়বে না।
    তাকবীর হলঃ

    اَللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أكْبَرُ،
    لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ،
    وَاللهُ أَكْبَرُ، اَللهُ أَكْبَرُ
    ﻭ ﻟِﻠّﻪ الحَمْدُ
    আল্লহু আকবার আল্লহু আকবার
    লা-ইলাহা ইল্লাল্লহু
    ওয়াল্লহু আকবার আল্লহু আকবার
    ওয়ালিল্লাহিল হামদ

    (আরবি উচ্চারণ বাংলা বা ইংরেজী তে সঠিক ভাবে লেখা যায় না। কারো থেকে শিখে নিবেন)

    ৯) কবে_কখন_পড়তে হবেঃ_______
    ==>> ৯ যিলহজ্জ = ফজর যোহর আছর মাগরিব ইশা
    ১০ যিলহজ্জ = ফজর যোহর আছর মাগরিব ইশা
    ১১ যিলহজ্জ = ফজর যোহর আছর মাগরিব ইশা
    ১২ যিলহজ্জ = ফজর যোহর আছর মাগরিব ইশা
    ১৩ যিলহজ্জ = ফজর যোহর আছর..

    সকল ওয়াক্তে ফরয নামাযের সালামের পরপর একবার পুরুষদের উচ্চ স্বরে পড়বেন আর নারীদের নিজে শোনার মত পড়তে হবে।

    সুন্নাত নফল ওয়াজিব নামাযে পড়া লাগবে না।

    ১০) মহিলাদের কি কুরবানী করতে হয়?
    ==>> জী। কুরবানীর শর্ত পূরণ হলেই করতে হবে।
    যদি সোনা রূপা ও নগদ অর্থ আলাদা ভাবে বা এক সাথে ৪৩০০০ টাকা বা এর বেশি হয় তাহলে কুরবানী করতে হবে।
    এটা আনুমানিক হিসাব বললাম।
    বাজার থেকে ৫২.৫ ভরি রূপার বিক্রয় দাম জেনে নিবেন।

    ১১) ঈদ কবে হবে?
    ==>> যিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখ ঈদ হয়।
    চাঁদ দেখার পর হিসাব করলেই পাওয়া যাবে।
    ১০ জুলাই বা ১১ জুলাই যে কোন একদিন হবে।

    ১২) এখন কি যাকাত দেওয়া যাবে?
    ==>> জী যাবে। যাকাত যে কোন সময় দেওয়া যায়।
    যার যাকাত যখন ফরয হয় তখন দিয়ে দেওয়াই উত্তম।

    ১৩) আরাফার রোযা কবে?
    ==>> আরাফার রোযা ঈদের আগের দিন।
    বাংলাদেশে ঈদ সৌদির একদিন পরে হয়।
    তাই আলেমগণ বলেন ঈদের আগের দুই দিন রোযা রাখতে।

    ~ সংগৃহীত

  • #2
    وَالْيَسَارُ الَّذِي يَتَعَلَّقُ بِهِ) وُجُوبُ (صَدَقَةِ الْفِطْرِ) كَمَا مَرَّ (قَوْلُهُ وَالْيَسَارُ إلَخْ) بِأَنْ مَلَك مِائَتَيْ دِرْهَمٍ أَوْ عَرْضًا يُسَاوِيهَا غَيْرَ مَسْكَنِهِ وَثِيَابِ اللُّبْسِ أَوْ مَتَاعٍ يَحْتَاجُهُ إلَى أَنْ يَذْبَحَ الْأُضْحِيَّةَ وَلَوْ لَهُ عَقَارٌ يَسْتَغِلُّهُ فَقِيلَ تَلْزَمُ لَوْ قِيمَتُهُ نِصَابًا، وَقِيلَ لَوْ يَدْخُلُ مِنْهُ قُوتُ سَنَةٍ تَلْزَمُ، وَقِيلَ قُوتُ شَهْرٍ، فَمَتَى فَضَلَ نِصَابٌ تَلْزَمُهُ. وَلَوْ الْعَقَارُ وَقْفًا، فَإِنْ وَجَبَ لَهُ فِي أَيَّامِهَا نِصَابٌ تَلْزَمُ، وَصَاحِبُ الثِّيَابِ الْأَرْبَعَةِ لَوْ سَاوَى الرَّابِعُ نِصَابًا غِنًى وَثَلَاثَةً فَلَا، لِأَنَّ أَحَدَهَا لِلْبِذْلَةِ وَالْآخَرُ لِلْمِهْنَةِ وَالثَّالِثُ لِلْجَمْعِ وَالْوَفْدِ وَالْأَعْيَادِ، وَالْمَرْأَةُ مُوسِرَةٌ بِالْمُعَجَّلِ لَوْ الزَّوْجُ مَلِيًّا وَبِالْمُؤَجَّلِ لَا، وَبِدَارٍ تَسْكُنُهَا مَعَ الزَّوْجِ إنْ قَدَرَ عَلَى الْإِسْكَانِ কোরবানী ওয়াজিব হবার জন্য শর্ত হল এমন স্বচ্ছলতা যেই স্বচ্ছতার কারণে সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয় এবং সচ্ছলতা দ্বারা উদ্দেশ্য হল যে যে সে দুইশত দিরহামের মালিক হয়েছে অথবা এর সমপরিমাণ মূল্যের আসবাবপত্রের মালিক হয়েছে এটি তার বাসস্থান পরিধেয় বস্ত্র এবং প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র না হতে হবে এবং কোরবানী করার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত এই পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকতে হবে যদি তার স্থাবর সম্পত্তি থাকে এবং সে এর থেকে ফসল উৎপাদন করে তাহলে এক বর্ননা মতে যদি ঐ ফসলের মূল্য নেসাব পরিমাণ হয় তাহলে কুরবানী ওয়াজিব হবে আরেক বর্ননা মতে যদি এর দ্বারা এক বছরের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়ে যায় তাহলে কোরবানী ওয়াজিব হবে আরেক বর্ণনা মতে যদি এক মাসের খাদ্যের ব্যবস্থা হয়ে যায় তাহলে কোরবানী ওয়াজিব হবে . সুতরাং যখন নেসাব পরিপূর্ণ হবে তখন কোরবানী ওয়াজিব হবে যদিও স্থাবর সম্পত্তি ওয়াকফকৃত হয়ে থাকে সুতরাং যদি এই দ্বীন গুলোতে নেসাব পরিমাণ সম্পদ অর্জিত হয় তাহলে কুরবানী আবশ্যক হয়ে যাবে সুতরাং যার চারটি কাপড় রয়েছে এবং চতুর্থ কাপড়টির মূল্য নেসাব পরিমাণ হয় তাহলে তাকে ধনী মনে করা হবে আর তিনটি কাপড় থাকলে তাকে ধনী মনে করা হবে না। কারণ এর একটি হল সর্বদা ব্যবহারের জন্য আরেকটি হল পরিশ্রমের জন্য আর আরেকটি হল সবাই যখন একত্রিত হবে এবং বিভিন্ন প্রতিনিধি দল তার কাছে আসবে এবং ঈদের জন্য পরিধান করবে এবং মহিলাদের জন্য যদি তৎক্ষণাৎ ভাবে মহর নির্ধারণ করা হয় এবং স্বামী ধনী হয় তখন তাকে সামর্থ্য বান ধরা হবে আর যদি বাকিতে নির্ধারণ করা হয় তখন তাকে সামর্থ্য বান ধরা হবে না এবং যদি মহিলার ঘর থাকে এবং স্বামীকে নিয়ে ঐ ঘরে থাকে তাহলে এই ঘরের কারনে তার উপর কোরবানী ওয়াজিব হবে না যদিও স্বামী তাকে নিয়ে অন্যঘরে থাকতে সক্ষম । এবং এখান থেকে প্রমাণিত হচ্ছে যে স্থাবর সম্পত্তি যদি ব্যবসার জন্য হয় এবং এর মূল্য নেসাব পরিমাণ হয় তাহলে কোরবানী ওয়াজিব হবে কারণ এর মাধ্যমে যখন জাকাত ওয়াজিব হচ্ছে তখন অগ্রগন্যতার ভিত্তিতে এতে ফিতরা এবং কোরবানী ওয়াজিব হবার কথা কারণ জাকাত ওয়াজিব হবার জন্য শর্ত হল বর্ধনশীল মাল হওয়া । কিন্তু ফিতরা বা কুরবানীর জন্য এটি শর্ত নয় তাহলেতো বর্ধনশীল সম্পদের মধ্যে অগ্রগন্যতার ভিত্তিতে ওয়াজিব হবে।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

    Comment


    • #3
      👍 মাশাআল্লাহ ভাইজান উপরোক্ত আলোচনাটি মুকাম্মাল করে দিলেন শুকরান..! জাযাকাল্লাহ।।

      Comment


      • #4
        Mashallah allah apnak jaza khair dek

        Comment

        Working...
        X