শাসক নিয়ে কিছু কথা; আনুগত্য ও বিরোধিতা [শাসক কত প্রকার ও কী কী]
শাসক নিয়ে কিছু কথা; আনুগত্য ও বিরোধিতাঃ
এটা ঠিক যে রাষ্ট্র প্রধানের আনুগত্য করা বা না করার ক্ষেত্রে খাওয়ারিজ সংশ্লিষ্ট মাসআলা জড়িত। কিন্তু তা যথেষ্ট বিশ্লেষণ সাপেক্ষ।
নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন أفضل الجهاد كلمة حق عند سلطان جائر
“স্বৈরাচার, অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্যের শ্লোগান দোয়া সবচেয়ে বড় জিহাদ”
রাষ্ট্র প্রধানের বিরুদ্ধাচারণই যদি খারেজি হয় তাহলে উক্ত হাদিস তো আমাকে খারেজি হওয়ারই নির্দেশ
দিবে।
কারণ কারো বিরুদ্ধে সত্যের শ্লোগান দেয়া তো তার পক্ষে গিয়ে হয়না বরং বিপক্ষে অবস্থান করেই হয়।
সুতরাং প্রথমত বুঝা গেলোঃ-
“রাষ্ট্র প্রাধানের যে কোন বিরোধিতাই খারেজি নয়”
দ্বিতীয় কথা হলোঃ
“কোন কোন শাসকের আনুগত্য আবশ্যক আর কার কার আনুগত্য থাকেনা।”
কোরআন ও সুন্নাহ থেকে আসলাফদের যেই বক্তব্য উঠে আসে তার সারমর্ম এইঃ-
শাসক পাঁচ প্রকার, প্রথমত দুই প্রকার।
☞ মুসলিম
☞ কাফের
•
☞ কাফের দুই প্রকারঃ
১। আসলি কাফের/ জন্মগত কাফের, যেমনঃ জো বাইডেন, মুদি, পুতিন ইত্যাদি।
২। মুরতাদ [কোন কারণ বশত কাফের হয়েছে] যেমনঃ হাসিনা, খালেদা, এরদোগান ইত্যাদি।
হুকুমঃ সর্বসম্মতিক্রমে কাফেরের আনুগত্য হারাম।
☞ মুসলিম শাসক তিন প্রকারঃ
১। ন্যায়পরায়ণ মুসলিম।
হুকুমঃ এই শাসকের আনুগত্য আবশ্যক ।
২। জালিম শাষক তবে শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করে হুকুমঃ জমহুরের মতে এই শাসকের আনুগত্য আবশ্যক, তবে হানাফি মাজহাব মতে এই শাসকরেও আনুগত্য জায়েজ নেই]।
৩। জালিম শাসক কিন্তু শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করেনা।
হুকুমঃ সর্বসম্মতিক্রমে এই শাসকের আনুগত্য জায়েজ নেই।
এই হলো পাঁচ প্রকারের শাসকঃ
১। ন্যায় পরায়ন মুসলিম শাসক।
২। জালিম মুসলিম শাসক, তবে শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করে।
[এই দুই প্রকার শাসকের আনুগত্য আবশ্যক সকল ইমামের মতে।]
৩। জালিম মুসলিম শাসক তবে শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করেনা,
৪। আসলি কাফের শাসক
৫। মুরতাদ শাসক।
[এই তিন প্রকার শাসকের আনুগত্য জায়েজ নেই]
সুতরাং কথায় কথায় শাসক বিরোধিতাই খারেজিদের কাজ এই বুলি আওড়ানোর আগে অন্তত ভাবা উচিত কোন শাসকের আনুগত্য জরুরী আর কেন শাসকের আনুগত্য হারাম।
আল্লাহ আমাদের সঠিকটা বুঝে আমলের তাওফিক দান করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
শাসক নিয়ে কিছু কথা; আনুগত্য ও বিরোধিতাঃ
এটা ঠিক যে রাষ্ট্র প্রধানের আনুগত্য করা বা না করার ক্ষেত্রে খাওয়ারিজ সংশ্লিষ্ট মাসআলা জড়িত। কিন্তু তা যথেষ্ট বিশ্লেষণ সাপেক্ষ।
নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন أفضل الجهاد كلمة حق عند سلطان جائر
“স্বৈরাচার, অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্যের শ্লোগান দোয়া সবচেয়ে বড় জিহাদ”
রাষ্ট্র প্রধানের বিরুদ্ধাচারণই যদি খারেজি হয় তাহলে উক্ত হাদিস তো আমাকে খারেজি হওয়ারই নির্দেশ
দিবে।
কারণ কারো বিরুদ্ধে সত্যের শ্লোগান দেয়া তো তার পক্ষে গিয়ে হয়না বরং বিপক্ষে অবস্থান করেই হয়।
সুতরাং প্রথমত বুঝা গেলোঃ-
“রাষ্ট্র প্রাধানের যে কোন বিরোধিতাই খারেজি নয়”
দ্বিতীয় কথা হলোঃ
“কোন কোন শাসকের আনুগত্য আবশ্যক আর কার কার আনুগত্য থাকেনা।”
কোরআন ও সুন্নাহ থেকে আসলাফদের যেই বক্তব্য উঠে আসে তার সারমর্ম এইঃ-
শাসক পাঁচ প্রকার, প্রথমত দুই প্রকার।
☞ মুসলিম
☞ কাফের
•
☞ কাফের দুই প্রকারঃ
১। আসলি কাফের/ জন্মগত কাফের, যেমনঃ জো বাইডেন, মুদি, পুতিন ইত্যাদি।
২। মুরতাদ [কোন কারণ বশত কাফের হয়েছে] যেমনঃ হাসিনা, খালেদা, এরদোগান ইত্যাদি।
হুকুমঃ সর্বসম্মতিক্রমে কাফেরের আনুগত্য হারাম।
☞ মুসলিম শাসক তিন প্রকারঃ
১। ন্যায়পরায়ণ মুসলিম।
হুকুমঃ এই শাসকের আনুগত্য আবশ্যক ।
২। জালিম শাষক তবে শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করে হুকুমঃ জমহুরের মতে এই শাসকের আনুগত্য আবশ্যক, তবে হানাফি মাজহাব মতে এই শাসকরেও আনুগত্য জায়েজ নেই]।
৩। জালিম শাসক কিন্তু শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করেনা।
হুকুমঃ সর্বসম্মতিক্রমে এই শাসকের আনুগত্য জায়েজ নেই।
এই হলো পাঁচ প্রকারের শাসকঃ
১। ন্যায় পরায়ন মুসলিম শাসক।
২। জালিম মুসলিম শাসক, তবে শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করে।
[এই দুই প্রকার শাসকের আনুগত্য আবশ্যক সকল ইমামের মতে।]
৩। জালিম মুসলিম শাসক তবে শিয়ারে ইসলাম বাস্তবয়ান করেনা,
৪। আসলি কাফের শাসক
৫। মুরতাদ শাসক।
[এই তিন প্রকার শাসকের আনুগত্য জায়েজ নেই]
সুতরাং কথায় কথায় শাসক বিরোধিতাই খারেজিদের কাজ এই বুলি আওড়ানোর আগে অন্তত ভাবা উচিত কোন শাসকের আনুগত্য জরুরী আর কেন শাসকের আনুগত্য হারাম।
আল্লাহ আমাদের সঠিকটা বুঝে আমলের তাওফিক দান করুন আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।