Announcement

Collapse
No announcement yet.

আশুরা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আশুরা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর

    আশুরা সম্পর্কিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর
    -মুফতি আবদুল মালেক দা.বা.


    প্রশ্ন ১ : পেছনের যুগে আশুরার দিনে কী কী ঘটনা ঘটেছে? ভবিষ্যতে কী কী ঘটনা ঘটবে? এ বিষয়ে যে লম্বা তালিকা তাম্বীহুল গাফিলীন ও মকসুদোল মোমেনীন ইত্যাদি কিতাবে উল্লেখিত হয়েছে সেগুলো কি ঠিক?

    উত্তর : কিছুতেই না। ওইসব বর্ণনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরোটাই বাতিল এবং মনগড়া। মওযু রেওয়ায়েতের পর্যালোচনা করার উদ্দেশ্যে যেসব কিতাব লেখা হয়েছে সেগুলোতে একথা পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে।

    প্রশ্ন ২ : একথা কি ঠিক যে, আশুরার দিনেই কিয়ামত হবে?

    উত্তর : না। একথাও ওইসব মওযু রেওয়ায়েতের মধ্যে রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনও রেওয়ায়েতে একথার কোনও আলোচনাই আসেনি।

    প্রশ্ন ৩ : কোনো কোনো রেওয়ায়েতে আমরা দেখতে পাই যে, আশুরার দিনেই হযরত আদম আলাইহিস সালামের তাওবা কবুল হয়েছে। এইসব রেওয়ায়েত কি সহীহ?

    উত্তর : একথা আবুল কাসিম ইস্পাহানী রাহ. কর্তৃক সংকলিত ‘আত-তারগীব ওয়াত তারহীব’-এর ১৮৬৮ নং রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু এই রেওয়ায়েতের সনদ খুবই দুর্বল। এছাড়া আরও কিছু রেওয়ায়েতে এই কথা এসেছে, সেগুলো মওযু।
    ইস্পাহানী রাহ. কর্তৃক বর্ণিত ওই রেওয়ায়েতের সনদে দিরার ইবনে আমর নামে একজন রাবী আছেন, যার সম্পর্কে ইমাম ইবনে মায়ীন রাহ. বলেছেন- لا شيء। -লিসানুল মীযান ৪/৩৪০
    অবশ্য কোনো কোনো তাবিয়ী থেকে এই কথা বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা হযরত আদম আলাইহিস সালামের তাওবা কবুল হওয়া সম্পর্কে আশুরার দিনের কথাই বলতেন। দেখুন- ইমাম ইবনে রজব রাহ.কৃত লাতাইফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা : ১১৩-১১৫ এবং আবদুল্লাহ ইবনে ইমাম আহমাদ রাহ.কৃত আল-ইলাল ওয়া মারিফাতির রিজাল, বর্ণনা নম্বর : ৩৭৯৫

    প্রশ্ন ৪ : শুনেছি একথা প্রমাণিত যে, হযরত নূহ আলাইহিস সালামের কিশতী যেদিন জূদী পাহাড়ে থেমেছিল সেই দিনটি ছিল আশুরার দিন। এই রেওয়ায়েতের সনদ কি সহীহ?

    উত্তর : একথা মুসনাদে আহমাদের একটি রেওয়ায়েতে এসেছে। কিন্তু তার সনদ দুর্বল। দেখুন- মুসনাদে আহমাদ ১৪/৩৩৫, হাদীস ৮৭১৭ (শায়েখ শুয়াইব আরনাউতকৃত হাশিয়াযুক্ত নুসখা।)

    প্রশ্ন ৫ : ঈসা আলাইহিস সালামের জন্ম কি আশুরার দিন হয়েছে?

    উত্তর : একথাও প্রমাণিত নয়। আবুল কাসিম ইস্পাহানী রাহ.-এর কিতাব ‘আত-তারগীব ওয়াত তারহীব’-এর পূর্বোক্ত রেওয়ায়েতেই একথা এসেছে। আগেই বলা হয়েছে, এর সনদ খুবই দুর্বল।

    প্রশ্ন ৬ : তাহলে কোন্ কোন্ ঘটনা আশুরার দিন ঘটেছে বলে প্রমাণিত?

    উত্তর : কেবল দুটি ঘটনা :

    ১. হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর সাথীদের ফেরাউন ও তার সৈন্যদের থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা; যেখানে দরিয়ায় রাস্তা বানিয়ে আল্লাহ তাআলা তাঁদেরকে নিরাপদে পৌঁছে দিয়েছেন।
    ২. এই রাস্তা দিয়ে অতিক্রম করার সময় ফেরাউন ও তার সৈন্যদেরকে দরিয়ায় ডুবিয়ে ধ্বংস করার ঘটনা।
    এই দুটি ঘটনা বিভিন্ন সহীহ হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণিত। সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিমসহ হাদীসের অনেক কিতাবে বর্ণিত হয়েছে।


    তথ্যসূত্র:https://www.alkawsar.com/bn/article/2266/
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

  • #2
    মশাআল্লাহ,,,জাযাকাল্লাহ,,।
    অনেক সুন্দর ও উপকারী পোষ্ট করেছেন।
    আল্লাহ তায়া'লা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমীন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      Originally posted by abu mosa View Post
      মশাআল্লাহ,,,জাযাকাল্লাহ,,।
      অনেক সুন্দর ও উপকারী পোষ্ট করেছেন।
      আল্লাহ তায়া'লা আপনার মেহনতকে কবুল করুন,আমীন।
      ছুম্মা আমীন। শুকরিয়া ভাই
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আখি,শুকরিয়া।

        Comment


        • #5
          একটি প্রশ্নোত্তর:

          প্রশ্ন


          আশুরার রোযা কি শুধু ১০ মুহাররম? নাকি এর সাথে আগে বা পরে একদিন মিলিয়ে রাখতে হবে। একজন বললেন : শুধু ১০ মুহাররম রাখলেও নাকি তা আশুরার রোযা হিসাবে আদায় হবে। সঠিক কোনটি? জানিয়ে বাধিত করবেন।


          উত্তর

          আশুরার রোযা মূলত ১০ই মুহাররমের রোযা। তবে এই রোযার সাথে আরো একটি রোযা মিলিয়ে রাখার ব্যাপারে হাদীসে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-

          صُومُوا عَاشُورَاءَ وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا وَبَعْدَهُ يَوْمًا.

          তোমরা আশুরার দিন রোযা রাখ এবং তাতে ইহুদীদের বিরোধিতা কর, আশুরার আগে একদিন বা পরে একদিন রোযা রাখ। (সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ২০৯৫)

          তাই ৯ ও ১০ অথবা ১০ ও ১১ দুইদিন রোযা রাখা উত্তম। অবশ্য কেউ যদি শুধু ১০ মুহাররম রোযা রাখে তবে সেটিও আশুরার রোযা হিসাবেই গণ্য হবে। তবে হাদীসের নির্দেশনার উপর আমল না করার জন্য মাকরূহ তথা অনুত্তম হবে।

          -ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪১৮; বাদায়েউস সানায়ে ২/২১৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৬৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৭; রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৫

          সূত্র: মাসিক আল কাউসার
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            প্রশ্ন ২ : একথা কি ঠিক যে, আশুরার দিনেই কিয়ামত হবে?

            উত্তর : না। একথাও ওইসব মওযু রেওয়ায়েতের মধ্যে রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনও রেওয়ায়েতে একথার কোনও আলোচনাই আসেনি।

            Comment


            • #7
              Originally posted by আঁধার রাতের মুসাফির View Post
              প্রশ্ন ২ : একথা কি ঠিক যে, আশুরার দিনেই কিয়ামত হবে?

              উত্তর : না। একথাও ওইসব মওযু রেওয়ায়েতের মধ্যে রয়েছে। নির্ভরযোগ্য কোনও রেওয়ায়েতে একথার কোনও আলোচনাই আসেনি।
              আল্লাহ আপনাকে জাযায়ে খাইর দান করুন। আমীন
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X