নির্যাতিত উম্মাহর প্রতি করণীয়
কয়েকটি ফিকহি মাসআলার আলোকে
পিডিএফ: কয়েকটি ফিকহি মাসআলার আলোকে
অনেক দিন যাবতই কথাটা মাথায় আসছিল। লিখি লিখি করে আর লিখা হচ্ছে না। আজ মনে হলো, লিখেই ফেলি। নয়তো আবার কবে ভুলে যাই বলা যায় না। তাছাড়া যত আগে লিখবো আল্লাহ তাআলা চান তো অনেক ভাইয়ের ফায়েদা হতে থাকবে। দাওয়াতের কাজেও সহায়তা হবে। অনেক সময় ছোটখাট বিষয়ও দাওয়াতের কাজে অনেক বড় কাজে আসে।
আজ মুসলিম উম্মাহর দুঃখ দুর্দশার কথা কারও কাছে অস্পষ্ট নয়। আরাকানি মুসলিম আর হিন্দু মালাউনদের হাতে মার খেতে থাকা ভারতীয় ও কাশ্মিরি মুসলিমদের চিত্রটা সামনে থাকলেও কিছুটা আন্দাজ হবে।
তো প্রশ্ন হলো, এ সময়ে আমার করণীয় কি?
এ প্রশ্নের উত্তরও এখন মোটামুটি সকলের জানাশুনা: জিহাদ ফরযে আইন। দায়ী ভাইদের দীর্ঘ দিনের অক্লান্ত মেহনতের ফলে মুসলিম উম্মাহর হালত এবং আমাদের করণীয় এখন অনেকটাই সুস্পষ্ট। কিন্তু করছি না কেন, বা কতটুকু করছি? এ প্রশ্ন প্রত্যেকে নিজে নিজেকে করি।
যদিও কুরআন সুন্নাহর আলোকে করণীয়টা স্পষ্ট, তথাপি বিভিন্ন দিক থেকে আলোচনা সামনে এনে বিষয়টা আরও স্পষ্ট করতে কোনো সমস্যা নেই। বিশেষত যখন শরীয়তের মাসআলা একটার সাথে আরেকটা উৎপ্রোতভাবে জড়িত। একটার দ্বারা আরেকটা বুঝা সহজ হয়। এজন্যই মূলত লিখতে চাচ্ছি।
এবার মূল কথায় আসি।
মুসলিম ভাইয়ের নুসরত আমার দায়িত্ব
কোনো মুসলিম কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বা বিপদগ্রস্ত হলে তাকে নুসরত করা এবং বিপদ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করা আমার দায়িত্ব। কারণ, প্রতিটি মুসলিম আমার ভাই। আমার বন্ধু। আমার দেহের অংশ। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ
“মুমিন নর-নারীরা একে অপরের বন্ধু।” -তাওবা ৭১
“মুমিন নর-নারীরা একে অপরের বন্ধু।” -তাওবা ৭১
আরো ইরশাদ করেন,
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ
“মুমিনগণ পরস্পরে ভাই ভাই।” -হুজরাত ১০
“মুমিনগণ পরস্পরে ভাই ভাই।” -হুজরাত ১০
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
مثل المؤمنين فى توادهم وتراحمهم وتعاطفهم مثل الجسد إذا اشتكى منه عضو تداعى له سائر الجسد بالسهر والحمى
“পরস্পর ভালবাসা, রহমত ও সাহায্যের বেলায় মুমিনদের অবস্থা একটি দেহের মতো। তার কোন অঙ্গ অসুস্থ হলে গোটা দেহ বিনিদ্রা ও জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে।” -সহীহ বুখারি ৫৬৬৫, সহীহ মুসলিম ৬৭৫১
এখানে আমি এ বিষয়ে কয়েকটি ফিকহি মাসআলা তুলে ধরছি। সচরাচর মাসআলাগুলো সবার নজরে আসে না বা আসলেও সেভাবে চিন্তা করি না।
মাসআলা- ১
মরুভূমি বা এমন কোনো স্থান যেখানে পানির ব্যবস্থা নেই, একটি কাফেলা সেখানে সফরে আছে। তাদের সাথে থাকা পানি ফুরিয়ে গিয়ে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, পানির তেষ্টায় জীবন যাবার উপক্রম। কাফেলার একজনের কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু পানি আছে, যা সে অজুর জন্য রেখেছিল। এখন তার জন্য জরুরী হলো, ঐ পানি পিপাসার্তদের দিয়ে তাদের জীবন রক্ষা করা আর নিজে অজুর বদলে তায়াম্মুম করে সালাত আদায় করা। -রদ্দুল মুহতার: ১/২৩৫, বাব: তায়াম্মুম
যদি বিনা মূল্যে দিয়ে দেয় তাহলে তো সবচে ভাল। আর যদি বিনামূল্যে না দিয়ে তাদের কাছে উক্ত পানি বিক্রি করতে চায় তাহলেও করতে পারবে। তবে তাদের কাছে পানি কেনার মতো মূল্য না থাকলে বিনা মূল্যে দেয়াই আবশ্যক। অর্থাৎ পিপাসার্তদের যদি সামর্থ্য থাকে, তাহলে বিনা মূল্যে না দিলে নিজেদের জান বাঁচানোর জন্য তারা পানি কিনে নেবে। আর সামর্থ্য না থাকলে পানির মালিকের জন্য আবশ্যক হলো, বিনা মূল্যে পানি দিয়ে তাদের জীবন বাঁচানো। -প্রাগুক্ত
সামনের মাসআলাটাও এমন-
মাসআলা- ২
কোনো মুসলিমের কোনো একটা জিনিসের এমনই জরুরত দেখা দিয়েছে যে, সেটা না হলে তার বা তার পরিবার পরিজনের জান-মাল ইজ্জত আব্রু বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। তখন যার কাছে ঐ জিনিসটা আছে, বিনা মূল্যে না দিলেও অন্তত এতটুকু অবশ্যই আবশ্যক যে, তার কাছে সেটা বিক্রি করবে। -রদ্দুল মুহতার, কিতাবুল বুয়ু: ৪/৫০৬
মাসআলা- ৩
কোনো মুসলিম খাদ্যাভাবে এমন দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, উঠতেই পারছে না এবং ফরয সালাত সাওমও আদায় করতে পারছে না। তখন অন্য মুসলিমদের দায়িত্ব হলো, তার খাদ্য পানির ব্যবস্থা করা যার দ্বারা তার প্রাণ রক্ষা হয় এবং ফরয ইবাদাতগুলো আদায়ে সক্ষম হয়ে উঠে। নিজের কাছে কিছু না থাকলে অন্যের কাছে চেয়ে হলেও ব্যবস্থা করতে হবে। যদি ব্যবস্থা না করা হয় আর এভাবেই মুসলিম লোকটি মারা যায় তাহলে তার অবস্থা জানতো এমন সকলে গোনাহগার হবে। -কিতাবুল কাসব, ইমাম মুহাম্মাদ: ৮৮-৮৯ ; ফাতাওয়া হিন্দিয়া, কিতাবুল কারাহিয়া: ৫/৩৩৮
শরীয়তের বিধান পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ
উপরোক্ত তৃতীয় মাসআলাটি বলার পর ইমাম মুহাম্মাদ রহ. (১৮৯হি.) বলেন,
وَهُوَ نَظِير فدَاء الْأَسير فَإِن من وَقع أَسِيرًا فِي يَد أهل الْحَرْب من الْمُؤمنِينَ فقصدوا قَتله يفترض على كل مُسلم يعلم بِحَالهِ أَن يفْدِيه بِمَالِه إِن قدر على ذَلِك وَإِلَّا أخبر بِهِ غَيره مِمَّن يقدر عَلَيْهِ وَإِذا قَامَ بِهِ الْبَعْض سقط عَن البَاقِينَ لحُصُول الْمَقْصُود وَلَا فرق بَينهمَا فِي الْمَعْنى فَإِن الْجُوع الَّذِي هاج من طبعه عَدو يخَاف الْهَلَاك مِنْهُ بِمَنْزِلَة الْعَدو من الْمُشْركين.-الكسب للإمام محمد (ص: 89)
এ মাসআলাটি মুক্তিপণ দিয়ে বন্দী মুক্তির মাসআলার অনুরূপ। কেননা, কোনো মুসলিম যদি হরবিদের হাতে বন্দী হয় আর তারা তাকে হত্যা করে ফেলার ইরাদা করে, তাহলে যে মুসলিমই তার এ অবস্থার কথা জানতে পারবে, তার উপর ফরয: সম্ভব হলে নিজের সম্পদ ব্যয় করে তাকে মুক্ত করা। তার এ সামর্থ্য না থাকলে সামর্থ্যবানদের অবগত করবে। কেউ মুক্ত করে ফেললে বাকিদের দায়িত্ব পালন হয়ে যাবে। কেননা, মূল উদ্দেশ্য (তথা মুসলিমকে মুক্ত করা) অর্জন হয়ে গেছে। এ উভয় মাসআলায় মর্মগতভাবে কোনো ব্যবধান নেই। কেননা, যে ক্ষুধা তাকে কাতর করেছে তা মুশরিক দুশমনের মতোই ভয়ঙ্কর দুশমন, যা তাকে ধ্বংস করে দেবে বলে আশঙ্কা আছে। -কিতাবুল কাসব: ৮৯
অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই মূল বিষয় হলো, দুশমনের হাত থেকে মুসলিমকে উদ্ধার করতে হবে। এভাবে শরীয়তের সব মাসআলাই একটার সাথে আরেকটা সামঞ্জস্যশীল।
জিহাদের হাকিকত: ইসলাম ও মুসলিমের নুসরত
উপরে আমরা তিনটি মাসআলা দেখলাম। মাসআলাগুলোর সারকথা এটাই যে, কোনো মুসলিম বিপদে পড়লে তাকে নুসরত করা ও উদ্ধার করার চেষ্টা করা আমার দায়িত্ব। বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি নিজের যতটুকু সামর্থ্য আছে ব্যয় করবে। অর্থ থাকলে ব্যয় করবে। অন্যথায় দায়িত্ব অন্য দশজন মুসলিমের উপর বর্তাবে।
জিহাদের হাকিকতও এটিই। আমার মুসলিম ভাইকে উদ্ধার করা। তার জান, মাল, ইজ্জত আব্রু ও দ্বীন দুনিয়া রক্ষা করা। সাথে রয়েছে মুসলিম ভূমির প্রতিরক্ষা আর মিল্লাতে ইসলামের সম্মান রক্ষা। এজন্যই মুসলিম উম্মাহর সকল ইমামের সর্বসম্মত মাসআলা যে, মুসলিম ভূমিতে আগ্রাসন হলে প্রথমে যাদের উপর আগ্রাসন হয়েছে তাদের উপর ফরয: দিফা তথা শত্রু প্রতিহত করা। তারা না পারলে অন্য মুসলিমদের দায়িত্ব জান মাল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া। তারা অলসতা করে না করলেও অন্য মুসলিমের দায়িত্ব রহিত হবে না। তারা না করার কারণে গোনাহগার হবে। তবে অন্য মুসলিমের দায়িত্ব থেকেই যাবে, যতক্ষণ না শত্রু প্রতিহত হয় এবং মুসলিম ভূমি উদ্ধার হয়।
রোহিঙ্গা ইস্যু এবং একটি না বলা কথা
আরাকানিরা যখন নির্যাতিত-বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আসলো তখন সারা দেশ থেকে, এমনকি বিদেশ থেকেও তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের নুসরত আসতে থাকলো। সবাই বুঝতে পারছে, আমার মুসলিম ভাইকে নুসরত করা আমার দায়িত্ব। যে যেভাবে পেরেছে- অর্থ দিয়ে, কাপড় দিয়ে- নুসরত করেছে। এটি অবশ্যই প্রশংসনীয় এবং আমাদের দায়িত্ব। কিন্তু এখানে একটি সূক্ষ্ম প্রশ্ন রয়ে গেছে, দু’চারজন ব্যতিক্রম বাদে আলেম সমাজ যা মুখ দিয়ে উচ্চারণ করতেও নারাজ। সেটি হলো,
রোহিঙ্গারা যখন বিতাড়িত হয়ে এ দেশে আসলো তখনই কি তাদের নুসরত করা আমদের জন্য ফরয হলো? না’কি তারা যখন নিজ দেশে নির্যাতিত হচ্ছিল তখনও ফরয ছিল?
প্রশ্নটি শুনে কি আপনি স্তম্ভিত হলেন? একেবারেই তো স্বাভাবিক প্রশ্ন। এর উত্তর বের করার জন্য দেশ বিদেশের উলামারা বসে গবেষণার দরকার পড়ে না। কুরআন সুন্নাহর অসংখ্য নুসুস থেকে উলামায়ে উম্মাহর ইজমা যে, আগ্রাসনের শিকার মুসলিমদের পক্ষে কিতাল করা ফরযে আইন। কিন্তু আমরা সেটা করলাম না কেন বা এখনও করছি না কেন?
কয়েকটি অযৌক্তিক বাহানা
বাহানা এক.
রোহিঙ্গারা বড়ই নাফরমান। নামায নেই, রোযা নেই, হজ্ব নেই, যাকাত নেই, পর্দা নেই-পুষিদা নেই। এদের উপর আল্লাহর গযব পড়েছে। আমাদের তাতে কি যায় আসে!!
নাউযুবিল্লাহ! এটি অত্যন্ত দাম্ভিকতার কথা। মনে হয় যেন আমি কত বড় আল্লাহর অলি হয়ে গেছি।
রোহিঙ্গারা তো আগেও নাফরমান এদেশেও নাফরমান। গযবের উপযুক্ত নাফরমানিগুলো তো তারা এখনও করে যাচ্ছে। তাহলে এখন কেন নুসরত ফরয হচ্ছে??
অধিকন্তু কুরআন সুন্নাহয় তো এমন কোনো কথা নেই যে, নাফরমানদের উপর আগ্রাসন হলে দিফা ফরয নয়।
ফুকাহায়ে কেরামও তো এমন কোন শর্তের কথা বলেননি। তাহলে কোত্থেকে এ শর্ত করছেন আপনি?
একটি উদাহরণ
আচ্ছা আপনার কোন নাফরমান, বে-নামাজি, বেপর্দা মেয়েকে যদি কয়েকটা বৌদ্ধ হিন্দু মিলে মানহানি করতে চায়, তাহলে কি আপনি বলতে পারবেন: এর উপর আল্লাহর গযব পড়ছে, আমি কেন বাঁচাতে যাব?!!
বাহানা দুই.
রোহিঙ্গারা নিজেরা দাঁড়ায়নি। আমরা কেন যাব?
এটিও শরীয়তবিরোধী কথা। কুরআন সুন্নাহয় এমন কোনো কথা নেই যে, তারা না দাঁড়ালে আমাদের উপর ফরয নয়। এটি ব্যক্তিগত কোনো বিষয় নয়, মুসলিম উম্মাহ ও মিল্লাতে ইসলামের সুরক্ষার বিষয়।
অধিকন্তু ফুকাহায়ে কেরাম স্পষ্টই বলে গেছেন, তারা না দাঁড়ালেও (أو تكاسلوا) আমাদের উপর ফরয। -ফাতহুল কাদির: ৫/৪৩৯, আলবাহরুর রায়িক: ১৩/২৮৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ২/১৮৮, রদ্দুল মুহতার: ৪/১২৪
তাছাড়া এখন পর্যন্ত তো কত ভূমিই এমন আছে যে, দীর্ঘ দিনের জিহাদের পরও আমরা সেটা ধরে রাখতে সক্ষম হলাম না। কই! আমরা তো গেলাম না সেখানে।
বাহানা তিন.
সরকার যেতে দিচ্ছে না।
এ বাহানার সারকথা, সুবিধাবাদ যিন্দাবাদ। সরকার সাহায্যের অনুমতি দিচ্ছে তাই করছি, কিতালের অনুমতি দিচ্ছে না তাই করছি না। তাহলে আমরা দ্বীনের শুধু ততটুকুই পালন করবো যতটুকু তাগুত সরকারের অনুমোদিত। এর বাহিরে করবো না। কত সুন্দর দ্বীনদারি আমার।
বাহানা চার.
কেউ কেউ ‘সরকার যেতে দিচ্ছে না’ বাহানাটিকে এক ডিগ্রি এগিয়ে নিয়ে বলেন, সরকারের অনুমতি হচ্ছে না তাই ফরয নয়।
এ বিষয়টি এর আগেও অনেকবার আলোচিত হয়েছে যে, নাফিরে আমের সময় তথা আগ্রাসনের সময় যখন জিহাদ ফরযে আইন, তখন আমীরুল মু’মিনিন বাধা দিলেও জিহাদ ছাড়া যাবে না। তাহলে তাগুত সরকারের বাধার কি মূল্য আছে?! এসব সরকার তো তাদেরই লোক। এসব সরকারের কারণেই তো কাফেররা মুসলিমদের ঘাড়ে সওয়ার হতে পেরেছে।
দ্বিতীয়ত এসব সরকারের অবস্থা সেসব ডাকাতের মতো যারা রাস্তায় অস্ত্রপাতি নিয়ে বসে থাকে আর সুযোগ পেলেই ডাকাতি করে। এসব ডাকাতের ভয়ে জিহাদ রহিত হয় না।
হাসকাফি রহ. (১০৮৮হি.) বলেন,
وفي السراج: وشرط لوجوبه: القدرة على السلاح، لا أمن الطريق. -الدر المختار (ص: 330)
আসসিরাজুল ওয়াহহাজ কিতাবে বলা হয়েছে, জিহাদ ফরয হওয়ার জন্য অস্ত্র ধারণ পরিমাণ শারীরিক শক্তি থাকা শর্ত। রাস্তা নিরাপদ থাকা শর্ত নয়। -আদদুররুল মুখতার: ৩৩০
তাহতাবি রহ. (১২৩১হি.) বলেন,
لأنه إنما خرج إلى المخاوف، لا إلى المأمن. –حاشية الطحطاوي على الدر المختار: 6\227
কেননা, সে তো নিরাপদ কোথাও বের হয়নি, ভীতিসংকুল পথেই পা বাড়িয়েছে। -হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাদদুররিল মুখতার: ৬/২২৭হাঁ, এটা বলতে পারেন, এরা অত্যন্ত শক্তিশালী ও জবরদস্ত ডাকাত। কিন্তু এ কারণে জিহাদের ফরজিয়্যাত তো রহিত হবে না। বরং এসব ডাকাতের কবল থেকে মুসলিমদের উদ্ধারের জন্য এদের বিরুদ্ধে স্বয়ংসম্পূর্ণ জিহাদ ফরয হবে। তখন উলামাদের ঘাড়ে অতিরিক্ত এ ফতোয়া দেয়ার দায়িত্ব বর্তাবে যে, এসব সরকারের বিরুদ্ধেও জিহাদ ফরয; যেমনটা করেছেন পাকিস্তানের স্বনামধন্য মুফতি শহীদ নেজামুদ্দিন শামযাই রহ.। এ কারণেই পাকিস্তানের নাপাক বাহিনি শায়খকে শহীদ করে।
এগুলো নিছক মনগড়া সুবিধাবাদি কিছু বাহানা। এসব বাহানার বলে পার পাওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, এখানে রোহিঙ্গা ইস্যুটা আনা হয়েছে শুধু বুঝানোর স্বার্থে। নতুবা সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মাসআলা একই।
ওয়াল্লাহু সুবহানাহু ওয়াতাআলা আ’লাম।
Comment