Announcement

Collapse
No announcement yet.

যাকাত-উশর-খারাজ-জিযিয়া: যেমন হবে দারুল ইসলাম

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যাকাত-উশর-খারাজ-জিযিয়া: যেমন হবে দারুল ইসলাম

    যাকাত-উশর-খারাজ-জিযিয়া: যেমন হবে দারুল ইসলাম



    আলোচনাটা কিভাবে শুরু করবো ফিকির করতে পারছি না। ভূমিকা ছাড়াই অগোছালো শুরু করে দিই।

    আমরা যখন ইসলামী শাসন কায়েম করবো, তখন কেমন হবে আমাদের দারুল ইসলাম? কেমন শান্তি হবে? আমি শুধু যাকাত, উশর, খারাজ ও জিযিয়ার বিষয়টা একটু বুঝাতে চাই।
    ***



    দারুল ইসলামের অর্থকড়ি, সম্পদ, উৎপাদন ও ফল-ফসলে যাকাত, উশর এবং খারাজ: এ তিনটার একটা অবশ্যই থাকবে। আর দারুল ইসলামে বসবাসরত যিম্মিরা মাথাপিছু জিযিয়া আদায় করবে।

    আমরা প্রথমে উশর খারাজের কথা ধরি।

    # জমিনে উশর খারাজ

    একটা সাধারণ নিয়ম হলো: দারুল ইসলামের মুসলিমদের মালিকানাধীন চাষোপোযোগী জমিনে উশর আসবে আর যিম্মিদের মালিকানাধীন চাষোপোযোগী জমিনে খারাজ আসবে। এটি একটি সাধারণ নিয়ম। এর ব্যত্যয়ও হতে পারে। আমরা সে তাফসিলে যাচ্ছি না। তবে যে কথাটা সাধারণভাবে প্রযোজ্য: দারুল ইসলামের ব্যক্তিমালিকানাধীন চাষোপোযোগী কোনো জমিন উশর খারাজ থেকে মুক্ত নয়। হয় ‍উশর না হয় খারাজ। উশরও নেই খারাজও নেই এমনটা হবে না।

    বাইতুল মালের খাস জমিন
    এমনিভাবে বাইতুল মালের খাস জমিন, যেগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীন না, সরকারি জমিন: সেগুলোও আয়মুক্ত থাকবে না। যেমন ধরুন রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সেগুলো ইজারা দেয়া হবে। এভাবে দারুল ইসলামের চাষোপোযোগী সকল জমিন থেকে আয় আসবে।
    ***



    আমরা একটা ইজমালি হিসাব ধরি। ধরুন এ দেশের জনসংখ্যার দশভাগের নয়ভাগ মুসলমান আর একভাগ কাফের। জমিনের হিসাবও আমরা আপাতত এভাবেই ধরি যে, দেশের নয়ভাগ জমিন মুসলমানদের আর একভাগ জমিন কাফেরদের।

    তাহলে হিসাব দাঁড়াবে: দেশের নয়ভাগ জমিন থেকে উশর আদায় হবে আর একভাগ জমিন থেকে খারাজ আদায় হবে।

    অন্য কথায়: ৯০% জমিন থেকে উশর আদায় হবে, ১০% জমিন থেকে খারাজ আদায় হবে।
    ***



    উল্লেখ্য, মুসলমানদের জমিন থেকেও খারাজ আদায় হতে পারে। আপাতত আমরা সেদিকে না গিয়ে একটা মোটা হিসাবের উপরেই থাকি যে, মুসলমানদের জমিন উশরি আর যিম্মিদের জমিন খারাজি।
    ***



    # উশরের পরিমাণ
    উশর হচ্ছে উৎপাদনের দশভাগের একভাগ, কিংবা বিশভাগের একভাগ মোটাদাগে হিসাবটা হচ্ছে: যেসব জমিন চাষাবাদে খরচ পড়ে সেগুলোতে বিশভাগের একভাগ, আর যেগুলো মোটামুটি খরচ ছাড়া চাষ করা যায় সেগুলোতে দশভাগের একভাগ।

    এটা একটা মোটাদাগের হিসাব। এর বেশি তাফসিলে আমরা যাচ্ছি না। আমাদের দেশের জমিন যেহেতু সাধারণত খরচ ছাড়া চাষ করা সম্ভব না, তাই ইজমালিভাবে সব জমিনে ধরলাম বিশভাগের একভাগ, অন্য কথায় ৫%।

    একথার অর্থ হচ্ছে: ক্ষেতে যদি ২০ মণ ধান হয় তাহলে ১ মণ ধান বাইতুল মালের সাদাকা তথা যাকাত ফাণ্ডে জমা দিতে হবে। ১০০ মণ ধান হলে ৫ মণ বাইতুল মালে জমা দিতে হবে।

    আমরা যদি এলাকা ভিত্তিক হিসাব করি: তাহলে প্রত্যেক এলাকায় মুসলমানদের যত ধান হবে, তার ২০ ভাগের ১ ভাগ বাইতুল মালের যাকাত ফান্ডে জমা দিতে হবে। এটা গরীব মিসকিনদের পিছনে খরচ করা হবে।
    ***



    আপনার এলাকায় উশরের হিসাব
    এবার আপনি আপনার এলাকার একটা ইজমালি হিসাব ধরুন। ধরুন আপনার এলাকায় জমিতে কাঠার হিসাব। এক কাঠা= দশ শতক। এভাবে আপনার এলাকায় ৫০০ কাঠা ধানের জমিন আছে মুসলামনদের। প্রতি কাঠায় দুই ফসলে ধরুন (৫+৩)= ৮ মণ ধান হয়। এভাবে ৫০০ কাঠা হিসাব করেন: ৪ হাজার মণ ধান হবে।

    তাহলে আপনার এলাকায় মুসলিমদের বাৎসরিক ধান উৎপাদন ৪ হাজার মণ।

    এখান থেকে উশর তথা গরীবের হক হবে কত? ২০ ভাগের একভাগ। ৪ হাজার মণকে ২০ দিয়ে ভাগ করলে হবে: ২ শো মণ।
    তাহলে আপনার এলাকার গরীবরা বাৎসরিক ২ শো মণ ধান পাবে।
    ***



    মাসআলা: খরচ বাদ দেয়ার আগে উশর দিতে হয়। অর্থাৎ পানি খরচ, সার খরচ, কামলা খরচ ইত্যাদি কোনো খরচ ধান থেকে বাদ যাবে না। যত মণ ধান হবে হিসাব করে ২০ ভাগের ১ ভাগ দিয়ে দিতে হবে। খরচাদি মালিক নিজ থেকে দিবে। ধান থেকে দিতে চাইলে উশর আদায়ের পর নিজের ভাগ থেকে দিবে।

    # খারাজের পরিমাণ
    খারাজ দুই প্রকারে ধার্য করা যায়:

    এক. খারাজে তাওজিফ বা খারাজে মুয়াজ্জাফ (خراج التوظيف\الخراج الموظف)

    জমি প্রতি একটা অংক ধার্য করে দেওয়া হবে জমি চাষ করুক না করুক তা বাইতুল মালে দিতে হবে জমির উৎপাদনের মাত্রা অনুযায়ী তাতে তিনভাগ হবে:

    . খরচ বেশি উৎপাদন কম: এমন জমির প্রতি এক জারিব (الجريب) তথা ৭০ (সত্তর) স্কয়ার গজে সা’ (সাড়ে ৩ কেজি) ফসল এবং দিরহাম আমরা যদি ধান ধরি, তাহলে সাড়ে ৩ কেজি ধানের দাম ধরুন ১০০ টাকা, আর বর্তমান রুপার দাম অনুযায়ী দিরহাম= ৪০০ টাকা তাহলে মোট ৫০০ টাকা বাৎসরিক

    . মাঝারি খরচ মাঝারি উৎপাদন: এমন জমির প্রতি ৭০ (সত্তর) স্কয়ার গজে দিরহাম বর্তমান হিসাব অনুযায়ী হাজার টাকা বাৎসরিক

    . কম খরচ বাম্পার ফলন: এমন জমির প্রতি ৭০ (সত্তর) স্কয়ার গজে ১০ দিরহাম বর্তমান হিসাব অনুযায়ী হাজার টাকা বাৎসরিক


    দুই. খারাজে মুকাসামা (خراج المقاسمة)

    জমির উৎপাদন যা হবে তা থেকে পার্সেন্ট হারে ধরা হবে তার সর্বনিম্ন পরিমাণ খুমুস তথা ৫ ভাগের একভাগ আর সর্বোচ্চ নিসফ তথা অর্ধেক
    অর্থাৎ অর্ধেকের বেশি ধরা যাবে না, ভাগের ভাগের কম ধরা যাবে না
    ***



    এবার আসুন হিসাবে যাই ধরুন আপনার এলাকায় হিন্দু আছে ১০ টি পরিবার তাদের জমির পরিমাণ ৬০ কাঠা প্রতি কাঠায় মণ করে তাদের ধান হবে ৪৮০ মণ

    ধরলাম তাদের জমিতে খারাজে মুকাসামা ধার্য আর পরিমাণটা আমরা একটা মাঝামাঝি পরিমাণ 3 ভাগের 1 ভাগ ধরলাম অর্থাৎ ফসলের 3 ভাগের 1 ভাগ আমাদের দিবে, আর 2 ভাগ তারা নিবে তাহলে ৪৮০ মণের এক তৃতীয়াংশ হিসেবে বাইতুল মাল পাবে ১৬০ মণ

    তাহলে আপনার এলাকায় ধানের জমিন থেকে বাৎসরিক খারাজ আসছে ১৬০ মণ ধান

    বি.দ্র. উপরোক্ত যে হিসাব ধানের দেয়া হলো, অন্য সব ফল ফসল এভাবেই হিসাব করে নিবেন আলু, গম, বেগুন, মরিচ, আম বাগান, পেয়ারা বাগান, লিচু বাগান, পেঁপে বাগান, কলা বাগান: ইত্যাদি সব ফল ফসলের উশর খারাজ ইজমালিভাবে উপরোক্ত হিসাব অনুযায়ী হিসাব করবেন

    যেমন মুসলমানদের বাগানে ১০০ মণ আম হলে উশর দিতে হবে ২০ ভাগের এক ভাগ তথা মণ আম

    যিম্মিদের বাগানে ৯০ মণ আম হলে খারাজ দিতে হবে এক তৃতীয়াংশ তথা ৩০ মণ আম

    এভাবে বাকি সবগুলো হিসাব করে নিবেন
    ***


    মাসআলা: উশর খারাজ দিতে হয় উৎপাদনশীল জমিতে বাড়ি ঘরে লাগানো দু-চার-পাঁচটা গাছের ফলে উশর খারাজ দিতে হয় না

    মাসআলা: উশর গরীবদের হক এটা যাকাতের খাতে খরচ করতে হবে আর খারাজ খরচ করা হবে দারুল ইসলামের উন্নয়নে বিশেষত দারুল ইসলামের দ্বীনি বা দুনিয়াবি সেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তা কর্মচারীদের হাজত পূরণে যেমন মুফতি, কাযি, মুদাররিস, ইমাম, মুআযযিন, তালিবুল ইলম, পুলিশ, সেনাবাহিনি প্রমুখ অতিরিক্ত থেকে গেলে তখন সাধারণ জনগণকে দেয়া হবে বা বাইতুল মালে জমা রাখা হবে ব্যাপারে আইম্মাদের দুই রকমের মত আছে

    # জিযিয়ার পরিমাণ
    যিম্মিদের মধ্যে বালেগ সুস্থ পুরুষদের উপর মাথাপিছু একটা অঙ্ক ধার্য করা হয় এটা হচ্ছে জিযিয়া অর্থাৎ তারা জমিনে খারাজ দিবে, মাথাপিছু জিযিয়া দিবে আর মুসলমানরা জমিনে উশর দিবে, যাকাতোপোযোগী সম্পদে যাকাত দিবে

    ধনী-গরীবের ব্যবধানে জিযিয়ার তিন ভাগ:

    . গরীবদের বাৎসরিক ১২ (বারো) দিরহাম অর্থাৎ মাসিক এক দিরহাম বর্তমান হিসাব অনুযায়ী মাসে ৪০০ টাকা, বছরে ৪৮০০ টাকা

    . মাঝারি ধনীদের বাৎসরিক ২৪ দিরহাম অর্থাৎ মাসিকদুই দিরহাম বর্তমান হিসাব অনুযায়ী মাসে ৮০০ টাকা, বছরে ৯৬০০ টাকা

    . বড় বড় ধনীদের বাৎসরিক ৪৮ দিরহাম অর্থাৎ মাসিক চার দিরহাম বর্তমান হিসাব অনুযায়ী মাসে ১৬০০ টাকা, বছরে ১৯,২০০ টাকা
    অর্থাৎ প্রতি পরের শ্রেণী আগের শ্রেণীর দ্বিগুণ
    ***



    এবার হিসাবে যাই বলেছিলাম আপনার এলাকায় ১০ টা হিন্দু পরিবার আছে ধরুন প্রতি ঘরে জন করে বালেগ সুস্থ পুরুষ বিদ্যমান তাহলে মোট ২০ জন জিযিয়া দিবে মহিলা শিশু জিযিয়া দিবে না কে কোন শ্রেণীর সেটা বাদ দিয়ে আমরা একটা ইজমালি হিসাব করি- সবাইকে মধ্যম মানের ধরে তাহলে প্রতিজন বাৎসরিক ৯৬০০ টাকা করে জিযিয়া দিবে ২০ জনের মোট জিযিয়ার পরিমাণ হবে ,৯২,০০০/- (১ লাখ ৯২ হাজার) টাকা

    তাহলে আপনার এলাকায় বাৎসরিক জিযিয়ার পরিমাণ: লাখ ৯২ হাজার টাকা

    মাসআলা: জিযিয়া খারাজের খরচের খাত একই যেমন যাকাত উশরের খরচের খাত একই
    ***



    # যাকাতের পরিমাণ
    মুসলমানদের সোনা রুপা, নগদ টাকা পয়সা এবং ব্যবসার সম্পদের উপর যাকাত আসবে যাকাতের পরিমাণ ৪০ ভাগের ভাগ

    অর্থাৎ কারও যদি বছর শেষে ঋণ প্রয়োজন বাদে লাখ টাকা অবশিষ্ট থাকে, তাহলে যাকাত দিবে এর ৪০ ভাগের ১ ভাগ তথা ২৫০০/- (পঁচিশশত) টাকা

    মাসআলা: যাকাত মূলত আইন তথা সরাসরি বস্তুর উপর ওয়াজিবঅর্থাৎ বস্তুর ৪০ ভাগের ১ ভাগ তবে মূল্য দিয়েও আদায় করা যায়
    ***



    অতএব, কোনো অষুধ ব্যবসায়ীর দোকানে যদি বছর শেষে ৪০ বাক্স অষুধ থাকে, তাহলে বাক্স অষুধ যাকাত হিসেবে দিতে হবে কিংবা তার মূল্য দিতে হবে

    কোনো ধান ব্যবসায়ীর যদি বছর শেষে ৫০০ মণ ধান থাকে, তাহলে প্রতি ১০০ মণে আড়াই মণ করে মোট ১২.৫০ (সাড়ে বারো) মণ ধান যাকাত হিসেবে দিবে হবে বা তার মূল্য

    কোনো স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দোকানে যদি ২০০ ভরি স্বর্ণ থাকে, তাহলে শতে আড়াই করে মোট ভরি যাকাত হিসেবে দিতে হবে বা তার মূল্য

    কোনো গ্যাস ব্যবসায়ীর দোকানে ১২০ টি সিলিন্ডার থাকলে টি সিলিন্ডার যাকাত হিসেবে দিতে হবে কিংবা তার মূল্য

    চাউল ব্যবসায়ীর দোকানে ১২০ বস্তা চাউল থাকলে বস্তা চাউল যাকাত হিসেবে দিতে হবে বা তার মূল্য

    কোনো কাপড় ব্যবসায়ীর দোকানে ১২০ থান কাপড় থাকলে থান কাপড় যাকাত হিসেবে দিতে হবে বা তার মূল্য

    অন্য সব মালামাল এভাবে হিসাব করতে হবে

    তাহলে আপনার এলাকায় যাকাত হলো: অষুধবাক্স + ধান ১২.মণ + স্বর্ণ ভরি + গ্যাস সিলিন্ডার ৩টি + চাউল বস্তা + কাপড় থান

    # আপনার এলাকায় বাৎসরিক যাকাত-উশর, খারাজ-জিযিয়া কত আসলো?

    উশর: ধান ২০০ মণ + আম মণ (আলু, বেগুন, মরিচ ইত্যাদি বাদ দিলাম)

    যাকাত: অষুধ বাক্স + ধান ১২. মণ + স্বর্ণ ভরি + গ্যাস সিলিন্ডার ৩টি + চাউল বস্তা + কাপড় থান

    খারাজ: ধান ১৬০ মণ + আম ৩০ মণ (আলু, বেগুন, মরিচ ইত্যাদি বাদ দিলাম)

    জিযিয়া: ১ লাখ ৯২ হাজার টাকা


    যদি টাকায় হিসাব করি:
    উশর: প্রতি মণ ধান ১ হাজার টাকা করে ২০০ মণ ধান ,০০০০০/- টাকা; মণ আম ৪০ টাকা কেজি ধরে ,০০০/- টাকা মোট: ,০৮,০০০/- ( লাখ হাজার) টাকা

    যাকাত: বাক্স অষুধ ( লাখ) টাকা ১২. মণ ধান ১২ হাজার শো টাকা ভরি স্বর্ণ লাখ টাকা টি গ্যাস হাজার টাকা তিন বস্তা চাউল ১০ হাজার টাকা থান কাপড় ৩০ হাজার টাকা মোট: ,৫৫,৫০০/- ( লাখ ৫৫ হাজার শো) টাকা

    যাকাত উশর মিলে (যেহেতু উভয়টার খাত একই): লাখ ৬৩ হাজার শো টাকা

    খারাজ: ১ হাজার টাকা দরে ১৬০ মণ ধান ,৬০,০০০/- ( লাখ ৬০ হাজার) টাকা ৪০ টাকা কেজি দরে ৩০ মণ আম ৪৮,০০০/- (৪৮ হাজার) টাকা মোট: লাখ হাজার টাকা

    জিযিয়া: ,৯২,০০০/- ( লাখ ৯২ হাজার) টাকা

    জিযিয়া খারাজ মিলে (যেহেতু উভয়টির খাত একই): ,০০০০০/- ( লাখ) টাকা


    তাহলে আপনার ছোট্ট এলাকায় সাধারণ বাৎসরিক একটা হিসাব দাঁড়াচ্ছে:-
    উশর-যাকাত: লাখ ৬৩ হাজার শো টাকা
    জিযিয়াখারাজ: লাখ টাকা

    এখানে শুধু ব্যবসার মালের যাকাত ধরা হয়েছে নগদ টাকা পয়সা সোনা রুপার যাকাত ধরা হয়নি ইজমালিভাবে সেটা সহ না হয় উশর যাকাত হলো: ১০ লাখ টাকা

    আর উট, গরু ছাগল-ভেড়ার যাকাতও বাদ দিলাম, যেহেতু আমাদের দেশে সে রকম পশু নাই প্রতি উটে ছাগল প্রতি ৩০ গরুতে গরু প্রতি ৪০ ছাগলে ছাগল

    তাহলে আপনার ছোট্ট এলাকাটিতে উশর যাকাত: ১০ লাখ টাকা, জিযিয়া খারাজ: লাখ টাকা
    ***



    আপনার এলাকায় যদি ৫০ জন মানুষ অসহায় থাকে, তাহলে যাকাত ফান্ড থেকে তাদের প্রত্যেককে গড়ে আপনি দিতে পারছেন: ২০ হাজার টাকা করে

    আপনার এলাকায় যদি জন মুফতি, জন ইমাম জন মুআযযিন থাকে তাহলে: খারাজ ফান্ডের লাখ টাকা থেকে প্রতিজন মুআযযিনকে বাৎসরিক ৩০ হাজার করে লাখ ৫০ হাজার, প্রতিজন ইমামকে ৪০ হাজার করে লাখ; মোট লাখ ৫০ হাজার বাৎসরিক সহায়তা দিতে পারছেন বাকি ৫০ হাজার দিতে পারছেন মুফতি সাহেবকে

    তাহলে আপনার এলাকায় বাৎসরিক কে কতো করে সহায়তা পাচ্ছে?
    প্রতিজন অসহায় পাচ্ছে ২০ হাজার করে
    মুফতি সাহেব পাচ্ছেন ৫০ হাজার
    প্রতিজন মুআযযিন পাচ্ছেন ৩০ হাজার করে
    প্রতিজন ইমাম সাহেব পাচ্ছেন ৪০ হাজার করে
    ***



    এটা একটা ইজমালি হিসাব এভাবে আপনি বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি বাজার, প্রতিটি শহর হিসাব করেন দেখুন কত হাজার কোটি টাকা আয় হয় বিনা খরচে

    এছাড়া খনিজ সম্পদ, বনজ সম্পদ, মৎস সম্পদ, গনিমত, ফাই ইত্যাদি তো আছেই
    ***


    এবার আশাকরি বুঝতে পারছেন: তালেবানরা কেন স্বাবলম্বী হতে যাচ্ছে?
    ***


    # একটি আপত্তি: সম্পদ আমার, অন্যকে দিবো কেন?

    উত্তর: ক. সম্পদ আপনার কে বলেছে? সম্পদ তো আল্লাহর আপনার হাতে আমানত হিসেবে দিয়েছেন

    খ. আপনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের দেখেন তাদেরও তো সহায় সম্পদ অর্থকড়ি কতো কিছু ছিল এখন সেসব কই?

    সম্পদ আপনার, কিন্তু সে সম্পদ সংরক্ষিত থাকছে দেশের আম মুসলমানদের বলে তাই তাদের হক আছে যদি মায়ানমার থেকে পিটিয়ে আপনাকে খালি হাতে এপারে পাঠানো হতে, তাহলে বুঝতেন: কার বলে আপনার সম্পদ আপনার থাকছে
    ***




  • #2
    সুবহান আল্লাহ! আলহামদু লিল্লাহ!! আল্লাহু আকবার !!!
    আল্লাহ আপনার ইলম ও আমলে ভরপুর বারাকাহ নসীব করুন।
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      সম্পদ আপনার কে বলেছে? সম্পদ তো আল্লাহর আপনার হাতে আমানত হিসেবে দিয়েছেন যদি মায়ানমার থেকে পিটিয়ে আপনাকে খালি হাতে এপারে পাঠানো হত, তাহলে বুঝতেন: কার বলে আপনার সম্পদ আপনার থাকছে

      আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক সমঝ দান করুন। আমীন

      Comment


      • #4
        এ ব্যাপারে মাসায়েলে জিহাদ বইতে বিস্তারিত আলোচনা পাবেন। বইটির পিডিএফ লিঙ্ক

        [আপনার প্রদত্ত লিঙ্ক কাজ করে না। https://archive.org/ তে আপলোড করে লিঙ্ক দিতে পারেন ইনশা আল্লাহ-মডারেটর]
        Last edited by Munshi Abdur Rahman; 07-31-2023, 05:34 PM.
        হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

        Comment


        • #5
          এই লিঙ্কটি কাজ করছে আলহামদুলিল্লাহ

          https://file.fm/f/kx2bznher
          হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

          Comment

          Working...
          X