Announcement

Collapse
No announcement yet.

নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা

    নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা

    হিন্দুত্ববাদী মালউন ভারতীয় মিডিয়ার মতো কিছু পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া অত্যন্ত আফসোস আর দুঃখ জাহির করছে যে, হামাস বেসামরিক” “নিরীহ” “সাধারণনাগরিকদের হত্যা করে ফেলছে অবশ্য নাইন এলিভেনের মতো এবারের প্রচারের তত বেশি জোর নেই বিশেষত হামাসের বিপক্ষে এবার ফতোয়া জোগাড় করাটা মনে হয় সহজ হচ্ছে না নাইন এলিভেনকে যারাসাধারণ নাগরিকহত্যার অপরাধে (!!) নাজায়েয বলতো, তারাও অনেকে হামাসের হামলায় খুশি সমর্থন প্রকাশ করছে

    এক মিডিয়া এক ইয়াহুদি ভদ্র লোকের ফতোয়া (!!) প্রকাশ করেছে দেখলাম হামাসের হামলায় নিহত কয়েকটা লাশ দেখিয়ে সে অত্যন্ত দুঃখ করছে যে, সাধারণ নির্দোষ (!!) লোকগুলোকে তারা মেরে ফেলছে ইসলামের দৃষ্টিতে এটি হারাম!

    ইয়াহুদি ভদ্রলোকের কি সুন্দর ফতোয়া: ইসলামের দৃষ্টিতে এটি হারাম

    অথচ মালউন ভদ্রলোক নিজেও একটা দখলদার হয়ে থাকবে তোমরা যে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে তাদের জমি দখল করে বসতি গেড়েছো, তোমাদেরটা খুব হালাল হচ্ছে! তোমাদের সেনারা যে দিবানিশি হামলার পর হামলা করে ফিলিস্তিনিদের রক্তের বন্যা বইয়ে চলেছে, সেটা হালাল হচ্ছে না হারাম হচ্ছে তা বললে না সুশীল (!!) মিডিয়াগুলো, যারা আজ খুব দুঃখিত, তারা তো নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞের সময় কোনো কষ্ট অনুভব করো না

    জো বাইডেন হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যায়িত করেছে এবং ইসরাইলিদের জীবন রক্ষার জন্য বিমানসহ রণতরী পাঠিয়ে দিয়েছে!

    হচ্ছে সুশীল (!!) কুফফার মিডিয়ার প্রচারণা এবং ক্রুসেডিয় জায়নবাদি মুশরিকি দৃষ্টিভঙ্গি মুসলিমদের শিশু-বৃদ্ধগুলোও সন্ত্রাসী, আর কুফফারদের দখলদার আগ্রাসী জোয়ানগুলোও নিরীহ

    দুঃখের বিষয় হচ্ছে: শুধু মডারেট শ্রেণীই নয়, রক্ষণশীল দ্বীনদার শ্রেণীর অনেক মুসলিমও ধরনের চিন্তাধারায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন অথচ সামরিক বেসামরিকের এই বিভক্তি একটি ধোঁকা বৈ কিছু নয় না শরীয়তে এর কোনো অস্তিত্ব আছে, না বাস্তব জগতে এর কোনো বিবেচনা আছে

    @ ইয়াহুদি বিমানগুলো গাজায় কাদের হত্যা করছে?
    @ মিয়ানমারে বৌদ্ধ মগরা কাদের দেশান্তর করেছে?
    @ কাশ্মির ভারতে মালউন হিন্দুরা কাদের হত্যা করছে?
    @ আফগান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়ামানে আমেরিকান ন্যাটো জোট কাদের হত্যা করেছে?

    যারা সামরিক বেসামরিকের থিউরি আমাদের শিখিয়েছে, আদৌ তারা কি নীতি বিশ্বাস করে, না নীতি মেনে চলে?

    কিন্তু আফসোস সেসব মুসলিমের জন্য, পশ্চিম থেকে উদগত চিন্তা আরবুলিগুলোকে যারা শরীয়তের আলোকে যাচাই না করে বরং স্বয়ং সেগুলোকেই শরয়ী বলে বিশ্বাস করে বসে

    অক্ষম নয়, পুরুষ শ্রেণীর এমন প্রতিটি বালেগ সদস্য সামরিক
    হয়তো আপনার মানতে কষ্ট হচ্ছে যে, একটা ভদ্রলোক, সামরিক বিষয়াশয়ের সাথে যার কোনো সম্পর্ক নেই, হয়তো সে একজন ব্যবসায়ী কিংবা সাধারণ চাকুরিজীবী: সেও সামরিক সে হত্যাযোগ্য মুবাহুদ দম হালালুদ দম তাকে কতল করা জায়েয তার গলায় ছুরি চালানো, তার বুকে খঞ্জর বসানো কিংবা বুলেটে তার বুকটা ঝাঁঝরা করে ফেলা জায়েয যদিও তার হাতে অস্ত্র নেই তার ট্রেনিং নেই সে যুদ্ধের ময়দানে নেই

    কিন্তু আপনিই বলুন: গো রক্ষার নামে প্রতিদিন যেসব সুশীল (!!) হিন্দু মুসলমানদের পিটিয়ে হত্যা করছে, কিংবা তামাশা দেখছে: আপনি তাদের নিরীহ বেসামরিক বলবেন? তাদের রক্ত মাছুম? তাদের হত্যা করা যাবে না?

    কিংবা যেসব ইয়াহুদি ভদ্রলোক (!!) সুদূর আফ্রিকা কিংবা ইউরোপ ছেড়ে এই অসহায় ফিলিস্তিনিদের ভূমিতে এসে বসতি গেড়ে তাদের উৎখাত করে বাস্তুহারা করেছে: তাদের দম মাছুম? তাদের গায়ে হাত তোলা যাবে না? তারা বেসামরিক? নিরীহ? নিরপরাধ?

    কিংবা যেসব স্থানীয় মগ আরাকানি মুসলিমদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে তাদের শেষ আশ্রয়টুকু: আপনি বলবেন তারা নিরীহ? নিরপরাধ?
    শুধু পেশাদার সেনাদলে ভর্তি নেই বলেই তারা সন্ত্রাসী নয়, সাধারণ?

    আপনি হয়তো বলবেন: না, আমরা এমন ধরনের ইয়াহুদি কিংবা হিন্দু বৌদ্ধের কথা বলছি না
    তাহলে বলবো: এমনটা হলে আপনার সমালোচনার ভাষায় পরিবর্তন আনা দরকার ছিল আপনার বলার দরকার ছিল: যেসব কাফের মুসলমানদের হত্যা বা নির্যাতনে জড়িত, তারা অপরাধী- যদিও তাদের হাতে অস্ত্র না থাকে বা তারা সামরিক বাহিনির লোক না হয়ে থাকেতাদের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার মুসলিমদের আছে।
    কিন্তু আপনি তো এমন তমিজটা করছেন না
    আপনি কেন বলছেন না: যেসব মুসলিম কোনো না কোনোভাবে নির্যাতিত, নির্যাতনকারীদের থেকে প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার তাদের আছে?
    তাহলে কি বলতে হবে: আপনি আসলে শরয়ী দৃষ্টিকোণ কিংবা বাস্তবতার আলোকে কথা বলছেন না, বরং গা বাঁচিয়ে চলার মতো বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন?

    আপনি তো গতকাল নাইন এলিভেনের বিরোধিতা করেছিলেন, তাহলে আজ হামাসের প্রশংসা করছেন কেন? হামাস তো সেই সাধারণ সুশীলদেরই (!!) হত্যা করেছে, যে অপরাধে আপনি নাইন এলিভেনের বিরোধী? নাকি বিষয়টা এমন হয়ে পড়েছে যে, আজ স্রোতের গতি এদিকে তাই আপনিও এদিকে, আর গতকাল স্রোত ছিল উল্টো তাই আপনি ছিলেন উল্টো? বিষয়টা ভাবার মতো শরীয়তের মানদণ্ডে বিবেচনা না করে যখন যেটার চলন, আমিও সেটারই পক্ষে গেয়ে যাচ্ছি কি’না?

    কেন প্রতিটি বালেগ পুরুষ সদস্য হত্যাযোগ্য অপরাধী?
    আচ্ছা আপনি একবার ভারতকে এভাবে ভাবুন যে, এখানে নারী শিশু বৃদ্ধ বা সাধারণ শ্রেণীর কোনো হিন্দু নাই, শুধু সৈনিক শ্রেণীটি আছে আপনি ভাবুন: তাহলে গোটা ভারতে সব সৈন্য মিলে সংখ্যাটা কত দাঁড়াবে? তারা যদি গোটা ভারতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে, তাহলে ভারতের একেকটা মহল্লাতে একটা করেও কি সৈন্য ভাগে পড়বে? তখন তাদের পক্ষে কি সম্ভব হতো মুসলিমদের নির্যাতন করা? গো হত্যার অভিযোগে হত্যা করা? জয় শ্রীরাম বলতে বাধ্য করা? বরং এসকল সৈন্য কি নিজেদের জান রক্ষা পর্যন্ত করতে পারতো? নির্যাতন তো দূরের কথা

    তারা যদি নিজেদের কাপড় নিজেরা বানায়, নিজেদের খাদ্য-খাবার নিজেরা চাষ করে এবং নিজেরা প্রস্তুত করে, নিজেদের অর্থ নিজেরা যোগায়, নিজেদের অস্ত্র নিজেরা তৈয়ার করে, নিজেদের গাড়ি নিজেরা বানায়: তাহলে শ্রেণীটির জীবন শুধু নিজেদের জীবন ধারণের পেছনেই শেষ হয়ে যেতো, এক সেকেন্ড সময়ও তারা যুদ্ধের জন্য আর মুসলিম নির্যাতনের জন্য পেতো না

    কিন্তু আপনি যাদের নিরীহ বলছেন, সেই নিরীহগুলো তাদের অর্থ যোগাচ্ছে তাদের পোশাক যোগাচ্ছে তাদের রসদ যোগাচ্ছে তাদের অস্ত্র যোগাচ্ছে ছাউনিগুলো নির্মাণ করে দিচ্ছে রাস্তাগুলো বানিয়ে দিচ্ছে গাড়িগুলো প্রস্তুত করে দিচ্ছে তাদের পরিবারের দায়ভার নিজেদের কাঁধে বহন করে বিশাল অঙ্কের বেতন তাদের জন্য মাসে মাসে যুগিয়ে যাচ্ছে

    এই সর্ব প্রকারের ব্যাকসাপোর্টের পর এবার এবং কেবল এবারই সম্ভব হচ্ছে এই সামরিক শ্রেণীটির জন্য যে, তারা বিমানগুলো উড়িয়ে গাজায় নিয়ে যাচ্ছে বোলডোজারগুলো দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বাড়িগুলো গুড়িয়ে দিচ্ছে মায়ের সামনে ছেলেকে গুলী করছে বাবার সামনে মেয়েকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যদি এই ব্যাকসাপোর্ট না থাকতো, মসজিদে আকসার প্রান্তর থেকে একটা ইয়াহুদি সৈন্যও জ্যান্ত ফিরে যেতে পারতো না। কিন্তু আপনার বিবেক কত উদার: পেছনে থাকা যে লোকগুলো সব প্রস্তুত করে অস্ত্র হাতে শিকারের জন্য এদের পাঠিয়ে দিলো তারা নির্দোষই রয়ে গেলো, সুশীলই রয়ে গেলে, মাছুমুদ দমই রয়ে গেলো

    কোনো সমাজেই শুধু সামরিকরা চলতে পারবে না- যদি ব্যাকসাপোর্ট না থাকে এজন্য উভয় শ্রেণীই অপরাধী এরপরও আল্লাহ তাআলা রহম করে নারীদের হত্যা না করে বন্দী করতে বলেছেন এটাই অনেক বেশি মুসলিমদের দাসী হয়ে প্রাণটা ভিক্ষা পেল

    আপনি যদি আগে বেড়ে ব্যাকসাপোর্টদাতা গোটা এ অপরাধী শ্রেণীটিকে মাছুমুদ দম বানিয়ে ফেলেন: তাহলে আপনি কুরআন, সুন্নাহ এবং ইজমায়েউম্মতের খেলাফ করলেন এবং মুসলিমদের রক্তের সাথে অনেক বড় গাদ্দারি এবং মুসলিম উম্মাহর প্রতি অনেক বড় জুলুম করলেন শত্রুকে বানিয়ে দিলেন মাছুমুদ দম, আর মুজাহিদকে বানিয়ে দিলেন সন্ত্রাসী, শহীদকে বানিয়ে দিলেন জাহান্নামী কত বড় অপরাধ আপনি করেছেন ভেবে দেখেছেন কি? আবার একটু ভাবুন নতুন করে জায়নিস্ট স্কলারদের থেকে দ্বীন নিবেন না, দ্বীন কুরআন সুন্নাহ, সালাফে সালেহীন এবং আইম্মায়ে মুজতাহিদিন থেকে নিন

    (চলমান ইনশাআল্লাহ)


  • #2
    আমাদের যুদ্ধ কেবল কাফেরদের সেনাদলের সাথে নয়। বরং সমগ্র কুফরী চিন্তাধারা ও মতাদর্শের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ। কেউ কেউ কুফরকে টিকিয়ে রেখেছে অস্ত্র দিয়ে, কেউ টিকিয়ে রেখেছে খাদ্য উৎপাদন করে, কেউ চিকিৎসা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে, কেউ কাফেরদেরকে শিক্ষিত করেছে কুফরকে শক্তিশালী করার জন্য, কেউ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আবিষ্কার করে কুফরকে সহায়তা করেছে, কেউ এই প্রযুক্তি আবিষ্কারের পথে শ্রমিক হিসেবে শ্রম দিয়েছে। আমরা যদি কুফরকে ধ্বংস করতে চাই এই প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদেরকে আঘাত হানতে হবে। কুফর শুধু সেনাদল নিয়েই গঠিত নয়। এটি একটি সভ্যতা।
    হে আল্লাহর পথের সৈনিক! ধৈর্যধারণ করুন ও হকের উপর অবিচল থাকুন। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।

    Comment


    • #3
      খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সময় উপযোগী আলোচনা। বারাকাল্লাহ মুহতারাম ভাই।

      Comment


      • #4
        আসলে এই ধরনের অন্ধ মুসলিমদের অধিকাংশই তাগুতকে পুরোপুরিভাবে বর্জন করতে পারেনি বলেই তাদের কাছে আজ সব কিছু ধোঁয়াশা ।
        Last edited by Rakibul Hassan; 10-12-2023, 06:24 AM.

        Comment


        • #5
          জাযাকাল্লাহু খয়ের মুহতারাম, সুন্দর ভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উপস্থাপন করার জন্য

          Comment


          • #6
            Right100🗡️

            অনেক ভাইয়েরা ভুল বুঝে বলেন যে,এখন যে আক্রমণ করলো,এই কারণে তো এত আক্রমন করছে দখলদার সন্ত্রাসী ইসরাইল।তারা ভুলে যান যে,এর আগে ইসরাইল কি পরিমাণ আক্রমন করে আসছে।

            Comment


            • #7
              নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা (২য় পর্ব)

              বাস্তব দুনিয়ায় সামরিক বেসামরিকের ভিত্তি রাখা হয়েছে আকিদা-বিশ্বাস ও নজরিয়া-দৃষ্টিভঙ্গির উপর; সামরিক বাহিনিতে ভর্তি হওয়া না হওয়া, ট্রেনিং থাকা না থাকা বা অস্ত্র হাতে নেয়া না নেয়ার উপর নয়। দেখুন পৃথিবীতে জঙ্গিবাদের অভিযোগে অসংখ্য মুসলিমকে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে এবং অমানবিক শাস্তি দেয়া হচ্ছে। তাদের সবাই কি সামরিক? সবার হাতে অস্ত্র? সবাই ট্রেনিংপ্রাপ্ত?

              নিঃসন্দেহে না। তাহলে কেন তারা অভিযুক্ত? কেন তারা কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অমানবিক শাস্তির মুখে দিনাতিপাত করছেন? সাধারণ মানবিক অধিকারটুকুও কেন তাদের নেই? কারণ, তারা যে আদর্শ লালন করে, সে আদর্শ জঙ্গিবাদি আদর্শ। এ আদর্শ নিয়েই তাদের ভয়। ব্যক্তি সাধারণ না সামরিক তা দেখার বিষয় নয়। এ আদর্শ তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি। যারাই এ আদর্শ লালন করে, তাদেরকে তারা দুশমন মনে করে, সামরিক মনে করে এবং সে হিসেবেই আচরণ করে থাকে।

              একজন আলেম, যিনি জীবনে কোনোদিন অস্ত্র হাতে নেননি, বরং অনেকে জীবনে কোনোদিন অস্ত্র দেখেনওনি: কিন্তু শুধু জিহাদি মানসিকতা প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার কারণে তিনি কারাগারে; যদিও তিনি কোনো জিহাদি জামাতের সাথে সম্পৃক্ত নন। তাদের দৃষ্টিতে তিনি সামরিক, বরং সামরিকের চেয়েও ভয়ানক। এজন্য তাকে শতাব্দির আন্দামানে ধুকে ধুকে মরতে হচ্ছে।

              বাস্তব দুনিয়ার এ নীতিটিই কাফেরদের ব্যাপারে কুরআনের নীতি। সালাফে সালেহীন এমনটাই আকিদা রাখতেন। উম্মাহ চৌদ্দশত বছর এ আকিদা বিশ্বাস ও নজরিয়ার উপরই ছিল; যতদিন না বনি ইসরাইল ও আহলে কিতাবরা উম্মাহর আকিদা বিশ্বাসে বিকৃতি ঘটাতে পেরেছে।

              আমি যখন কাফেরকে কাফের মনে করি, জাহান্নামী মনে করি, তাদের দ্বীন ধর্ম ও আদর্শকে বাতিল ভিত্তিহীন জ্ঞান করি, তাদেরকে আল্লাহ ও রাসূলের দুশমন এবং ইসলাম ও মুসলিমদের শত্রু মনে করি: এ আকিদার কারণে তারা আমাকে তাদের দুশমন ও সামরিক মনে করে। আমার জান মাল তাদের জন্য হালাল মনে করে। আমাকে হত্যা নির্যাতন বৈধ, আইনি ও আমার উপযুক্ত পাওনা মনে করে।

              ঠিক একই আকিদা যখন তারা আমাদের ব্যাপারে রাখে, তখন আমরা তাদের কেন দুশমন মনে করবো না? কেন সামরিক মনে করবো না? কেন তাদের হত্যা করা তাদের উপযুক্ত পাওনা মনে করবো না?

              কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী কাফের কি আমার দ্বীনকে অপছন্দ করে না? আমার তাওহিদকে ভিত্তিহীন মনে করে না? আমার শরীয়াহকে অমানবিক মনে করে না? আমার রাসূলকে মিথ্যাবাদী মনে করে না? আমার কুরআনকে বাতিল মনে করে না? আমাকে দুশমন জ্ঞান করে না? আমার জানমালকে হালাল মনে করে না?

              এরপরও আমি তাকে বলবো সে নিরীহ? নিরপরাধ? সাধারণ? সে তো আমার পথে ওৎপেতে বসে থাকা ডাকাত!

              এ হচ্ছে কাফেরের হাকিকত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
              {إِنْ يَثْقَفُوكُمْ يَكُونُوا لَكُمْ أَعْدَاءً وَيَبْسُطُوا إِلَيْكُمْ أَيْدِيَهُمْ وَأَلْسِنَتَهُمْ بِالسُّوءِ وَوَدُّوا لَوْ تَكْفُرُونَ}
              “(এদের চরিত্র হচ্ছে) যদি এরা তোমাদের কাবু করতে পারে, তাহলে এরা তোমাদের মারাত্মক শত্রুতে পরিণত হবে (শুধু তাই নয়) নিজেদের হাত যবান দিয়ে তোমাদের অনিষ্ট সাধন করবে (আসলে) এরা এটাই চায় যে, তোমরাও তাদের মতো কাফের হয়ে যাও” -মুমতাহিনা:

              আরও ইরশাদ করেন,
              {كَيْفَ وَإِنْ يَظْهَرُوا عَلَيْكُمْ لَا يَرْقُبُوا فِيكُمْ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً يُرْضُونَكُمْ بِأَفْوَاهِهِمْ وَتَأْبَى قُلُوبُهُمْ وَأَكْثَرُهُمْ فَاسِقُونَ (8) اشْتَرَوْا بِآيَاتِ اللَّهِ ثَمَنًا قَلِيلًا فَصَدُّوا عَنْ سَبِيلِهِ إِنَّهُمْ سَاءَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ (9) لَا يَرْقُبُونَ فِي مُؤْمِنٍ إِلًّا وَلَا ذِمَّةً وَأُولَئِكَ هُمُ الْمُعْتَدُونَ (10)}
              কিভাবে (তোমরা তাদের বিশ্বাস করবে)? এরা যদি কখনো তোমাদের উপর জয় লাভ করতে পারে, তাহলে তারা (যেমনি) আত্মীয়তার বন্ধনের তোয়াক্কা করবে না, (তেমনি) চুক্তির মর্যাদাও তারা দেবে না তারা (শুধু) মুখ দিয়ে তোমাদের খুশি রাখার চেষ্টা করে, কিন্তু তাদের অন্তরগুলো সেসব কথা (কিছুতেই) মেনে নেয় না মূলত এদের অধিকাংশ ব্যক্তিই অবাধ্য এরা আল্লাহ তাআলার আয়াতসমূহ সামান্য (বৈষয়িক) মূল্যের বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছে এবং মানুষকে তাঁর পথ থেকে দূরে রেখেছে তারা যা করছে, নিশ্চয়ই তা বড় জঘন্য কাজ (কোনো) ঈমানদার লোকের ব্যাপারে এরা (যেমন) আত্মীয়তার ধার ধারে না, (তেমনি) কোন অঙ্গীকারের মর্যাদাও এরা রক্ষা করে না মূলত এরাই সীমালঙ্গনকারী” -তাওবা: -১০

              যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি নিজেই বলছেন যে, তারা তোমাদের জানের দুশমন। শুধু বাগে পাওয়ার অপেক্ষায়। মিষ্টি মধুর কথা হয়তো তোমাদের সাথে বলতে পারে পরিস্থিতির কারণে, কিন্তু মনে মনে তারা আঙ্গুল কামড়ে মরে।

              আল্লাহ তাআলা অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন,
              {وَإِذَا لَقُوكُمْ قَالُوا آمَنَّا وَإِذَا خَلَوْا عَضُّوا عَلَيْكُمُ الْأَنَامِلَ مِنَ الْغَيْظِ} [آل عمران: 119]
              “তারা যখন তোমাদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে, আমরা (কুরআনের উপর) ঈমান এনেছি। আর যখন নিভৃতে চলে যায়, তখন তোমাদের প্রতি আক্রোশে নিজেদের আঙ্গুল কামড়ায়।” –আলে ইমরান: ১১৯

              হাতের নাগালে পেয়েও যখন কিছু করতে পারছে না, তখন আক্রোশে আঙ্গুল কামড়ানো ছাড়া আর কি করার আছে?

              অতএব, এটি আকিদা বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব। আদর্শের দ্বন্দ্ব। সামরিক বেসামরিকের প্রশ্ন এখানে অবান্তর। প্রতিটি কাফের একেকটা বিষধর সাপ। কোনো বুদ্ধিমান ব্যক্তি বাড়িতে সাপ ঘুরতে দেখেও হত্যা না করে সাপের কামড় (সামরিক আগ্রাসন) এর অপেক্ষায় বসে থাকবে না।

              প্রতিটি কাফের আকিদা বিশ্বাসের দিক থেকে মুসলিমদের শত্রু, সামরিক এবং মুহারিব। এমনিভাবে প্রতিটি মুসলিম আকিদা বিশ্বাসের দিক থেকে কাফেরদের শত্রু, সামরিক এবং মুহারিব। আগ্রাসন চালাবে কি’না সেটা পারিপার্শ্বিকতা এবং আসববা উপকরণ ও সময় সুযোগের বিষয়। আর আগ্রাসনে কেউ অস্ত্র হাতে আসবে, কেউ পিছন থেকে সাপোর্ট দেবে, মদদ যোগাবে। এভাবেই একটা আগ্রাসন সম্ভব হয়। অতএব, সামরিক বেসামরিক উভয়ই সমান। শরীয়ত রহম করে মহিলাদের হত্যা না করে যিম্মি বা দাসী বানাতে বলেছে। যেহেতু আকিদার বিষ থাকলেও কামড় দেয়ার শক্তি নাই। কিন্তু শক্তি না থাকার পরও যদি সে যুদ্ধে সাপোর্ট যোগায় কোনোভাবে তাহলে সেও পুরুষদের মতো হত্যার উপযুক্ত। সামনে ইনশাআল্লাহ এ ব্যাপারে কিছুটা আলোচনা করবো।
              ***

              Comment


              • #8
                আলহামদুলিল্লাহ, আপনার লেখাগুলো পড়ে উপকৃত হলাম ভাই।
                আল্লাহ পাক তাঁর মোতাবেক আপনাকে জাযায়ে খাইর দান করুন।
                প্রিয় ভাই, পর্বগুলো কমেন্টে না দিয়ে আলাদা পোষ্ট দিলে ভাল হয়।
                ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

                Comment


                • #9
                  আলহামদুলিল্লাহ

                  Comment


                  • #10
                    @ ইয়াহুদি বিমানগুলো গাজায় কাদের হত্যা করছে?
                    @ মিয়ানমারে বৌদ্ধ মগরা কাদের দেশান্তর করেছে?
                    @ কাশ্মির ভারতে মালউন হিন্দুরা কাদের হত্যা করছে?
                    @ আফগান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়ামানে আমেরিকান ন্যাটো জোট কাদের হত্যা করেছে?

                    যারা সামরিক বেসামরিকের থিউরি আমাদের শিখিয়েছে, আদৌ তারা কি নীতি বিশ্বাস করে, না নীতি মেনে চলে?
                    কাফিররা তাদের নীতির প্রতি আদর্শিক নয়। কিন্তু আমরা মুসলিম, আমাদের শরঈ বিধান মেনে চলতে হবে এবং জিহাদি উমারাদের স্ট্র্যাটেজির উপর অবিচল থাকতে হবে। কারণ আমাদের আল্লাহ্‌র সামনে জবাবদিহি করতে হবে।

                    Comment


                    • #11
                      জাযাকুমুল্লাহ শায়খ৷ আপনার লেখা পাওয়ার জন্য অনেক ভাই উন্মুখ হয়ে থাকেন৷ আল্লাহ তায়ালা আপনার থেকে আমাদেরকে আরো বেশি ইস্তেফাদার তাওফিক দিন৷ আপনার যোগ্যতা আরো বাড়িয়ে দিন৷ আমিন৷
                      শত্রু অভিমুখী যুদ্ধা।

                      Comment


                      • #12
                        (ইয়া আল্লাহ্‌) আমাদের ভাইদের সাহায্য করো এবং আমাদেরকে তাদের সাথে যোগ দেয়ার তৌফিক দান করো। আমীন
                        Last edited by Rakibul Hassan; 10-18-2023, 10:31 PM.

                        Comment

                        Working...
                        X