Announcement

Collapse
No announcement yet.

নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা -৩য় পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা -৩য় পর্ব

    নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা -৩য় পর্ব

    আমরা আলোচনা করছিলাম সাধারণ কাফেরদের হত্যা নিয়ে। আজকের মজলিসের শুরুতে একটা কথা বলে নিই: সাধারণ কাফেরদের হত্যা করা জায়েয হলেও মুজাহিদদের প্রধান টার্গেট কখনও সাধারণ কাফের থাকে না।

    বর্তমান বিশ্বে যত জায়গায় কাফেরদের সাথে যুদ্ধ জিহাদ চলছে বা যত হামলা হচ্ছে
    , সেগুলোতে নজর বুলিয়ে দেখুন: কাফেররা সাধারণ মুসলিমদের ঢালাওভাবে টার্গেট করছে। পক্ষান্তরে মুজাহিদদের টার্গেট মৌলিকভাবে সামরিকরাই থাকছে। মাঝেমধ্যে পলিসি হিসেবে কিছু কিছু হামলা সাধারণদের উপরও হচ্ছে।

    যেমন নাইন এলিভেনসহ আলকায়েদার আরও বেশ কিছু হামলা
    , যেগুলোতে সাধারণ নাগরিকও হত্যার শিকার হয়েছে। ‍‍‍"সাধারণ কাফেরদের হত্যা করা জায়েয": শুধু এই নীতির উপর ভিত্তি করে হামলা করা হয়নি। হামলা করা হয়েছে আগ্রাসীদের প্রতিহত করার জন্য একটা ভিন্ন মাকসাদকে সামনে রেখে। সে মাকসাদটি সামনে না থাকল হয়তো শুধু ‍"জায়েয" হওয়ার কারণে হামলা করতো না।

    যেমন স্পেনে হামলার উদ্দেশ্য ছিল
    : তারা যেন মুসলিমদের বিরুদ্ধে সৈন্য না পাঠায়। এ উদ্দেশ্য সফলও হয়েছিল। নাইন এলিভেনের উদ্দেশ্য ছিল: আমেরিকা যেন আফগানিস্তানে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে হামলা শুরু করার আগেই অপ্রস্তুত অবস্থায় তাকে টেনে এনে আফগানের চোরবালিতে আটকে দেয়া যায়। এ উদ্দেশ্যও সফল হয়েছে এবং বিশ বছর পর এ হামলার বরকত উম্মাহ দেখতে পেয়েছে, পাচ্ছে এবং সামনেও দেখতে থাকবে ইনশাআল্লাহ। সে হামলারই বরকত আজ উম্মাহ দেখতে পাচ্ছে হামাসের যুগান্তকারী হামলার মধ্য দিয়ে। মূলত এ হামলা দুনিয়ার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে।


    এমনিভাবে আপনি দেখুন: হামাসের হামলার পর আলকায়েদার ‌‌‍‍"আলকিয়াদাতুল উলয়া" তথা "কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব" থেকে আলকায়েদাসহ সকল মুজাহিদ ও মুসলিমকে আমেরিকা ইসরাইলের স্বার্থে আঘান হানতে আহ্বান করা হয়েছে, তা যেখানেই সম্ভব হোক। হতে পারে আপনি একদিন আচমকা ঘুম থেকে উঠে শুনবেন, অমুক দেশে আমেরিকান দূতাবাস উড়িয়ে দেয়া হয়েছে, বা অমুক মার্কেটে হামলা হয়েছে, বা অমুক বারে বন্দুকধারী কর্তৃক গুলীতে এতজন নিহত। এ জাতীয় কোনো কিছু হয়তো আপনি শুনবেন, আশ্চর্যের কিছু নয়। আপনি ইনসাফের সাথে বলুন (আবারও বলছি আপনি ইনসাফের সাথে বলুন), এই হামলাগুলো কি শুধু এ জন্য করা হয়ে থাকবে যে, “কাফেরকে হত্যা করা জায়েয"? কখনও নয়। এখানে আমেরিকা ইসরাইলকে শুধু থামানো উদ্দেশ্য, যাতে তারা গাজার নিরীহ মুসলিমদের হত্যা থেকে বিরত হয়। এখন যদি কোনো সমালোচক সমালোচনাটা এভাবে করেন যে, জিহাদিরা "ঢালাওভাবে কাফের হত্যা বৈধ" নীতিতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে যাচ্ছে: তাহলে কি আমি বলবো না যে, আপনার বুঝে কমতি আছে, আপনি গভীরে পৌঁছতে পারেননি, আপনি হাকিকত উপলব্ধি করতে পারেনন? আপনি বুঝতে পারেননি আসল উদ্দেশ্য।

    "সাধারণ কাফেরদের হত্যা করা জায়েয" নীতি যদিও শরীয়তে আপন জায়গায় ঠিক আছে, কিন্তু আপনি মুজাহিদদের এ হামলাগুলোকে শুধু এ নীতির ভিত্তিতে চালানো হয়েছে বলতে পারবেন না। যদি আমেরিকা ইসরাইল বেপরোয়া আগ্রাসন না চালাতো, তাহলে এ ধরনের হামলা করে তাদের থামানোর পথ আমাদের ধরতে হতো না। কাফেররা যদি মুসলিমদের ভূমিগুলো দখল না করতো আর আমরা ‌‌‌নিজেরা গিয়ে তাদের দেশ দখল করার জন্য হামলা করতাম, তখন সাধারণ নাগরিকদের হত্যা না করে শুধু সামরিক ও প্রশাসন শ্রেণীর সাথে দফারফা করাই যথেষ্ট হতো। কিন্তু যখন আমি নিজ ভূমিতে পরাধীন, তখন যেভাবে পারি নিজেকে আযাদ করতে হাত পা নাড়ছি। এ দুয়ের মধ্যে বিস্তর ফরক। বিষয়টা মাথায় রাখার মতো।

    আর ইসরাইলের ব্যাপারে কি বলবো, তাদের তো সবাই সামরিক বলা যায়। নারী পুরুষ সবাইকে বাধ্যতামূলক সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হয়। যেন তাদের সকলে রিজার্ভ সেনা।
    ×××
    যাহোক, আমরা মূল আলোচনায় ফিরে আসি। গত দুই পর্বে আমরা দেখেছি: সাধারণ জনগণ সামরিক আগ্রাসনের পথে একটি বড় সহায়ক অংশ। এ অংশটিকে বাদ দিয়ে আগ্রাসন সম্ভব নয়।

    এমনিভাবে আমরা দেখেছি: আকীদা বিশ্বাসের দিক থেকে প্রতিটি কাফের সামরিক। এটাই তাদের মানসিকতা। তাদের প্রত্যেকে একেকটি সাপ। কামড় কখন দেবে সেটা তার সুযোগের উপর নির্ভর করে। কাজেই আগে বেড়ে সাপকে হত্যা করে ফেলা বা অন্তত বিষদাঁত ভেঙে দেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

    আপনি তৃতীয় আরেকটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করুন: এ সাধারণ জনগণগুলোই সামরিক বাহিনির উৎস। বলুন তো বর্তমান আমেরিকা ইসরাইলের যে সামরিক বাহিনিটি মুসলিমদের হত্যা করে যাচ্ছে, তারা কি মায়ের পেট থেকে সামরিক হয়ে জন্মেছিল? তারাও এক সময় সাধারণ ছিল। এ সাধারণ থেকেই গঠিত হয়েছে আজকের এ আগ্রাসী সামরিক বাহিনিটি। আজ যদি আমেরিকার আরও একলাখ নতুন সেনার দরকার পড়ে, তাহলে তারা কোত্থেকে নিবে? এ সাধারণদের থেকেই নিবে। অতএব, এ সাধারণ শ্রেণীটি একদিকে যেমন সামরিক আগ্রাসনে বড় একটি সহায়ক ও ব্যাকসাপোর্টদাতা অংশ, তেমনি সরাসরি সামরিক বাহিনির উৎস এবং একমাত্র উৎস। এ উৎসটি না থাকলে সামরিক বাহিনির জন্মই হতো না। এদের দ্বারাই সামরিক বাহিনি গঠিত হয়। তাই এ উৎসকে টার্গেট করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এদের পঙ্গু করে দিলে আগ্রাসান বন্ধ হয়ে যাবে।
    ×××
    সুওয়াল-জওয়াব
    তাহলে আপনি এখন হয়তো বলবেন যে
    , এ হিসেবে তো নারী শিশুদেরও হত্যা করা জায়েয হওয়ার কথা!! নারীরাই তো সামরিকদের জন্ম দেয়। আর শিশুরাই তো বড় হয়ে সেনা হয়‍‍!!


    বাহ্যিক যুক্তিতে কথাটা অযৌক্তিক না। তবে এখানে একটু বুঝার বিষয় আছে। কাউকে হত্যা তো করা হয় তার অপরাধের কারণে। তবে সব অপরাধের শাস্তি হত্যা নয়, সব অপরাধীও হত্যাযোগ্য নয়। শিশুরা অপরিপক্ক। তাদের এখনও বুঝ হয়ে সারেনি। পাকড়াও করার সময় হয়নি। যখন সে বালেগ হলো, বুঝ পরিপক্ক হলো, এরপরও সে আল্লাহকে বিশ্বাস করলো না, বা বিশ্বাস করলো কিন্তু আল্লাহর দ্বীনকে গ্রহণ করলো না: তখন সে অপরাধী। বুঝ আসার পরও জেনেবুঝে কুফর গ্রহণ করা অপরাধ এবং হত্যাযোগ্য অপরাধ। এখন তাকে পাকড়াও করা যায়। পক্ষান্তরে বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত বয়সটা খেলাধুলার বয়স। তাছাড়া বালেগ হওয়ার পর সে কুফর গ্রহণ করবে, না ঈমান গ্রহণ করবে: তাও তো অনিশ্চিত। বালেগ হওয়ার পর যখন কুফর গ্রহণ করলো, তখন সে হত্যাযোগ্য।

    এখন আপনি হয়তো বলতে পারেন, তাহলে কোনো নাবালেগ শিশু যদি কারও কোনো জিনিস নষ্ট করে ফেলে তাহলে কি জরিমানা দিবে না? শিশু বলে ছেড়ে দেয়া হবে? উত্তর: না, ছেড়ে দেয়া হবে না, জরিমানা আদায় করা হবে। এ জরিমানা মূলত তার শাস্তি নয়, এটা তো জিনিসের বদলায় জিনিস।

    এখন হয়তো আপনি বলবেন, হুজুররা যে ছোট বাচ্চাদের শাস্তি দেয়? এমনকি শরীয়ত নিজেই নামায না পড়লে অভিভাবকদের বলেছে দশ বৎসরের বাচ্চাদের প্রহার করতে। উত্তর: আসলে এটা শাস্তি নয়, এটা হচ্ছে তাদিব – التأديب তথা আদব কায়দা ও শিষ্টাচার শিখানো। বড় হয়ে যেন সহীহ দ্বীনের উপর চলতে পারে সেজন্য আগে থেকেই একটু প্রস্তুত করা। এ প্রস্তুত করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে একটু ঘষামাজার দরকার পড়ে। এটা শাস্তি হিসেবে নয়। এ কারণে বাচ্চা যদি মদ খেয়ে ফেলে তাহলে তাকে আশি বেত লাগানো হবে না। আশি বেত হচ্ছে শাস্তি। তার উপর শাস্তি বর্তায় না। তবে যেন সামনে আর না খায় এজন্য একটু ধমকি-কানমলা ইত্যাদি দেয়া হবে।

    এমনিভাবে এ বাচ্চা যদি দা নিয়ে কাউকে কোপ দিতে যায়, তাহলে তাকে আটকানো হবে। এখানেও তাকে শাস্তি দেয়া উদ্দেশ্য নয়, তার থেকে যে মন্দটি প্রকাশ পাচ্ছে সেটি প্রতিহত করা উদ্দেশ্য। এ কারণেই কোনো নাবালেগ যদি অস্ত্র হাতে মাঠে নেমে আসে, তখন তাকে প্রতিহত করতে যতটুকু দরকার করতে হবে। যদি মনে হয় প্রতিহত করতে গেলে হত্যা ছাড়া উপায়নাই, তখন হত্যাও করা যাবে। শাস্তি দেয়া উদ্দেশ্য নয়, তার থেকে প্রকাশ পাওয়া অনিষ্ট থেকে বাঁচা উদ্দেশ্য।
    এ কারণে নাবালেগরা যদি যুদ্ধ করতে এসে গ্রেফতার হয়
    , তাহলে যুদ্ধ শেষে তাদের হত্যা করা হবে না। কারণ, বন্দী হয়ে যাওয়ার পর তার থেকে যে অনিষ্টের আশঙ্কা ছিল সেটি দফা হয়ে গেছে। এখন হত্যা করার বিষয়টি হচ্ছে শাস্তি। তার উপর যেহেতু শাস্তি বর্তায় না, তাই তাকে হত্যা করা যাবে না। গোলাম বা যিম্মি বানাতে হবে। প্রয়োজন পড়লে বন্দী বিনিময় করা যেতে পারে।


    পক্ষান্তরে বালেগ মহিলা যদি যুদ্ধ করতে এসে গ্রেফতার হয়, তাহলে যুদ্ধ শেষে ঠাণ্ডা মাথায় তাকে হত্যা করা যাবে। কারণ, মহিলা বালেগ হওয়াতে শাস্তির উপযুক্ত। তবে জন্মগতভাবে মহিলারা যেহেতু দুর্বল এবং যুদ্ধের অনুপযোগী, তাই শরীয়ত আগে বেড়ে তাকে হত্যা করতে বারণ করেছে। অর্থাৎ একদিকে লক্ষ করলে যদিও সে শাস্তির উপযোগী, কিন্তু আরেকটি দিক লক্ষ করলে আগে বেড়ে হত্যার শাস্তি পাওয়ার মতো না। কিন্তু যে দিকটি লক্ষ করে শরীয়ত তাকে ছাড় দিয়েছিল সে যখন ঐ সীমা রক্ষা করলো না, বরং পুরুষদের মতোই মাঠে নেমে আসলো, তখন সে পুরুষদের মতোই হয়ে গেল। বিধায় ময়দানেও তাকে হত্যা করা যাবে, গ্রেফতার করার পরও হত্যা করা যাবে। আশাকরি হামাস যদি গ্রেফতার হওয়া নারী সৈনিকদের হত্যা করে, তাহলে সমালোচনার কিছু থাকবে না।
    ×××
    যাহোক, আজকের মজলিসের শুরুর অংশটা যদি আপনি বুঝে থাকেন, তাহলে এ আলোচনা সবটাই অপ্রাসঙ্গিক বলা যায়। কাফেরদের দেশে গিয়ে আগে বেড়ে আক্রমণ করে ঠাণ্ডা মাথায় সাধারণ নাগরিক হত্যা করা: এটা আসলে আলোচনার টপিক হওয়ার দরকার ছিল। পক্ষান্তরে এখন মুজাহিদগণ যেটা করছেন, সেটা ঐটা নয়। এখন তো আমার উপর আগ্রাসন হচ্ছে আর আমি প্রতিহত করছি মাত্র। দু’চারপাঁচটা সাধারণ কাফের যাদের মারা হচ্ছে এদেরকে "সাধারণ কাফের হত্যা জায়েয" নীতির ভিত্তিতে হত্যা করা হচ্ছে না, আগ্রাসীদের প্রতিহত করার জন্য করা হচ্ছে। এ দুয়ে বিস্তর ফরক।
    ××××××

  • #2
    নাইন এলিভেন-তুফানুল আকসা: সাধারণ নাগরিক হত্যা নিয়ে কিছু কথা - ১ম ও ২য় পর্ব
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      কাফেররা হল বর্বর। তাই তারা বারবার নৃশংসতা চালায়। কিন্তু মুমিনরা হল সৎ , দয়ালু, মানবতার কল্যাণকামী। তাই তারা কাফেরদের বর্বরতা দূর করার জন্য লড়াই করে। এই জন্যই তো দেখা যায় মুমিনরা একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কাউকে হত্যা করতে চায় না। বরং সুযোগ পেলে ছেড়ে দেয়। দয়া করে। কিন্তু কাফেররা এর উল্টো। আর আমেরিকা এবং ইজরায়েল বিশ্বময় তাদের কর্তৃত্ব করছে তাদের ছড়িয়ে থাকা কর্মীদের মাধ্যমে। তাই এই সকল কর্মীরাই তাদের বর্বরতার জন্য দায়ী। তাই মুমিনরা তাদের কর্মীদের হত্যা করে। আর ইজরায়েলের নাগরিকরা আগ বাড়িয়ে ফিলিস্তিন দখল করার জন্য এসেছে। তারা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করার জন্য এসেছে । তাই তারা সবাই মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত রয়েছে। তাহলে কেন তারা সাধারণ কাফের হবে।
      Last edited by Rakibul Hassan; 10-21-2023, 03:15 PM.
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        মাশাআল্লাহ প্রিয় ভাই। বরারবই আপনার লেখা থেকে উপকৃত হই। চিন্তার খোরাক পাই।
        দুআ করি প্রিয় ভাই, আল্লাহ আপনাকে ইলমে নাফে দান করুন। আমীন
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment

        Working...
        X