শেকওয়া
ভোট বনাম পরিভাষা
প্রচলিত ভোট দেওয়ার বিধান নির্ভর করে ভোটের শরয়ী অবস্হা বিবেচনা করে।ভোটের শরয়ী পরিভাষা কি হতে পারে নির্নয় করা দূরহ।তবে নির্নয় করেছেন অনেকে।যেমন ভোটের শরয়ী পরিভাষা হচ্ছে :
১.শাহাদাত-সাক্ষ্য।
২.শাফায়াত-সুপারিশ।
৩.আমানত
৪.ওকালত।
পর্যালোচনা করে দেখা যাক কোনটা অধিকতর উপযুগী।
#প্রথমত....
১.শাহাদাত:শাহাদাত বলা হয় ’’الشھادۃ اخبار صادق فی مجلس الحکم بلفظ الشھادۃ‘‘ (حاشیۃ ھدایۃ للعلامۃ اللکھنویؒ)
সত্যবাদী ব্যক্তি বিচারালয়ে 'শাহাদাত'শব্দ উচ্চারন করে সাক্ষ্য-খবর দেয়া।
এখানে চারটা বিষয়।
এক.খবর দেয়া।
দুই.বিচারালয় হওয়া।
তিন.যার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছে সে উপস্হিত থাকা।চার.শাহাদাত শব্দ উচ্চারন করা।
অথচ ভোটের মধ্যে এসব পাওয়া যায় না।কারন ভোট প্রদান করা হয় ব্যালটের মাধ্যমে।নির্ধারিত লোকের নামের পাশে অঙ্কিত প্রতিকে সিল মেরে ভোট পপ্রদান করা হয়।আর এর মাধ্যমে মনোনীত প্রার্থীর আইন প্রনয়নসহ যাবতীয় ক্ষমতা অর্জিত হয়।আর এটাকে শরয়ী পরিভাষায় ইখবার বলেনা বরং ইনশা বলে।আর আমাদের জানা আছে যে ইখবার আর ইনশা এক নয়।
অতএব শাহাদাতের উল্লেখিত চার রুকনের কোনো রুকনই এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।
#দ্বিতীয়ত....
এখানে সাক্ষ্য দানের জন্য সাক্ষীর যেসব গুনাগুন বা শর্ত প্রযোজ্য তা সবার ক্ষেত্রে পাওয়া যায়না।যেমন ভোটের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ,পাগল,ডাকাত,চোর, দন্ডিত ব্যক্তি সবাই সমান।অথচ শাহাদাত-সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে সবাই সমান নয়।
#তৃতীয়ত....
শাহাদাত হচ্ছে...دلالت لفظیہ কিন্তু ভোট হচ্ছে... دلالت غیر لفظیہ অথচ উকালা-মান্তেকীদের নিকট ’والشیٔ لایحتمل ضدہ এটা জায়েজ নেই।
#ভোটের দ্বিতীয় পরিভাষা :শাফায়াত-সুপারিশ।
১.সুপারিশ অর্থ হল ভোটার তার ভোটের মাধ্যমে কোন অথরেটিকে তার মনোনীত প্রার্থীকে সাংসদ ইত্যাদি বানাতে সুপারিশ করবে।অথচ এখানে স্বয়ং ভোটারই তার মনোনীত প্রার্থী নির্ধারনের ক্ষেত্রে রায় দিচ্ছে এবং নির্বাচিত করছে।
২.মেনে নিলাম ভোটের মাধ্যমে কোন সংস্হাকে সুপারিশ করা হয়।কিন্তু প্রশ্ন হল কাকে?তারা তো এখনো অস্তিত্বে আসেনি।বরং তাদের অস্তিত্বে আসাটা নির্ভর করছে স্বয়ং ভোটারের ভোটের উপর।সাংসদ নির্ভর করছে ভোটের উপর আবার অথরেটিও নির্ভর করছে ভোটের উপর।যাকে توقف الشیٔ علی نفسہ যা নিষিদ্ধ।
#ভোটের তৃতীয় পরিভাষা ওকালত।
কিছু কথা:
১.ওকালত কিন্তু এক ধরনের চুক্তি।আর উকুদ একাকী একদিকে থেকে হয় না।বরং দ্বিপাক্ষিক হয়।এখানে কিন্তু এক পক্ষিয়।
২.ভোট গননার সময় জানা যায় না কার ভোট কোনটি।তাহলে ওকিল তার মোয়াক্কেল কিভাবে নির্ণয় করবে?আর যদি মোয়াক্কেল জানা না থাকে তাহলে ওকালত চুক্তি হবে কি করে!
৩.যদি ভোট মানে ওকালত মেনে নিই তাহলে পরাজিত প্রার্থীও তার ভোটার কর্তৃক ওকিল হবে অথচ ভোটের ক্ষেত্রে এমন না।আর শরিয়তে এর কোন নজির নেই যে ওকালতের সমস্ত শর্ত পাওয়া যাওয়া সত্ত্বেও পরাজিত প্রার্থী ওকিল হতে পারেনা।
৪.ওকালতের ক্ষেত্র ওকিল কর্তৃক মোয়াক্কেলকে অপসারনের সুযোগ বা ক্ষমতা থাকে।কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে থাকেনা।
৫.প্রার্থী /এম পি ইস্তফা দেওয়ার পর পুনরায় ফিরিয়ে নিতে পারে।কিন্তু ওকিল তার ওকালত থেকে ইস্তফা দিলে ফিরিয়ে নিতে পারেনা।
৬.শরিয়তে এমন কোন নজির নেই যে কিছু মানুষ একজনকে ওকিল বানাল আর কিছু মানুষ অন্যজনকে। দিন শেষে সবাইকে তার নিযুক্ত ওকিল ব্যতিত অন্যজনের ওকিলকে ওকিল মানতে হচ্ছে।
#ভোটের চতুর্থ পরিভাষা :আমানত
আমানত একটি শরয়ী পরিভাষা।প্রয়োগ হবে শরিয়তের কল্যানকর জায়গাতে।কিন্তু গনতন্ত্র সর্বসম্মত একটি কুফরি মতবাদ।আর ভোটের মাধ্যমে মূলত গনতন্ত্র বা গনতান্ত্রীক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়।আর গনতন্ত্র হচ্ছে আল্লাহর জমিনে মানব রচিত আইন প্রয়োগ করা।তাহলে আমানত-ভোট প্রদান করে কি মানব রচিত আইন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করা হচ্ছে না?কিভাবে ভোট আমানতের সংজ্ঞায় পড়ে?
#প্রশ্ন:যদি বিনা ভোটে নির্বাচিত হন তাহলে পরিভাষা কোনটা ব্যবহার করা হবে?
বিনা ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী কি আইন প্রনয়নের ক্ষমতা রাখে না?
(কালেক্টেট)
ভোট বনাম পরিভাষা
প্রচলিত ভোট দেওয়ার বিধান নির্ভর করে ভোটের শরয়ী অবস্হা বিবেচনা করে।ভোটের শরয়ী পরিভাষা কি হতে পারে নির্নয় করা দূরহ।তবে নির্নয় করেছেন অনেকে।যেমন ভোটের শরয়ী পরিভাষা হচ্ছে :
১.শাহাদাত-সাক্ষ্য।
২.শাফায়াত-সুপারিশ।
৩.আমানত
৪.ওকালত।
পর্যালোচনা করে দেখা যাক কোনটা অধিকতর উপযুগী।
#প্রথমত....
১.শাহাদাত:শাহাদাত বলা হয় ’’الشھادۃ اخبار صادق فی مجلس الحکم بلفظ الشھادۃ‘‘ (حاشیۃ ھدایۃ للعلامۃ اللکھنویؒ)
সত্যবাদী ব্যক্তি বিচারালয়ে 'শাহাদাত'শব্দ উচ্চারন করে সাক্ষ্য-খবর দেয়া।
এখানে চারটা বিষয়।
এক.খবর দেয়া।
দুই.বিচারালয় হওয়া।
তিন.যার ব্যাপারে সাক্ষ্য দিচ্ছে সে উপস্হিত থাকা।চার.শাহাদাত শব্দ উচ্চারন করা।
অথচ ভোটের মধ্যে এসব পাওয়া যায় না।কারন ভোট প্রদান করা হয় ব্যালটের মাধ্যমে।নির্ধারিত লোকের নামের পাশে অঙ্কিত প্রতিকে সিল মেরে ভোট পপ্রদান করা হয়।আর এর মাধ্যমে মনোনীত প্রার্থীর আইন প্রনয়নসহ যাবতীয় ক্ষমতা অর্জিত হয়।আর এটাকে শরয়ী পরিভাষায় ইখবার বলেনা বরং ইনশা বলে।আর আমাদের জানা আছে যে ইখবার আর ইনশা এক নয়।
অতএব শাহাদাতের উল্লেখিত চার রুকনের কোনো রুকনই এখানে পরিলক্ষিত হচ্ছেনা।
#দ্বিতীয়ত....
এখানে সাক্ষ্য দানের জন্য সাক্ষীর যেসব গুনাগুন বা শর্ত প্রযোজ্য তা সবার ক্ষেত্রে পাওয়া যায়না।যেমন ভোটের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ,পাগল,ডাকাত,চোর, দন্ডিত ব্যক্তি সবাই সমান।অথচ শাহাদাত-সাক্ষ্যের ক্ষেত্রে সবাই সমান নয়।
#তৃতীয়ত....
শাহাদাত হচ্ছে...دلالت لفظیہ কিন্তু ভোট হচ্ছে... دلالت غیر لفظیہ অথচ উকালা-মান্তেকীদের নিকট ’والشیٔ لایحتمل ضدہ এটা জায়েজ নেই।
#ভোটের দ্বিতীয় পরিভাষা :শাফায়াত-সুপারিশ।
১.সুপারিশ অর্থ হল ভোটার তার ভোটের মাধ্যমে কোন অথরেটিকে তার মনোনীত প্রার্থীকে সাংসদ ইত্যাদি বানাতে সুপারিশ করবে।অথচ এখানে স্বয়ং ভোটারই তার মনোনীত প্রার্থী নির্ধারনের ক্ষেত্রে রায় দিচ্ছে এবং নির্বাচিত করছে।
২.মেনে নিলাম ভোটের মাধ্যমে কোন সংস্হাকে সুপারিশ করা হয়।কিন্তু প্রশ্ন হল কাকে?তারা তো এখনো অস্তিত্বে আসেনি।বরং তাদের অস্তিত্বে আসাটা নির্ভর করছে স্বয়ং ভোটারের ভোটের উপর।সাংসদ নির্ভর করছে ভোটের উপর আবার অথরেটিও নির্ভর করছে ভোটের উপর।যাকে توقف الشیٔ علی نفسہ যা নিষিদ্ধ।
#ভোটের তৃতীয় পরিভাষা ওকালত।
কিছু কথা:
১.ওকালত কিন্তু এক ধরনের চুক্তি।আর উকুদ একাকী একদিকে থেকে হয় না।বরং দ্বিপাক্ষিক হয়।এখানে কিন্তু এক পক্ষিয়।
২.ভোট গননার সময় জানা যায় না কার ভোট কোনটি।তাহলে ওকিল তার মোয়াক্কেল কিভাবে নির্ণয় করবে?আর যদি মোয়াক্কেল জানা না থাকে তাহলে ওকালত চুক্তি হবে কি করে!
৩.যদি ভোট মানে ওকালত মেনে নিই তাহলে পরাজিত প্রার্থীও তার ভোটার কর্তৃক ওকিল হবে অথচ ভোটের ক্ষেত্রে এমন না।আর শরিয়তে এর কোন নজির নেই যে ওকালতের সমস্ত শর্ত পাওয়া যাওয়া সত্ত্বেও পরাজিত প্রার্থী ওকিল হতে পারেনা।
৪.ওকালতের ক্ষেত্র ওকিল কর্তৃক মোয়াক্কেলকে অপসারনের সুযোগ বা ক্ষমতা থাকে।কিন্তু ভোটের ক্ষেত্রে থাকেনা।
৫.প্রার্থী /এম পি ইস্তফা দেওয়ার পর পুনরায় ফিরিয়ে নিতে পারে।কিন্তু ওকিল তার ওকালত থেকে ইস্তফা দিলে ফিরিয়ে নিতে পারেনা।
৬.শরিয়তে এমন কোন নজির নেই যে কিছু মানুষ একজনকে ওকিল বানাল আর কিছু মানুষ অন্যজনকে। দিন শেষে সবাইকে তার নিযুক্ত ওকিল ব্যতিত অন্যজনের ওকিলকে ওকিল মানতে হচ্ছে।
#ভোটের চতুর্থ পরিভাষা :আমানত
আমানত একটি শরয়ী পরিভাষা।প্রয়োগ হবে শরিয়তের কল্যানকর জায়গাতে।কিন্তু গনতন্ত্র সর্বসম্মত একটি কুফরি মতবাদ।আর ভোটের মাধ্যমে মূলত গনতন্ত্র বা গনতান্ত্রীক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয়।আর গনতন্ত্র হচ্ছে আল্লাহর জমিনে মানব রচিত আইন প্রয়োগ করা।তাহলে আমানত-ভোট প্রদান করে কি মানব রচিত আইন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করা হচ্ছে না?কিভাবে ভোট আমানতের সংজ্ঞায় পড়ে?
#প্রশ্ন:যদি বিনা ভোটে নির্বাচিত হন তাহলে পরিভাষা কোনটা ব্যবহার করা হবে?
বিনা ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী কি আইন প্রনয়নের ক্ষমতা রাখে না?
(কালেক্টেট)
Comment