আসুন, শাবানের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখার আমল করি
শাবানের ২৯ তারিখ দিবাগত রাতে রমজানের চাঁদ উঠার সম্ভাবনা আছে। এজন্য এদিন সন্ধায় চাঁদ উঠলো কি’না তালাশ করা আবশ্যক। ফুকাহায়ে কেরাম এ দিন সন্ধায় চাঁদ উঠলো কি’না তালাশ করা ওয়াজিব কিফায়ি বলেছেন। অর্থাৎ কেউ তালাশ না করলে সবার গুনাহ হবে। কিছু মানুষ অবশ্যই চাঁদ উঠলো কি’না তালাশ করতে হবে। উঠলে পরের দিন রোযা রাখা হবে। দেখা না গেলে পরের দিন শাবানের ৩০ তারিখ ধরে এর পরের দিন রোযা রাখা হবে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানা থেকে মুসলিমরা এদিন চাঁদ দেখার আমলটি করে আসছে। কিন্তু এই যামানায় আমরা মুসলিমরা দ্বীন থেকে এতই দূরে সরে গেছি যে, এ ধরনের আমল আমাদের কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না। যাদের কাছে সাওমেরই গুরুত্ব নেই, তাদের কাছে চাঁদের আর কি গুরুত্ব!! চাঁদ দেখা কমিটি তো একটা আছেই। ব্যস। আমাদের ছুটি!!
# চাঁদ দেখার আমলটি রমজানের ২৯ তারিখ দিবাগত রাতেও করতে হয়- পরের দিন ঈদ হবে কি’না বুঝার জন্য।
# এমনিভাবে জিলকদ মাসের ২৯ তারিখেও চাঁদ দেখতে হয়। যেহেতু জিলহজ্ব মাসের চাঁদের সাথে হজ্ব ও কুরবানি দু’টি শিয়ারে ইসলামের সম্পর্ক।
আমরা ছোটবেলা দেখতাম ছেলেরা চাঁদ দেখতো। চাঁদ উঠেছে খুশিতে মিছিলও হতো। এখন আর সচরাচর তা দেখা যায় না। হায় আফসোস!
***
এমনই আরেকটি আমল নামাযের ওয়াক্ত। আমরা নামাযের ওয়াক্ত বুঝি ঘড়ি দেখে। কিন্তু নামাযের ওয়াক্তের সম্পর্ক তো সূর্যাস্ত, সূর্যোদয়- এগুলোর সাথে; ঘড়ির সাথে নয়।
ভোরবেলা আকাশের অবস্থা কেমন হলে ফজরের ওয়াক্ত হয়, কতটুকু লাল হলে ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়, সূর্য কতটুকু উপরে উঠলে নিষিদ্ধ ওয়াক্ত শেষ হয়- জানা উচিৎ।
সূর্য মধ্যাকাশে আসলে এবং ছায়াটা কেমন হলে জোহর হয়, ছায়া কতটুকু প্রলম্বিত হলে জোহর শেষ হয়ে আসর হয়, সন্ধা বেলায় কখন নামায পড়া নিষিদ্ধ- জানা উচিৎ।
পশ্চিমাকাশ কতটুকু অন্ধকার হলে মাগরিব শেষ হয়ে ইশা হয়- জানা উচিৎ।
কিন্তু হায়! অনেক মুআযযিনও এগুলো জানে না, শুধু ঘড়ি আর ক্যালেন্ডার দেখে আযান দেয়।
আমাদের উচিৎ দ্বীনের এসব বিষয়ে যত্নবান হওয়া।
***
Comment