আন নাসর মিডিয়াপরিবেশিত
“আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ৩য় পর্ব
===================
“আকীদাতুল ওয়ালা ওয়াল-বারা” ।।
শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরী হাফিযাহুল্লাহ
এর থেকে || ৩য় পর্ব
===================
ক. বন্ধুত্ব ও সাবধানতা অবলম্বনের (তুকিয়া) মাঝে পার্থক্য:
কাফেরদের সাথে শরীয়াহ কর্তৃক নিষিদ্ধ বন্ধুত্ব করা এবং তাদের অনিষ্ট থেকে বাঁচা- এ দুইয়ের মধ্যকার পার্থক্য ইসলাম সুনির্দিষ্ট করে দিয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-
لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً وَيُحَذِّرُكُمُ اللَّهُ نَفْسَهُ وَإِلَى اللَّهِ الْمَصِيرُ ﴿آلعمران: ٢٨﴾
“মু’মিনগন যেন অন্য মু’মিনকে ছেড়ে কোন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোন অনিষ্টের আশঙ্কা কর, তবে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে। আল্লাহ তা’আলা তাঁর সম্পর্কে তোমাদের সতর্ক করেছেন এবং সবাইকে তাঁর কাছে ফিরে যেতে হবে।” (সূরা আলে-ইমরান: ২৮)
ইবনে কাসীর রহ বলেন, আল্লাহ তা‘আলার বাণী إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً [তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোনো অনিষ্টতার আশঙ্কা কর] তথা কোনো ব্যক্তি কোনো জনপদে কোনো সময় তাদেরকে ভয় করলে তার জন্য বাহ্যিকভাবে তাদের সাথে তোষামোদ/তুকিয়া করার অনুমতি আছে। তবে এ তোষামোদ অভ্যন্তরীণ ও আন্তরিকভাবে না হতে হবে। যেমন ইমাম বুখারী রহ. বলেন, আবু দারদা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-
إنَّا لَنَكْشرُ فِي وُجُوهِ أقْوَامٍ وَقُلُوبُنَا تَلْعَنُهُمْ
“নিশ্চয় আমরা অনেক জাতিকে মুখের হাসি উপহার দিলেও আমাদের অন্তর তাদেরকে অভিশাপ দেয়।”
সুফিয়ান সাওরী রহ. ইবনে আব্বাস রাযি. এর সূত্রে বর্ণনা করেন-
"ليس التقية بالعمل إنما التقية باللسان"
“তোষামোদ মুখেই হয়, কাজেকর্মে নয়।” (তাফসীরে ইবনে কাসীর, ১/৫৭)
কাশর (الكَشْر) শব্দের অর্থ দাঁত কেলিয়ে মুচকি হাসা। (লিসানুল আরব, ৫/১৪২)
ইমাম ইবনে কাসীর রহ. তাঁর তাফসীর গ্রন্থে বলেন, আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেছেন-
وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ آمَنُوا امْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ ﴿التحريم: ١١﴾
“আল্লাহ তা‘আলা মু’মিনদের জন্য ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করছেন। যিনি প্রার্থনা করছেন, হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করুন। আমাকে ফেরাউন ও তার দুষ্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে জালিম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।”(সূরাতাহরীম: ১১)
মু’মিনদের জন্য আল্লাহ একটি দৃষ্টান্ত পেশ করে বুঝাতে চান যে, যদি মু’মিনগণ কাফেরদের প্রতি মুখাপেক্ষী থাকে; তবে তাদের সাথে মিশে থাকাতে কোনো সমস্যা নেই। যেমন আল্লাহ তা‘আলা অন্য আয়াতে ইরশাদ করেছেন-
لَّا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِن دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَن يَفْعَلْ ذَٰلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللَّهِ فِي شَيْءٍ إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً ﴿آلعمران: ٢٨﴾
“মু’মিনগন যেন মু’মিনদেরকে ছেড়ে কোনো কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোনো অনিষ্টের আশঙ্কা কর; তাহলে তাদের সাথে সাবধানতার সাথে থাকবে ।”(সূরা আলে-ইমরান: ২৮)
সূত্র: তাফসীরে ইবনে কাসীর, ৪/৩৯৪
ইমাম কুরতুবী রহ বলেন-
قال معاذ بن جبل ومجاهد: "كانت التقية في جدة الإسلام قبل قوة المسلمين، فأما اليوم فقد أعز الله الإسلام أن يتقوا من عدوهم"
হযরত মু‘আয ইবনে জাবাল রাযি. ও মুজাহিদ রহ. বলেন, “ইসলামের প্রথম যুগে মুসলমানদের শক্তি অর্জনের পূর্বে এই তোষামোদ নীতি ছিল। আর এখন তো আল্লাহ তা‘আলা ইসলামকে দুশমন থেকে সুরক্ষা পাওয়ার শক্তি দান করে সম্মানিত করেছেন।”
হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. বলেন,
"هو أن يتكلم بلسانه وقلبه مطمئن بالإيمان ولا يقتل ولا يأتي مأثماً"
“তুকিয়া হলো মৌখিক সম্পর্ক রাখা; তবে তার অন্তর ঈমান-বিশ্বাসে প্রশান্ত থাকতে হবে, সে (তাদের জন্য কোনো মুসলিমকে) হত্যা করবে না, কোনো অপরাধও করবে না।”
ইমাম হাসান রহ. বলেন, মানুষের জন্য তুকিয়া বা তোষামোদ নীতি কিয়ামত অবধি চালু থাকবে। তবে (কোনো মুসলিমকে) হত্যা তোষামোদ নীতির অন্তর্ভুক্ত নয়।
এবং বলা হয়, মু’মিন যখন কাফেরদের মাঝে অবস্থান করে এবং নিজের জানের ব্যাপারে আশঙ্কা করে, তখন কাফেরদের সাথে মৌখিক তোষামোদ বৈধ; তবে অন্তর ঈমানের উপর প্রশান্ত থাকতে হবে। আর তোষামোদ একমাত্র তখনই বৈধ হবে, যখন হত্যা, অঙ্গহানি বা কঠিন শাস্তির আশঙ্কা করবে। আর যে ব্যক্তিকে কুফরী করতে বাধ্য করা হবে, তখন করণীয় হবে- সে এ ক্ষেত্রে কঠোর হবে এবং কিছুতেই কুফরী বাক্য উচ্চারণ করার প্রতি সাড়া দেবে না; তবে তা করা তার জন্য জায়েয আছে। (তাফসীরে কুরতুবী, ৪/৫৭)
ইমাম ত্ববারী রহ. এর ব্যাখ্যায় বলেন, إِلَّا أَن تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً [তবে যদি তোমরা তাদের পক্ষ থেকে কোনো অনিষ্টতার আশঙ্কা কর] তবে তোমরা যদি তাদের অধীনে থাক এবং তোমাদের প্রাণনাশের আশঙ্কা কর, তখন তোমরা মৌখিকভাবে তাদের সাথে বন্ধুত্ব প্রকাশ করবে এবং অন্তরে শত্রুতা পোষণ করবে।
لا تشايعوهم على ما هم عليه من الكفر، ولا تعينوهم على مسلم بفعل
তারা যে কুফরের উপর অবস্থান করছে, তাকে সমর্থন করবে না। কোনোভাবেই মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করবে না। (তাফসীরে ত্ববারী, ৩/২৭৭)
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. এর মতও এটাকে শক্তিশালী করে। তাতারদের আমলে যেসব মুসলমানকে তাতারদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধে বের হওয়ার জন্য জোরজবরদস্তি করা হয়েছিল, তাদের ব্যাপারে তিনি বলেন, “এবং জিহাদ যখন ওয়াজিব, আল্লাহর ইচ্ছায় যুদ্ধে অনেক মুসলমানই শহীদ হয়। জিহাদের প্রয়োজনে কাফেরদের মাঝে অবস্থানকারী কোনো মুসলমান যদি মারা পড়ে, তা বড় কোনো ব্যাপার নয়।”
বরং এ রকম বাধ্য মুসলমানকে ফেতনার যুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তলোয়ার ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। আর তাকে হত্যা করা হলেও তার জন্য এমতবস্থায় যুদ্ধ করা জায়েয হবে না।
যেমনটি সহীহ মুসলিমের হাদীসে আবু বাকরাহ রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-
إِنَّهَا سَتَكُونُ فِتَنٌ أَلَا ثُمَّ تَكُونُ فِتْنَةٌ الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنْ الْمَاشِي فِيهَا وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنْ السَّاعِي إِلَيْهَا أَلَا فَإِذَا نَزَلَتْ أَوْ وَقَعَتْ فَمَنْ كَانَ لَهُ إِبِلٌ فَلْيَلْحَقْ بِإِبِلِهِ وَمَنْ كَانَتْ لَهُ غَنَمٌ فَلْيَلْحَقْ بِغَنَمِهِ وَمَنْ كَانَتْ لَهُ أَرْضٌ فَلْيَلْحَقْ بِأَرْضِهِ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ مَنْ لَمْ يَكُنْ لَهُ إِبِلٌ وَلَا غَنَمٌ وَلَا أَرْضٌ قَالَ يَعْمِدُ إِلَى سَيْفِهِ فَيَدُقُّ عَلَى حَدِّهِ بِحَجَرٍ ثُمَّ لِيَنْجُ إِنْ اسْتَطَاعَ النَّجَاءَ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ اللَّهُمَّ هَلْ بَلَّغْتُ قَالَ فَقَالَ رَجُلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ أُكْرِهْتُ حَتَّى يُنْطَلَقَ بِي إِلَى أَحَدِ الصَّفَّيْنِ أَوْ إِحْدَى الْفِئَتَيْنِ فَضَرَبَنِي رَجُلٌ بِسَيْفِهِ أَوْ يَجِيءُ سَهْمٌ فَيَقْتُلُنِي قَالَ يَبُوءُ بِإِثْمِهِ وَإِثْمِكَ وَيَكُونُ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ.
“অদূর ভবিষ্যতে অনেক ফেতনা হবে। জেনে রেখ, এরপরও অনেক ফেতনা হতেই থাকবে। তখন পদচারীর চেয়ে বসা ব্যক্তিই উত্তম হবে। দৌঁড়ানো ব্যক্তির চেয়ে পদচারীই উত্তম হবে। যখন সেই ফেতনা এসে পড়বে বা সংঘটিত হবে, তখন যার উট আছে; সে যেন উট নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার ছাগল আছে; সে যেন তার ছাগল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। যার জায়গা-জমি আছে, সে যেন তা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। রাবী বলেন, তখন জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যার উট, ছাগল কিংবা জমি নেই, সে কী করবে? তিনি বললেন, সে তার তলোয়ারটা নিয়ে ধারালো দিকটা পাথরে আঘাত করবে এবং ফেতনাকে এড়িয়ে যেতে পারলে এড়িয়ে যাবে। আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়েছি? আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়েছি? আল্লাহ! আমি কি পৌঁছিয়েছি?
তখন এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি আমাকে বাধ্য করে দু’সারি বা দু’দলের কোনো একটির সাথে নিয়ে যায়। অতঃপর সেখানে তলোয়ার বা তীর নিক্ষেপ করে আমাকে কেউ আঘাত করে এবং আমি নিহত হই, এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কী? তিনি বললেন, সে আল্লাহর কাছে তার গোনাহ এবং তোমার গোনাহ দু’টো নিয়েই প্রত্যাবর্তন করবে এবং জাহান্নামের অধিবাসী হবে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৪৩২)
এ হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফেতনার সময় যুদ্ধ করতে নিষেধ করেছেন; বরং এড়িয়ে যাওয়া বা হাতিয়ার নষ্ট করে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য অপারগতা প্রদর্শন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এ নির্দেশে বাধ্য করা হয়েছে বা হয়নি এমন উভয় ব্যক্তিরই আলোচনা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অতঃপর বলা হয়েছে, বাধ্যগত মুসলমান যদি অন্যায়ভাবে নিহত হয়, তখন হত্যাকারীই নিজের গোনাহ এবং তার গোনাহর দায় বহন করবে। যেমনটি আল্লাহ তা‘আলা আদম আ. এর দুই সন্তানের কাহিনীতে বর্ণনা করেছেন।
উদ্দেশ্য হলো: ফেতনার সময় যদি যুদ্ধ করতে কাউকে বাধ্য করা হয়, তার জন্য যুদ্ধ করা জায়েয হবে না। বরং তার উপর ওয়াজিব হবে অস্ত্র ভেঙে ফেলা এবং অন্যায়ভাবে নিহত হওয়া পর্যন্ত ধৈর্যধারণ করা। সুতরাং ইসলামী শরীয়াহ থেকে বের হয়ে যাওয়া সেনাবাহিনীর সাথে মিলে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে যুদ্ধ করা ব্যক্তির জন্য কীভাবে জায়েয হবে?? যেমন, যাকাত অস্বীকারকারী ও মুরতাদ প্রমুখদের সাথে মিলে। অতএব, সন্দেহাতীতভাবে তার জন্য ওয়াজিব হলো, সে ময়দানে উপস্থিত হতে বাধ্য হলেও যেন কিছুতেই যুদ্ধ না করে; যদিও মুসলমানগণ তাকে হত্যা করে। যেমনিভাবে কাফেররা যদি কাউকে ময়দানে গিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বাধ্য করে। এমনিভাবে কোনো মুসলিমকে অপর মুসলিমকে হত্যা করতে বাধ্য করে, সমস্ত মুসলমানের ঐক্যমতে তার জন্য তাকে হত্যা করা বৈধ হবে না। কারণ, একজন নিষ্পাপ ব্যক্তিকে হত্যা করে নিজেকে বাঁচানো তার জন্য জায়েয নয়।” (মাজমূউল ফাতাওয়া, ২৮/৩৩৮-৩৩৯ পৃ.)
সারকথা: কোনো মুসলমান যদি এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় যে, তাকে হত্যা করা হবে বা অঙ্গহানি করা হবে বা কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে; তাহলে কাফেরদের নির্যাতন এড়ানোর জন্য কিছু তোষামোদি বাক্য বলা তার জন্য বৈধ। তবে এমন কোনো কাজ করা তার জন্য বৈধ নয়, যা তাদের সহযোগিতা হয় বা কোনো গোনাহের কাজ হয় অথবা কোনোভাবে কোনো মুসলমানের বিরুদ্ধে তাদেরকে সাহায্য করা, হত্যা করা বা যুদ্ধ করা হয়। বরং উত্তম হলো, নির্যাতন সয়ে যাওয়া; যদিও এটা তার হত্যা পর্যন্ত গড়ায়।
আরও পড়ুন
Comment