Announcement

Collapse
No announcement yet.

"কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাটাও কি জিহাদ।"

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • "কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাটাও কি জিহাদ।"

    কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাটাও কি জিহাদ?"

    অনেকেই এমন প্রশ্ন করে থাকেন!তারা দাবি করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান,সৌদি আরব,মিশর সহ অনেক দেশেই কালেমা পড়ে,নামাজ,রোজা পালন করে এমন লোকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হচ্ছে এবং যুদ্ধের জন্য দাওয়াত দেওয়া হয়।তাহলে এমন যুদ্ধও কি জিহাদ হবে?
    প্রশ্নটির উত্তরে বলা যায় এসকল নামধারী কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ টা নতুন নয় বরং ইসলামের শুরুর যুগ থেকেই এমন যুদ্ধ চলে আসছে।উদাহরণস্বরূপ হযরত আবু বকর রাঃ এর যুগে যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে যখন তিনি তরবারি উঠালেন সেই সময়ও একই প্রশ্ন করা হয়।।এরা নামাজ পড়ে,হজ করে,রোজা রাখে এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত নেই।তাহলে কেন এদের বিরুদ্ধে তরবারি উঠানো হচ্ছে? কিন্তু হযরত৷ আবু বকর রাঃ বলেছেন"যারা রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর যুগে রসিসহ উট যাকাত দিত এবং আজকে বলে উট যাকাত দিব রসি যাকাত দিব না।তাহলে আমি আবু বকর তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধের ঘোষণা করলাম।"
    হযরত আবু বকর রাঃ যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করেছিলেন তাদের মাঝে একটিমাত্র ঈমান ভঙ্গের কারণ পাওয়া যায়।আর তা হলো আল্লাহর একটি বিধানকে অস্বীকার করা।অথচ এরা ছিল কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলিম।আবার আপনি যদি দেখেন হুসাইন রাঃ কাদের বিরুদ্ধে কারবালা অভিমুখে রওয়ানা দিয়েছিলেন।তারা কি ছিল?তারাও তো মুসলিমই ছিল।কিন্তু যখন তাদের মাঝে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল।তখন পুরো মুসলিম জাতি এ কথার উপর একমত পোষণ করেছে যে হযরত হুসাইন রাঃ শহিদ হয়েছেন এবং উনার বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করেছে তারা জাহান্নামি। অনুরুপভাবে হযরত আবু হানিফা রহঃ যখন দেখলেন লোকেরা আব্বাসীয় জালিম বাদশাহ মানসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তিনি যুদ্ধের ব্যাপারে সমর্থন দিলেন।একইভাবে আমরা যদি ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করি তবে আমরা দেখতো পাবো ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তথা তালেবানেরা তখন কাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল?তারা ছিল আহমেদ শাহ মেহসুদ হেকমতিয়ার ও বোরহান উদ্দিন রব্বানির মতো কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলিম।সেই সময় পাকিস্তান,বাংলাদেশসহ সকল উলামায়ে কেরাম তালেবানের এ জিহাদকে সমর্থন দিয়েছিলেন।কারণ হলো তালেবানরা যেহেতু শরিয়ত প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধ করেছেন।সেহেতু সেটা অবশ্যই জিহাদ বলে গণ্য হবে।তখন দেওবন্দের সকল উলামায়ে কেরামও এই মতটিই পোষণ করেছিলেন এবং সেখানে এখনও কালিমা পড়নেওয়ালা হামিদ কারজাই ও তার আর্মির বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চলছে এটাকে পৃথিবীর সকল হকপন্থি উলামায়ে কেরামগণ সমর্থন করেছেন।কারণ আমেরিকাকে যারাই সাহায্য সহযোগিতা করবে তাদের বিরুদ্ধেই জিহাদ চালিয়ে যেতে হবে।চাই তারা কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলিমই হোক না কেন?কিন্তু যখনই .. বাংলাদেশ,পাকিস্তান,সৌদি আরব,আমিরাত বা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ব্যাপারটি সামনে আসছে তখনই ওয়াহান আক্রান্ত মৌলভিদের দ্বিমুখী চরিত্র ফুটে উঠছে।বলা হচ্ছে এদের বিরুদ্ধে কেন যুদ্ধ করা হচ্ছে এরা তো কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিম। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কারণ হলো নামধারী ওইসকল শাসকগোষ্ঠী আমেরিকার পক্ষাবলম্বনকারী এবং জিহাদের পথে সর্বপ্রথম বাধাদানকারী।আর জিহাদের পথে যেটি বাধা হয়ে দাড়াবে সেটাকেই দূর করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।ফিকহ এর কিতাবে একটি মাসয়ালা রয়েছে যে যদি কাফেররা কিছু মুসলিমকে বন্দি করে এবং তাদেরকে ঢালস্বরুপ ব্যবহার করে,এক্ষেত্রে সকল উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে তখন মুসলিমদের জন্য বৈধ হয়ে যাবে যে প্রথমে ঢালস্বরূপ ব্যবহ্নত মুসলিমদের হত্যা করতে হবে এবং পরবর্তীতে কাফেরদের হত্যা করতে হবে। তবে নিয়্যত হতে হবে যে আমরা কাফেরদের হত্যা করতে চেয়েছি মুসসলিমদের নয়।লক্ষ্য করুন যেখানে জোর করে ব্যবহার করা মুসলিমদেরকে হত্যা করার বৈধতা দেওয়া হচ্ছে এবং এটাকে জিহাদ বলা হচ্ছে। তাহলে কেন আমেরিকার পক্ষ নিয়ে যারা মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে এবং জিহাদে বাধা দান করছে,মুজাহিদীনদের বন্দি করে হত্যা করছে।তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাটা কেন জিহাদ হবে না?
    প্রকৃতপক্ষে মুজাহিদীনরা কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতেছে এবং যেসকল মুরতাদ শাসকগোষ্ঠী আমেরিকার পক্ষাবলম্বন করে জিহাদের পথে বাধা সৃষ্টি করছে ও শরিয়ত প্রতিষ্ঠায় বাধা দান করছে মুজাহিদীনরা তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতেছে।
    এটা হলো সাধারণ কিছু বিষয়।পরবর্তী পর্বে কুরআন হাদিস থেকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
    গতপর্বে সাধারণ কিছু বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়েছিল এবার দেখা যাক কুরআন সুন্নাহ তে বিষয়টাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করা হয়।
    আল্লাহ তায়ালা সুরা মায়েদার ৫১ নং আয়াতে বলেছেন
    "হে ইমানদারগণ তোমরা ইহুদি ও নাসারাদের বন্ধু রুপে গ্রহণ করো না। কারণ তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তাদেরকে বন্ধু রুপে গ্রহণ করে,তবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।"
    এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম কুরতুবী রহিঃ তার লেখা তাফসীরে কুরতুবিতে বলেন
    "তাদের (যারা ইহুদি ও নাসারাদের বন্ধু রুপে গ্রহণ করেছে)সাথে সেই আচরণই করা হবে যা কাফেরদের সাথে করা হয়।সে ব্যক্তি কোনো মুসলিমের সম্পদের ওয়ারিশ হবে না।তার মৃত্যুর পর মুসলিম ওয়ারিশদের মাঝে তার সম্পদও বন্টিত হবে না।যেভাবে ইহুদি ও নাসারারা আল্লাহর অবাধ্যতা করেছে,তদ্রুপ এই নামধারী মুসলিমরাও আল্লাহর অবাধ্যতা করেছে। "
    সুতরাং দুনিয়াতে ইহুদি ও নাসারাদের শত্রুতা রাখা যেভাবে ফরজ তেমনি এই নামধারী মুসলিমদের বিরুদ্ধেও শত্রুতা রাখা ফরজ।মুফাচ্ছিরিনে কেরাম এ কথা স্পষ্টভাবে বলেছেন
    "যদি কেউ কাফেরদের সাথে মিলে মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তার বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে হবে।"
    আমাদের মাঝে যেভাবে এই প্রশ্নটির উদয় হয়েছে,তদ্রুপ সাহাবা রাঃ দের মাঝেও এই প্রশ্নটির উদ্ভব হয়েছিল।কিছু লোক হিজরতের পর মক্কায় কাাফেরদের সাথে রয়ে গিয়েছিল।এবং তারা কাফেরদের যুদ্ধের ক্ষেত্রে সাহায্য সহযোগিতা করতো।অপরদিকে যখন মুসলিমদের সাথে মিলিত হতো বলত আমরা মুসলিম।সেই সময় সাহাবিদের মাঝে একটি দল বললো এই সকল নামধারী মুসলিমদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করো।তখন সাহাবাদের আরেকটি দল বললো শুধুমাত্র হিজরত না করার অপরাধে তো কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলমানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা যায় না।রাসুলুল্লাহ সাঃ প্রথমে এ ব্যাপারে চুপ ছিলেন।পরবর্তীতে আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ৮৯ নং আয়াতে বললেন
    "তারা চাই তোমরা কুফরি করো,যেমনিভাবে তারা করেছে।অতঃপর যাতে কুফরির ক্ষেত্রে তাদের সমান হয়ে যাও।তোমরা তাদের কাউকেই বন্ধু রুপে গ্রহণ করো না।যতক্ষণ না পর্যন্ত তারা আল্লাহর রাাস্তায় হিজরত করে।যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে তাদেরকে বন্দি করো এবং হত্যা করো।আর তাদের কাউকে বন্ধু ও সাহায্যকারীরুপে গ্রহণ করো না।"
    এই আয়াত অনুসারে স্পষ্ট কেউ যদি মুসলিম হয়েও কুফফারদের সহযোগিতা করে তবে তাদের ক্ষেত্রেও আল্লাহ তায়ালার এই স্পষ্ট হুকুম।আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কালামে মাজিদে বলেছেন এ ধরনের মুসলিমদের দু ধরনের চেহারা। এরা কখনো মুসলিমদের সাথে কখনো কুফফারদের সাথে।আর বর্তমান মুসলিম নামধারী সকল শাসকই স্পষ্টভাবেই কুফফারদের সাথে।এজন্যই মুজাহিদরা তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করে।এরকমভাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা সুরা ইমরানের ২৮ নং আয়াতে বলেন
    "মুমিনরা যেন মুমিন ব্যতীত কাফেরদেরকে বন্ধু না বানায়। আর যে এরুপ করলো তার সাথে আল্লাহর কোনো সম্পর্ক নাই।"
    ইমাম শাওকানি রহিঃ ফাতহুল কাদিরে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন
    "তার সাথে আল্লাহ তায়ালার কোনো সম্পর্ক নেই এবং সে মুরতাদ হয়ে গেছে।"
    ইমাম তাবারি রহিঃ তাফসীরে তাবারিতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন
    "তার সাথে তো আল্লাহ তায়ালার সম্পর্কে নেই-ই।বরং সে দ্বীন থেকে ফিরে যাওয়ায় এবং কুফরির মাঝে প্রবেশ করার কারণে সে আল্লাহ তায়ালার থেকে মুক্ত।"
    আল্লামা আলূসি রহিঃ রুহুল মা'আরিতে এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন
    "একজন মুসলিমের আসল বন্ধু হওয়ার হকদার একজন মুসলিমই।আর মুসলিমকে বন্ধু বানানোর বিপরীত হলো কাফেরদেরকে বন্ধু বানানো।সুতরাং যেই লোকেরা কাফেরদেরকে বন্ধু বানালো এবং তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করলো তারাও মুসলিমদের শত্রু বলেই গণ্য হলো।"
    সুতরাং বিষয়টি স্পষ্ট যে ব্যক্তি মুসলিমদের শত্রুদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করলো তারাও মুসলিমদের শত্রু।যেমনিভাবে মুসলিমদের শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করা হবে তেমনিভাবে তাদের সাথেও করা হবে।অর্থাৎ এ ব্যাপারে কুরআনুল কারীম,ফুকাহে কেরামসহ সকল উলামা ঐক্যমত যে"যারা কাফেরদেরকে বন্ধু বানায় তাদের বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করতে হবে।কেননা কাফেরদেরকে বন্ধু বানানোর ফলে তারা মুরতাদ হয়ে গেছে।"
    সুতরাং বর্তমান মুজাহিদীনরা যখন আমেরিকা ও কুফফারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে,তখন সকল নামধারী মুসলিম শাসক আমেরিকাকে সাহায্য করতেছে।মুসলিম ভূ-খন্ড দিয়ে তাদের রসদপত্র সাপ্লাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে। আর আমেরিকার পক্ষ নিয়ে মুাজহিদীনদের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করতেছে।আপনারা একটু লক্ষ্য করুন মুসলমানদের বন্দরগুলো যদি কুফফারদেরকে ব্যবহারের অনুমতি না দিত,নামধারী গোয়েন্দা সংস্থা গুলো যদি আমেরিকার মদদ না যোগাতো, আমেরিকাকে ঘাটি দিয়ে সাহায্য না করতো তবে আম্রিকা এক বছরও আফগান,ইরাক ও শামে যুদ্ধ করতে পারতো না।অথচ আজ বছরের পর বছর আমেরিকা যুদ্ধ করে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো ঐসকল কালেমা পড়নেওয়ালা মুসলিম প্রশাসনের সহযোগিতা।ফুকাহে কেরামদের ইজমা অনুসারে এইসকল কালিমা পড়নেওয়ালা মুসলিমরা ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে গেছে।কাজেই মুজাহিদীনরা কোনো মুসলিমের বিরুদ্ধে
    যুদ্ধ করছে না বরং কুফফার,মুরতাদ ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করছে।
    আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
    নেক দোয়ায় অধমকে ভুলবেন না।

    (Collected from media)
    "তারা আমাদের ভূমিতে সীমালঙ্ঘন করেছে এবং একে দখল করেছে।এবং তারা মুসলিমদের অধিকার খর্ব করেছে।আর তারা যখনই বাধার সম্মুখীন হয়েছে তখনই তারা একে জঙ্গিবাদ আখ্যায়িত করেছে।"
    (শাইখ উসামা বিন লাদেন রহঃ।)

  • #2
    আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      Originally posted by Munshi Abdur Rahman View Post
      আল্লাহ আমাদের সকলকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন
      ছুম্মা আমীন।
      জাযাকাল্লাহ ভাই...
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment

      Working...
      X