بسم الله. الحمد لله، والصلاة والسلام على رسول الله.
১. প্রশ্ন: জিহাদ কি?
উত্তর: কাফের ও অবাধ্যদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধ করা যেন আল্লাহর কালিমা হয় সমুন্নত আর কাফেরদের কালিমা হয় পদপিষ্ট।
২. প্রশ্ন: জিহাদের হুকুম কি?
উত্তর: ফরয।
৩. প্রশ্ন: হুকুম অনুসারে জিহাদ কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর: ২ প্রকার।
১. ফরযে কিফায়া
২. ফরযে আইন
৪. প্রশ্ন: ফরযে কিফায়া জিহাদ কি?
উত্তর: আক্রমণাত্মক জিহাদ; অর্থাৎ, দারুল-ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং দারুল-ইসলাম ও বিশ্বের সকল মুসলিমগণ কাফেরদের পক্ষ থেকে সমস্ত প্রকার আক্রমণ হতে সম্পূর্ণ নিরাপদে থাকা সত্ত্বেও সমগ্র বিশ্ব থেকেই ফিতনা পুরোপুরিভাবে নির্মূল করে একমাত্র আল্লাহর দ্বীনই সমগ্র বিশ্ব জুড়ে সুপ্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে আগ বাড়িয়ে দারুল-কুফরে থাকা কাফেরদের আক্রমণ করা। এ জিহাদে যথেষ্ট পরিমাণে মুসলিম অংশগ্রহণ করলেই কেবল অন্যান্য মুসলিমগণের উপর আর এ জিহাদে অংশগ্রহণ করা ওয়াজিব (বাধ্যতামূলক) থাকে না।
৫. প্রশ্ন: ফরযে আইন জিহাদ কি?
উত্তর: প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ। এ জিহাদ প্রত্যেক ঐ ব্যক্তির উপর ফরয যার মধ্যে ৬টি গুণ বিদ্যমান।
গুণগুলো হলো:
১. মুসলিম হওয়া
২. বালেগ হওয়া
৩. বোধশক্তিসম্পন্ন হওয়া
৪. স্বাধীন হওয়া
৫. পুরুষ হওয়া
৬. শারীরিক ও আর্থিক দিক থেকে সক্ষম হওয়া
অতএব, জিহাদ যখন ফরযে আইন তখন কারো মধ্যে এই ৬টি গুণ থাকা সত্ত্বেও সে তা না করলে তার উপর "ফরযে আইন জিহাদ" পরিত্যাগ করার গুনাহ বর্তাবে; আর কারো মধ্যে এই ৬টি গুণ না থাকা সত্ত্বেও সে তা করলে তার জন্য থাকবে আল্লাহর পক্ষ থেকে মহা-ছাওয়াব যদি সে মুসলিম হয়ে থাকে এবং তার ইসলামকে টিকিয়ে রাখতে পারে।
নারীদের জন্য জিহাদ করার হুকুম
প্রশ্ন :
নারীদের জন্য জিহাদ করার হুকুম কি?? তারা কিভাবে জিহাদ করবে?
উত্তর :
▪ হুকুম : নারীদের ওপর জিহাদ বা যুদ্ধ করা ওয়াজিব না, আর শরীয়তও তাদেরকে যুদ্ধের প্রতি উৎসাহিত করে না।
হযরত আয়িশা রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে জিজ্ঞাসা করলেন:
‹আমরা দেখতে পাই যে, জিহাদ হলো সর্বোত্তম আমল, সুতরাং আমরা নারীরা কি জিহাদ করবো না?›
রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন :
لا، لَكِنَّ أفْضَلَ الجِهادِ حَجٌّ مَبْرُورٌ.
«না তোমরা তা করবে না, তোমাদের জন্য শ্রেষ্ঠ জিহাদ হলো পূণ্যময় হজ্ব»
[ সহীহুল বুখারী ]
▪ তবে প্রয়োজন দেখা দিলে নারীরা শালীনতা বজায় রেখে মুজাহিদদেরকে পানি পান করাতে পারবে, তাদের চিকিৎসা করতে পারবে; যা সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত। কিন্তু প্রয়োজন না থাকলে সাধারণ অবস্থায় নারীদের জন্য এমনটা করা নিষিদ্ধ।
▪ যুদ্ধ করা ব্যতীত নারীরা যেভাবে জিহাদে অংশীদার হতে পারবে :
১- নারী নিজ সম্পদ ও অলঙ্কারের দ্বারা জিহাদ করবে, সেগুলোকে আল্লাহর পথে দান করবে।
২- আপন স্বামী ও সন্তানদেরকে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করবে।
৩- অন্য নারীদেরকে জিহাদের ব্যাপারে সচেতন করবে।
৪- পর্দা বজায় রেখে মুজাহিদদের পক্ষে প্রচারণা চালাবে।
▪ নারীদের ওপর যখন যুদ্ধ করা ফরজ হয় :
শত্রু যদি নারীর ওপর আগ্রাসন চালায়, তবে তার আগ্রাসন সাধ্যানুযায়ী প্রতিহত করা নারীর জন্য ফরজ।
▪ তবে লক্ষণীয়, নারীদের জন্য যুদ্ধ জরুরী না, এ কথার মানে এটা নয় যে, তাদের জন্য যুদ্ধ করাই নিষিদ্ধ। হ্যা, কিছু নারী সাহাবিয়া থেকে প্রমাণিত যে, তারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
Comment