- শাইখুল ইসলাম আল্লামা তাকী উসমানী দাঃ বাঃ এর ফতোয়া:
- "যুদ্ধের কৌশল প্রনয়ন ও পরিকল্পনা গ্রহণ
শরীয়তের হুকুম হল, যদি মুসলমানদের কোন ভূমিতে অমুসলিমরা আক্রমণ করে তাহলে সকল মুসলমানের উপরالاقرب فالأقرب তথ। এর ভিত্তিতে জিহাদ ফরজ হয় অর্থাৎ সর্বপ্রথম পার্শ্ববর্তী দেশের উপর জিহাদ ফরজ হয়।যদি তাদের শক্তি যথেষ্ট না হয়, তাহলে তাদের পার্শ্ববর্তী মুসলমানদের উপর।এই হিসেবে বর্তমান পরিস্থিতিতে (ফিলিস্তিনের) পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রগুলোর উপর জিহাদ ফরজ।
- (২০/১০/২৪ইং,৪/৪/১৪৪৫হিজরী রোজ জুমাবার,জুমার নামাজের পূর্বে, জামিয়া দারুল উলুম করাচির জামে মসজিদে দেয়া মুফতি তাকী উসমানী দাঃ বাঃ এর বয়ানের একাংশ,যা আকবর কমপ্লেক্স থেকে প্রকাশিত আন নাসীহা পত্রিকার"প্রস্তুতিমূলক সংখ্যা-৯, আগষ্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর সংখ্যা ২০২৩ এ আনা হয়েছে)
আলোচনার শুরুতেই জেনে নেই ফরযে কেফায়া আর ফরযে আইন বলতে কেমন ধরনের ফরজ বুঝায়
"ফরজে আইন ও ফরজে কেফায়ার অর্থ
একথাও আমাদের সকলেরই জানা যে, ফরজে আইন অর্থ, যা সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির উপর ফরজ হয়। সুতরাং জিহাদে সক্ষম যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি; চাই সে সাধারণ হোক বা বিশিষ্টজন হোক, শাসক হোক বা শাসিত হোক, যদি উপরোক্ত তিনটি অবস্থার একটিতে উপনীত হয়, তার উপরই জিহাদ ফরজে আইন হয়ে যাবে, যেমন ওয়াক্ত হলে নামায এবং রমজান আসলে রোযা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের উপর ফরজে আইন হয়ে যায়। বলা বাহুল্য, কারো উপর একটি বিধান ফরজে আইন হওয়ার অর্থই তিনি বিধানটির মুখাতাব। কারণ কেউ যদি একটি বিধানের মুখাতাবই না হয়, তাহলে তার উপর তা ফরজে আইন হওয়ার প্রশ্ন অবান্তর!
একইভাবে জিহাদ যখন ফরজে কেফায়া, তখনও সকল মুসলিম জিহাদের মুখাতাব। কারণ ফরজে কেফায়ার অর্থ হচ্ছে, যা শাসক শাসিত, সাধারণ বিশিষ্ট নির্বিশেষে ব্যাপকভাবে সকলের উপর ফরজ হয়। তবে কিছু লোক দ্বারা যদি কাজটি সম্পাদিত হয়ে যায়, বাকিরা তা থেকে দায়মুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু কাজটি যদি কেউই না করে, বা পর্যাপ্ত পরিমাণ লোকে না করার কারণে অনাদায়ী থাকে, তাহলে সকল মুসলিমই দায়বদ্ধ থাকে এবং গুনাহগার হয়।"
(আল লাজনাতুশ শরইয়াহ লিদ দা'আওয়াতি ওয়ান নুসরাহ এর ২৩৩ নং ফতোয়া, জিহাদের মুখাতাব কি শুধুই শাসকশ্রেণী?)
এছাড়া ফতোয়া শামী এর মুকদ্দমায় (ভূমিকায়)১নং খন্ডে ১২৬ নং পৃষ্ঠায় (মাকতাবাতুয যাকারিয়া) আলোচনা করা হয়েছে।
- উপরোক্ত আলোচনা অনুযায়ী তাকী উসমানী দাঃ বাঃ এর ফতোয়া মোতাবেক বর্তমান ফিলিস্তিনের জিহাদ যেহেতু ফরযে আইন। যেহেতু তা ফরযে আইন তাই ফরযে আইনের অর্থ অনুযায়ী প্রত্যেক ব্যক্তির উপর ফরজ শুধু রাষ্ট্রীয় কাজ নয়। (এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে লাজনায় প্রকাশিত ২৩৩ নং ফতোয়া বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে দেখে নিতে পারেন ইনশাআল্লাহ)।আর তা স্তর স্তর করে পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সকল মুসলিমের উপর ফরজ হয়ে যায় যদি পাশ্ববর্তী লোকেরা যথেষ্ট না হয় বা অলসতা করে বা যুদ্ধ না করে বসে থাকে।
- এই হিসেবে বর্তমান ফিলিস্তিনের জিহাদ স্তর স্তর করে পৃথিবীর পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত মুসলমানদের জন্য ফরজ।
বর্তমানে যেহেতু দেফায়ি তথা প্রতিরক্ষামূলক জিহাদ তাই এক্ষেত্রে কোন প্রকার কোন শর্ত ওনেই ।দেফায়ি জিহাদের ক্ষেত্রে যে,কোনো শর্ত নেই তা ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলার তাওফিক শামিলে হাল হলে অন্য কোন মজলিসে বিস্তারিত আলোচনা করার আশা রইল ইনশাআল্লাহ।
তবে হ্যাঁ কোন ভাই শর্ত বললে অবশ্যই তা নির্ভরযোগ্য দলিলের আলোকে উপস্থাপন করতে হবে।এছাড়া জিহাদ যখন ফরযে আইন হয়ে যায় তখন তা ঈমানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ আমলে পরিনত হয়।
- এবিষয়ে রেফারেন্স দিয়ে একটি লেখা উল্লেখ করে দিচ্ছি যা তালিবুল ইলম ভাইয়ের জন্য দলিলের খোরাক হবে বলে আশা রাখি। জেনারেল ভাইগন একটু কষ্ট হলেও আলেম ভাইদের থেকে বুঝে নিলে ভালো হয় ইনশাআল্লাহ।লেখার ক্ষেত্রে অনেকটাই ধীরগতির হওয়ার লম্বা সময়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে অধমের।তাই দলিলের উপস্থাপনা করে দিচ্ছি যাতে কমপক্ষে মাসআলা সামনে চলে আসে। বিধায় আপনাদের প্রতি বিনীতভাবে অনুরোধ রইলো ওলামাদের থেকে বুঝে নেওয়ার।
إذا كان الجهاد عينا،يكون أفضل بعد الإيمان
জিহাদ যখন ফরজে আইন হয়, তখন ঈমানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতে রূপান্তরিত হয়।অনেকেই মনে করতে পারেন অতি যজবাতি তো! তাই আবেগের বশে হয়তো শ্রেষ্ঠত্বের এমন কথা বলছে।হায় আফসোস! দুঃখের সাথে বলতে হয় ঈমানের পর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত কি সেটা জানার ভাগ্যে হলেও জিহাদ ফরযে আইন হালতে ঈমানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত জানার সেটা জানার ভাগ্যে হয়তো হয়নি,আরো আফসোসের বিষয় হলো অনেকে জিহাদকে বানিয়েনিয়েছেন নিজেদের লক্ষ্যবস্তু,এটি থেকে বিরত থাকার এবং রাখার সকল চেষ্টা করাই যেন তাদের কর্তব্য হয়ে দাড়িয়েছে।আসুন এবার শ্রেষ্ঠ হবার দলিলগুলো জেনে নেই।
- عن عبد الله بن أبي قتادة عن أبيه أن سمعه يحدث عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قام فيهم فذكر لهم أن الجهاد في سبيل الله والإيمان بالله أفضل الأعمال ،فقام رجل فقال:يا رسول الله أرأيت إن قتلت في سبيل الله يكفر عنى خطاياى؟فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم:نعم إن قتلت في سبيل الله و أنت صابر محتسب مقبل غير مدبر،ثم قال رسول الله صلى الله عليه و سلم :كيف قلت،قال:أرأيت إن قتلت في سبيل الله أيكفر عني خطاياي؟فقال رسول الله صلى الله عليه و سلم:نعم وأنت صابر محتسب مقبل غير مدبر إلا الدين فإن جبريل قال لي ذالك
- আবু কাতাদা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত উল্লেখিত রেওয়ায়েতটি আনা হয়েছে
- ১/সহীহ মুসলিম,কিতাবুল ইমারাহ ওয়াস সিয়াসাহ,باب من قتل في سبيل الله كفرت خطاياه إلا الدين
- ২/সুনানে তিরমিযী,কিতাবুল জিহাদ٫ باب فيمن يستشهد و عليه دينহাদীস নং:১৭১২।
- ৩/সুনানে নাসায়ী,কিতাবুল জিহাদ,باب من قاتل في سبيل الله و عليه دين হাদীস নং:৩১৫৭।
- ৪/মুসনাদে আহমদ, ২৭৭/৩৭খন্ড, হাদীস নং:২২৫৮৫।
- ৫/আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে:মুসনাদে আহমদ,১০৬/১৪খন্ড,৪৪০/১৩খন্ড।মাকতাবা মুয়াসসাতুর রেসালা।
عن أبي هريرة رضى الله عنه:أن رسول الله صاى الله عليه و سلم سءل :أى العمل أفضل؟فقال:إيمان بالله ورسوله،قيل:ثم ماذا ؟ قال:الجهاد في سبيل الله،قيل:ثم ماذا؟ قال حج مبرور
- ৬/কিতাবুল ঈমান,হাদীস নং ২৬।
وقد يكون الجهادأفضل من ساءر الأعمال عند إستيلاء الكفار على بلاد المسلمين
(অর্থাৎ এক কথায় আত্নরক্ষামূলক জিহাদের ক্ষেত্রে জিহাদ সমস্ত ইবাদতের চেয়ে উত্তমহয়ে যায়)
- ৭/উমদাতুল কারী শরহুল বুখারী,হাদীস নং ২৬,কিতাবুল ঈমান।
- ৮/তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম,কিতাবুল জিহাদ,(কিতাব এবং অধ্যায় সহীহ মুসলিমের উল্লেখিত টি দ্রষ্টব্য)।
- ৯/ফতোয়ায়ে উসমানী ২৩৯/১, তাবলীগ জামাত সম্পর্কিত আলোচনা,আল মাকযাবাতুল আশরাফিয়া।
- "যখন জিহাদ ফরযে আইন হয়ে যায় তখন ঐ সময় জরুরি অবস্হা হয়।ঐ সময় না ব্যবসায় বানিজ্য জায়েজ থাকে না বিবি বাচ্চাদের সাধারণ হকসমূহ এরকমভাবে বাকি থাকে যেভাবে আমান(নিরাপদ) অবস্হার সময় ছিল ।এবং না এরকম কোন কাজ জায়েজ থাকে যা জিহাদের বিরোধি হয় বা জিহাদের পথে প্রতিবন্ধক সৃষ্টিকারি হয়।(অর্থাৎ তখন জিহাদই সর্বোচ্চ ফরয হিসেবে গণ্য হয়)।
হযরত কাশ্মীরি রহঃ এভাবে বলেছেন যে,
"সবচেয়ে উত্তম কাজ জিহাদ করা,যখন তা ফরযে আইন হয়ে যায়
ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম মালেক রহঃ এর নিকট ইলমে দ্বীন অন্বেষণে আত্মনিয়োগ করা সর্বোত্তম কাজ।আর ইমাম আহমাদ রহঃ এর নিকট জিহাদে অংশগ্রহণ করা সর্বোত্তম কাজ। জিহাদ যদি ফরযে আইন না হয়ে থাকে তাহলে এই ইখতেলাফ প্রযোজ্য হবে। নতুবা জিহাদ যদি ফরযে আইন হয়ে যায় তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে জিহাদ করা সর্বোত্তম কাজ। কেননা, আলোচনা তো হলো উত্তম আর অনুত্তম নিয়ে,ফরযের স্তর নিয়ে নয়।
- (ফয়জুল বারী শরহুল বুখারী,কিতাবুল জিহাদ,৩/৪১৯)
"জিহাদ তখন সমস্ত ইবাদতের চেয়ে উত্তম হয়ে যায়
- ইসলাম ও মুসলমানদের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। তখন নিশ্চিতভাবে জিহাদ সমস্ত ইবাদতের চেয়ে উত্তম হয়ে যায়।তা সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় খন্দকের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চার ওয়াক্ত নামাজ কাযা হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি থেকে।
- এছাড়া আল্লামা ইবনে নুহাশ রহঃ এর জিহাদ বিষয়ক রচিত কিতাব مشارع العشاق إلى مصارع الأشواق কিতাবের ১৩৫-১৩৭ নং পৃষ্ঠায় জিহাদের আমল ঈমানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হওয়ার ব্যাপারে এভাবে বলেছেন:
٦٤ثبت في الصحيحين عن أبي هريرة رضي الله تعالى عنه قال: سئل ىسول الله صلى الله عليه وسلم: أى ألأعمال أفضل؟ إيمان بالله ورسوله، قيل: ثم ماذا؟ قال: الجهاد في سبيل الله، قيل: ثم ماذا؟ قال: حج مبرور
وهذا الحديث ينبغي حمله على من ليس له والدان يبرهما، أو من أذنا له، أو على الجهاد الذي هو فرض عين، فإنه مقدم على بر الوالدين،والله أعلم
٦٥ وعن ماعز رضي الله تعالى عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه سئل أى ألأعمال أفضل؟ قال: إيمان بالله وحده، ثم جهاد ثم حجة برة، تفضل سائر الأعمال كما بين مطلع الشمس إلى مغربها، رواه الإمام أحمد،ورجاله رجال الصحيح، وماعز صحابي مشهور لم ينسب،
ومعني قوله: تفضل سائر الأعمال،أى: باقى ألأعمال بعد الإيمان والجهاد ،وقد جاء أن أفضل ألأعمال الإنسان والجهاد جميعاً،
٦٦- ففى الصحيحين عن أبي ذر رضي الله تعالى عنه قال:سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم: أى ألأعمال أفضل؟ إيمان بالله و جهاد في سبيله........
٦٧- وفي صحيح مسلم عن أبي قتادة رضي الله تعالى عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم:أنه قام فيهم فذكر: أن الجهاد في سبيل الله والإيمان بالله أفضل ألأعمال،قال: فقام رجل:فقال يا رسول الله أرأيت إن قتلت في سبيل الله أتكفر عنى خطاياى كلها؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: نعم،الحديث
খন্দকের যুদ্ধের ইতিহাস বিভিন্ন বিশুদ্ধ হাদিসের কিতাব ও নির্ভরযোগ্য ইতিহাসের কিতাবে বর্ণিত হয়েছে বিস্তারিত জানতে সেখান থেকে সহায়তা নেয়া যেতে পারে।
জিহাদ ফরযে আইন অবস্থায় ঈমানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ আমলে পরিণত হয় বলেই হযরত হানযালা রাঃ গোসল না করেই জিহাদে অংশগ্রহণ করে শহীদ হয়েছিলেন যার কারণে আল্লাহ তাআলা উনাকে গছিলুল মালাইকা এর মত মহান উপাধিতে ভূষিত করেছেন। এর বিস্তারিত বিবরণ হাদীসের কিতাবসমূহে বর্ণিত হয়েছে।
- এছাড়া তাবুকের যুদ্ধে জিহাদ ফরযে আইন হয়েছিল বিধায় যারা অংশগ্রহণ করেননি তাদের শাস্তির ঘোষণা করা হয়েছিল।এর বিস্তারিত বিবরণ কুরআনুল কারিমের সূরা তাওবায় ৯৪-৯৮ আয়াত ওশেষের আরো বেশ কয়েকটি আয়াতে হয়েছে।তাফসীর ও হাদীসের কিতাবসমূহে রয়েছে এর বিশদ বিস্তারিত আলোচনা। এছাড়াও এখানে ফতোয়ায়ে উসমানী এর যে ফতোয়াটির একাংশ উল্লেখ করা হয়েছে সেই ফতোয়ার পূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর দেখা যেতে পারে। রেফারেন্স পুনরায় উল্লেখ করা হলো:
- সমকালীন নির্দেশনার সারকথা হলো: বর্তমান ফিলিস্তিনের জিহাদ ফরজে আইন যা ব্যক্তিকেন্দ্রিক ফরয শুরু রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব নয়।
- যেহেতু ফিলিস্তিনের লোকেরা যথেষ্ট নয় বরং পাশ্ববর্তী লোকেরা তা যথেষ্ট হওয়া পরিমাণ আঞ্জাম দিচ্ছে না তাই স্তরভেদে তা আজ সারা পৃথিবীর উপর ফরজ।
- এই জিহাদের রাষ্ট্র ইমামুল মুসলিমীন সহ কোন প্রকার কোন শর্ত নেই। কেননা বর্তমান এই জিহাদ দেফায়ী তথা আত্মক্ষামূলক।আর আত্মরক্ষামূলক জিহাদের ক্ষেত্রে কোন শর্ত নেই।
- যেহেতু জিহাদ ফরযে আইন তাই তা বর্তমানে ঈমানের পর সর্বশ্রেষ্ঠ আমলে পরিনত হয়েছে।
- আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বীনের সঠিকবুঝ দান করুন সকল প্রকার ফেতনা থেকে হেফাজত করুন এবং ঈমানের সাথে শহীদি মৃত্যু নসিব করুন আমিন ইয়া রব্বাল আ'লামীন।