Announcement

Collapse
No announcement yet.

ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামি শাস্তি দাবি মেয়েদের- ইসলামের সত্যতা প্রমাণ হবে একদিন

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামি শাস্তি দাবি মেয়েদের- ইসলামের সত্যতা প্রমাণ হবে একদিন

    ধর্ষণ প্রতিরোধে ইসলামি শাস্তি দাবি মেয়েদের- ইসলামের সত্যতা প্রমাণ হবে একদিন

    বর্তমানে দেশে আইন শৃঙ্খলার বেশ অবনতি চলছে। অপরাধ বেড়ে গেছে। নারীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ধর্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নারীরা। চলাফেরায় স্বস্তি পাচ্ছেন না। আতংক কাজ করছে। প্রতিক্রিয়ায় স্কুল কলেজের মেয়েরা ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করছে। স‌‌‌র্বোচ্চ শাস্তি যা হতে পারে দাবি করছে। এমন শাস্তি যা দেখে অপরাধীরা শিক্ষা নিবে। নির্যাতিতদের অন্তর ঠাণ্ডা হবে। কেউ বলছেন, প্রকাশ্যে সবার সামনে গলাকাটা হোক। কেউ বলছেন, প্রকাশ্যে সবার সামনে গুলি করে হত্যা করা হোক। কেউ বলছেন, ইসলামের যে শাস্তি সেটাই দেয়া হোক, সেটাই আমরা চাই।
    এই প্রসঙ্গে আমি কিছু কথা বলতে চাই।

    ০১. শাস্তির দাবিটিতে বোনদের মৌলিকভাবে দু’টি চাওয়া: ক. শাস্তিটি সর্বোচ্চ হবে। অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড। খ. শাস্তিটি দৃষ্টান্তমূলক হবে। যেমন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে দিতে হবে। গুলি করতে হবে বা গলা কাটতে হবে।

    সুবহানাল্লাহ! ইসলাম কত সত্য! ইসলাম সত্যিই রাব্বুল আলামীনের নিজের নাযিল করা ব্যবস্থা। এই বোনেরা যে ধরনের শাস্তি দাবি করছেন, ইসলাম তাদেরকে এর চেয়েও বেশি দিয়েছে।

    বোনেরা প্রকাশ্যে চাইছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই শাস্তি প্রকাশ্যে দেয়া বাধ্যতামূলক করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে:

    “যিনাকারী নারী ও যিনাকারী পুরুষ প্রত্যেককে একশোটি করে বেত্রাঘাত করবে। যদি তোমরা আল্লাহ আল্লাহ ও শেষ দিবসে বিশ্বাস পোষণ করে থাক, তাহলে আল্লাহর দ্বীনের নির্দেশ বাস্তবায়নে তাদের প্রতি কোনো অনুকম্পা যেন তোমাদের প্রভাবিত না করে। আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।" -নূর: ০২

    আর মুমিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে- অর্থাৎ জনসম্মুখে শাস্তিটি কার্যকর করতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক। ইসলামী আদালতের জন্য গোপনে গোপনে এই শাস্তি কার্যকর করার সুযোগ নেই। অপরাধীকে জনসম্মুখে আনতে হবে। সকলের সামনে শাস্তি দিতে হবে।

    বোনেরা চেয়েছেন সর্বোচ্চ শাস্তি- মৃত্যুদণ্ড। গুলি করে হত্যা বা গলাকেটে হত্যা। ইসলাম যেটি দিয়েছে সেটি আরও দৃষ্টান্তমূলক- রজম করে হত্যা। আয়াতে বেত্রাঘাত করার কথা যেটি বলা হয়েছে, সেটি অবিবাহিতের ক্ষেত্রে। বিবাহিতের শাস্তি পাথর নিক্ষেপে হত্যা। আপনি ভাবতে পারেন? একটি লোককে হাজার মানুষের সামনে খালি গায়ে উপস্থিত করা হবে। এরপর শুরু হবে পাথর নিক্ষেপ। যতক্ষণ না সে মারা যায়। এর চেয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আর হতে পারে না।

    উলামায়ে কেরাম বলেন, পাথর নিক্ষেপে হত্যা বাধ্যতামূলক। তাতে পরিবর্তন করা যাবে না। অর্থাৎ ফাঁসি দেয়া, গুলি করা, গলা কাটা- কিছু চলবে না। পাথর নিক্ষেপ আবশ্যক। পাথর-ইট যা হোক সেটা ফ্যাক্টর না, তবে শাস্তি এটাই হতে হবে। বদলানো যাবে না।

    আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত শক্তভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন: "আল্লাহর দ্বীনের নির্দেশ বাস্তবায়নে তাদের প্রতি কোনো অনুকম্পা যেন তোমাদের প্রভাবিত না করে।" এখানে যেন কেউ দয়া দেখাতে না আসে। মানবতার বুলি যেন কেউ না আওড়ায়। যদি কেউ দয়া দেখাতে আসে, সে মুসলমান কি’না সন্দেহ।

    এজন্য তালেবানরা জনসম্মুখে প্রকাশ্যে যিনাকারদের বেত্রাঘাত করে থাকে। মানবতার ধ্বজাধারিরা এ নিয়ে চেঁচামেচি করলেও তারা কোনো পাত্তা দেয় না। অসম্ভব নয় যে, এর বরকতে আফগানিস্তানে আল্লাহ তাআলা এমন নিরাপত্তা দান করবেন, মানুষ একদিন ইশারা করে বলবে: আমরাও আফগানদের মতো চাই।

    ০২. কোনো কোনো বোন বলেছেন: অনেকে বলে মেয়েদের ছোট পোষাক ধর্ষণের জন্য দায়ী, এই কথা ঠিক নয়, এটা মৌলবাদিদের কথা।
    আসলে একটা মানুষ একসাথে আমূল পরিবর্তন হতে পারে না, ধাপে ধাপে হয়। বোনদের এতটুকুতেই ধন্যবাদ যে, তারা ইসলামের শাস্তিটা চাচ্ছেন। একসময় যেটাকে বর্বরতা ভাবতেন, আজ সেটা চাইছেন। ব্যস এতটুকুতেই ধন্যবাদ। পরিবর্তন আসবে। ধীরে ধীরে আসবে। আজ ইসলামের শাস্তিটা যেমন তাদের কাছে যৌক্তিক মনে হচ্ছে, এক সময় এই অবাধ স্বাধীন খোলামেলা ভোগবাদী দর্শনটার প্রতিও ঘৃণা আসবে। সময় লাগতে পারে। এই বোন আজ স্বীকার না করলেও কাল স্বীকার করবেন ইনশাআল্লাহ।

    ০৩. ছোট পোষাক বা বেপর্দা- যেটা (বোনের ভাষায়) মৌলবাদিরা বলে থাকে, আসলে এখানে একটা সিস্টেম বোঝানো উদ্দেশ্য। আমরা ভোগবাদী যে দর্শনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি, নারী পুরুষের অবাধ স্বাধীনতা, অবাধ মেলামেশার যে দৃষ্টিভঙ্গির ভিতর দিয়ে যাচ্ছি, আর এটিকে বাস্তবায়নকারী যে জাহিলি শাসনব্যবস্থার ভিতর দিয়ে যাচ্ছি: মূলত এই গোটা সিস্টেমটা বুঝানো উদ্দেশ্য। এই সিস্টেমটা যৌন অপরাধে উদ্বুদ্ধকারী। ইসলামের শাস্তিটি এনে এখানে বসিয়ে দিলে যদিও অনেকাংশে রোধ হবে, কিন্তু ধর্ষণ সম্পূর্ণ বন্ধ হবে না, যতক্ষণ না গোটা সিস্টেম বদলানো হয়।

    অতএব, বোন আপনাকেও পরিবর্তন হতে হবে, শুধু শাস্তি পরিবর্তন করলে সমাধান হবে না। আপনি যুবকদের চোখ ধাঁধিয়ে বেড়াবেন, আবার দিনশেষে নিরাপদে বাড়িও ফিরবেন, কেউ আপনার দিকে লুলোপ দৃষ্টিতে তাকাবে না, হাত বাড়াবে না, সুযোগ খুঁজবে না- এটা কি সম্ভব? আমাদের সমাজব্যবস্থা হতে হবে: যা মানুষের মাঝে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে স্বাভাবিক যৌন চাহিদা দিয়ে রেখেছেন, সেটা নিয়ন্ত্রণে উৎসাহ দেয় এবং শান্তিপূর্ণ নিরাপদ উপায়ে তা পূরণ করার ব্যবস্থা করে দেয়। ইসলাম একটি ফুল প্যাকেজে। খণ্ডিত একাংশ এ‌‌‌নে বসিয়ে দিল কিছুটা উপকার হলেও শতভাগ হবে না।

    ০৪. আপনি যদি ধর্ষকের শাস্তিটি ইসলাম থেকে নিতে চান, আপনাকে যিনার শাস্তিটিও নিতে হবে। ইসলামের রজমের শাস্তিটি শুধু ধর্ষকের জন্য নয়, সকল যিনাকারের শাস্তি এটি। যদি সমাজে ধর্ষণ রোধ করতে হয়, তাহলে পারস্পরিক সম্মতিতে লিভ টুগেদার, শারীরিক সম্পর্কও পরিত্যাগ করতে হবে। এর শাস্তিও হতে হবে তাই, যা ধর্ষকের শাস্তি। উভয়টির উৎস একই: নিয়ন্ত্রণহীন যৌনাচার। আপনি যখন যৌনাচারকে উগ্রে দিলেন, তখন তা শুধু সম্মতিতে সন্তুষ্ট হবে না, ধর্ষণের পথও বেছে নিবে। ধর্ষণমুক্ত সমাজ গড়তে হলে আপনাকে যিনামুক্ত সমাজের পদক্ষেপ নিতে হবে। সম্মতিতে যিনা এবং ধর্ষণ: উভয়টিকে অপরাধ গণ্য করে উভয়ের বেলায় ইসলামের বেত্রাঘাতা বা রজমের শাস্তি মেনে নিতে হবে।
    ***​

  • #2
    মাশাল্লাহ ভাই, খুবই সহজ এবং উত্তম ভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন।
    আল্লাহর তায়ালা আপনার সহায়ক হন আমিন।
    গুরাবা হয়ে লড়তে চাই, গুরাবা হয়েই শাহাদাহ চাই

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে খন্ডিত ইসলাম থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন।

      Comment

      Working...
      X