Announcement

Collapse
No announcement yet.

অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও ধর্ষকের শাস্তি হচ্ছে না কেন?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও ধর্ষকের শাস্তি হচ্ছে না কেন?

    অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও ধর্ষকের শাস্তি হচ্ছে না কেন?

    ধর্ষণ শব্দটি শুনলে অন্তরের মধ্যে কম্পন সৃষ্টি হয়। ইদানিং সোস্যাল মিডিয়াতে ধর্ষণের খবরের সয়লাব। শিশু, তরুণী, বৃদ্ধা কেউই বাদ পড়ছে না ধর্ষণের ছোবল থেকে। প্রেমিকের ফাঁদে পা দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হচ্ছে প্রেমিকা, শিক্ষকের হাতে শিশু ছাত্রী ধর্ষণ, বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষণ, দুলাভাইয়ের হাতে শিশু শালি সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ইত্যাদি ঘটনা সমাজে অহরহ ঘটছে। এরকম ঘটনা প্রতিনিয়ত আমাদের চোখের সামনে ঘটছে। মিডিয়ায় নিউজও হচ্ছে।

    বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ছোট বোন। মাত্র আট বছর বয়সি বাচ্চাকে বড় বোনের স্বামী, শ্বশুর ও দেবর(ভাসুর) মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর মেরে ফেলারও চেষ্টা করে। কিন্তু বিশেষ কারণে মেরে ফেলতে পারেনি। এ ঘটনাটি সবার হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে
    মুসলিম-কাফির তথা পুরো বাংলাদেশের সকল মানুষ চাচ্ছে ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হোক। অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা ধর্ষণের কথা স্বীকারও করেছে। সাক্ষীও আছে। ধর্ষণের শিকার ভূক্তভোগী মৃত্যুশয্যায়। অনেক ভূক্তভোগীকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলা হয়েছে।

    কিন্তু বাংলাদেশে এ যাবত একজন ধর্ষকেরও পুরোপুরি শাস্তি হয়নি। গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই। কিছুদিন কারাগারে থাকার পর ক্ষমতা আর টাকার জোরে ধর্ষকেরা বের হয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ বাস্তবতা সবার কাছে স্পষ্ট।

    আদালত ঘোষণা দিয়েছে, ১৮০ দিন সময় লাগবে বিচার করতে?

    জনগণের কথা হলো, সব তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও ছয় মাস সময় লাগবে কেন?
    কারণ হলো, এটা কুফুরি গণতান্ত্রিক আইন। এখানে সঠিক বিচার কোনদিন হয়না। গণতন্ত্রের মূল ডায়গলই হলো, অধিকাংশ মানুষের মতামতের ভিত্তি গৃহীত হবে। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি পুরো ভিন্ন। শুধু মুসলিম নয়। বরং মুসলিম-কাফির সবাই ধর্ষকদের প্রকাশ্য মৃত্যুদণ্ড চাচ্ছে। অথচ ধর্ষকদের শাস্তির রায় হতে সময় নিয়েছে ১৮০ দিন; সকল প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও। পূর্বেও কোন ধর্ষকের শাস্তি হয়নি এ আইনে।

    সুতরাং ইসলামি আইন ছাড়া, ইসলামি বিচার ছাড়া দেশে কোনদিন শান্তি আসবে না। ইসলামি আইন অনুযায়ী ধর্ষকদের প্রকাশ্যে রজম করা হলে, অন্যরা এ থেকে শিক্ষা নিবে। ধর্ষণ করতে কেউ সাহস করবে না।

    কিন্তু অধিকাংশ মানুষের চাওয়া (ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড) বাস্তবায়ণ করা হচ্ছে না। কারণ এ আইনের গড ফাদাররা (আমেরিকা গং) তা অপছন্দ করবে।

    দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই চাচ্ছে ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড। আর ইসলাম দেড় হাজার বছর আগেই ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে। সুতরাং ইসলামি আইনের প্রয়োজনীয়তা ফুটে উঠেছে। আর কুফুরি গণতান্ত্রিক আইনের অসারতা স্পষ্ট হয়েছে।

    তাই এ সিস্টেমকে পরিবর্তন করে শারিয়াহ শাসন প্রতিষ্ঠা করলেই শান্তি ফিরে আসবে। বিইযনিল্লাহ​
    Last edited by Rakibul Hassan; 3 weeks ago.
    গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

  • #2

    অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার পরও ধর্ষকের শাস্তি হচ্ছে না কেন?
    ​কারণ কুফরি আইন ধর্ষণ বাড়ানো, বন্ধ নয়।
    কুফরি ও শিরিকি ফেতনা দূরের জন্য
    আল্লাহর বিধান বাস্তবায়ন ব্যতীত এর বিকল্প কিছু নেই

    আল্লাহ তাআলা বলেন
    আল আনফাল, আয়াতঃ ৩৯

    وَقَاتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّیَکُوۡنَ الدِّیۡنُ کُلُّہٗ لِلّٰہِ ۚ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ بِمَا یَعۡمَلُوۡنَ بَصِیۡرٌ

    অর্থঃ
    মুফতী তাকী উসমানী
    (হে মুসলিমগণ!) তোমরা কাফেরদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাক, যাবৎ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং দীন সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর হয়ে যায়। ২৫ অতঃপর তারা যদি নিবৃত্ত হয়, তবে আল্লাহ তো তাদের কার্যাবলী সম্যক দেখছেন। ২৬

    মাওলানা মুহিউদ্দিন খান
    আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ভ্রান্তি শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।

    ইসলামিক ফাউন্ডেশন
    এবং তোমরা তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিত্না দূরীভূত হয় এবং আল্লাহ্ র দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় আর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহ্ তো তার সম্যক দ্রষ্টা।

    হে আল্লাহ ​! তুমি আমাদেরকে বুঝার মানার ও আমল করার তাওফিক দাও। আমীন।
    Last edited by Rakibul Hassan; 2 weeks ago.

    Comment

    Working...
    X