Announcement

Collapse
No announcement yet.

চামড়া কালেকশন!

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • চামড়া কালেকশন!

    প্রচলিত পদ্ধতিতে দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে চামড়া কালেকশন যারা অপছন্দ করতেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন আমিরে শরিয়ত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ.। তিনি বলতেন, ‘মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও ছাত্ররা জাকাত-ফেতরার টাকা, খাস করে কুরবানির চামড়া সংগ্রহ করার জন্য শহরের অলিতে-গলিতে ঘোরাফেরা করে। এটা দ্বীনের জন্য বড়ই বেইজ্জতির কথা। এতে মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদের প্রতি মানুষের হেয় দৃষ্টি তৈরি হয়, যা ধর্মের জন্য ক্ষতিকর।’ (আমিরে শরিয়ত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ./ লেখক : নাসীম আরাফাত, পৃষ্ঠা : ১৯)

    হাফেজ্জি হুজুর রহ. চামড়া থেকে আয়ের এ খাতটি একেবারেই উপেক্ষা করেননি। প্রচলিত পদ্ধতিকে অপছন্দ করেছেন। মানসম্মত বিকল্প পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাদরাসা কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষ অসিয়ত থাকল, তারা যেন ছাত্রদের এভাবে চামড়া সংগ্রহ করতে না পাঠায়। বরং মাদরাসা প্রাঙ্গণে ও শহরের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প থাকবে। সেখানে মাদরাসাদরদী জনগণ নিজেদের দায়িত্বে চামড়া পৌঁছাবেন। আল্লাহ পাকের ওপর ভরসা করে মাদরাসা চালান। হেয়তাপূর্ণ কাজ বন্ধ করুন।’ (আমিরে শরিয়ত মাওলানা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী হুজুর রহ./ লেখক : নাসীম আরাফাত, পৃষ্ঠা : ১৯)

    ছাত্র শিক্ষকদের দিয়ে কালেকশন করানো পছন্দ করতেন না হাফেজ্জি হুজুর রহ. এর পীর হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলি থানবি রহ.। তিনি বলতেন, ‘আলেমদের চাঁদা কালেকশনের দ্বারা দ্বীনের বড় অসম্মানি হচ্ছে। সাধারণ জনগণ মনে করে, আলেমরা বুঝি নিজেদের জন্যই এত দৌড়ঝাঁপ করছে। এ জন্য আমার অভিমত হল, আলেমগণ কিছুতেই চাঁদা কালেকশনে যাবেন না; বরং দ্বীনের কোন কাজ করতে হলে সমাজের গণ্যমান্য ধনাঢ্য ব্যক্তিদের একত্রিত করে বলে দিবেন, দ্বীনের হেফাজতের জন্য অমুক কাজটি করা দরকার। আপনারাও চিন্তা করে দেখুন এর প্রয়োজন রয়েছে কিনা। যদি আপনাদের দৃষ্টিতেও প্রয়োজনীয় মনে হয় তাহলে সকলে মিলে এ কাজটি আঞ্জাম দেওয়ার ব্যবস্থা করুন… আলেমগণ মূল কাজ করবেন। সম্পদশালীগণ অর্থের যোগান দিবেন। আর যদি সমাজের গণ্যমান্য ধনাঢ্য ব্যক্তিরা বলে এ কাজের প্রয়োজন নেই; বরং এটি অনর্থক তাহলে আলেমদের পক্ষে চাঁদা কালেকশনের প্রয়োজন নেই। সে কাজ বন্ধ করে ঘরে বসে থাকবেন। ব্যবসা, চাষাবাদ কিংবা অন্য কোন পেশায় লিপ্ত হোন এবং অবসর সময় যতটুকু সম্ভব দ্বীনের কাজ করুন… আমার মতে আলেমদের দ্বারা চাঁদা কালেকশন করাবেন না। তাদেরকে চাঁদা আদায়ের কাজে নিযুক্ত করবেন না। এতে তাদের গুরুত্ব ও মর্যাদা কমে যায়। (আল-ইলমু ওয়াল-উলামা। অনুবাদ : আব্দুল গাফফার শাহপুরী। পৃষ্ঠা : ৩১০-৩১১)

    📝 Collected
    نحن الذين بايعوا محمدا ﷺ على الجهاد ما بقينا أبدا

  • #2
    দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে চামড়া কালেকশান করতে মাদ্রাসায় কত ভাবে যে তাশকিল করা হয়, সুবহানাল্লাহ। আমিও এ বিষযটি নিয়ে হুজুরদের সাথে আলোচনা করেছিলাম, তারা এক প্রকার না শোনার ভান করেন।

    সাধারণ জনগণ মনে করে, আলেমরা বুঝি নিজেদের জন্যই এত দৌড়ঝাঁপ করছে।
    সাধারণ জনগণ এমনটা মনে করে কি-না আমার জানা নাই, তবে উনারা যখন না শোনার ভান করেন, তখন এমনটাই মনে হয়।

    আরও একটি বিষয় খারাপ লাগে --- সকলের খাবার একসাথে রান্না করা। যারা টাকা দিয়ে খায়, আর যারা গুরাবা ফান্ড থেকে খায়, উভয়ের খাবার একসাথে রান্না করা হয়। এমনকি এই বিষয়টা মাদ্রাসার অনেক আলেমও পছন্দ করেন না, ফলে অনেক আলেমকে দেখেছি, নিজের খাবার নিজে রান্না করে খান।

    আমরা কমফর্ট জোন থেকে বের হতে রাজি নই। আমরা আরামদায়ক জোন থেকে বের হতে রাজি নই।

    Comment


    • #3
      খুব সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা
      আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝার মানার ও আমল করার তাওফিক দান করুক। আমীন। আমীন। আমীন।

      Comment

      Working...
      X