হজ্ব-কুরবানি না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে হবে কি?
# কুরবানি না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে কুরবানি আদায় হবে কি’না?
# কিংবা আকীকা না করে আকীকার টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে আকীকা আদায় হবে কি’না?
# এমনিভাবে হজ্ব উমরা না করে টাকা ইমারায় দিয়ে দিলে হজ্ব উমরা আদায় হবে কি’না?
# কিংবা এসবের টাকা দুঃখী, অসহায়, দুর্ভিক্ষপীড়িত, যুদ্ধবিধ্বস্ত কিংবা বন্যাকবলিত মুসলিমদের দিয়ে দিলে এসব ইবাদাত আদায় হবে কি’না?
উত্তর: হজ্ব, উমরা, কুরবানি, আকীকা, জিহাদ- এ সবগুলো ভিন্ন ভিন্ন ইবাদাত। একটি করার দ্বারা আরেকটি আদায় হবে না। অতএব, ইমারায় টাকা দিয়ে দিলে এসব ইবাদাত আদায় হবে না।
এমনিভাবে অসহায় মুসলিমদের সাহায্য করা আলাদা একটি ফরিজা। এটি আলাদাভাবে আদায় করতে হবে। হজ্ব-উমরা বা কুরবানি-আকীকার টাকা দিয়ে দিলে সাহায্য করার ফরিজা তো আদায় হবে, কিন্তু এ ইবাদাতগুলো আদায় হবে না।
অতএব, যার উপর কুরবানি ওয়াজিব তাকে কুরবানি করতে হবে। হজ্ব ফরয হয়ে থাকলে হজ্ব করতে হবে। উমরা করতে চাইলেও শরীয়তের নির্দেশমতো উমরা করতে হবে, ইমারায় বা অসহায় মুসলিমদের সাহায্যে টাকা দিলে হবে না।
এমনিভাবে আকীকা করতে চাইলে শরীয়তের স্বাভাবিক নিয়মমতো আকীকা করতে হবে, টাকা দিয়ে দিলে আকীকার সুন্নত আদায় হবে না।
মোটকথা সবগুলো আলাদা আলাদা ইবাদাত, আলাদা আলাদা আদায় করতে হবে। টাকা দিয়ে দেয়ার দ্বারা আদায় হবে না।
তবে হাঁ, একটা ব্যাপার আছে। তা হলো, আপনি কুরবানি করে গোশত দিতে পারেন। কিংবা কুরবানির টাকা ইমারায় বা আফগানিস্তানে বা কাশ্মিরে দিয়ে দিলেন এবং বলে দিলেন যে, এটা কুরবানির টাকা, তারা আপনার উকিল হয়ে আপনার পক্ষ থেকে কুরবানি করে দেবেন। এতে আপনার কুরবানি আদায় হবে, পাশাপাশি অসহায়দের সহায়তার সওয়াবও পাবেন।
আকীকার ক্ষেত্রেও এমনটা করলে করা যেতে পারে। তারা আপনার পক্ষ থেকে আকীকা করে নেবেন।
অবশ্য হজ্ব উমরার ক্ষেত্রে এমন কোনো সূরত নেই। এগুলো নিজেকেই আদায় করতে হবে। নিজে করার সামর্থ্য যতদিন আছে, অন্যকে দিয়ে করানোর সুযোগ নেই। ওয়াল্লাহু তাআলা আ’লাম।
Comment