শারীয়াহর মাপকাঠি, দালিল-আদিল্লাকে পাশ কাটিয়ে অন্ধভাবে ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের অনুসরন (আলেম, দা'ঈ ও তলিবুল 'ইলম)জিহাদি মানহাজের অনুসারী বলে আওয়ামের কাছে পরিচিত অনেক ভাইকেই নিস্ক্রিয়তার মানহাজে নিয়ে গেছে। আবার তাদের পরিচিতির কারনে অনেকের কাছে তাদের বিভ্রান্তিকর অবস্থান মানহাজের অবস্থান বলে প্রচার পাচ্ছে। মানহাজের বিশুদ্ধতার জন্য নিস্ক্রিয়তার মানহাজের অনুসারীদের চিন্তাগত ত্রুটিগুলো তুলে ধরা একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছিঃ
নিমোক্ত লেখাটি আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর ফেইসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় -
"১৯৯১ সালে মদীনায় যাচ্ছি কিং সাঊদ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে। তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিং সাঊদের ইসলামিক স্টাডিজ তাঁর পছন্দ ছিলো না। তিনি তখন পিএইচডি থিসিস শুরু করেছেন। বিদেশিদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত ছড়াতেন। ইংরেজিতে খুব ভালো ছিলেন বলে আমেরিকান সেনা ছাউনিতে তিনি ইসলাম পৌঁছানোর কাজ করতেন। জিজ্ঞাসা করলাম- ভাই, কয়জন ইসলাম কবুল করেছেন? তিনি বললেন, "বলা নিষেধ, তবে আপনাকে একটা কথা বলি, ওদের মাঝে ইসলাম পৌঁছাতে পারলে তারা উন্মুখ হয়ে আছে"। ঐ বছরেই শুনেছিলাম ড. জগলুল নাজ্জার ও জাহাঙ্গীর ভাইদের দাওয়াতে তিন শতাধিক সৈন্য মুসলিম হয়ে যায়। সরকারি হস্তক্ষেপে এই দাওয়াতি কাজ বন্ধ রাখা হয়।
ঈমানের সাথে ইলম, ইলমের সাথে আমল এবং আমলের সাথে এত হিলম আমি আর কারো মাঝে পাইনি। তিনি সবার সাথে মিশতে পারার এক দুর্লভ গুণ অর্জন করেছিলেন। তবে সহীহ হাদীসের এক চুল দূরে যেতে ছিলো তাঁর প্রচন্ড আপত্তি।
"ভাই, জামাআতে ইসলামির সাথে বা তাবলীগের সাথে, বা কোন অর্গানাইজেশনের সাথে থেকে কাজ করলে কি বেশি ভালো হত না?"- আমার এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, "সালাম ভাই, বাংলাদেশে ৯০% মুসলিম, এদের মাঝে দল করা মানে এদেরকে বিভক্ত করে ফেলা। বাংলাদেশের সব মুসলমানের সাথেই আমি থাকি, সে ভালো"। আমি বললাম, "কিন্তু কেও তো আপনাকে মেনে নেবে না, তাছাড়া, কারো না কারো সাথে থাকলে একটু সাহায্য পাবেন"। তিনি বললেন, "সবাই মেনে নেবে সালাম ভাই। কারণ কালেমার দাওয়াত এমন যে, ঐটা ব্যবহার করে দেখেন না একজন ভিক্ষুকও সব মুসলমানদের দয়া আর সাহায্য পায়। আমি না হয় ঐক্যের ভিক্ষুক হই। কালেমা নিয়ে সবার কাছে যাই, তাড়ায়ে দিলেও মারতে পারবেনা কেও"। চোখ খুলে দিলেন আমাকে।"
[শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের স্মৃতিচারণে শায়খ আব্দুস সালাম আজাদীর বক্তব্যের একাংশ]
এই লাইনটির দিকে লক্ষ্য করুন-
ঐ বছরেই শুনেছিলাম ড. জগলুল নাজ্জার ও জাহাঙ্গীর ভাইদের দাওয়াতে তিন শতাধিক সৈন্য মুসলিম হয়ে যায়। সরকারি হস্তক্ষেপে এই দাওয়াতি কাজ বন্ধ রাখা হয়।
অর্থাৎ আব্দুল্লাহ জাহানগির সাহেব জাযিরাতুল আরবে, বিলাদুল হারামাইনে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস উপেক্ষে করে যেসব মুশরিক-কাফির আমেরিকান সেনা আনা হয়েছিল তাদের কে গিয়ে ইসলামের দাওয়াহ দিচ্ছিলেন। যদিও একজন আলেম হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল ক্বুর'আন সুন্নাহ পরিপন্থী এই সিদ্ধান্তের (জাযিরাতে কাফির সেনার প্রবেশ) প্রতিবাদ করা। যদি আসলেই "তবে সহীহ হাদীসের এক চুল দূরে যেতে ছিলো তাঁর প্রচন্ড আপত্তি" - এই কথা সত্য হয়ে থাকে তবে নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুশয্যায় যে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই নির্দেশের এরকম নির্লজ্জ উপেক্ষা ও স্পষ্ট অবাধ্যতা মেনে নিতে তার "প্রচন্ড আপত্তি" থাকার কথা ছিল। তবে তার এতে প্রচন্ড কেন, কোন রকমের আপত্তি ছিল বলে জানা যায় না। যাই হোক, আমরাও আপাতত নাহয় এ বিষয়টুকু বাদ দিলাম। কিন্তু তবুও এর চাইতেও গুরুতর একটি বিষয় থেকে যায়। আব্দুস সালাম আজাদী বক্তব্য অনুযায়ী কাফিরদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ চলছিল পরে, সরকারের অর্থাৎ আল সাউদের নির্দেশে দাওয়াতী কাজ বন্ধ করা হয়।
আমাদের সহাল মিডিয়ার ভাইরা এ লেখাটি পড়ে, উম্মাহর ঐক্যনিয়েআব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সবাই আবেগে গদগদ হয়ে পরেন। অথচ এই আপাত নির্দোষ লেখার মধ্যে কতো গুরুতর বিষয় লুকিয়ে আছে তা আমাদের বুঝদার বলে পরিচিত ভাইদের চোখে ধরা পরে নি, কিংবা ধরা পড়লেও তারা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নি।
প্রশ্ন হল আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীররা কাফিরদের কিসের দাওয়াত দিচ্ছিলেন? দ্বীন ইসলামের। আজাদী সাহেবের ভাষ্য মতে ৩০০ সেনা এতে ইসলাম গ্রহনও করেছিল। পরে এই দাওয়াত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার নির্দেশে? আল সাউদ সরকারের নির্দেশে। প্রশ্ন হল এর আগে ঐ পবিত্র ভূমিতে শেষবার কখন দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল?
সকল মুসলিম এটা জানে, আলেমরা তো অবশ্যই জানে এর আগে এই পবিত্র ভূমিতে দ্বীন ইসলামের দাওয়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, মক্কার ক্বুরাইশরা। আবু জাহল, আবু সুফিয়ান, ওয়ায়লিদ বিন মুগীরা, উমাইয়্যা বিন খালাফরা। এবং মক্কা বিজয়ের পর থেকে আর কেউ বিলাদুল হারামাইনে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নি। আল সাউদ ছাড়া।
নিশ্চিত ভাবেই এ হল আল সাউদের কুফর বাওয়াহ বা সুস্পষ্ট কুফর। শুধুমাত্র মক্কার ক্বূরাইশ না, যুগে যুগে কাফিরদের সবার মধ্যে যে একটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল তা হলে তারা আল্লাহর দ্বীনের প্রতি মানুষকে আহবান করাকে বেআইনী ঘোষনা করতো। নূহ আলাইহিস সালামের ক্বওম থেকে শুরু করে নমরুদ, ফিরআউন, 'আদ, সামুদ, ক্বওমে লূত, প্রতিটি কাফির ক্বওম এবং তাদের নেতৃবৃন্দের অবস্থান ছিল এটাই - আল্লাহর দ্বীনের প্রতি আহবান করাকে বেআইনি ঘোষণা করা, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
এবং আল্লাহ শত্রু ও উম্মাহর শত্রু মুরতাদ আল-সাউদ ঠিক এই একই কাজ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে হাদীসের বিরোঢিতার ব্যাপারে "প্রচন্ড আপত্ত্তি" থাকা, "সাহীহ" বুঝ সম্পন্ন, উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে এতো চিন্তিত আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেবরা যখন এই সুস্পষ্ট কুফর দেখলেন তখন তারা কি করলেন?
আমরা যা প্রকাশ্যে তার ভিত্তিতে বলতে পারি তিনি সহ অন্যান্য এ ঘরানার শায়খরা তা উপেক্ষা করলেন, এবং আল সাউদের এই কুফরের আনুগত্য করলেন এবং তাদের সাসঙ্কে বৈধতা দিয়ে যেতে লাগ্লেন তাদের বক্তব্য, কলম এবং ফাতাওয়ার মাধ্যমে এবং যারা এধরনের কুফরকে কুফর বলে প্রকাশ করলো, সেসব মুওয়াহিদীনকে তারা খাওয়ারিজ, অবিবেচক, মূর্খ, হঠকারী আখ্যা দিলেন। তাহলে কিভাবে আপনি এরকম একটি অবস্থানের পক্ষে অজুহাত খুজে বের করবেন? এবং কিভাবে আপনি এর পক্ষে যুক্তি দেবেন? এবং ে পর্যায়ের বিচ্যুতি উপেক্ষা করবেন? যে খিয়ানত আপনার সাথে হয়েছে আপনি সেটা মাফ করতে পারেন, কিন্তু আল্লাহ-র দ্বীনের সাথে, কিতাব ও সুন্নাহর সাথে এই খিয়ানত মাফ করার আমি বা আপনি কে? আর তা উপেক্ষা করার আমার বা আপনার এখতিয়ার কি? কিভাবে এই সুস্পষ্ট বিচ্যুতি উপেক্ষা করে আমি দাবী করতে পারি যে ব্যক্তি এরকম করেছে সে আল্লাহ-র দ্বীনের দা'ঈ হিসেবে দায়িত্ব পূর্ণ করেছে? দ্বীনের হাক্ক আদায় করেছে? 'ইলমের সংরক্ষন করেছে এবং উম্মাহকে পথ দেখিয়েছে?
অথচ আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনুগত্য করার শপথ নিয়েছি!
-
লিখেছেনঃ ভাই Abu Anwar al Hindi (হাফি)
নিমোক্ত লেখাটি আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পর ফেইসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় -
"১৯৯১ সালে মদীনায় যাচ্ছি কিং সাঊদ বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে। তিনি খুশি হয়েছিলেন। কিং সাঊদের ইসলামিক স্টাডিজ তাঁর পছন্দ ছিলো না। তিনি তখন পিএইচডি থিসিস শুরু করেছেন। বিদেশিদের মাঝে ইসলামের দাওয়াত ছড়াতেন। ইংরেজিতে খুব ভালো ছিলেন বলে আমেরিকান সেনা ছাউনিতে তিনি ইসলাম পৌঁছানোর কাজ করতেন। জিজ্ঞাসা করলাম- ভাই, কয়জন ইসলাম কবুল করেছেন? তিনি বললেন, "বলা নিষেধ, তবে আপনাকে একটা কথা বলি, ওদের মাঝে ইসলাম পৌঁছাতে পারলে তারা উন্মুখ হয়ে আছে"। ঐ বছরেই শুনেছিলাম ড. জগলুল নাজ্জার ও জাহাঙ্গীর ভাইদের দাওয়াতে তিন শতাধিক সৈন্য মুসলিম হয়ে যায়। সরকারি হস্তক্ষেপে এই দাওয়াতি কাজ বন্ধ রাখা হয়।
ঈমানের সাথে ইলম, ইলমের সাথে আমল এবং আমলের সাথে এত হিলম আমি আর কারো মাঝে পাইনি। তিনি সবার সাথে মিশতে পারার এক দুর্লভ গুণ অর্জন করেছিলেন। তবে সহীহ হাদীসের এক চুল দূরে যেতে ছিলো তাঁর প্রচন্ড আপত্তি।
"ভাই, জামাআতে ইসলামির সাথে বা তাবলীগের সাথে, বা কোন অর্গানাইজেশনের সাথে থেকে কাজ করলে কি বেশি ভালো হত না?"- আমার এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, "সালাম ভাই, বাংলাদেশে ৯০% মুসলিম, এদের মাঝে দল করা মানে এদেরকে বিভক্ত করে ফেলা। বাংলাদেশের সব মুসলমানের সাথেই আমি থাকি, সে ভালো"। আমি বললাম, "কিন্তু কেও তো আপনাকে মেনে নেবে না, তাছাড়া, কারো না কারো সাথে থাকলে একটু সাহায্য পাবেন"। তিনি বললেন, "সবাই মেনে নেবে সালাম ভাই। কারণ কালেমার দাওয়াত এমন যে, ঐটা ব্যবহার করে দেখেন না একজন ভিক্ষুকও সব মুসলমানদের দয়া আর সাহায্য পায়। আমি না হয় ঐক্যের ভিক্ষুক হই। কালেমা নিয়ে সবার কাছে যাই, তাড়ায়ে দিলেও মারতে পারবেনা কেও"। চোখ খুলে দিলেন আমাকে।"
[শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের স্মৃতিচারণে শায়খ আব্দুস সালাম আজাদীর বক্তব্যের একাংশ]
এই লাইনটির দিকে লক্ষ্য করুন-
ঐ বছরেই শুনেছিলাম ড. জগলুল নাজ্জার ও জাহাঙ্গীর ভাইদের দাওয়াতে তিন শতাধিক সৈন্য মুসলিম হয়ে যায়। সরকারি হস্তক্ষেপে এই দাওয়াতি কাজ বন্ধ রাখা হয়।
অর্থাৎ আব্দুল্লাহ জাহানগির সাহেব জাযিরাতুল আরবে, বিলাদুল হারামাইনে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস উপেক্ষে করে যেসব মুশরিক-কাফির আমেরিকান সেনা আনা হয়েছিল তাদের কে গিয়ে ইসলামের দাওয়াহ দিচ্ছিলেন। যদিও একজন আলেম হিসেবে তার দায়িত্ব ছিল ক্বুর'আন সুন্নাহ পরিপন্থী এই সিদ্ধান্তের (জাযিরাতে কাফির সেনার প্রবেশ) প্রতিবাদ করা। যদি আসলেই "তবে সহীহ হাদীসের এক চুল দূরে যেতে ছিলো তাঁর প্রচন্ড আপত্তি" - এই কথা সত্য হয়ে থাকে তবে নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুশয্যায় যে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, সেই নির্দেশের এরকম নির্লজ্জ উপেক্ষা ও স্পষ্ট অবাধ্যতা মেনে নিতে তার "প্রচন্ড আপত্তি" থাকার কথা ছিল। তবে তার এতে প্রচন্ড কেন, কোন রকমের আপত্তি ছিল বলে জানা যায় না। যাই হোক, আমরাও আপাতত নাহয় এ বিষয়টুকু বাদ দিলাম। কিন্তু তবুও এর চাইতেও গুরুতর একটি বিষয় থেকে যায়। আব্দুস সালাম আজাদী বক্তব্য অনুযায়ী কাফিরদের মধ্যে দাওয়াতী কাজ চলছিল পরে, সরকারের অর্থাৎ আল সাউদের নির্দেশে দাওয়াতী কাজ বন্ধ করা হয়।
আমাদের সহাল মিডিয়ার ভাইরা এ লেখাটি পড়ে, উম্মাহর ঐক্যনিয়েআব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সবাই আবেগে গদগদ হয়ে পরেন। অথচ এই আপাত নির্দোষ লেখার মধ্যে কতো গুরুতর বিষয় লুকিয়ে আছে তা আমাদের বুঝদার বলে পরিচিত ভাইদের চোখে ধরা পরে নি, কিংবা ধরা পড়লেও তারা গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন নি।
প্রশ্ন হল আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীররা কাফিরদের কিসের দাওয়াত দিচ্ছিলেন? দ্বীন ইসলামের। আজাদী সাহেবের ভাষ্য মতে ৩০০ সেনা এতে ইসলাম গ্রহনও করেছিল। পরে এই দাওয়াত কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কার নির্দেশে? আল সাউদ সরকারের নির্দেশে। প্রশ্ন হল এর আগে ঐ পবিত্র ভূমিতে শেষবার কখন দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল?
সকল মুসলিম এটা জানে, আলেমরা তো অবশ্যই জানে এর আগে এই পবিত্র ভূমিতে দ্বীন ইসলামের দাওয়াতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল, মক্কার ক্বুরাইশরা। আবু জাহল, আবু সুফিয়ান, ওয়ায়লিদ বিন মুগীরা, উমাইয়্যা বিন খালাফরা। এবং মক্কা বিজয়ের পর থেকে আর কেউ বিলাদুল হারামাইনে দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নি। আল সাউদ ছাড়া।
নিশ্চিত ভাবেই এ হল আল সাউদের কুফর বাওয়াহ বা সুস্পষ্ট কুফর। শুধুমাত্র মক্কার ক্বূরাইশ না, যুগে যুগে কাফিরদের সবার মধ্যে যে একটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল তা হলে তারা আল্লাহর দ্বীনের প্রতি মানুষকে আহবান করাকে বেআইনী ঘোষনা করতো। নূহ আলাইহিস সালামের ক্বওম থেকে শুরু করে নমরুদ, ফিরআউন, 'আদ, সামুদ, ক্বওমে লূত, প্রতিটি কাফির ক্বওম এবং তাদের নেতৃবৃন্দের অবস্থান ছিল এটাই - আল্লাহর দ্বীনের প্রতি আহবান করাকে বেআইনি ঘোষণা করা, নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা।
এবং আল্লাহ শত্রু ও উম্মাহর শত্রু মুরতাদ আল-সাউদ ঠিক এই একই কাজ করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে হাদীসের বিরোঢিতার ব্যাপারে "প্রচন্ড আপত্ত্তি" থাকা, "সাহীহ" বুঝ সম্পন্ন, উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে এতো চিন্তিত আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর সাহেবরা যখন এই সুস্পষ্ট কুফর দেখলেন তখন তারা কি করলেন?
আমরা যা প্রকাশ্যে তার ভিত্তিতে বলতে পারি তিনি সহ অন্যান্য এ ঘরানার শায়খরা তা উপেক্ষা করলেন, এবং আল সাউদের এই কুফরের আনুগত্য করলেন এবং তাদের সাসঙ্কে বৈধতা দিয়ে যেতে লাগ্লেন তাদের বক্তব্য, কলম এবং ফাতাওয়ার মাধ্যমে এবং যারা এধরনের কুফরকে কুফর বলে প্রকাশ করলো, সেসব মুওয়াহিদীনকে তারা খাওয়ারিজ, অবিবেচক, মূর্খ, হঠকারী আখ্যা দিলেন। তাহলে কিভাবে আপনি এরকম একটি অবস্থানের পক্ষে অজুহাত খুজে বের করবেন? এবং কিভাবে আপনি এর পক্ষে যুক্তি দেবেন? এবং ে পর্যায়ের বিচ্যুতি উপেক্ষা করবেন? যে খিয়ানত আপনার সাথে হয়েছে আপনি সেটা মাফ করতে পারেন, কিন্তু আল্লাহ-র দ্বীনের সাথে, কিতাব ও সুন্নাহর সাথে এই খিয়ানত মাফ করার আমি বা আপনি কে? আর তা উপেক্ষা করার আমার বা আপনার এখতিয়ার কি? কিভাবে এই সুস্পষ্ট বিচ্যুতি উপেক্ষা করে আমি দাবী করতে পারি যে ব্যক্তি এরকম করেছে সে আল্লাহ-র দ্বীনের দা'ঈ হিসেবে দায়িত্ব পূর্ণ করেছে? দ্বীনের হাক্ক আদায় করেছে? 'ইলমের সংরক্ষন করেছে এবং উম্মাহকে পথ দেখিয়েছে?
অথচ আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনুগত্য করার শপথ নিয়েছি!
-
লিখেছেনঃ ভাই Abu Anwar al Hindi (হাফি)
Comment