ঈমানী আকায়েদ ও শরিয়তের স্পষ্টভাবে ঘোষিত বিষয়ের বিকৃতি ও অপব্যখ্যা অ¯^ীকারেরই এক প্রকার
ঈমানী আকায়েদ ও ইসলামের বিধি-বিধান সমূহ অ¯^ীকার করা, অবজ্ঞা ও বিদ্রুপ করা যেমন কুফর, তেমনি এগুলোর কোন একটির ও এমন কোন ব্যাখ্যা করাও সরাসরি কুফর, যার দ্বারা তার প্রকৃত র্অথই বদলে যায়। কোন কিছুর অপব্যখ্যা ও র্অথের বিকৃতি হচ্ছে ঐ বিষয়টি অ¯^ীকারের ভয়াবহতম প্রকার। ঈমানের বিষয় গুলোর উপর প্রতিষ্ঠিত অর্থেই ঈমান আনতে হবে। নিজের প¶ থেকে সেগুলোর কোন র্অথ র্নিধারণ করে বা কোন বেদ্বীনের উদ্ভাবিত র্অথ গ্রহণ করে ঈমানের দাবি করা। সর্ম্পুণ-ঝিনদিকি ও সুস্পষ্ট মুনাফেকী।
যেখানে কোন বিধান ও বিশ্বাসের র্অথ আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর যুগ থেকে অসংখ্য মু’মিনের সুসংহত সূত্রে চলে আসছে ও প্রতি যুগে মুসলিম উম্মাহর ইজমা ও ঐক্যমত বিদ্যমান থাকে সেখানে ভিন্ন ব্যাখ্যার অবকাশ নেই। কারণ সেখানে ঐ র্অথই নিশ্চিত ও র্নিধারিত। ওখানে ভিন্ন ব্যাখ্যার র্অথ ঐ অকাট্য ও প্রতিষ্ঠিত বিষয়কে অ¯ি^কার করা। যেমন কেহ বললো, নামাজ সত্য কিন্তু আসল নামাজ তা নয় যা মুসলমান প্রচলিত পদ্ধতিতে আদায় করে। আসল নামাজ তো মনের নামাজ, যা দোয়ার অর্থে। যে তা আদায় করতে পারে তার দেহের নামাজের প্রয়োজন নেই (নাউযুবিল্লাহ) ।
কিংবা বললো ইসলাম মানে শান্তি, বিধায় ইসলাম র্ধম মানে শান্তির র্ধম, তাই তাতে যুদ্ধ নেই, সংঘাত নেই,রক্তপাত নেই,মারামারি নেই।অতএব যারা র্ধমীয় উম্মাদনায় প্রভাবিত হয়ে যারা যুদ্ধ, জিহাদ,গুপ্ত হত্যা ও আত্মঘাতি আক্রমণ করার মাধ্যমে মানুষের ¶তিশাধন করে তারা সন্ত্রাস , আর এ সন্ত্রাসী র্কাযকলাপকে ইসলাম সর্মথন করেনা। কিংবা বললো, শসস্ত্র জিহাদের তুলনায় নফসের জিহাদই বড় জিহাদ। অতএব ছোট জিহাদের (অস্ত্রর) প্রতি মনোনিবেশ না করে বড় জিহাদে র্অথাৎ নফসের কন্ট্রলের দিকে আত্মনিয়োগ করা উচিৎ বলে শসস্ত্র জিহাদকে অ¯^ীকার করে।
কিংবা বললো, জিহাদ র্অথ চেষ্টা, সুতরাং আমরা মিছিল মিটিং, হরতাল-অবরোধ, দাওয়াত ও তাবলীগ ও দরস ও তাদরীস ও লিখনীর মাধ্যমে দ্বীনের বিজয়ের চেষ্টা করছি। অতএব, আমরাতো জিহাদের মধ্যেই আছি,তাই শসস্ত্র জিহাদের প্রয়োজন নেই। কিংবা বললো, নবী(সঃ) আমাদের মত মাটির তৈরীর মানুষ নয়,নবী (সঃ) আল্লাহর জাতি নূরের তৈরী কিন্তু মাটির তৈরি নয়।
কিংবা বলল, আল্লাাহ্ যেমন গায়েব জানেন নবী (সঃ) ও তেমন গায়েব জানেন । অথবা বলল, নবী গায়েব জানেন তবে আল্লাহ্ যদি জানায় ।কিংবা বলল, আল্লাহ যেমন একি সময় মব জায়গায় হাজির নাজির তদ্রুপ নবী ও একি সময় সব জায়গায় হাজির নাজির ।
তো এই সব কুফুরী ব্যাখ্যা এবং এজাতীয় আরও অসংখ্য ব্যাখ্যা আছে যার দ্বারা ইসলামের অকাট্য বিষয়কে অ¯^ীকার করা হয় । আর এ অ¯^ীকারকে গোপন করার জন্য অপব্যাখ্যা করে নিজেদেরকে সাধারণ কাফিরের চেয়েও ভয়াবহ প্রকারের কাফির, মুলহিদ, যিন্দীক ও মুনাফিকের সারিতে অন্তর্ভূক্ত করে ।
সুতরাং আল্লাহ্ তায়ালার নিন্মের সাবধান বাণীর প্রতি গভীরভাবে নজর দেওয়া উচিৎ । যাতে সংশোধনের পথ খুলে যায়:-
ان الذين يلحدون فى اياتنا لايخفون علينا افمن يلقى في النارخير ام من يأتي امنا يوم القيامةاعملوماشئتم انه بماتعملون بصير-
অর্থ: যারা আমার আয়াত সমূহকে ( অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ) বিকৃতি করে তারা আমার অগোচরে নয় । শ্রেষ্ঠ কে যে ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সে-না যে কিয়মতের দিন নিরাপদে থাকবে সে ? তোমাদের যা ইচ্ছা কর; তোমরা যা কর তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা সূরা হামীম আস সাজদা আয়াত:-৪০
দ্বীনকে অপব্যাখ্যা হতে রক্ষা জন্য মহান আল্লাহ্্ তায়ালা মুমিনদের সর্বসম্মত পথ যে মানদন্ড বানিয়েছেন । এবং মুমিনের সর্ব সম্মত পথ থেকে বিচ্যুতিকে রাসূল (স এ বিরুদ্বতার মতো জাহান্নামে যাওয়ার কারণ সাব্যস্ত করেছেন । একারনে ইসলাম আকীদা বা তার বিধানের এমন অপব্যাখ্যার ঠিকানা জাহান্নাম, যা উম্মাহর সর্বসম্মত ব্যখ্যার বিরুধী । যাহা নি¤েœ মহান আল্লাহ্্র বাণীর প্রতি দৃণ্টি দিলে পরিলক্ষিত হয়।
ঈমানী আকায়েদ ও ইসলামের বিধি-বিধান সমূহ অ¯^ীকার করা, অবজ্ঞা ও বিদ্রুপ করা যেমন কুফর, তেমনি এগুলোর কোন একটির ও এমন কোন ব্যাখ্যা করাও সরাসরি কুফর, যার দ্বারা তার প্রকৃত র্অথই বদলে যায়। কোন কিছুর অপব্যখ্যা ও র্অথের বিকৃতি হচ্ছে ঐ বিষয়টি অ¯^ীকারের ভয়াবহতম প্রকার। ঈমানের বিষয় গুলোর উপর প্রতিষ্ঠিত অর্থেই ঈমান আনতে হবে। নিজের প¶ থেকে সেগুলোর কোন র্অথ র্নিধারণ করে বা কোন বেদ্বীনের উদ্ভাবিত র্অথ গ্রহণ করে ঈমানের দাবি করা। সর্ম্পুণ-ঝিনদিকি ও সুস্পষ্ট মুনাফেকী।
যেখানে কোন বিধান ও বিশ্বাসের র্অথ আল্লাহর রাসূল (সঃ) এর যুগ থেকে অসংখ্য মু’মিনের সুসংহত সূত্রে চলে আসছে ও প্রতি যুগে মুসলিম উম্মাহর ইজমা ও ঐক্যমত বিদ্যমান থাকে সেখানে ভিন্ন ব্যাখ্যার অবকাশ নেই। কারণ সেখানে ঐ র্অথই নিশ্চিত ও র্নিধারিত। ওখানে ভিন্ন ব্যাখ্যার র্অথ ঐ অকাট্য ও প্রতিষ্ঠিত বিষয়কে অ¯ি^কার করা। যেমন কেহ বললো, নামাজ সত্য কিন্তু আসল নামাজ তা নয় যা মুসলমান প্রচলিত পদ্ধতিতে আদায় করে। আসল নামাজ তো মনের নামাজ, যা দোয়ার অর্থে। যে তা আদায় করতে পারে তার দেহের নামাজের প্রয়োজন নেই (নাউযুবিল্লাহ) ।
কিংবা বললো ইসলাম মানে শান্তি, বিধায় ইসলাম র্ধম মানে শান্তির র্ধম, তাই তাতে যুদ্ধ নেই, সংঘাত নেই,রক্তপাত নেই,মারামারি নেই।অতএব যারা র্ধমীয় উম্মাদনায় প্রভাবিত হয়ে যারা যুদ্ধ, জিহাদ,গুপ্ত হত্যা ও আত্মঘাতি আক্রমণ করার মাধ্যমে মানুষের ¶তিশাধন করে তারা সন্ত্রাস , আর এ সন্ত্রাসী র্কাযকলাপকে ইসলাম সর্মথন করেনা। কিংবা বললো, শসস্ত্র জিহাদের তুলনায় নফসের জিহাদই বড় জিহাদ। অতএব ছোট জিহাদের (অস্ত্রর) প্রতি মনোনিবেশ না করে বড় জিহাদে র্অথাৎ নফসের কন্ট্রলের দিকে আত্মনিয়োগ করা উচিৎ বলে শসস্ত্র জিহাদকে অ¯^ীকার করে।
কিংবা বললো, জিহাদ র্অথ চেষ্টা, সুতরাং আমরা মিছিল মিটিং, হরতাল-অবরোধ, দাওয়াত ও তাবলীগ ও দরস ও তাদরীস ও লিখনীর মাধ্যমে দ্বীনের বিজয়ের চেষ্টা করছি। অতএব, আমরাতো জিহাদের মধ্যেই আছি,তাই শসস্ত্র জিহাদের প্রয়োজন নেই। কিংবা বললো, নবী(সঃ) আমাদের মত মাটির তৈরীর মানুষ নয়,নবী (সঃ) আল্লাহর জাতি নূরের তৈরী কিন্তু মাটির তৈরি নয়।
কিংবা বলল, আল্লাাহ্ যেমন গায়েব জানেন নবী (সঃ) ও তেমন গায়েব জানেন । অথবা বলল, নবী গায়েব জানেন তবে আল্লাহ্ যদি জানায় ।কিংবা বলল, আল্লাহ যেমন একি সময় মব জায়গায় হাজির নাজির তদ্রুপ নবী ও একি সময় সব জায়গায় হাজির নাজির ।
তো এই সব কুফুরী ব্যাখ্যা এবং এজাতীয় আরও অসংখ্য ব্যাখ্যা আছে যার দ্বারা ইসলামের অকাট্য বিষয়কে অ¯^ীকার করা হয় । আর এ অ¯^ীকারকে গোপন করার জন্য অপব্যাখ্যা করে নিজেদেরকে সাধারণ কাফিরের চেয়েও ভয়াবহ প্রকারের কাফির, মুলহিদ, যিন্দীক ও মুনাফিকের সারিতে অন্তর্ভূক্ত করে ।
সুতরাং আল্লাহ্ তায়ালার নিন্মের সাবধান বাণীর প্রতি গভীরভাবে নজর দেওয়া উচিৎ । যাতে সংশোধনের পথ খুলে যায়:-
ان الذين يلحدون فى اياتنا لايخفون علينا افمن يلقى في النارخير ام من يأتي امنا يوم القيامةاعملوماشئتم انه بماتعملون بصير-
অর্থ: যারা আমার আয়াত সমূহকে ( অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ) বিকৃতি করে তারা আমার অগোচরে নয় । শ্রেষ্ঠ কে যে ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে সে-না যে কিয়মতের দিন নিরাপদে থাকবে সে ? তোমাদের যা ইচ্ছা কর; তোমরা যা কর তিনি তার সম্যক দ্রষ্টা সূরা হামীম আস সাজদা আয়াত:-৪০
দ্বীনকে অপব্যাখ্যা হতে রক্ষা জন্য মহান আল্লাহ্্ তায়ালা মুমিনদের সর্বসম্মত পথ যে মানদন্ড বানিয়েছেন । এবং মুমিনের সর্ব সম্মত পথ থেকে বিচ্যুতিকে রাসূল (স এ বিরুদ্বতার মতো জাহান্নামে যাওয়ার কারণ সাব্যস্ত করেছেন । একারনে ইসলাম আকীদা বা তার বিধানের এমন অপব্যাখ্যার ঠিকানা জাহান্নাম, যা উম্মাহর সর্বসম্মত ব্যখ্যার বিরুধী । যাহা নি¤েœ মহান আল্লাহ্্র বাণীর প্রতি দৃণ্টি দিলে পরিলক্ষিত হয়।
Comment