Announcement

Collapse
No announcement yet.

‘ফার্মের মুরগী’ ও ‘ফার্মের মানুষ’ কে শ্রেষ্ঠ ?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ‘ফার্মের মুরগী’ ও ‘ফার্মের মানুষ’ কে শ্রেষ্ঠ ?

    একটু পর্যালোচনা করি ।
    একটি ফার্মের মুরগী ডিম ফুটে বের হওয়ার পর পরই খাদ্যের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ে । ঠোঁট দিয়ে খুটে খুটে চারপার্শ্বের আহার খেতে থাকে দ্রুততার সাথে । এই যে শুরু হলো , এমনটি চলতে থাকে একেবারে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত । তার জীবনের লক্ষ উদ্দেশ্য একটিই । উদরপূর্তি করা । একেবারে গলা পর্যন্ত । এরপর বাথরুম করা । পেট খানিকটা খালি হলেই আবার খাদ্যের সন্ধানে ছুটে চলা... মাঝখানে কিছুদিন ডিম পাড়া । পরবর্তী প্রজন্মের আসার ব্যবস্থা করা- ব্যাস এতটুকুই ।

    বর্তমানে আমাদের সমাজেও এমন ‘ফার্মের মুরগী’ টাইপ কতিপয় মানুষের এক বিশাল শ্রেণী আছে । যাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে । যাদের জীবনের লক্ষ্যও ঐ ফার্মের মুরগীর মতোই । শতভাগ মিল । এ যেন ফার্মের মুরগীর ডিজিটাল সংস্করণ । তারা সকালে উঠে গভীর রাতে আবার ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সারা দিন একটিই কাজ । কেবলই খাওয়া আর ভোগ করা এবং বাথরুমে গিয়ে ত্যাগ করা । আর এই ভোগের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা ও তার ব্যবস্থার জন্যই তাদের সারা জীবনের সকল শ্রম-পরিশ্রম । এই প্রজাতির মানুষের অধিকাংশই পেটের খাবারের পাশাপাশি চোখের খাবারের পেছনে অনবরত ছুটতে থাকে মৃত্যু পর্যন্ত ।

    এই ভোগ আর ত্যাগের বাইরে তাদের অন্য কোন বিষয় নিয়ে তেমন কোন চিন্তা নেই । পার্থিব সম্পদের পাহার জমে গেলেও , তিনবেলার দু’বেলাই কেবল রুটি আর জাউয়ের বাইরে অন্য কিছু খেতে না পারলেও তাদের চোখের ক্ষুধা কিন্তু মেটে না , বরং তারা যত পায় তত চাই । এক সাগর সম্পদ পাওয়ার পর আরো দুই সাগর সম্পদ তাদের চাই । চাই-ই চাই । এজন্য তারা প্রয়োজন ভিক্ষার থালা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতেও দ্বিধান্বিত হন না , লুট-পাট কিংবা হানাহানিকেও মন্দ মনে করেন না ।

    ‘ফার্মের মুরগী ও ফার্মের মানুষের মধ্যকার মিল’
    ফার্মের মুরগী সারা জীবন কেবল পানাহার আর প্রজন্ম বিস্তারের পেছনেই নিজের সকল মনোযোগ ব্যয় করে । ফার্মের মানুষও তাদের সারা জীবন এবং সকল চিন্তা ভাবনা কেবলমাত্র সম্পদ উপার্জন ও সন্তান জন্মদানের ব্যাপারেই নিয়োজিত করে থাকে । ফার্মের মুরগী যেমন হালাল-হারাম চিন্তা করে না , তেমনি ফার্মের মানুষগুলোও সম্পদ উপার্জন ও ভোগ-বিলাসের ক্ষেত্র হালাল-হারামের কথা চিন্তা করে না ।

    ‘‘ফার্মের মুরগী আর ফার্মের মানুষের মধ্যকার অমিল’’
    ফার্মের মুরগী জন্মের পরই কারো সহযোগিতা ছাড়া নিজ খাবার নিজে অনুসন্ধান করে খেতে পারে । কিন্তু ফার্মের মানুষ এটা পারে না । একটি দীর্ঘ সময় সে পুরোপুরি অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকে । অনেক ফার্মের বাচ্চার অবস্থা তো এমন যে যৌবনকালেও তাদের হাটা-চলা করতেও অন্যের সহযোগিতা নিতে হয় ।
    ফার্মের মুরগী নিজ সন্তানদের জন্য বিশাল কোন সম্পদ রেখে যায় না । কিন্তু ফার্মের মানুষ নিজ সন্তানদের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ থাকলেও আরো বিশাল থেকে বিশাল সম্পদের পাহার গড়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে । নিজ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিন্তা তাদের পার্থিব এই জীবনকে আরও বে-হিসেবি ও স্বেচ্ছাচারী করে দেয় ।

    ফার্মের মুরগী নিজ খাবারের জন্য কারো সাথে প্রতারণা, বাটপারি কিংবা নিজ স্বার্থের কারণে কাউকে হত্যা করে না । আর ফার্মের মানুষ নিজ স্বার্থের জন্য এধরণের সব কিছুই করে । প্রয়োজনে স্ব-জাতিকে হত্যা করতেও তারা দ্বিধান্বিত হয় না ।
    ফার্মের মুরগী তার স্ব-জাতির কাওকে এভটিজিং, এসিড নিক্ষেপ করে না ফার্মের মানুষ এগুলো সবই অবলীলায় করে যায় ।
    ফার্মের মুরগী তার স্রষ্টা মহান আল্লাহ্*র দেয়া বিধানের বাইরে যায় না কখনোই । আল্লাহ্*র দেয়া বিধানকে অমান্য করা বা তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা তো দুরের কথা । কিন্তু ফার্মের মানুষ এর সবই করে । তারা আল্লাহ্*র স্বার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জ করে নিজেরা স্বার্বভৌমত্বর দাবী করে । তারা আল্লাহ্*র আইন অমান্য করে , নিজেরা আইন প্রণয়ন করে । প্রয়োজনে আল্লাহ্*র আইনকে বাতিল করতেও তারা দ্বিধা করে না । ফার্মের মানুষ আল্লাহ্*র সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করার মতো সূদের কারবারও লিপ্ত হয় । এছাড়াও আরো শত-সহস্র প্রকারের অন্যায় তারা অবলীলায় করে যায় ।

    ফার্মের মুরগী তার স্রষ্টার দেয়া নির্দেশনার আলোকে নিজেকে বিলিয়ে দেয় । প্রয়োজনে নিজের অস্তিত্বের সবটুকু সে মানুষের সেবাই উজাড় করে দেয় । এখেত্রে সে কোন প্রতিবাদ করে না । কিন্তু ফার্মের মানুষ তার রবের নির্দেশ মেনে নিজেকে দীন-ইসলামের জন্য বিলিয়ে দেয়া তো দুরের কথা , সামান্য কষ্ট স্বীকার করতেও রাজি নয় ।

    ফার্মের মুরগীকে কিয়ামতের দিন তার জীবনের সকল আমলের জন্য তেমন বিশাল কোন হিসাব দিতে হবে না । অল্পতেই তার হিসাব মিটে যাবে এবং সে মাটির সাথে মিশে সমান হয়ে যাবে । কিন্তু ফার্মের মানুষ মৃত্যুবরণ করলেই তার জীবন শেষ নয় । বরং পরকালে সে কঠোর জিজ্ঞাসার সম্মুখীন হবে ।

    দীনি ভাইয়েরা !
    উপরোক্ত বিষয়াবলীতে ‘ফার্মের মুরগী’র স্থলে গরু-ছাগল উট ইত্যাদি যে কোন প্রাণীর নাম বসিয়ে দিলেও ফলাফল একই হবে । এটা এটা কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াতের ভাবানুবাদ । এবার আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন , উপরোল্লেখিত ফার্মের মুরগী আর ফার্মের মানুষের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ ???

    আয়াতটি হল !
    و لقد ذرانا لجهنم كثيرا من الجن و الانس لهم قلوب لا يفقهون بها و لهم أعين لا يبصرون بها و لهم آذان لا يسمعون بها أولئك كلانعام بل هم أضل أولئك هم الغافلون
    অর্থ, ‘‘আর জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি বহু জিন ও মানুষ । তাদের রয়েছে অন্তর , কিন্তু তারা তা দ্বারা বুঝে না, তাদের রয়েছে চোখ , কিন্তু তারা তা দ্বারা দেখে না এবং তাদের রয়েছে কান , কিন্তু তারা তা দ্বারা শুনে না । তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত , বরং তার চেয়েও অধিক নিকৃষ্ট । তারাই হচ্ছে গাফেল’’। ( সূরা আ’রাফ , আয়াত ১৭৯)

  • #2
    বাহ! আমি ফার্মের মুরগী খাইনা!!!!!

    Comment


    • #3
      কৌমি মাফ্রাসার একমাত্র উপায় হল, এই ফারমের মুরগী

      Comment


      • #4
        কৌমি মাফ্রাসার একমাত্র উপায় হল, এই ফারমের মুরগী

        বিন মাসলামা ভাই! ‘উপায়’ বলে কি বুঝালেন?
        আর যেটািই বুঝান, আপনি তো এখানে নগ্নভাবে নাপাক দুর্গন্ধময় সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে দোষাদোষী করলেন।
        আনসার আল-ইসলামের কোন ভাই এমনটা করতে পারে না। তারা এই সম্প্রদায়িকতা থেকে মুক্ত আলহামদু লিল্লাহ।
        Last edited by salahuddin aiubi; 07-06-2016, 01:43 PM.

        Comment


        • #5
          salahuddin aiubi ভাই ! আগে ওনাকে বলতে দেন ওনি কি বুঝিয়েছেন । হয়ত ওনি কওমি মাদরাসার কোন দোষ বর্ণনা করেননি । আর এটাই আমরা মনে হয়। কারণ আমাদের উপমহাদেশের অধিকাংশ মুজাহিদ শায়খগন তো কওমি মাদরাসারই ছাত্র।
          ঢালাওভাবে কওমি মাদরাসার দোষ কিভাবে সম্ভব।
          ইয়া রাহমান ! বিশ্বের নির্য়াতিত মুসলিমদেরকে সাহায্য করুন। তাগুতদেরকে পরাজিত করুন। আমিন।

          Comment


          • #6
            আপন সংকির্ন বলয়ে আবদ্ধ খাওয়ালিফদের সুহবতধন্য কায়েদীন দের সবাইকে ফার্মের মুর্গি বলা যায়।

            Comment

            Working...
            X