মুরতাদ হত্যা কি হুদূদের অন্তর্ভুক্ত?!!!
২০১০ থেকে ২০১৩। সাইবার জগতে চলছিল কুলাঙ্গার নাস্তিকদের অশ্লীল লাফালাফি। তাদের বিষে মাখা জঘন্য তীর একের পর এক ছুটছিল আমাদের প্রাণের স্পন্দনের ইজ্জতের দিকে। আমাদের উম্মাহাতের (উম্মাহাতুল মুমিনিন) সম্মানে বিঁধতে ছিল তাদের ধারালো খঞ্জর। এত অশ্লীল ভাষায়, এত জঘন্য শব্দে আক্রমণ করছিল যা ইতিহাসকে বাক-রুদ্ধ করেছিল।
জাগ্রত মুমিনদের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল। চোখগুলো অশ্রু বর্ষণ করছিল। তারা ব্যথায় ছটফট করছিল। তখন আল্লাহ্* রাব্বুল ইজ্জাত এক দল মুমিনকে নির্বাচন করলেন। যারা মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ ও আবদুল্লাহ বিন আতিক রাদিঃ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। যাদের হাত দিয়ে আল্লাহ্* সুবহানাহু ওয়া তায়ালা শাতিমদেরকে শাস্তি প্রদান করেন। মুমিনদের হৃদয়গুলোকে প্রশান্তি দান করেন। তাদের বিষদাঁত অনেকটা ভেঙ্গে যায়। তারা সামনে ২টি পথ দেখতে থাকে “হয়ত দেশ ছেঁড়ে পলায়ান নয়ত চাপাতির কোপে মরণ”।
কিন্তু আফসোস! শত আফসোস!, শাসকের তরবারির ভয়ে বা প্রবৃত্তের তাড়নায় অথবা দুনিয়াবি কিছু আশায়, এই বরকতময় আমালের বিরুদ্ধে এক দল আলেম অবস্থান নিতে থাকে। সংশয় ছড়াতে থাকে। নাউজুবিল্লাহ! এই মহান ইবাদাতকে সন্ত্রাস পর্যন্ত বলতে তাদের বুক একটুও কাঁপে না। মুখে একটুও বাঁধে না। কষ্টটা অনেক বেড়ে যায় যখন ঐ ব্যক্তিদের মাঝে এমন আলেমদেরকেও পাওয়া যায়, যাদেরকে উম্মত মুক্তাদা মনে করেন।
তারা নিজেদের মতকে প্রমাণ করার জন্য কিছু খোঁড়া দলীল-যুক্তি পেশ করতে থাকে। তাদের দলীল বা যুক্তি হচ্ছে এই ---
A. মুরতাদ হত্যা হুদুদের অন্তর্ভুক্ত আর হুদুদের জন্য রয়েছে অনেক শর্ত।
B. মুরতাদ হত্যার দায়িত্ব শাসকের। শাসকের অনুমতি ওয়াজিব। অনুমতি ছাড়া হত্যা হারাম।
C. তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে। তাদেরকে সুযোগ দিতে হবে। এর আগে হত্যা করা জায়েজ হবে না।
আমরা ইনশাআল্লাহ্* ধাপে ধাপে তাদের যুক্তিগুলো খণ্ডন করব। আল্লাহ্* তায়ালা যদি তাউফিক দান করেন।
আমাদের আজকের আলোচনা- ---
মুরতাদ হত্যা কি হুদূদের অন্তর্ভুক্ত?!!!
প্রচলিত একটা ভুল হচ্ছে, মুরতাদ হত্যাকে হুদূদের অন্তর্ভুক্ত করা। আর হুদূদের সকল হুকুম তার মাঝে প্রয়োগ করা। অথচ, না তা হুদূদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত। আর না তার হুকুম আর হুদূদের হুকুম এক। বরং উভয়ের হুকুমের অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্য বিদ্যমান।
দলীল-১
ফিকহে হানাফীর বিশিষ্ট ফকীহ আল্লাম কাসানী রহঃ হুদুদের সংখ্যার ব্যাপারে বলেনঃ
فنقول الحدود خمسة انواع حد السرقة وحد الزنا وحد
الشرب وحد السكر وحد القذف-
আমাদের মত হচ্ছেঃ- হুদূদ পাঁচ প্রকারঃ-
১। চুরির হদ।
২। জেনার হদ।
৩। মদ পানের হদ।
৪। মাতালের হদ।
৫। কযফ এর হদ।
(কযফ-কারো ব্যাপারে জেনার অভিযোগ তোলা, কিন্তু তা প্রমাণ করতে না পারা)
(বাদায়েউস সানায়ে’, অধ্যায়ঃ কিতাবুল হুদূদ)
দলীল-২
হানাফী মাজহাবের প্রসিদ্ধ ফকীহ আল্লাম ইবনে নুজাম রহঃ বলেন---
فكان حكمها الاصلي الانزجار عما يتضرر به العباد وصيانة دار الاسلام عن الفساد، ففي حد الزنا صيانة الانساب، وفي حد السرقة صيانة الاموال، وفي حد الشرب صيانة العقول، وفي حد القذف صيانة الاعراض فالحدود أربعة، وما في البدائع من أنها خمسة وجعل الخامس حد السكر فلا حاجة إليه لان حد السكر هو حد الشرب كمية وكيفية وإن اختلف السبب
হূদুদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বান্দাদেরকে তাদের ক্ষতিকারক বিষয়গুলো থেকে বিরত রাখা। দারুল ইসলামকে ফাসাদ থেকে রক্ষা করা। জেনার হদের মধ্যে নিহিত আছে, বংশের সংরক্ষণ। চুরির হদের মধ্যে রয়েছে মালের সংরক্ষণ। মদ পানের হদের মধ্যে আছে আকল-বিবেকের সংরক্ষণ। আর কযফের হদের মধ্যে ইজ্জতের সংরক্ষণ। সুতারাং হুদুদ চারটি। আর বাদায়েউস সানায়ে এর মধ্যে আছে যে, হুদূদ পাঁচটি, পাঁচ নাম্বারটি হচ্ছে মাতালের হদ। এর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ (শাস্তির) পর্যায় ও অবস্থার দিক থেকে মদপানের যে হদ, মাতালের একই হদ। যদিও বা এর কারণ ভিন্ন হয়। (আল-বাহরুর রায়েক, অধ্যায়ঃ কিতাবুল হুদূদ)
দলীল-৩
হাম্বালি মাজহাবের বিশিষ্ট ফকীহ শায়েখ মানসূর আল-বাহুতি রহঃ বলেন ---
----قتل المرتد لكفره لا حدا ولايجوز أخذ فداء عنه أي عن المرتد بل يقتل بعد الاستتابة لما تقدم من قوله (ص): من بدل دينه فاقتلوه -كشاف القناع-
--- মুরতাদ কে হত্যা করা হবে তার কুফরের কারণে। হদ হিসাবে নয়। মুরতাদ থেকে ফিদিয়া নেয়াও জায়েজ নেই। বরং ইস্তেতাবের (তওবার সুযোগ দেয়া) পর তাকে হত্যা করা হবে যার কারণ পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, যে তার দ্বীনকে পরিবর্তন করে তোমরা তাকে হত্যা কর। (কাশশাফুল কেনা’য়, অধ্যায়ঃ মান ইরতাদ্দা আন দীনিল ইসলাম)
দলীল-৪
সমকালীন আরব সালাফী আলেমগণও একই মত ব্যক্ত করেছেন, মুরতাদকে হত্যা হুদূদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
শায়েখ সলেহ আল-উসাইমীন রহঃ বলেন –
الحد إذا بلغ الإمام لا يستتاب صاحبه بل يقتل بكل حال . أما الكفر، فإنه يستتاب صاحبه وهذا هو الفرق بين الحد، وبين عقوبة الكفر وبهذا نعرف خطأ من أدخل حكم المرتد في الحدود وذكروا من الحدود قتل الردة فقتل المرتد ليس من الحدود- -شرح كتاب التوحيد-
হদের ব্যাপার যখন ইমাম পর্যন্ত পৌঁছবে তখন অপরাধী থেকে আর তাওবা গ্রহণ করা হবেনা বরং সর্বাবস্থায় তাকে হত্যা করা হবে। আর কুফুরের ক্ষেত্রে তাওবা চাওয়া হবে। হদ ও কুফরের শাস্তির মাঝে এটাই পার্থক্য। এর থেকে ঐ ব্যক্তিদের ভুল বুঝে আসে যারা মুরতাদের হুকুমকে হুদুদের অন্তর্ভুক্ত করে থাকে, এবং রিদ্দার কারণে হত্যাকে হুদূদের মধ্য থেকে উল্লেখ করে। অথচ মুরতাদকে হত্যা হুদুদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (শরহু কিতাবিত তাউহীদ)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের সামনে স্পষ্ট হল, মুরতাদকে হত্যা হুদূদের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটাই উম্মতের গ্রহণযোগ্য ফুকাহাদের মত। আজ এই পর্যন্ত। আমরা ইনশাআল্লাহ্* সামনে বাকি ২টি সংশয় নিয়ে আলোচনা করব।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
https://www.facebook.com/permalink.p...00012678370993
২০১০ থেকে ২০১৩। সাইবার জগতে চলছিল কুলাঙ্গার নাস্তিকদের অশ্লীল লাফালাফি। তাদের বিষে মাখা জঘন্য তীর একের পর এক ছুটছিল আমাদের প্রাণের স্পন্দনের ইজ্জতের দিকে। আমাদের উম্মাহাতের (উম্মাহাতুল মুমিনিন) সম্মানে বিঁধতে ছিল তাদের ধারালো খঞ্জর। এত অশ্লীল ভাষায়, এত জঘন্য শব্দে আক্রমণ করছিল যা ইতিহাসকে বাক-রুদ্ধ করেছিল।
জাগ্রত মুমিনদের হৃদয়ে রক্ত ক্ষরণ হচ্ছিল। চোখগুলো অশ্রু বর্ষণ করছিল। তারা ব্যথায় ছটফট করছিল। তখন আল্লাহ্* রাব্বুল ইজ্জাত এক দল মুমিনকে নির্বাচন করলেন। যারা মুহাম্মাদ বিন মাসলামাহ ও আবদুল্লাহ বিন আতিক রাদিঃ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। যাদের হাত দিয়ে আল্লাহ্* সুবহানাহু ওয়া তায়ালা শাতিমদেরকে শাস্তি প্রদান করেন। মুমিনদের হৃদয়গুলোকে প্রশান্তি দান করেন। তাদের বিষদাঁত অনেকটা ভেঙ্গে যায়। তারা সামনে ২টি পথ দেখতে থাকে “হয়ত দেশ ছেঁড়ে পলায়ান নয়ত চাপাতির কোপে মরণ”।
কিন্তু আফসোস! শত আফসোস!, শাসকের তরবারির ভয়ে বা প্রবৃত্তের তাড়নায় অথবা দুনিয়াবি কিছু আশায়, এই বরকতময় আমালের বিরুদ্ধে এক দল আলেম অবস্থান নিতে থাকে। সংশয় ছড়াতে থাকে। নাউজুবিল্লাহ! এই মহান ইবাদাতকে সন্ত্রাস পর্যন্ত বলতে তাদের বুক একটুও কাঁপে না। মুখে একটুও বাঁধে না। কষ্টটা অনেক বেড়ে যায় যখন ঐ ব্যক্তিদের মাঝে এমন আলেমদেরকেও পাওয়া যায়, যাদেরকে উম্মত মুক্তাদা মনে করেন।
তারা নিজেদের মতকে প্রমাণ করার জন্য কিছু খোঁড়া দলীল-যুক্তি পেশ করতে থাকে। তাদের দলীল বা যুক্তি হচ্ছে এই ---
A. মুরতাদ হত্যা হুদুদের অন্তর্ভুক্ত আর হুদুদের জন্য রয়েছে অনেক শর্ত।
B. মুরতাদ হত্যার দায়িত্ব শাসকের। শাসকের অনুমতি ওয়াজিব। অনুমতি ছাড়া হত্যা হারাম।
C. তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে। তাদেরকে সুযোগ দিতে হবে। এর আগে হত্যা করা জায়েজ হবে না।
আমরা ইনশাআল্লাহ্* ধাপে ধাপে তাদের যুক্তিগুলো খণ্ডন করব। আল্লাহ্* তায়ালা যদি তাউফিক দান করেন।
আমাদের আজকের আলোচনা- ---
মুরতাদ হত্যা কি হুদূদের অন্তর্ভুক্ত?!!!
প্রচলিত একটা ভুল হচ্ছে, মুরতাদ হত্যাকে হুদূদের অন্তর্ভুক্ত করা। আর হুদূদের সকল হুকুম তার মাঝে প্রয়োগ করা। অথচ, না তা হুদূদের মাঝে অন্তর্ভুক্ত। আর না তার হুকুম আর হুদূদের হুকুম এক। বরং উভয়ের হুকুমের অনেক ক্ষেত্রে পার্থক্য বিদ্যমান।
দলীল-১
ফিকহে হানাফীর বিশিষ্ট ফকীহ আল্লাম কাসানী রহঃ হুদুদের সংখ্যার ব্যাপারে বলেনঃ
فنقول الحدود خمسة انواع حد السرقة وحد الزنا وحد
الشرب وحد السكر وحد القذف-
আমাদের মত হচ্ছেঃ- হুদূদ পাঁচ প্রকারঃ-
১। চুরির হদ।
২। জেনার হদ।
৩। মদ পানের হদ।
৪। মাতালের হদ।
৫। কযফ এর হদ।
(কযফ-কারো ব্যাপারে জেনার অভিযোগ তোলা, কিন্তু তা প্রমাণ করতে না পারা)
(বাদায়েউস সানায়ে’, অধ্যায়ঃ কিতাবুল হুদূদ)
দলীল-২
হানাফী মাজহাবের প্রসিদ্ধ ফকীহ আল্লাম ইবনে নুজাম রহঃ বলেন---
فكان حكمها الاصلي الانزجار عما يتضرر به العباد وصيانة دار الاسلام عن الفساد، ففي حد الزنا صيانة الانساب، وفي حد السرقة صيانة الاموال، وفي حد الشرب صيانة العقول، وفي حد القذف صيانة الاعراض فالحدود أربعة، وما في البدائع من أنها خمسة وجعل الخامس حد السكر فلا حاجة إليه لان حد السكر هو حد الشرب كمية وكيفية وإن اختلف السبب
হূদুদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বান্দাদেরকে তাদের ক্ষতিকারক বিষয়গুলো থেকে বিরত রাখা। দারুল ইসলামকে ফাসাদ থেকে রক্ষা করা। জেনার হদের মধ্যে নিহিত আছে, বংশের সংরক্ষণ। চুরির হদের মধ্যে রয়েছে মালের সংরক্ষণ। মদ পানের হদের মধ্যে আছে আকল-বিবেকের সংরক্ষণ। আর কযফের হদের মধ্যে ইজ্জতের সংরক্ষণ। সুতারাং হুদুদ চারটি। আর বাদায়েউস সানায়ে এর মধ্যে আছে যে, হুদূদ পাঁচটি, পাঁচ নাম্বারটি হচ্ছে মাতালের হদ। এর কোন প্রয়োজন নেই। কারণ (শাস্তির) পর্যায় ও অবস্থার দিক থেকে মদপানের যে হদ, মাতালের একই হদ। যদিও বা এর কারণ ভিন্ন হয়। (আল-বাহরুর রায়েক, অধ্যায়ঃ কিতাবুল হুদূদ)
দলীল-৩
হাম্বালি মাজহাবের বিশিষ্ট ফকীহ শায়েখ মানসূর আল-বাহুতি রহঃ বলেন ---
----قتل المرتد لكفره لا حدا ولايجوز أخذ فداء عنه أي عن المرتد بل يقتل بعد الاستتابة لما تقدم من قوله (ص): من بدل دينه فاقتلوه -كشاف القناع-
--- মুরতাদ কে হত্যা করা হবে তার কুফরের কারণে। হদ হিসাবে নয়। মুরতাদ থেকে ফিদিয়া নেয়াও জায়েজ নেই। বরং ইস্তেতাবের (তওবার সুযোগ দেয়া) পর তাকে হত্যা করা হবে যার কারণ পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন, যে তার দ্বীনকে পরিবর্তন করে তোমরা তাকে হত্যা কর। (কাশশাফুল কেনা’য়, অধ্যায়ঃ মান ইরতাদ্দা আন দীনিল ইসলাম)
দলীল-৪
সমকালীন আরব সালাফী আলেমগণও একই মত ব্যক্ত করেছেন, মুরতাদকে হত্যা হুদূদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
শায়েখ সলেহ আল-উসাইমীন রহঃ বলেন –
الحد إذا بلغ الإمام لا يستتاب صاحبه بل يقتل بكل حال . أما الكفر، فإنه يستتاب صاحبه وهذا هو الفرق بين الحد، وبين عقوبة الكفر وبهذا نعرف خطأ من أدخل حكم المرتد في الحدود وذكروا من الحدود قتل الردة فقتل المرتد ليس من الحدود- -شرح كتاب التوحيد-
হদের ব্যাপার যখন ইমাম পর্যন্ত পৌঁছবে তখন অপরাধী থেকে আর তাওবা গ্রহণ করা হবেনা বরং সর্বাবস্থায় তাকে হত্যা করা হবে। আর কুফুরের ক্ষেত্রে তাওবা চাওয়া হবে। হদ ও কুফরের শাস্তির মাঝে এটাই পার্থক্য। এর থেকে ঐ ব্যক্তিদের ভুল বুঝে আসে যারা মুরতাদের হুকুমকে হুদুদের অন্তর্ভুক্ত করে থাকে, এবং রিদ্দার কারণে হত্যাকে হুদূদের মধ্য থেকে উল্লেখ করে। অথচ মুরতাদকে হত্যা হুদুদের অন্তর্ভুক্ত নয়। (শরহু কিতাবিত তাউহীদ)
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমাদের সামনে স্পষ্ট হল, মুরতাদকে হত্যা হুদূদের অন্তর্ভুক্ত নয়। এটাই উম্মতের গ্রহণযোগ্য ফুকাহাদের মত। আজ এই পর্যন্ত। আমরা ইনশাআল্লাহ্* সামনে বাকি ২টি সংশয় নিয়ে আলোচনা করব।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
https://www.facebook.com/permalink.p...00012678370993
Comment