(বুঝের ভুল-ত্রুটি থাকলে যেন আলেম ভাইরা ধরিয়ে দেন; ফোরামে পোস্ট করার অন্যতম উদ্দেশ্য এটি)
পরাজিত মানসিকতা লালনকারী সরকারি সালাফিরা, বিভ্রান্ত শাসকপ্রেমী কিছু আলেম ও কিছু আধুনিকতার মোহে অন্ধ ব্যক্তিরা বলে থাকে, "বর্তমানে আমেরিকা ও অন্যান্য কাফের দেশগুলোর নাগরিকেরা মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কাফের, তাই তাদের রক্ত ও সম্পদ হারাম। তাদের হত্যা করলে কবিরা গুনাহ হবে।"
অতঃপর তারা জিম্মি, চুক্তিবদ্ধ ও নিরাপত্তাপ্রাপ্ত কাফির হত্যা করার পরিণতি সংক্রান্ত হাদিস নিয়ে আসে। এছাড়াও, আমেরিকার জনসাধারণকে আমভাবে নিশানা বানানোকে তারা হারাম বলে।
তারা আরও বলে,
"আর যদি চুক্তিবদ্ধ কাফের তারা নাও হয় তবুও আমেরিকা ও সমগোত্রীয় অন্যান্য জাতির ‘সাধারণ’ নাগরিকদের কেন হত্যা করা বৈধ হবে যেখানে অনেকেই আছে যারা তাদের দেশের প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর জুলুম সমর্থন করেনা! ??"
ইংল্যন্ডের সরকারি সালাফি, বিল্লাল ফিলিপসের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি আমেরিকান ব্যক্তিত্ব আবু উসামা তহাবি বলেছে,
"আনওয়ার আল আওলাকি বলেছে, আমেরিকা নামক জাতিটির সকলকেই হত্যা করাই জায়েজ। এটা শোনার পর আমার গায়ের লোম দাড়িয়ে যায়। আমার কাফের জন্মদাতা আমেরিকার কর্মকান্ড (ইরাক-আফগানিস্তানে আমেরিকা যা করেছে) সমর্থন করে না। তাঁকে হত্যা করা কেন জায়েজ হবে!!?"
এছাড়াও, ফেইসবুকের সালাফি ঘরানার আধুনিক এক ব্যক্তি আসিফ শিবগাত ভুইয়া, শায়েখ সালাহ আস-সাওয়ী নামক আমেরিকায় বসবাসকারী একজন কথিত “আলিম” এর বক্তব্যের রেফারেন্স টেনে দাবী করেছে,
"শায়েখ সালাহের মতে এখনকার প্রায় সব অমুসলিম দেশের নাগরিকই মু'আহিদ (মুসলিমদের সাথে চুক্তিবদ্ধ) ক্যাটাগরিতে পড়বে যেহেতু বর্তমান সময়ে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশেরই একে অপরের সাথে সাধারণ শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। উপযুক্ত কারণ এবং উপযুক্ত কর্তৃত্ব ছাড়া হত্যা করবে তার বিরুদ্ধে দুনিয়াতে কিসাসের শাস্তি প্রয়োগ করা হবে ( খুব সংক্ষেপে কিসাসের অর্থ হোলো যে হত্যাকারীকে মৃত্যদন্ড দেয়া হবে যদি না নিহতের পরিবার তাকে রক্তপণের বিনিময়ে অব্যাহতি দেয়) এবং আখিরাতে এর ফল তাকে ভোগ করতে হতে পারে।"
হানাফি ফকিহদের মতে ক্কিসাস বৈধ হবে কেবলমাত্র যদি দিয়াত পরিশোধ না করা হয়। মুসলিম হত্যার ফলে যে কিসাস প্রয়োগ হয় তার সাথে কাফির হত্যার কিসাস (তাও শুধুমাত্র হানাফি ফকিহদের আলোকে) সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় কেননা মুসলিম হত্যা করা হলে দিয়াত দিয়ে কিসাস প্রতিহত করা যায় না।
নিরসন
প্রথমত, বিশেষ করে আমেরিকা, তার আজ্ঞাবাহী nato, amisom ভুক্ত অন্যান্য কাফের জাতি যারা মুসলিম নিধনে ব্যস্ত তাদের সাথে হওয়া আদৌ কোনো চুক্তি যদি বৈধ ধরেও নেই তবুও সেই চুক্তি বহাল আছে কি না তা দেখা প্রয়োজন!
যারা এসকল কাফেরদের সাথে চুক্তি করছে মুসলিমদের প্রতিনিধি হিসেবে, সেসকল শাসকেরা মুসলিম কি না সেটাই প্রথম প্রশ্ন! কেননা মুরতাদরা কখনোই মুসলিমদের পক্ষ হতে শান্তিচুক্তি করতে পারে না। তবে তর্কের খাতিরে ধরে নেয়া যাক, আমেরিকা ও অন্যান্য কাফের রাস্ট্রের কাফেররা চুক্তিবদ্ধ অবস্থাতে ছিল।
কিন্তু এটা সর্বসম্মত নীতি যে, মুসলিম হত্যা করার সাথে সাথেই একজন চুক্তিবদ্ধ কাফেরের চুক্তি ভেঙ্গে যায়। কাফেররা মুসলিম হত্যা করে ফেললে সেটা কীভাবে শান্তিচুক্তি হিসেবে বহাল থাকে!!!!!
আল্লাহু আকবার!
مَا لَكُمْ كَيْفَ تَحْكُمُونَ
তোমাদের কী হয়েছে, তোমাদের এ কেমন সিদ্ধান্ত দিচ্ছ!?
চুক্তিবদ্ধ কাফের তো দুরের বিষয়, মুসলিম হত্যা করার সাথে সাথে মুসলিম রাস্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী জিম্মি কাফেররাও হত্যাযোগ্য কাফেরে পরিণত হয়। এটি দ্বীন ইসলামের একটি চূড়ান্ত বিষয়।
ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন,
"ইসলামের বিধিবিধান মেনে নিয়ে যে সমস্ত যিম্মী নিরাপত্তার অঙ্গিকার নিয়ে ইসলামী রাষ্ট্রে বসবাস করবে, তারা যদি এমন কোন অপরাধ করে, যার শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড, তাহলে ইসলাম তাকে হত্যা করা হতে রেহাই দিবেনা।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৯)
তাহলে যারা জিম্মি (মুসলিম শাসকের অধীনে জিজিয়া কর দিয়ে বসবাসকারী কাফের) নয় বরং, চুক্তিবদ্ধ কাফের তাদের ব্যাপারে বিধান কী হবে !!?
আর মুসলিম হত্যা করার শাস্তি নিঃসন্দেহে মৃত্যুদন্ড!! যা চুক্তিভঙ্গের জন্য যথেষ্ট!
অতএব, নিঃসন্দেহে মুসলিম হত্যার সাথে সাথে সকল প্রকার শান্তিচুক্তি ভেঙ্গে যাবে। এব্যাপারে পূর্ব-পশ্চিম, পূর্ববর্তি ও পরবর্তী কোনো আলেমের দ্বিমত নেই।
ইরাকের দশ লক্ষাধিক মুসলিম, আফগানিস্তানে পাঁচ লক্ষাধিক, সিরিয়াতে ইতিমধ্যে নিহত মুসলিমের সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে। ইয়েমেন, মালি ও সোমালিয়াতেও কয়েক সহস্রাধিকের কম নয় এই সংখ্যা। এছাড়াও, কারাগারগুলোতে সহস্রাধিক বোনেরা প্রতিদিন হচ্ছে নির্যাতিত! এসকল হত্যাকান্ডে জড়িত আছে আমেরিকা, nato ভুক্ত ইউরোপের দেশগুলো, amisom ভুক্ত আফ্রিকার ক্রুসেডার দেশগুলো। এগুলো গোপনীয় কোনো বিষয় নয়। দিনের আলোর মতই প্রকাশ্য বিষয় এগুলো যা ঢাকা পরেছে মূলত বিশ্বাসঘাতক মুরতাদ শাসক ও তাদের কাছে বিক্রীত আলেমদের বিকৃত ফতোয়াবাজির কারণে...
সবচেয়ে বড় কথা আমেরিকা নিজ মুখে স্বীকার করেছে তারা আল মাজালাহতে সাধারণ মুসলিমদের হত্যা করেছে, ইরাকের মাহমুদিয়াতে আমেরিকান পাঁচ সৈন্য মিলে ১৪ বছর বয়সী বালিকাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করে গোটা পরিবারসহ! তাও আগুনে পুড়িয়ে...
এরপরও কীভাবে মুসলমানদের সাথে আমেরিকা ও তার সহযোগী কাফের রাস্ট্রের সাথে চুক্তি বলবৎ থাকে আমার বুঝে আসে না! এসকল ফতোয়াবাজ আলেমরা কি বিক্রীত নাকি বিকৃত আমি জানি না।
অথচ, মাত্র একজন মুসলিম বোনের সম্ভ্রমহানির সাথে সাথে রাসুল ﷺ চুক্তি ভেঙ্গে বনু কাইনুকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন!! আজ আমাদের চক্ষুর শীতলতা রাসুল (সা) এসকল উলামায়ে ছু'দের দেখলে কী বলতেন, যারা কি না মুসলিম ভাইদের জীবনের, মুসলিম বোনদের সম্মানের কোনো তোয়াক্কাই করে না বরং তাদের উপর কাফিরদের আরও বেশী জুলুম করার সুযোগ করে দেয়ার উদ্দেশ্য ফতোয়া প্রণয়ন করে! আল্লাহু আ'লাম!
এছাড়াও, ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলছেন -
"রাসুল সাঃ'র অনুমতি ছাড়াই কোন একজন সাহাবীর সাথে তাঁর শত্রুরা যদি এমন কোন চুক্তি করত, যাতে মুসলমানদের ক্ষতির কোন আশঙ্কা নেই, তাহলে তিনি সেই চুক্তি ও অঙ্গিকার বহাল রাখতেন। যেমন হুযায়ফা ও তার পিতার সাথে শত্র“রা এই মর্মে চুক্তি ও অঙ্গিকার করেছিল যে, তোমরা দু’জন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে যোগ দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারবেনা।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই অঙ্গিকার বহাল রাখলেন এবং হুযায়ফা ও তার পিতাকে বললেনঃ তোমরা ফেরত যাও। তারা তোমাদের সাথে যে অঙ্গিকার করেছে আমরা তা রক্ষা করব। আমরা তাদের মুকাবেলায় কেবল আল্লাহর সাহায্য চাই।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৮)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই অঙ্গিকার বহাল রাখলেন এবং হুযায়ফা ও তার পিতাকে বললেনঃ তোমরা ফেরত যাও। তারা তোমাদের সাথে যে অঙ্গিকার করেছে আমরা তা রক্ষা করব। আমরা তাদের মুকাবেলায় কেবল আল্লাহর সাহায্য চাই।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৮)
অর্থাৎ, মুসলিমদের ক্ষতি হলে সেটা চুক্তি কিংবা অঙ্গীকার হিসেবে না থাকলেই কেবল চুক্তি বহাল রাখা হতো অন্যথায় নয়।
আর চুক্তির বিপরীতে মুসলিমদের ক্ষতি হয়ে গেলে চুক্তি বহাল থাকবে কি না এটা শারিয়াহ সম্পর্কে ন্যূনত্বম জ্ঞান রাখা ব্যক্তিদের দ্বিধান্বিত হবার কোনো কারণই নেই।
পড়ুন,
ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন,
"নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোন গোত্রের সাথে চুক্তি করতেন, তখন তাদের সাথে তাঁর অন্যান্য শত্র“রাও শরীক হত। তাঁর সাথেও অন্য কাফেররা এসে যোগ দিত। এতে করে যারা তাঁর সাথে যোগদানকারী কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করত তাদেরকে তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে বলেই ধরে নেওয়া হত। এই কারণেই তিনি মক্কাবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন।
কেননা হুদায়বিয়ার সন্ধির অন্যতম শর্ত ছিল যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কুরাইশদের মধ্যে দশ বছর পর্যন্ত সকল প্রকার যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এই চুক্তিতে বনু বকর গোত্র কুরাইশদের সাথে যোগ দিল। আর খোযাআ গোত্র যোগ দিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে।
পরবর্তীতে বনু বকর গোত্র রাতের অন্ধকারে খুযাআ গোত্রের উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং তাদের কতককে হত্যা করল। কুরাইশরাও গোপনে বনু বকরকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করল। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার কুরাইশদেরকে অঙ্গিকার ও চুক্তি ভঙ্গকারী হিসাবে গণনা করলেন এবং বনু বকর ও কুরাইশদের বিরুদ্ধে হামলা করে মক্কা জয় করলেন।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৮)
কেননা হুদায়বিয়ার সন্ধির অন্যতম শর্ত ছিল যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং কুরাইশদের মধ্যে দশ বছর পর্যন্ত সকল প্রকার যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এই চুক্তিতে বনু বকর গোত্র কুরাইশদের সাথে যোগ দিল। আর খোযাআ গোত্র যোগ দিল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে।
পরবর্তীতে বনু বকর গোত্র রাতের অন্ধকারে খুযাআ গোত্রের উপর ঝাপিয়ে পড়ল এবং তাদের কতককে হত্যা করল। কুরাইশরাও গোপনে বনু বকরকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করল। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কার কুরাইশদেরকে অঙ্গিকার ও চুক্তি ভঙ্গকারী হিসাবে গণনা করলেন এবং বনু বকর ও কুরাইশদের বিরুদ্ধে হামলা করে মক্কা জয় করলেন।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৮)
উক্ত দলীলের আলোকে একথা বলার কি কোনো সুযোগ আছে যে, মুসলমানদের রক্তে হাত রঞ্জিত করা জাতিরাস্ট্রগুলোর সাথে কোনো চুক্তি এখনো বলবৎ আছে !!! একথা বলা এবং আল্লাহ'র রাসুল সাঃ এর আদর্শকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ভিন্ন কিছু নয়।
"কোনো চুক্তিবদ্ধ জাতি লক্ষাধিক মুসলিম হত্যা করার পরও তাদের সাথে সেই চুক্তি বহাল থাকে" - এই ধরণের বক্তব্যকে জায়েজ প্রমাণ করা মুসলিম রক্ত ও সম্মানের প্রতি গাফেল ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান থাকবে তারা যেন এর স্বপক্ষে মাত্র ১টি দলিল পেশ করে কুর'আন, সুন্নাহ ও সালাফদের বক্তব্যের আলোকে।
هَاتُوا بُرْهَانَكُمْ إِن كُنتُمْ صَادِقِينَ
তোমরা যদি সত্যবাদী হও তবে তোমাদের প্রমাণ উপস্থিত কর। [সুরা নাম’ল: ৬৪]
তাই যদি, মুরতাদ শাসকদেরকে মুসলিম ধরেও নেয়া হয় তবু, আমেরিকা, nato, amisom ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক কুফর সংঘের অন্তর্ভুক্ত যে সকল ক্কওম/জাতি/রাস্ট্র মুসলিম নিধনে ব্যস্ত তাদের সাথে কোনো বৈধ শান্তিচুক্তি হয়েও থাকে তবু তা বহু আগেই বাতিল হয়ে গেছে... !
দ্বিতীয়ত, যদি চুক্তি ভঙ্গ হয় তাহলে শুধুমাত্র যারা মুসলিম নিধনে ব্যস্ত তাদের সাথেই কেবল যুদ্ধ জায়েজ হওয়ার কথা। সেই জাতির নিরীহ/সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করা কেন বৈধ হবে?
এমনটা শুধু জায়েজ/বৈধ নয়, বরং এটি রাসুলুল্লাহ (সা) এর সুন্নাহ...
ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন,
"নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র সুন্নাত এই ছিল যে, তিনি যখন কোন গোত্রের সাথে চুক্তি করতেন, তখন তাদের কতক লোক যদি সেই চুক্তি ভঙ্গ করত আর কতক লোক সেই চুক্তি বহাল রাখত এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকত, তাহলে সকলের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করতেন।
যেমন তিনি করেছিলেন বনী কুরায়যা, বনী নযীর এবং মক্কাবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ছিল চুক্তিবদ্ধ কাফেরদের বিরুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র সুন্নাত।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৮)
যেমন তিনি করেছিলেন বনী কুরায়যা, বনী নযীর এবং মক্কাবাসীদের বিরুদ্ধে। এই ছিল চুক্তিবদ্ধ কাফেরদের বিরুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পবিত্র সুন্নাত।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৮)
অর্থাৎ, যদি আমরা ধরে নেই আমেরিকা ও অন্যান্য যুদ্ধরত কাফের রাস্ট্রের (ন্যাটো, আমিসোম ভুক্ত দেশসমূহ, ফ্রান্স ইত্যাদি) কয়েক লক্ষাধিক সৈন্য, আমেরিকার প্রশাসন ও নীতিনির্ধারকেরাই চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এসব জাতির সাধারণ নাগরিকেরা চুক্তি ভাঙ্গেনি।
যদি আরও ধরে নেই যে, এসব জাতির নাগরিকেরা চুক্তিভঙ্গের বিরোধিতাকারী(!?)।
তবুও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ হচ্ছে এদের সকলের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ করা!
আরও পড়ুন, ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রহঃ) বলেন,
"যখন সিরিয়ার খৃষ্টানরা মুসলমানদের সম্পদ ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিল, তখন অন্যান্য খৃষ্টানরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েও মুসলিম শাসককে জানায়নি। কিন্তু শাসক বিষয়টি জানতে পেরে আলেমদের কাছে যখন ফতোয়া চাইলেন,
তখন আমরা ঐ খেয়ানতকারীদের ব্যাপারে শাসককে ফতোয়া দিলাম যে, যারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে, যারা এতে সহায়তা করেছে এবং যারা এতে সন্তুষ্ট হয়েছে এদের সকলকেই হত্যা করতে হবে।
এদের ব্যাপারটি শাসকের ইচ্ছাধীন নয়, হত্যাই একমাত্র তাদের শাস্তি।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৯)
তখন আমরা ঐ খেয়ানতকারীদের ব্যাপারে শাসককে ফতোয়া দিলাম যে, যারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে, যারা এতে সহায়তা করেছে এবং যারা এতে সন্তুষ্ট হয়েছে এদের সকলকেই হত্যা করতে হবে।
এদের ব্যাপারটি শাসকের ইচ্ছাধীন নয়, হত্যাই একমাত্র তাদের শাস্তি।" (মুখতাসার জাদুল মা'আদ, পৃষ্ঠা ২০৯)
অর্থাৎ, - মুসলিমদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের পক্ষাবলম্বন না করাকেই আলেমরা বসে থাকা "নিরীহ" খ্রিস্টানদের জন্য অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন এবং এদেরকে হত্যা করা বাধ্যতামুলক উল্লেখ করে আরও বলেছেন এটা শাসকের ইচ্ছাধীন নয়।
জরিমানা আদায় কিংবা বন্দী করা নয়, হত্যাই তাদের একমাত্র শাস্তি।
অতএব, এই যদি হয় মুসলিমদের সম্পদ নস্টকারী ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া চুক্তিবদ্ধ কাফির জাতির (সিরিয়ার খ্রিস্টান গোষ্ঠী) পরিণতি,
তাহলে আমেরিকা ও তার ক্রুসেডার মিত্র রাস্ট্রসমূহ যারা মুসলিমদের সম্পদ নস্ট ও বাড়িঘর জালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি বরং, মুসলমান ভাইদের নির্বিচারে হত্যা করছে, মুসলমান বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাদের একমাত্র পরিণতি কী হবে ??
মুসলমানের রক্ত মুখে লাগিয়ে রাখা মুসলিম নামধারী নিফাকাক্রান্ত, বিকৃতমনা জ্ঞানপাপীদের ফিতনা থেকে আল্লাহ্* তা'আলা আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন... আমিন...
Comment