ইরজা ও খুরুজের ব্যাপারে স্বতঃসিদ্ধ ও ঐতিহাসিক কিছু বাস্তবতা ।
- ভাই আব্দুল্লাহ হাসান
ইরজাগ্রস্তরা বাইরে থেকে উম্মাহকে জিহাদের ব্যাপারে বিভ্রান্ত করে এবং জিহাদ থেকে দূরে রাখে । কিন্তু খুরুজওয়ালারা জিহাদের ময়দানে ফিতনা সৃষ্টি করে।
ইরজা উম্মাহকে কুফরের গোলামীতে আবদ্ধ করতে শিখায় এবং কুফরের মোকাবেলায় উম্মাহকে সচেতন না করে ঘুম পাড়ানোর গান শোনায়। পক্ষান্তরে খুরুজওয়ালারা উম্মাহর হক্বপন্থীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে।
ইরজাগ্রস্তরা ইসলামের সাথে শত্রুতা করা সত্ত্বেও শুধু মুসলিমদের মতো নাম থাকার কারণে মুরতাদদেরকে মুসলিম মনে করে। আর খুরুজওয়ালারা তাদের মতবাদের আলোকে না হলে মুসলিমকেও মুসলিম মনে করে না এবং তাকফীর করে।
ইরজা ও খুরুজে আক্রান্তদের মধ্যে অনেক মিলও আছে। উভয় মতে আক্রান্তরাই নিজেদেরকে সালফে সালিহীনের আসল অনুসারী মনে করে ও দাবী করে। কিন্তু যখন সালফে সালিহীনের সাথে তাদের মতবাদকে মিলাতে যাবেন কিংবা চ্যালেঞ্জ জানাবেন মিলানোর জন্য,তখন দেখতে পাবেন, তাদের মতবাদের সাথে সালফে সালিহীনের কত অমিল । উদাহরণস্বরুপঃ খারিজী আইএসের দাবী হচ্ছে, তারা শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃসহ উম্মাহর হক্বপন্থী সালফে সালিহীনের অনুসরণ করে।কিন্তু বাস্তবে সালফে সালিহীনের আকীদার সাথে আইএসের আকীদার অনেক তফাৎ রয়েছে,যা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
আর সাম্প্রতিক সময়ে ইরজাগ্রস্তদের অবস্থাও অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারাও দাবী করে,তারা উম্মতের হক্বপন্থী আইম্মায়ে কিরাম ও উলামাদের অনুসরণ করে,কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়,তাদের সাথে উম্মাহর আইম্মায়ে কিরাম ও সালফে সালিহীন উলামাদের কত অমিল রয়েছে।
ইরজা ও খুরুজে আক্রান্তদের মধ্যে আরেকটি মিল হচ্ছে, তারা হক্বপন্থীদের উপর অপবাদ আরোপ করে এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে কথা বলে। যা ইতোমধ্যে খারিজী আইএস ও ইরজাগ্রস্তদের আচরণ থেকে মেঘমুক্ত আকাশে মধ্যাহ্নের সূর্যের আলোর চেয়েও অধিক স্পষ্ট হয়ে গেছে।
এই দু’টি মতের লোকেরা নিজেদেরকে খুব দলীল নির্ভর দাবী করে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, হক্বের মোকাবেলায় তারা সামান্য সময়ও নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ্*। আলহামদুলিল্লাহ্*, ইতোমধ্যে এটাও আল্লাহ্* তা’আলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
এই উভয় মতবাদে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কুফফারদের যতটা বিরোধিতা না করে, তার চেয়ে বেশী হক্বপন্থীদের বিরোধিতা করে।
ইয়েমেনের আনসারুশ-শারী’আহর একজন মুজাহিদ আলিম,শার’য়ী ও কমান্ডার শাইখ মামুন হাতিম রাহিঃ(মার্কিন ড্রোন হামলায় শহীদ) ইরজা ও খুরুজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চেনার জন্য একটি ঐতিহাসিক ও অসাধারণ কথা বলেছিলেন, যা এরকম........ মুরজিয়ারা(ইরজাগ্রস্তরা) আহলুস সুন্নাহকে খারিজী বলে, আর খারিজীরা আহলুস সুন্নাহকে মুরজিয়া বলে।
শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর ব্যাপারে শাইখ মামুন হাতিম রাহিঃ বলেছিলেন, যে ব্যক্তি শাইখ উসামা রাহিঃ কে খারিজী বলে সে মুরজিয়া,আর যে মুরজিয়া বলে সে খারিজী।
হক্বের অনুসারীদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা সর্বদা দ্বীনের আলোকে চলার চেষ্টা করেন। নিজেদের থেকে দ্বীনের মধ্যে কিছু প্রবেশ করান না আর কিছু দ্বীন থেকে বাদও দেন না। কথা-বার্তা ও আচরণের ক্ষেত্রে বিনয় প্রকাশ করেন। নিজেদের মতের বিপক্ষে গেলেই একজন মুসলিমকে কটাক্ষ করে কথা বলেন না। অপবাদ ও মিথ্যাচারের মোকাবেলায় পাল্টা মিথ্যাচার করেন না এবং অপবাদ দেননা।
আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের সকলকে হক্বের সকল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে হক্বের উপর সর্বদা অটল থাকার তাউফীক্ব দান করুন।
- ভাই আব্দুল্লাহ হাসান
ইরজাগ্রস্তরা বাইরে থেকে উম্মাহকে জিহাদের ব্যাপারে বিভ্রান্ত করে এবং জিহাদ থেকে দূরে রাখে । কিন্তু খুরুজওয়ালারা জিহাদের ময়দানে ফিতনা সৃষ্টি করে।
ইরজা উম্মাহকে কুফরের গোলামীতে আবদ্ধ করতে শিখায় এবং কুফরের মোকাবেলায় উম্মাহকে সচেতন না করে ঘুম পাড়ানোর গান শোনায়। পক্ষান্তরে খুরুজওয়ালারা উম্মাহর হক্বপন্থীদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে।
ইরজাগ্রস্তরা ইসলামের সাথে শত্রুতা করা সত্ত্বেও শুধু মুসলিমদের মতো নাম থাকার কারণে মুরতাদদেরকে মুসলিম মনে করে। আর খুরুজওয়ালারা তাদের মতবাদের আলোকে না হলে মুসলিমকেও মুসলিম মনে করে না এবং তাকফীর করে।
ইরজা ও খুরুজে আক্রান্তদের মধ্যে অনেক মিলও আছে। উভয় মতে আক্রান্তরাই নিজেদেরকে সালফে সালিহীনের আসল অনুসারী মনে করে ও দাবী করে। কিন্তু যখন সালফে সালিহীনের সাথে তাদের মতবাদকে মিলাতে যাবেন কিংবা চ্যালেঞ্জ জানাবেন মিলানোর জন্য,তখন দেখতে পাবেন, তাদের মতবাদের সাথে সালফে সালিহীনের কত অমিল । উদাহরণস্বরুপঃ খারিজী আইএসের দাবী হচ্ছে, তারা শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃসহ উম্মাহর হক্বপন্থী সালফে সালিহীনের অনুসরণ করে।কিন্তু বাস্তবে সালফে সালিহীনের আকীদার সাথে আইএসের আকীদার অনেক তফাৎ রয়েছে,যা ইতোমধ্যে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
আর সাম্প্রতিক সময়ে ইরজাগ্রস্তদের অবস্থাও অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। তারাও দাবী করে,তারা উম্মতের হক্বপন্থী আইম্মায়ে কিরাম ও উলামাদের অনুসরণ করে,কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়,তাদের সাথে উম্মাহর আইম্মায়ে কিরাম ও সালফে সালিহীন উলামাদের কত অমিল রয়েছে।
ইরজা ও খুরুজে আক্রান্তদের মধ্যে আরেকটি মিল হচ্ছে, তারা হক্বপন্থীদের উপর অপবাদ আরোপ করে এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে কথা বলে। যা ইতোমধ্যে খারিজী আইএস ও ইরজাগ্রস্তদের আচরণ থেকে মেঘমুক্ত আকাশে মধ্যাহ্নের সূর্যের আলোর চেয়েও অধিক স্পষ্ট হয়ে গেছে।
এই দু’টি মতের লোকেরা নিজেদেরকে খুব দলীল নির্ভর দাবী করে থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, হক্বের মোকাবেলায় তারা সামান্য সময়ও নিজেদেরকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ্*। আলহামদুলিল্লাহ্*, ইতোমধ্যে এটাও আল্লাহ্* তা’আলা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
এই উভয় মতবাদে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কুফফারদের যতটা বিরোধিতা না করে, তার চেয়ে বেশী হক্বপন্থীদের বিরোধিতা করে।
ইয়েমেনের আনসারুশ-শারী’আহর একজন মুজাহিদ আলিম,শার’য়ী ও কমান্ডার শাইখ মামুন হাতিম রাহিঃ(মার্কিন ড্রোন হামলায় শহীদ) ইরজা ও খুরুজে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চেনার জন্য একটি ঐতিহাসিক ও অসাধারণ কথা বলেছিলেন, যা এরকম........ মুরজিয়ারা(ইরজাগ্রস্তরা) আহলুস সুন্নাহকে খারিজী বলে, আর খারিজীরা আহলুস সুন্নাহকে মুরজিয়া বলে।
শাইখ উসামা বিন লাদেন রাহিঃ এর ব্যাপারে শাইখ মামুন হাতিম রাহিঃ বলেছিলেন, যে ব্যক্তি শাইখ উসামা রাহিঃ কে খারিজী বলে সে মুরজিয়া,আর যে মুরজিয়া বলে সে খারিজী।
হক্বের অনুসারীদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তারা সর্বদা দ্বীনের আলোকে চলার চেষ্টা করেন। নিজেদের থেকে দ্বীনের মধ্যে কিছু প্রবেশ করান না আর কিছু দ্বীন থেকে বাদও দেন না। কথা-বার্তা ও আচরণের ক্ষেত্রে বিনয় প্রকাশ করেন। নিজেদের মতের বিপক্ষে গেলেই একজন মুসলিমকে কটাক্ষ করে কথা বলেন না। অপবাদ ও মিথ্যাচারের মোকাবেলায় পাল্টা মিথ্যাচার করেন না এবং অপবাদ দেননা।
আল্লাহ্* তা’আলা আমাদের সকলকে হক্বের সকল বৈশিষ্ট্য ধারণ করে হক্বের উপর সর্বদা অটল থাকার তাউফীক্ব দান করুন।
Comment