আসসালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহি অয়া বারকাতুহ,
আলহামদুলিল্লাহ্*। আসসালাতু অয়াসসালাম আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ অয়া আলা আলিহি অয়াসাহবিহি অয়া সাল্লাম তাসলিমান কাছির।।
কেমন আছেন ভাই আপনারা?? গত কয়েকদিন যাবত একটা বিষয়ে লিখব ভাবছি। কিন্তু কিভাবে লিখলে কোন ভাইয়ের মনে কষ্ট লাগবে না উপরন্ত মেসেজটা পৌঁছে দেওয়া যাবে তা ভেবে ঠিক কিনারা করতে পারছিলাম না। অবশেষে আল্লাহ্* সুবঃ উপর ভরসা করে লিখতে বসলাম। প্রিয় ভাই আপনারা আমার দ্বীনের ভাই। দ্বীনের স্বার্থেই লিখছি। তাই লেখার মধ্যে কোন বিচ্যূতি থাকলে আগেই আপনাদের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা আমাকে মাফ করবেন এবং দুয়া করবেন যাতে আল্লাহ্* সুবঃ আমাকে মাফ করেন। মূল প্রসঙ্গে আসি।
আমি এমন কিছু ভাইকে দেখেছি যারা দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে হিকমাহ অবলম্বনের নামে এমন সব পন্থা অবলম্বন করছেন যা দেখে নিজের ভিতরে অনেক খটকা লেগেছে/লাগছে। ভাবি আসলে কি শরীয়াহ এত সহজ যা আমরা হিকমাহ অবলম্বন করতে গিয়ে যেমন খুশি তেমন করে পরিবর্তন করে ফেলতে পারি। কিছু ঘটনা বলব। দেখেন ভাই আপনাদের কারও বুঝে আসে কিনা। আমি এখানে কোন বুঝ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছি। কিছু ভাইয়ের হিকমাহ অবলম্বন এমনঃ
* সবাই বুঝে ফেলবে যে আমি একজন জিহাদি তাই কাউকে দাওয়াহ দেওয়া থেকে বিরত থাকি এবং নিজে নিজে দ্বীন পালন করি।।
* ভাই দাড়ি রাখলে সবাই মার্ক করতে পারে তাই দাড়ি না রাখলেই মনে হয় ভাল হয়।
* জামায়াতে সালাত আদায় করলে লোকজন সন্দেহ করতে পারে তাই বাসায় সালাত আদায় করি।
* সুন্নতি লেবাছে ত রাস্তা ঘাটে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই সবাই যে লেবাসে থাকে সেই লেবাসে থাকি।
ভাই আপনাকে কি কোন আলেম বা কেউ বলেছে এগুলো করতে?? না, কেউ বলে নাই।
সুবহানআল্লাহ!! আমি নিজেই একজন মস্ত বড় আলেম এবং মস্ত বড় মুজাহিদ যিনি কিনা এমন সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি যেগুলো মানা বা না মানার সাথে অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে। ভাই আমি কি দাড়ি মন চাইল আর কেটে ফেললাম এমন করতে পারি?? আমি কি টাকনুর নীচে কাপড় পরিধান করতে পারি শুধুমাত্র এই অজুহাতে যে লোকজন কেমন চোখে তাকায়? আমি কি রাসূল (সঃ) এর সুন্নতি লেবাস পরিত্যাগ করতে পারি এই অজুহাতে যে রাস্তাঘাটে হয়রানির শিকার হতে হয়? জামায়াতে সালাত আদায়ের ব্যপারে যেখানে রাসূল (সঃ) বলেছেন আমার মনে চায় আমি লোকেদের ঘরে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দিই কিন্তু বৃদ্ধ আর শিশুদের কথা চিন্তা করে বিরত থাকি, ভাই এটা কি লোকেদের সন্দেহজনক দৃষ্টির জন্য পরিত্যাগ করার মত জিনিস??
ভাই যেখানে আশরাফ আলী থানভী (রঃ) এটা বলেছেন যে আমরা কোন ব্যপারে ইশতেহাদ করার মত যোগ্যতা রাখি না। সেখানে ভাই আপনারা কিভাবে নিজেদের ব্যপারে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যেগুলো একটু এদিক সেদিক হয়ে গেলে জান্নাত ছুটে যেতে পারে এবং জাহান্নাম অবধারিত হতে পারে।।
প্রিয় ভাইয়েরা আমাদের একটা জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন যে আমাদের কাউকেই আল্লাহ্* সুবঃ দ্বীনের ঠিকাদারি দিয়ে পাঠান নি। বরং আমাদের নিজেদের শাস্তি লাঘব বা কিছু প্রাপ্তির জন্যই দ্বীনের জন্য কাজ করছি। আমরা কিছু না করলে আল্লাহ্* সুবঃ দ্বীনের একটু ক্ষতিও হবে না। যখন দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তাঁর ১ সেকেন্ডও এদিক সেদিকও হবে না। ভাই আজকে আপনি সবে দ্বীনের পথে হাটতে শুরু করেছেন; একটা তানজিমের সাথে হয়ত যুক্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন; এখন পর্যন্ত চাপাতি কি জিনিস সেটাও চিনতে পারেন নি কোন একটা অপারেশনে শরীক হওয়া সেটা ত অনেক পরের ব্যপার আর এখনি যদি আপনি এমন হিকমাহ অবলম্বন করতে যান তাহলে যখন টুইন টাওয়ারের মত না হোক একটা থানাতেও যদি রেইড দিতে হয় তখন আপনি কি হিকমাহ অবলম্বন করবেন ভাই?? সব হিকমাহ ত মার্কেটে ব্যবহার করেই ফেলছেন তখন কি আর কোন হিকমাহ অবশিষ্ট থাকবে ভাই??
প্রিয় ভাইয়েরা, আপনারা কেউ এটা ধরে নিয়েন না যে বিভিন্ন মুজাহিদ ভাই যারা এই জমীনে বন্দী হয়েছেন বা শহীদ হয়েছেন তাঁদের লেবাস এরকম বলেই আপনারাও সেটা অবলম্বন করার অনুমতি পেয়ে গেছেন। বরং বাস্তবতা এটাই যে সেই ভাইদের অন্তর হয়ত ছিঁড়ে যেত যখন তারা দাঁড়ি কাটত বা টাকনুর নীচে কাপড় পরিধান করত। বরং তাঁরা ত নিতান্ত বাধ্য হয়েই এটা অবলম্বন করতেন এবং সেটাও নিজের মনগড়া সময়ে না। তাঁদের যখন আদেশ করা হয়েছে তখনই তাঁরা সেটা আমল করা শুরু করেছেন।
দায়িত্বশীল ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি ভাই আমাদের ঈমানী হালত একেক জনের একেক রকম। কোন ভাই হয়ত টিএসসির মত ভরা মজলিসে অবলীলায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নাস্তিকদের জাহান্নামে পাঠাতে পারেন আবার এর বিপরীতে উপরের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ভাইয়ের সংখ্যাও কম না যারা অজানা জুজুর ভয়ে (ভাই এটাকে হিকমাহ না বলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দ্বীনের কাটছাট বলাই উপযুক্ত মনে হচ্ছে। আল্লাহ্* আমাকে মাফ করুন) নিজের ফতোয়া নিজেই দেওয়া শুরু করে। তাই আপনারা আপনাদের মামুর ভাইদের এসব অজানা জুজু কাটিয়ে ওঠার ব্যপারে নিয়মিত ছোটখাট কাজ দিন। কারণ জিহাদ একটা আমলি জিনিস। যত দিন না কেউ কোন কাজে শরীক হচ্ছে ততদিন এই জুজুর ভয় তাড়া করতেই থাকবে। আর এর ফলাফল এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে আপনি অনেক কষ্ট করে, মেহনত করে হয়ত একজন ভাইকে দ্বীনের বুঝের পথে নিয়ে আসলেন কিন্তু ছোট একটা পরীক্ষা সামনে আসলে সেই সব ভাইদের আর খুজেও পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের জন্য সংখ্যার পিছনে না ছুটে বরং গুনগত মানের পিছনে বেশি মনোযোগী হলে ভাল হবে ইনশাল্লাহ। আর মুসলিমরা কখনোই সংখ্যাধিক্যের কারণে জয়ী হয়নি। বরং বিপরীতটাই সত্য।
প্রিয় ভাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি যারা হিকমাহ অবলম্বন করতে গিয়ে দ্বীনকে খেলনা বানিয়ে ফেলছেন, ভাই দ্বীনকে দ্বীনের মত করেই পালন করতে হবে। আমাদের নফস যা করতে বলে সেই পথেই যদি হাটা শুরু করি তবে এটা আপনাকে ধ্বংসের পথেই নিয়ে যাবে। তাই আপনার সার্বিক পরিস্থিতি বিস্তারিত জানিয়ে আলেম ভাইদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন ইনশাল্লাহ। আর এসব ব্যপারে পরিষ্কার হওয়ার জন্য আর কোন জায়গা যদি নাও থাকে ত নিদেনপক্ষে এই ফোরামে ত জানতে চাইতে পারেন।। আর কোন ভাই যদি আপনাকে পরামর্শ দেন এমন কোন কাজের যা শরীয়াহ এর সাথে সাংঘরসিক তবে অবশ্যই সেই ভাইয়ের ইলমী অবস্থার উপর নিশ্চিত হয়ে নিন। এমন ধরে নেওয়া উচিৎ হবে না একজন মুজাহিদ হলেই তাঁর এমন একটা বিষয়ে হুকুম দেওয়ার যোগ্যতা থাকবে যে বিষয়ের সাথে আপনার সার্বিক পরিবেশ, কাজের পরিধি ইত্যাদি সকল কিছু জড়িত।।
আল্লাহ্* সুবঃ আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন।।
আলহামদুলিল্লাহ্*। আসসালাতু অয়াসসালাম আলা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ অয়া আলা আলিহি অয়াসাহবিহি অয়া সাল্লাম তাসলিমান কাছির।।
কেমন আছেন ভাই আপনারা?? গত কয়েকদিন যাবত একটা বিষয়ে লিখব ভাবছি। কিন্তু কিভাবে লিখলে কোন ভাইয়ের মনে কষ্ট লাগবে না উপরন্ত মেসেজটা পৌঁছে দেওয়া যাবে তা ভেবে ঠিক কিনারা করতে পারছিলাম না। অবশেষে আল্লাহ্* সুবঃ উপর ভরসা করে লিখতে বসলাম। প্রিয় ভাই আপনারা আমার দ্বীনের ভাই। দ্বীনের স্বার্থেই লিখছি। তাই লেখার মধ্যে কোন বিচ্যূতি থাকলে আগেই আপনাদের কাছে মাফ চেয়ে নিচ্ছি। আপনারা আমাকে মাফ করবেন এবং দুয়া করবেন যাতে আল্লাহ্* সুবঃ আমাকে মাফ করেন। মূল প্রসঙ্গে আসি।
আমি এমন কিছু ভাইকে দেখেছি যারা দ্বীনের কাজ করতে গিয়ে হিকমাহ অবলম্বনের নামে এমন সব পন্থা অবলম্বন করছেন যা দেখে নিজের ভিতরে অনেক খটকা লেগেছে/লাগছে। ভাবি আসলে কি শরীয়াহ এত সহজ যা আমরা হিকমাহ অবলম্বন করতে গিয়ে যেমন খুশি তেমন করে পরিবর্তন করে ফেলতে পারি। কিছু ঘটনা বলব। দেখেন ভাই আপনাদের কারও বুঝে আসে কিনা। আমি এখানে কোন বুঝ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছি। কিছু ভাইয়ের হিকমাহ অবলম্বন এমনঃ
* সবাই বুঝে ফেলবে যে আমি একজন জিহাদি তাই কাউকে দাওয়াহ দেওয়া থেকে বিরত থাকি এবং নিজে নিজে দ্বীন পালন করি।।
* ভাই দাড়ি রাখলে সবাই মার্ক করতে পারে তাই দাড়ি না রাখলেই মনে হয় ভাল হয়।
* জামায়াতে সালাত আদায় করলে লোকজন সন্দেহ করতে পারে তাই বাসায় সালাত আদায় করি।
* সুন্নতি লেবাছে ত রাস্তা ঘাটে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাই সবাই যে লেবাসে থাকে সেই লেবাসে থাকি।
ভাই আপনাকে কি কোন আলেম বা কেউ বলেছে এগুলো করতে?? না, কেউ বলে নাই।
সুবহানআল্লাহ!! আমি নিজেই একজন মস্ত বড় আলেম এবং মস্ত বড় মুজাহিদ যিনি কিনা এমন সব সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি যেগুলো মানা বা না মানার সাথে অনেক বিষয় জড়িত রয়েছে। ভাই আমি কি দাড়ি মন চাইল আর কেটে ফেললাম এমন করতে পারি?? আমি কি টাকনুর নীচে কাপড় পরিধান করতে পারি শুধুমাত্র এই অজুহাতে যে লোকজন কেমন চোখে তাকায়? আমি কি রাসূল (সঃ) এর সুন্নতি লেবাস পরিত্যাগ করতে পারি এই অজুহাতে যে রাস্তাঘাটে হয়রানির শিকার হতে হয়? জামায়াতে সালাত আদায়ের ব্যপারে যেখানে রাসূল (সঃ) বলেছেন আমার মনে চায় আমি লোকেদের ঘরে গিয়ে আগুন লাগিয়ে দিই কিন্তু বৃদ্ধ আর শিশুদের কথা চিন্তা করে বিরত থাকি, ভাই এটা কি লোকেদের সন্দেহজনক দৃষ্টির জন্য পরিত্যাগ করার মত জিনিস??
ভাই যেখানে আশরাফ আলী থানভী (রঃ) এটা বলেছেন যে আমরা কোন ব্যপারে ইশতেহাদ করার মত যোগ্যতা রাখি না। সেখানে ভাই আপনারা কিভাবে নিজেদের ব্যপারে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন যেগুলো একটু এদিক সেদিক হয়ে গেলে জান্নাত ছুটে যেতে পারে এবং জাহান্নাম অবধারিত হতে পারে।।
প্রিয় ভাইয়েরা আমাদের একটা জিনিস মনে রাখা প্রয়োজন যে আমাদের কাউকেই আল্লাহ্* সুবঃ দ্বীনের ঠিকাদারি দিয়ে পাঠান নি। বরং আমাদের নিজেদের শাস্তি লাঘব বা কিছু প্রাপ্তির জন্যই দ্বীনের জন্য কাজ করছি। আমরা কিছু না করলে আল্লাহ্* সুবঃ দ্বীনের একটু ক্ষতিও হবে না। যখন দ্বীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তাঁর ১ সেকেন্ডও এদিক সেদিকও হবে না। ভাই আজকে আপনি সবে দ্বীনের পথে হাটতে শুরু করেছেন; একটা তানজিমের সাথে হয়ত যুক্ত হয়েছেন বা হচ্ছেন; এখন পর্যন্ত চাপাতি কি জিনিস সেটাও চিনতে পারেন নি কোন একটা অপারেশনে শরীক হওয়া সেটা ত অনেক পরের ব্যপার আর এখনি যদি আপনি এমন হিকমাহ অবলম্বন করতে যান তাহলে যখন টুইন টাওয়ারের মত না হোক একটা থানাতেও যদি রেইড দিতে হয় তখন আপনি কি হিকমাহ অবলম্বন করবেন ভাই?? সব হিকমাহ ত মার্কেটে ব্যবহার করেই ফেলছেন তখন কি আর কোন হিকমাহ অবশিষ্ট থাকবে ভাই??
প্রিয় ভাইয়েরা, আপনারা কেউ এটা ধরে নিয়েন না যে বিভিন্ন মুজাহিদ ভাই যারা এই জমীনে বন্দী হয়েছেন বা শহীদ হয়েছেন তাঁদের লেবাস এরকম বলেই আপনারাও সেটা অবলম্বন করার অনুমতি পেয়ে গেছেন। বরং বাস্তবতা এটাই যে সেই ভাইদের অন্তর হয়ত ছিঁড়ে যেত যখন তারা দাঁড়ি কাটত বা টাকনুর নীচে কাপড় পরিধান করত। বরং তাঁরা ত নিতান্ত বাধ্য হয়েই এটা অবলম্বন করতেন এবং সেটাও নিজের মনগড়া সময়ে না। তাঁদের যখন আদেশ করা হয়েছে তখনই তাঁরা সেটা আমল করা শুরু করেছেন।
দায়িত্বশীল ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি ভাই আমাদের ঈমানী হালত একেক জনের একেক রকম। কোন ভাই হয়ত টিএসসির মত ভরা মজলিসে অবলীলায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নাস্তিকদের জাহান্নামে পাঠাতে পারেন আবার এর বিপরীতে উপরের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ভাইয়ের সংখ্যাও কম না যারা অজানা জুজুর ভয়ে (ভাই এটাকে হিকমাহ না বলে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দ্বীনের কাটছাট বলাই উপযুক্ত মনে হচ্ছে। আল্লাহ্* আমাকে মাফ করুন) নিজের ফতোয়া নিজেই দেওয়া শুরু করে। তাই আপনারা আপনাদের মামুর ভাইদের এসব অজানা জুজু কাটিয়ে ওঠার ব্যপারে নিয়মিত ছোটখাট কাজ দিন। কারণ জিহাদ একটা আমলি জিনিস। যত দিন না কেউ কোন কাজে শরীক হচ্ছে ততদিন এই জুজুর ভয় তাড়া করতেই থাকবে। আর এর ফলাফল এতটাই মারাত্মক হতে পারে যে আপনি অনেক কষ্ট করে, মেহনত করে হয়ত একজন ভাইকে দ্বীনের বুঝের পথে নিয়ে আসলেন কিন্তু ছোট একটা পরীক্ষা সামনে আসলে সেই সব ভাইদের আর খুজেও পাওয়া যাবে না। তাই আমাদের জন্য সংখ্যার পিছনে না ছুটে বরং গুনগত মানের পিছনে বেশি মনোযোগী হলে ভাল হবে ইনশাল্লাহ। আর মুসলিমরা কখনোই সংখ্যাধিক্যের কারণে জয়ী হয়নি। বরং বিপরীতটাই সত্য।
প্রিয় ভাই আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি যারা হিকমাহ অবলম্বন করতে গিয়ে দ্বীনকে খেলনা বানিয়ে ফেলছেন, ভাই দ্বীনকে দ্বীনের মত করেই পালন করতে হবে। আমাদের নফস যা করতে বলে সেই পথেই যদি হাটা শুরু করি তবে এটা আপনাকে ধ্বংসের পথেই নিয়ে যাবে। তাই আপনার সার্বিক পরিস্থিতি বিস্তারিত জানিয়ে আলেম ভাইদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করুন ইনশাল্লাহ। আর এসব ব্যপারে পরিষ্কার হওয়ার জন্য আর কোন জায়গা যদি নাও থাকে ত নিদেনপক্ষে এই ফোরামে ত জানতে চাইতে পারেন।। আর কোন ভাই যদি আপনাকে পরামর্শ দেন এমন কোন কাজের যা শরীয়াহ এর সাথে সাংঘরসিক তবে অবশ্যই সেই ভাইয়ের ইলমী অবস্থার উপর নিশ্চিত হয়ে নিন। এমন ধরে নেওয়া উচিৎ হবে না একজন মুজাহিদ হলেই তাঁর এমন একটা বিষয়ে হুকুম দেওয়ার যোগ্যতা থাকবে যে বিষয়ের সাথে আপনার সার্বিক পরিবেশ, কাজের পরিধি ইত্যাদি সকল কিছু জড়িত।।
আল্লাহ্* সুবঃ আমাদের সকলকে দ্বীনের সঠিক বুঝের উপর আমল করার তৌফিক দান করুন।।
Comment