বাংলাদেশের ভূমিতে যারা আল্লাহ তায়ালার দ্বীনকে বুলন্দ করার চেষ্টা করেছেন এবং এই নিজের জান মালকে বিপদের সম্মুখ করেছেন তাদের মাঝে অন্যতম একজন হলেন মুফতি আব্দুল হান্নান। শাইখ আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নানের কথা তাওহীদবাদী মুসলিমরা কখনোই ভুলতে পারবে না। বিশেষ করে বাগমারার সাধারণ মুসলিমরা যারা জাগ্রত মুসলিম জনতার আমীরদের নিজেদের জানের চেয়ে বেশী ভালোবাসতেন।
আমরা আশাবাদী যে শাইখ আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নান সহ যে সকল ভাইরা দ্বীন কায়েমের জন্য চেষ্টা করে গেছেন তাদের আমলকে আল্লাহ তায়ালা নষ্ট করবেন না।
তবে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি তা হয়ত কোন কোন ভাই অপছন্দ করতে পারেন। কিন্তু তারপরেও আলোচনা করছি যাতে আমাদের কাছে সত্যটা উদ্ভাসিত হয়ে যায়। এখানের আলোচনাটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। তাই কোন ভাই দলীলের ভিত্তিতে বিরোধিতা করলে আমি তা সাদরে গ্রহণ করে নিবো।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেনঃ
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ [٦٢:٨]
বলুন,তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর,সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে,অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম,যা তোমরা করতে।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۚ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ [١٠:٤٩]
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই একেকটি ওয়াদা রয়েছে,যখন তাদের সে ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে তখন না একদন্ড পেছনে সরতে পারবে,না সামনে ফসকাতে পারবে,।
আল্লাহর পথে যুদ্ধের ইচ্ছাকারী সকল ভাইয়ের জন্য এসব আয়াতের উপর দৃঢ় ইয়াক্বীন রাখা খুবই জরুরী একটি বিষয়। আরে যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হয় তাদের তামান্নাইতো থাকে কিভাবে, কত দ্রুত আল্লাহর নিকট গমণ করা যায়। এক মুজাহিদ সে তো সর্বদা এই চিন্তায়ই থাকে কিভাবে সে শহীদ হতে পারবে। আল্লাহ কখন তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করবেন। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর অন্তরে শাহাদাতের কতইনা তড়প ছিল। তিনি সাঃ বলেনঃ আমি পছন্দ করি যে আমি শহীদ হবো আবার জীবিত হবো, আবার শহীদ হবো আবার জীবিত হবো, আবার শহীদ হবো আবার জীবিত হবো। সাহাবায়ে কেরাম তো সব সময় এই দোয়াই করতেনঃ হে আল্লাহ! আমাকে তোমার রাস্তায় শহীদ হওয়া তাওফীক দান করো।
শাহাদাততো এক মর্যাদা যাকে নবীরাও হাসিল করতে চেয়েছেন। যাকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন তাকেই শাহাদাত দান করেন।
কিন্তু শাহাদাতের মর্যাদার ক্ষেত্রে আল্লাহর রসূল কিছু পার্থক্য করেছেন এবং সর্বোত্তম শহীদ কে তাও বলেছেন।
أفضل الْجِهَاد كلمة حق عِنْد سُلْطَان جَائِر
সর্বোত্ত জিহাদ হলো জালেম বাদশাহর নিকট সত্য কথা বলা।
অর্থাৎ জালিম বাদশাহর সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হলে সেই সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে গন্য হবে।
আল্লাহর নবী সাঃ আরও বলেনঃ
عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ:
سِيِّدُ الشُّهَدَاءِ حَمْزَةُ ابن عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَرَجُلٌ قَامَ إِلَى إِمَامٍ جَائِرٍ فَأَمَرَهُ وَنَهَاهُ فَقَتَلَهُ
শহীদদের সর্দার হচ্ছে হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং ঐ ব্যক্তি যে জালেম বাদশাহর নিকট দাড়িয়ে সৎকাজে আদেশ করে এবং অসৎ কাজের নিষেধ করে। অতঃপর ঐ জালেম তাকে হত্যা করে ফেলে।
কুরআন সুন্নাহ দ¦ারা এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত যে, জালেম বাদশাহর সামনে মাথা নত না করে তার সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হওয়াটা অনেক বড় এক মর্যাদা প্রাপ্তি।
আমরা যদি অতীত আকাবিরদের স্মৃতি থেকে দেখি তাহলেও অনেক দলীল পাবো যে, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন এবং তাবে তাবেয়ীনদের কর্মপন্থা এক্ষেত্রে কী ছিল। ইমাম আবূ হানিফা রহঃ এর জানাযা জেল থেকে বের হয়েছে, উনি কি নিজের মতাদর্শ থেকে সরে গিয়েছিলেন? ইমাম আহমদ রহঃ এত নির্যাতন করা সত্তেও কি উনি নিজের ফতওয়াকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন? ইমাম ইবনে তাইয়িমাহ রহঃ এর লাশ কি জেল থেকে বের হয়নি? উনারা কি মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ফতওয়া তুলে নিয়েছিলেন?
আমরা সূরা বুরুজের ঐ যুবকের ঘটনা নিশ্চিত পড়েছি, যে তাগুত বাদশাহ নিজেকে হত্যার সিস্টেম শিখিয়েছিল। এটা শুধু এই কারণেই ছিল যে, মানুষ সত্য কোনটা তা বুঝে নিক এবং মানুষ শিখে নিক যে, সত্যের জন্য কিভাবে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়। আর আল্লাহ তায়ালাও তো এই জিনিসটাকে ভালোবাসেন। তাইতো তিনি কুরআনে এই ঘটনা বর্ণনা করে দিয়েছেন।
আমরা যখন বিশ্বাস করি, জালেম এবং কাফের বাদশাহদের সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হলে সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে গন্য হবে। তখন কিভাবে তাগুদ শাসকদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেতে পারি?
বিশেষ করে প্রাণ ভিক্ষার অর্থ যখন হয়, নিজের অতীতের সব কাজকে ভুল হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া এবং জীবনে আর কখনো এই ভুল করবে না বলে অঙ্গীকার করা। মুফতি আব্দুল হান্নান সাহেব কে তার অতীতের সব কাজকে ভুল প্রমাণ করতে চাচ্ছেন? উনি কি স্বীকার করে নিচ্ছেন, যে উনার অতীতের সব কাজ ভুল ছিল? উনি কি ভবিষ্যতে এই কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করতে চাচ্ছেন?
প্রাণ ভিক্ষার কথা শুনার পর থেকে আমার মাথায় এই চিন্তাগুলো ঘুুরপাক খাচ্ছিল। আশায় ছিলাম কোন ভিজ্ঞ ভাই এই ব্যাপারে কলম ধরবেন। কিন্তু আমার আশা পূর্ন হলো না। আমি এখনো নিশ্চিত নয় যে. মুফতি হান্নান ভাইকি বাস্তবেই প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন নাকি তাগুতরা একটি নাটক সাজিয়েছে? কারণ, এই বিষয়টি আমাদের সবার মাথাই কাজ করে যে, এই মুরতাদ তাগুত সরকার অন্য সকল ফাঁসির আসামীকে মাফ করে দিলেও কোন মুজাহিদকে মাফ করবে না। হতে পারে এখানে এসে মুফতি সাহেবের অন্তরে দুনিয়াবী কোন জিনিসের মহব্বত উদয় হয়েছে! অথবা উনি হয়ত তাগুতদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন!
তবে যত কিছুই হোক একজন মুজাহিদের অন্তরে শাহাদাতের কামনাতো সব কিছুর চেয়ে প্রিয় হওয়া দরকার ছিল। আমাদের জন্য এর চেয়ে বড় সফলতা আর কি হতে পারে!
আল্লাহ ভাইকে মাফ করুন! উনার সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন এবং উনাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন!(আমীন)
আমরা আশাবাদী যে শাইখ আব্দুর রহমান এবং মুফতি আব্দুল হান্নান সহ যে সকল ভাইরা দ্বীন কায়েমের জন্য চেষ্টা করে গেছেন তাদের আমলকে আল্লাহ তায়ালা নষ্ট করবেন না।
তবে আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি তা হয়ত কোন কোন ভাই অপছন্দ করতে পারেন। কিন্তু তারপরেও আলোচনা করছি যাতে আমাদের কাছে সত্যটা উদ্ভাসিত হয়ে যায়। এখানের আলোচনাটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত অভিমত। তাই কোন ভাই দলীলের ভিত্তিতে বিরোধিতা করলে আমি তা সাদরে গ্রহণ করে নিবো।
আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেনঃ
قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ ۖ ثُمَّ تُرَدُّونَ إِلَىٰ عَالِمِ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَيُنَبِّئُكُم بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ [٦٢:٨]
বলুন,তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর,সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে,অতঃপর তোমরা অদৃশ্য, দৃশ্যের জ্ঞানী আল্লাহর কাছে উপস্থিত হবে। তিনি তোমাদেরকে জানিয়ে দিবেন সেসব কর্ম,যা তোমরা করতে।
আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,
لِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلٌ ۚ إِذَا جَاءَ أَجَلُهُمْ فَلَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةً ۖ وَلَا يَسْتَقْدِمُونَ [١٠:٤٩]
প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্যই একেকটি ওয়াদা রয়েছে,যখন তাদের সে ওয়াদা এসে পৌঁছে যাবে তখন না একদন্ড পেছনে সরতে পারবে,না সামনে ফসকাতে পারবে,।
আল্লাহর পথে যুদ্ধের ইচ্ছাকারী সকল ভাইয়ের জন্য এসব আয়াতের উপর দৃঢ় ইয়াক্বীন রাখা খুবই জরুরী একটি বিষয়। আরে যারা আল্লাহর রাস্তায় বের হয় তাদের তামান্নাইতো থাকে কিভাবে, কত দ্রুত আল্লাহর নিকট গমণ করা যায়। এক মুজাহিদ সে তো সর্বদা এই চিন্তায়ই থাকে কিভাবে সে শহীদ হতে পারবে। আল্লাহ কখন তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করবেন। আমাদের প্রিয় নবী সাঃ এর অন্তরে শাহাদাতের কতইনা তড়প ছিল। তিনি সাঃ বলেনঃ আমি পছন্দ করি যে আমি শহীদ হবো আবার জীবিত হবো, আবার শহীদ হবো আবার জীবিত হবো, আবার শহীদ হবো আবার জীবিত হবো। সাহাবায়ে কেরাম তো সব সময় এই দোয়াই করতেনঃ হে আল্লাহ! আমাকে তোমার রাস্তায় শহীদ হওয়া তাওফীক দান করো।
শাহাদাততো এক মর্যাদা যাকে নবীরাও হাসিল করতে চেয়েছেন। যাকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন তাকেই শাহাদাত দান করেন।
কিন্তু শাহাদাতের মর্যাদার ক্ষেত্রে আল্লাহর রসূল কিছু পার্থক্য করেছেন এবং সর্বোত্তম শহীদ কে তাও বলেছেন।
أفضل الْجِهَاد كلمة حق عِنْد سُلْطَان جَائِر
সর্বোত্ত জিহাদ হলো জালেম বাদশাহর নিকট সত্য কথা বলা।
অর্থাৎ জালিম বাদশাহর সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হলে সেই সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে গন্য হবে।
আল্লাহর নবী সাঃ আরও বলেনঃ
عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ: عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ:
سِيِّدُ الشُّهَدَاءِ حَمْزَةُ ابن عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَرَجُلٌ قَامَ إِلَى إِمَامٍ جَائِرٍ فَأَمَرَهُ وَنَهَاهُ فَقَتَلَهُ
শহীদদের সর্দার হচ্ছে হামযা ইবনে আব্দুল মুত্তালিব এবং ঐ ব্যক্তি যে জালেম বাদশাহর নিকট দাড়িয়ে সৎকাজে আদেশ করে এবং অসৎ কাজের নিষেধ করে। অতঃপর ঐ জালেম তাকে হত্যা করে ফেলে।
কুরআন সুন্নাহ দ¦ারা এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমানিত যে, জালেম বাদশাহর সামনে মাথা নত না করে তার সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হওয়াটা অনেক বড় এক মর্যাদা প্রাপ্তি।
আমরা যদি অতীত আকাবিরদের স্মৃতি থেকে দেখি তাহলেও অনেক দলীল পাবো যে, সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীন এবং তাবে তাবেয়ীনদের কর্মপন্থা এক্ষেত্রে কী ছিল। ইমাম আবূ হানিফা রহঃ এর জানাযা জেল থেকে বের হয়েছে, উনি কি নিজের মতাদর্শ থেকে সরে গিয়েছিলেন? ইমাম আহমদ রহঃ এত নির্যাতন করা সত্তেও কি উনি নিজের ফতওয়াকে উঠিয়ে নিয়েছিলেন? ইমাম ইবনে তাইয়িমাহ রহঃ এর লাশ কি জেল থেকে বের হয়নি? উনারা কি মৃত্যুর ভয়ে নিজেদের ফতওয়া তুলে নিয়েছিলেন?
আমরা সূরা বুরুজের ঐ যুবকের ঘটনা নিশ্চিত পড়েছি, যে তাগুত বাদশাহ নিজেকে হত্যার সিস্টেম শিখিয়েছিল। এটা শুধু এই কারণেই ছিল যে, মানুষ সত্য কোনটা তা বুঝে নিক এবং মানুষ শিখে নিক যে, সত্যের জন্য কিভাবে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়। আর আল্লাহ তায়ালাও তো এই জিনিসটাকে ভালোবাসেন। তাইতো তিনি কুরআনে এই ঘটনা বর্ণনা করে দিয়েছেন।
আমরা যখন বিশ্বাস করি, জালেম এবং কাফের বাদশাহদের সামনে সত্য কথা বলে শহীদ হলে সর্বোত্তম শহীদ হিসাবে গন্য হবে। তখন কিভাবে তাগুদ শাসকদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চেতে পারি?
বিশেষ করে প্রাণ ভিক্ষার অর্থ যখন হয়, নিজের অতীতের সব কাজকে ভুল হিসাবে স্বীকার করে নেওয়া এবং জীবনে আর কখনো এই ভুল করবে না বলে অঙ্গীকার করা। মুফতি আব্দুল হান্নান সাহেব কে তার অতীতের সব কাজকে ভুল প্রমাণ করতে চাচ্ছেন? উনি কি স্বীকার করে নিচ্ছেন, যে উনার অতীতের সব কাজ ভুল ছিল? উনি কি ভবিষ্যতে এই কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করতে চাচ্ছেন?
প্রাণ ভিক্ষার কথা শুনার পর থেকে আমার মাথায় এই চিন্তাগুলো ঘুুরপাক খাচ্ছিল। আশায় ছিলাম কোন ভিজ্ঞ ভাই এই ব্যাপারে কলম ধরবেন। কিন্তু আমার আশা পূর্ন হলো না। আমি এখনো নিশ্চিত নয় যে. মুফতি হান্নান ভাইকি বাস্তবেই প্রাণ ভিক্ষা চেয়েছেন নাকি তাগুতরা একটি নাটক সাজিয়েছে? কারণ, এই বিষয়টি আমাদের সবার মাথাই কাজ করে যে, এই মুরতাদ তাগুত সরকার অন্য সকল ফাঁসির আসামীকে মাফ করে দিলেও কোন মুজাহিদকে মাফ করবে না। হতে পারে এখানে এসে মুফতি সাহেবের অন্তরে দুনিয়াবী কোন জিনিসের মহব্বত উদয় হয়েছে! অথবা উনি হয়ত তাগুতদের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন!
তবে যত কিছুই হোক একজন মুজাহিদের অন্তরে শাহাদাতের কামনাতো সব কিছুর চেয়ে প্রিয় হওয়া দরকার ছিল। আমাদের জন্য এর চেয়ে বড় সফলতা আর কি হতে পারে!
আল্লাহ ভাইকে মাফ করুন! উনার সকল ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন এবং উনাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন!(আমীন)
Comment