রাসূল সা: এর হুকুমের সামনে সব ধরনের হেকমত ও কল্যানকে কোরবান করা আবশ্যক
শরীয়তের কোন মাসয়ালা এবং আল্লাহ তায়ালার হুকুমের সামনে রাসূল সা: ও সাহাবায়ে কেরামগন সব ধরনের কল্যানকে কোরবান করে দিতেন।
দৃষ্টান্ত; হযরত যায়েদ রা. ( যিনি রাসূল সা; এর পালক পুত্র) যখন তাঁর স্ত্রী হযরত যায়নাব রা. কে তালাক দিলেন, তখন রাসূল সা; ভাবলেন, যায়নাবকে বিয়ে করে নিবেন। কিন্তু একটি ব্যাপার এতে বাধা হয়ে দাড়াল। তা হল, তিনি যদি এমন করেন, লোকেরা তাঁর প্রতি বদগুমান ও কুদৃষ্টি নিক্ষেপ করবে এবং বলবে তিনি কেমন নবী!!! যিনি পুত্রবধূকে বিবাহ করেছন। তাছাড়া নও মুসলিমগনও ইসলাম ত্যাগ করার সম্ভাবনা আছে এবং অন্যরা ইসলাম কবু্ল করার পথে বাধা সৃষ্টি হবে। এমতাবস্থায় তাবলীগে ইসলাম বন্ধ হয়ে যাবে।
কিন্তু আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা অবতীর্ণ হল যে, আমার এই বিধান হেফাজত করার লক্ষ্যে যাবতীয় কল্যান কোরবানী দিয়ে উক্ত বিবাহ করতে হবে। চাই তাতে কেউ ইসলাম কবুল করুক বা না করুক এবং আল্লাহ না করুন, যদি সকল মুসলমান মুরতাদ হয়ে যায়, তাতেও কিছু আসে যায় না। আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট ভাষায় হুকুম করলেন, এই বিবাহ করা আবশ্যক। না করার কল্যাণ বিবেচনা করার উপর কঠিন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন। এখানে এ বিষয়টিও লক্ষ রাখতে হবে যে, এমন বিবাহ ইসলামে ফরজ কিংবা ওয়াজিব নয় বরং জায়েয। তবুও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফরজের মত হুকুম করা হল, মূলত এর মাধ্যমে এই হাকীকত প্রকাশ করা এবং এই ঘোষনা দেওয়া উদ্দেশ্য যে, কল্যাণ যত বড়ই হোক না কেন, আল্লাহ তায়ালার কোন হুকুমকে ভঙ্গ করা যাবে না।
নেতৃত্বদানকারী, মাদরাসার মুহতামিম এবং তাবলীগের আমীরগনের এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত যে, তারা নিজেদের দল ও জামায়াত সংঘবদ্ধ রাখতে, সামান্য সামান্য কল্যাণ রক্ষার্থে আল্লাহ বহু বিধানকে ভেঙ্গে দিচ্ছেন না তো ?!!!
আহলে বসিরত ও আহলে মারেফাত তথা সূক্ষ্ম দূরদর্শীসম্পন্ন ও বিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ বলেন, দ্বীনের ছোট থেকে ছোট মাসয়ালার সামনে বড় থেকে বড় কল্যানকেও মসলার মত পিষে ফেল, মসলা যত বেশি পেষা হয়, তরকারি তত বেশি স্বাদ হয়। ( আহসানুল ফাতাওয়া খন্ড-৯ পৃষ্টা- ১৪৯-১৫১)
Comment